নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার দামাল সন্তান

বাংলার দামাল সন্তান

তিনটি জিনিস কখনো কারো জন্য বসে থাকে না- ১) সময় ২) সুযোগ ৩) সমুদ্র স্রোত

বাংলার দামাল সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার লৌহমানব মাহমুদুর রহমান!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদি জনতার ‍হৃদয় স্পন্দন কলম সৈনিক, বাংলাদেশের নাস্তিকদের মুখোশ উন্মোচনকারী দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই,



আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যাকে কোন সন্তান দেননি। কিন্তু আল্লাহ ও তার রাসুলের (সা.) প্রতি তার ভালোবাসার কোন কমতি ছিলনা। জীবনের শেষ সমলটুকু পর্যন্ত আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেবার জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলেন তিনি। পেশাগত জীবনে তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার হলেও মিডিয়া নির্ভর এই যামানা তার অন্তরকে সবসময়ই তাড়া করতো। ইসলামী মূল্যবোধের উপর কতিপয় দালাল মিডিয়ার একের পর এক মিথ্যাচার তাকে প্রতিনিয়তই আহত করতো। তাই তিনি পেশাগত জীবন শেষ করেই হাত দিলেন সাংবাদিকতার মতো কঠিন এক পেশায়। যেখানে দেশজুড়ে একের পর এক সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠা হচ্ছে আর সেসব সংবাদমাধ্যমগুলি ফ্যাসিবাদী শক্তির দালালী করেই যাচ্ছে ঠিক সেই সময় তিনি স্রোতের বিপরীতে কঠিন এক প্রাচীর হয়ে দাড়ালেন। সত্য ও সুন্দরের এক অনন্য প্লাটফর্ম গড়ে তুললেন মিডীয়া জগতে। দেশের ঘুমন্ত মসলমানকে জাগিয়ে দিলেন। দেশের ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে শাসক গোষ্ঠির একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচন করে দিতে লাগলেন। অল্প সময়েই তিনি দেশের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ের গহীনে স্থান করে নিলেন। শাসক গোষ্ঠির এতো ক্ষতি করার পরও কি শাসক গোষ্ঠি বসে থাকবে? না! তারাও সেই অকুতোভয় সৈনিকের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে লাগলো! সব কিছুকে উপেক্ষা করেই তিনি সীমান্তে পার্শবর্তী রাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালেন। টিপাইমুখে ভারতীয় সরকার কর্তৃক বাধ নির্মানের প্রতিবাদে সচেতন লাখো জনসাধারনকে নিয়ে তিনি ভারত সীমান্তের জৈন্তা অভিমুখে লংমার্চ করলেন। জাগিয়ে দিলেন সীমান্তবর্তী ঘুমন্ত মানুষগুলোকে। এতে পার্শবর্তী দেশের দালাল শাসক গোষ্টির গা পুড়ে যেতে লাগলো। তারা তাকে মিথ্যা অজুহাতে জেলে বন্দী করলো। এর প্রতিবাদে সচেতন জনসাধারণ রাস্তায় নেমে পড়লেন। দীর্ঘ ৮ মাস আন্দোলন সংগ্রামের পর জনগন তাকে ছাড়িয়ে আনলো। কারামুক্তির পর কেটে গেলো অসংখ্য দিন। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। তার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনও এগিয়ে যেতে থাকে। ইতিমধ্যেই শাসক গোষ্টি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানকে চাপ সৃষ্টি করলো তার সম্পাদিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিতে। বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রাম হলো দেশের এই জনপ্রিয় পত্রিকাটি। কিন্তু অকুতোভয় এই কলম সৈনিক হার মানতে রাজী নন। তিনি বিক্রি করে দিলেন তার লাভজনক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানটি। সম্পদের সর্বশেষটুকু দিয়েও পত্রিকা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন। পত্রিকার দামও কিছুটা বাড়ানো হলো। এতে করে বিজ্ঞাপনবিহীন এই পত্রিকাটির জনপ্রিয়তা আরো বাড়তে লাগলো। হঠাৎ একদিন বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপর নির্যাতন ও ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী সরকারের গঠিত তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নাটকের মূল রহস্য তিনি উদঘাটন করলেন। তার সম্পাদিত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছেপে দিলেন শাসক গোষ্টির সকল ষড়যন্ত্রের কথা। স্কাইপের মাধ্যমে তথাকথিত ট্রাইব্যুনালের বিচারপতির গোপন সংলাপ ফাঁস হয়ে গেলো জনগনের কাছে। এতে সরকারের মসনদ আবারো কেঁপে উঠলো। একের পর এক নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হলো। এরই মধ্যে ইসলামী নেতৃবৃন্দের সাজানো মৃত্যুদন্ডের রায়ের শড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগে কতিপয় নাস্তিক মুরতাদদের দিয়ে সাজালো 'গনজাগরণ মঞ্চের' নামে এক নতুন নাটক সাজালো। সেখানে আদালতে চলমান বিচারের রায় অগ্রিম ঘোষণা হতে থাকলো। ভয়ঙ্কর সেসব নাস্তিকদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করে দিয়ে ইসলামী জাগরণের মুযাজ্জিনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন তিনি। শুরু হলো তীব্র গণআন্দোলন। নাস্তিকদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করলো নাস্তিক্যবাদের লালনকারী সরকারের পুলিশ বাহিনী। শুরু হলো নতুন এক আন্দোলন। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান আল্লামা শাহ আহমদ শফী ডাক দিলেন নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনের। এরই মাঝে শাহবাগে অবস্থানরত নাস্তুকদের দাবী আনুযায়ী আদালতে ও জাতির সামনে বার বার নির্দোষ প্রমানিত বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসির আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাঁসির নাটকীয় রায় প্রদান করলো সরকারের সাজানো আদালত। দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লো লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ। শিশুরাও বাদ যায়নি এই বিক্ষোভ থেকে। সেই বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি করলো সরকারের পুলিশ বাহিনী। ২ দিনে তারা কেড়ে নিলো নারী-শিশুসহ ১৭০ নিরীহ মানুষের প্রান। আবারো গর্জে উঠলেন সেই নির্ভীক কলম সৈনিক। মজলুম জনগনের পক্ষে তার কলম চলতে থাকলো। শাহবাগের নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আল্লামা শফী'র ঘোষনা মোতাবেক রাজধানীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাজারো বাধা অতিক্রম করে লংমার্চ করে এসে মহাসমাবেশ করলো। বিশ্ববাসী দেখলো এক শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন। মূলত এই আন্দোলনকে থমকে দেয়া এবং নাস্তিকদের খুশী করার জন্যই তাকে আবারো গ্রেফতার করে ১৩ দিনের রিমান্ডে নিলো সরকার। কিন্তু এর পরও নূন্যতম বিচলিত নন জাতির এই মহান সৈনিক। নিজের জন্য যতটুকু না চিন্তিত, তার চেয়েও অধিক চিন্তিত তিনি দেশবাসীর জন্য।



তিনি আর কেউ নন। দেশের লক্ষ লক্ষ পাঠকের প্রানপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আমারদেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আল্লাহ তার এই বিপ্লবী বান্দাহকে দেশ ও ইসলামের জন্য আমাদের মাঝে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরিয়ে দিন। আমীন।



“বাংলার দামাল সন্তান” পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার জন্য দোয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই এবং মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি তিনি যেন আমাদের সবার প্রিয় মাহমুদুর রহমান কে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.