![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
A student of BUTex(Bangladesh University of Textiles)love very much for net surfing and blogging.
যারা ভালবাসার
মানুষটিকে কোনভাবেই হাতছাড়া (অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক
নারী ও পুরুষের স্বাধীন সম্মতি ক্রমে) করতে চান না কিন্তু
পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নিচ্ছেনা। এমন অবস্থায়
অনেকেই কোর্ট মেরেজ
বা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার কথা ভাবেন। কিন্তু
সঠিক ধারণা না থাকায় ঝামেলায় পড়েন।
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা কোর্ট ম্যারেজ
বা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে কিভাবে করতে হবে কিংব
ম্যারেজ কি অথবা কাজী অফিসে বিয়ে কি?
কোনটা কি সেই বিষয়ে ধারণা নেই। বিয়ে করার
আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোর্ট ম্যারেজ
কি এবং কাজীর কাছে কাজী অফিসে গিয়ে কাবিন
নামা অর্থাৎ রেজিস্ট্রী কাবিনমুলে বিয়ে কি!
দুই জনের সম্পর্কের মাঝে যখন অনিশ্চয়তা আসে তথন অনেকেই
মনে করেন কোর্ট ম্যারেজ করবেন, চলে যান কোর্টে!
আসলে কোর্টে কোর্ট ম্যারেজ হয়না।
কোর্টে আপনি যাবেন ঠিক তবে কেবল আপনার কাজীর
কাছে করা বিয়ের আইনি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত
করতে। এক্ষেত্রে আগেই আপনাকে কাজীর
কাছে রেজিস্ট্রী কাবিনমুলে বিয়ে করে, কোন
নোটারী পাবলিকের (সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল)
কাছে গিয়ে আপনারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বজ্ঞানে,
স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এই মর্মে ১০০ বা ২০০ টাকার
স্ট্যাম্পে একটি হলফনামায় সই করে রাখতে হবে। এই হলফ
নামাই বিয়ের পর নানান সমস্যার ক্ষেত্রে আপনাদের
রক্ষা কবজ হবে।
এবার চলুন
জেনে নি কিভাবে আপনি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করত
প্রথমেই আপনাকে দেখতে হবে আপনার
কিংবা যাকে বিয়ে করবেন অর্থাৎ বর/কনে দুই জনের বয়স
কি বিয়ের জন্য আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোটা পার হয়েছে!
বাংলাদেশের আইনে ছেলে মেয়ে উভয়ের বিয়ের জন্য
নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারিত আছে। বিয়ের বয়স অবশ্যই মেয়ের
বেলায় আঠারো ও ছেলের ক্ষেত্রে একুশ বৎসর হতে হবে।
এবার সাথে যা যা থাকা লাগবে তা হচ্ছে, আপনার বয়স
যে আইনে নির্ধারিত বয়সের বেশি বা সমান হয়েছে তার
প্রমাণ কি! হ্যা প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র
যদি থাকে তা কাজীর কাছে নিয়ে যেতে হবে। জাতীয়
পরিচয়পত্র যদি না থাকে তবে এসএসসি পাশের সনদ
কিংবা জন্মনিবন্ধন পত্র সাথে নিয়ে গেলেই হবে। আর
ছেলে/মেয়ে দুইজনের দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজ
ছবি লাগবে।
বিয়ে তো করবেন! সাক্ষী ছাড়া কি বিয়ে হবে? নাহ
সাক্ষী লাগবে অবশ্যই। বিয়ের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক ২ জন পুরুষ
অথবা ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে।
এবার বিয়ের খরচা-পাতি সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক।
কাবিন নামার খরচ যেকোনো বিয়ের ক্ষেত্রে একই। মুসলিম
বিয়ের ক্ষেত্রে একজন বিয়ে রেজিস্ট্রার দেনমোহরের
পরিমাণের উপর ভিত্তি করে একটি বিয়ের
রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারণ করে থাকেন। ধার্য্যকৃত
দেনমোহরের প্রতি হাজার বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০
টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি। তবে রেজিস্ট্রেশন ফি এর
পরিমাণ ১০০ টাকার কম হবে না এবং ৪০০০ টাকার
উপরে হবে না। যেমনঃ কারো বিয়ের দেনমোহর ১০,০০০
টাকা হলে ফি হবে ১০০ টাকা, ১০,৫০১ টাকা হলে ১১০
টাকা (প্রতি হাজারের অংশবিশেষের জন্যও ১০ টাকা),
১১,০০০ টাকা হলেও ১১০ টাকা, দেনমোহরের পরিমাণ
৫০০,০০০ টাকা হলেও ৪০০০ টাকা (সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪০০০
টাকা) আবার দেনমোহর ১০০০ টাকা হলেও
ফি দিতে হবে ১০০ টাকা (যেহেতু সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০০
টাকা)। উল্লেখ্য রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব
বরপক্ষের। সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই
ফি পরিবর্তন ও ধার্য্য করে থাকে।
সব তো জানা হল, কিন্তু কোথায় করবেন বিয়ে?
হ্যা বিয়ে আপনি করতে পারেন
যেকোনো কাজী অফিসে। সাধারণত যেকোনো ওয়ার্ড,
পৌরসভায় কাজী অফিস থাকেই। আপনি এসব
কাজী অফিসে আপনার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র
এবং সাক্ষী নিয়ে গেলেই কাজী আপনার বিয়ে পড়াবে।
আর হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এক্ষেত্রে নিজ
নিজ ধর্ম মতে বিয়ে করতে পারবেন।
এবং নোটারী পাবলিকের (সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল)
কাছে গিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে বিয়ের নিবন্ধন
করতে পারবেন।
এছাড়া যারা ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করতে চান তাদের জন্য
রয়েছে বিশেষ আইন। এক্ষেত্রে এক পক্ষ হিন্দু বা মুসলিম
বা অন্য ধর্মের হলেও, ধর্ম পরিবর্তন না করেই বিয়ে করা সম্ভব।
Special Marriage Act-III of 1872 এর আওতায়। এর জন্য কাজীর মত
আলাদা ম্যারেজ রেজিষ্টার আছেন।
__________________________________________________________
> Feel free to #SHARE. বলা যায় না, অনেকের কাজে লাগতে পারে...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমাদের সকল্কে এব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। বিয়ে অনেক বড় একটা জিনিস। এটা সারা জীবনের ব্যাপার। হেলাখেলার মত ব্যাপার না এটা।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পলাইয়া বিয়া করতে মঞ্চায়!!!!!!! :#> :#> :#>
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: হে হে হে,।,।, কাগজপত্র রেডি করে সাক্ষী রেদি করে চলে যান।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
রাজিব বলেছেন: আমাদের দেশে একটা বিয়ের খরচ গরীব হোক বড় লোক হোক অনেক। মধ্যবিত্ত হলে তো আরও ঝামেলা। অন্তত ৯০% ছেলেমেয়েই ২৫ এর মধ্যেই বিয়ে সারতে চায় কিন্তু টাকার জন্য পারেনা।
সমাজের নিয়ম বদলাতে হবে যে বিয়ের খরচ কোন ভাবেই ৫০,০০০ টাকার বেশী হবে না। দেন মোহর আলাদা বিষয়। কিন্তু বিয়ের শাড়ি, শেরওয়ানী, বিরিয়ানি, কমিউনিটি সেন্টার আলিশানি এসবের খরচ বাদ দিতে হবে। তার থেকেও বড় কথা হল বিয়ের পর ছেলে পর হয়ে গেছে, ছেলের বউ পরম শত্রু, মেয়ের জামাই পরম শত্রু এসব মানসিকতা বাদ দিতে হবে। মূলত এই ভয়েই অনেকে টাকা পয়সা না জমিয়ে বিয়ে করতে চায় না।
আর ছেলে কাউকে পছন্দ করলে ঐ মেয়ের এই দোষ সেই দোষ আর মেয়ে কাউকে পছন্দ করলে তো রক্ষাই নেই না জানি কি পাপ করে ফেলেছে। অথচ প্রেম করছে দেখেও অনেকে না দেখার ভান করেন। একটা মেয়ের সঙ্গে আপনি সারাজীবন কাটাবেন। তাকে পছন্দ না হলে তার সঙ্গে সারাজীবন কিভাবে এক সঙ্গে থাকবেন। আমাদের সমাজে প্রেম করলে তেমন সমস্যা নেই কিন্তু পছন্দ করে বিয়ে করতে গেলেই হাজারো বাধা আর ভেজাল।