নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Born to EXPRESS, not to IMPRESS.

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী

A student of BUTex(Bangladesh University of Textiles)love very much for net surfing and blogging.

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরুর বুকে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে বাংলাদেশিরা

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২২

ধু-

ধু

মরু

উপত্যকা।

ফাঁকে ফাঁকে সুউচ্চ

পাহাড়।

উট-

দুম্বার বিচরণ এই মরুর বুকে সবুজের

সমাহার। দেখতেই অবাক লাগে।

কোথাও সমতলে আবার কোথাও

পাহাড়ের চূড়ায়। কৃষি প্রধান

আমাদের দেশের শাক-সবজির

দেখা মিলে। খ- খ- মাঠে ধ্যানের

মতো কাজ করছেন কৃষি শ্রমিকরা।

থরে থরে ফুলকপি, লাউ, চালকুমড়া,

শসা, পটল, খিরাই, বেগুন,

করলা ধনে পাতার সমাহার।

আছে আমাদের জাতীয় ফল

কাঠালও। এছাড়াও

অকৃপণভাবে ছায়া দিচ্ছে সেই

নিমগাছ।

সউদী প্রবাসী কয়েক বন্ধু আমাদের

পথপ্রদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন।

উদ্দেশ্য ছিল হযরত মোহাম্মদের

(সা.) দাওয়াতি স্মৃতি বিজড়িত

ঐতিহাসিক তায়েফ শহর দেখার।

রওনা হলাম সউদীর বাণিজ্যিক শহর

জেদ্দা থেকে। তায়েফ সিটির

মধ্যে রুমাইজা নামক স্থানে ওই দৃশ্য

দেখে জানতে চাইলেই

কালক্ষেপণ

না করে স্থানীয়রা উচ্চারণ

করলো বাংলাদেশের নাম। বললেন

মরুর বুকে এই সবুজ বিপ্লব

যারা ঘটিয়েছে তারা বাংলাদেশি।

বাংলাদেশের শ্রমিক।

পরবাসে নিজ দেশের মানুষের এমন

বিপ্লবের কথা শুনতে দাঁড়ালাম

ওইসকল শ্রমিকদের কাছে। ইবরাহিম।

চট্টগ্রাম কক্সবাজারের বাসিন্দা।

দুইযুগ আগে সউদীতে আসেন।

প্রথমে অন্যের শ্রমিক হিসেবে,

পরে বেছে নিয়েছেন এই

সবজি চাষকে। নিজেই ফসল

ফলাচ্ছেন, উপার্জন করছেন। কথায়

মনে হলো সেই ইতিহাসের

সাক্ষী এই ইব্রাহিম।

ফিরে গেলেন ১৯৯০-এর আগে।

কুয়েত

থেকে সবজি আমদানি করতেন

সউদীরা। ইরাকের কুয়েত

দখলকে কেন্দ্র করে সংঘটিত

উপসাগরীয় যুদ্ধে (গালফ ওয়ার)

পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। ওই সময়ের পর

থেকেই

সউদীতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ব্যাপক

হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান।

এখানে এসে অন্য কাজের

পাশাপাশি কৃষিতে মনোযোগ

দেন তারা। কৃষিপ্রধান

বাংলাদেশের

মানুষকে সউদী সরকার

নানাভাবে সহযোগিতাও করে।

মাত্র দুই যুগের কম। এই কালের

আবর্তে সউদীর অন্তত ২৮টি জেলায়

(দুইপ্রদেশে) সবুজ বিপ্লব ঘটেছে। আর

এই বিপ্লবের সেনানায়ক

বাংলাদেশিরা। এখন

সউদী আরবে যে পরিমাণ সবজির

চাহিদা রয়েছে তার শতকতা ৯০

ভাগই ওই দেশে উৎপাদন হয়।

জমি, বীজ, উৎপাদন ও

বাজারজাতের প্রক্রিয়াই বা কি-

এ প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান,

আইনগতভাবেই জন্মসূত্রে সউদীর

লোকেরাই সরকারের কাছ

থেকে জমি বরাদ্দ পেয়ে থাকেন।

ভিনদেশ

থেকে যে শ্রমিকরা আসে তাদের

অভিভাবকের দায়িত্বও পালন

করেন এই সউদীয়ানরা।

তারা প্রবাসীর কফিল (মালিক)।

বাংলাদেশি শ্রমিকরা এই

কফিলদের সঙ্গে আলোচনার

ভিত্তিতে ঠিক করেন

তাকে বছরে কতো রিয়াল

(সউদী মুদ্রা) দিতে হবে। এরপর

নির্দিষ্ট জমিতে ফসল

ফলাতে স্থানীয় গরু-ছাগল ও

মুরগি খামার থেকে বর্জ্য আহরণ

করেন। জমি তৈরি করেন

ফসলভেদে। বিশেষ করে যেসকল

সবজির শিকড় মাটির খুব

গভীরে যায় না। এমনিতেই

মাঝেমধ্যে বৃষ্টির দেখা মিলে।

তারপরও স্থানীয় সরকার ও সিটির

তরফ থেকে সেচের ব্যবস্থাও

করা হয়। স্থানীয় গভর্নর এই কৃষকদের

জন্য কৃষি খামার (মাজরা)

তৈরি করে দিয়েছেন। ফসল উৎপাদন

করে সেই খামারে প্যাকেটজাত

করেন এবং জেলা বা সিটির

বিভিন্ন সবজি মার্কেট

(হালাদখুদার) নিয়ে যান।

সেখানে পাইকারি দরে বিক্রি হয়।

ফরিয়ারা কিনে ফের

বিক্রি করেন জনবসতি এলাকায়।

সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয়

সউদীর জিজান শহরে। এছাড়াও

তায়েফ, তাবুক, আলবাহা, খামিজ

মাসাহেদ, কুমফুদাসহ ২৮ জেলাতেই

কমবেশি সবজি উৎপাদন ও

বাজারজাত হয়। আরো মজার বিষয়

হলো ওইসকল ফসলের বীজ যায়

বাংলাদেশ থেকেই।

সবজি উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট

ক্ষেত ছাড়াও সউদীয়ানদের

বাসা-বাড়ির আঙ্গিনাতেও

দেখা মিলে শাক-সবজির।

মুদি দোকানি ছিলেন ইকবাল

হোসেন। এখন অন্য ব্যাবসায়

নিয়োজিত। জানালেন,

সউদী মার্কেটে আমদানি করা সবজির

চেয়ে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত

পণ্যের কদর বেশি। তার

দোকানে চাহিদাও ছিল স্থানীয়

সবজির।

আরেক ফল কাঁঠাল।

সউদীরা জানতো-ই না কাঠাল

একটি খাবার ফল।

বাংলাদেশিরাই প্রথম এই

দেশে কাঠালের বীজ বুনেন।

গাছের পরিচর্যার এক পর্যায়ে ফল

বিক্রি করেন মার্কেটে।

প্রথমে নাক সিটকালেও কাঁঠাল

খেয়ে ফের

দোকানে আসে সউদীয়ানরা। এই

কাঠাল বাংলাদেশের জাতীয়

ফল সউদীতে এও প্রচার আছে ।

নারায়ণগঞ্জের

বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন।

তিনি জানান, সউদী আরবে প্রায় ৩

লাখ শ্রমিক আছে যারা এই

কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত। শুধুই

কৃষিকাজ করেন। এছাড়াও

সউদীয়নরা তাদের মিল-ফ্যাক্টরির

শ্রমিক যারা বাংলাদেশি শ্রমিক

তাদের দিয়ে এই কৃষিপণ্যও উৎপাদন

করান। নিজ পরিবারের চাহিদাও

মেটান।

ফলে চাহিদা মেটাতে সবজি আমদানি করতে হয়

শতকরা ১০/১২ ভাগ।

সেই কৃষক ইবরাহিম ও এই

ইঞ্জিনিয়ার উভয়ের বক্তব্য হলো- এই

কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য দিনদিন

শ্রমিকের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ

করে বাংলাদেশিদের। কিন্তু

ভিসা বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিক

আসতে পারছে না। ভিসার

ব্যবস্থা থাকলে শুধু

কৃষিকাজে বছরে অন্তত লক্ষাধিক

শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ

ছিল।

তাহলে শ্রমের চাহিদা পূরণ

করছে কারা- এ প্রশ্নের

উত্তরে তারা জানান,

ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ও

ভুটান থেকে শ্রমিক আসছে। শুধু এই

কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য যে ৩

লাখেরও বেশি শ্রমিক

সউদীতে আছে তাদের

সংখ্যা দিনদিন কমছে। কারণ

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

> ইত্তেফাক থেকে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রবাসীরা প্ররিশ্রম করবে টাকা পাঠাবে আর দেশের মন্ত্রীরা ঐ টাকার গরমে দেশে যা খুশী তাই করবে। বলবে আমাদের ফরেন এক্সচেন্জ রিজার্ভ কত্তো টাকা!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১২

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। তাদের পাঠানো টাকা আর আমাদের মন্ত্রি আমলারা খাচ্ছে সেই টাকা। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.