নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

”মধ্যম” আয়ের দরিদ্র গার্মেন্টস কর্মী

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

ছবির এই ভদ্রলোকদের কেউ চেনেন? ভদ্রলোক কেন বলছি?
এনারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যক্তিত্ব যারা সদ্য সদ্য বিরল প্রজাতিতে পরিণত হইয়াছেন । বিধায় তাদের ভদ্রলোকের কাতারে ফেলিয়াছি। ইহারা সাধারনত সমাজের উঁচু শ্রেণীর সঙ্গে উঠাবসা করেন। মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ইহাদের সাক্ষাতপ্রাপ্ত হননা কখনো। (গত বুধবারও তো ঘুমাইলাম গরীব একটা দেশের গরীব/নিম্নবিত্ত (অ)নাগরিক হিসেবে। ঘুম ভাইঙ্গা সকালে টিভিতে দেখি আমরা নাকি মধ্যম আয়ের দেশ হইয়া গেছি। এইটা কেমনে হইল? রাইতের মধ্যে এমন কী আলাদীনের চেরাগ এই দেশ পাইল যে ঘুমের মধ্যে এই দেশের ১৬ কোটি মানুষ অতি দরিদ্র হইতে হঠাৎ ”মধ্যম” হইয়া গেল? ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে লুঙ্গি খসিয়া পড়ার নজির থাকিলেও এইরূপ দারিদ্র খসিয়া পড়িবার নজির এই প্রথম। যা হউক, মধ্যম হইয়াওতো উপরোক্ত ভদ্রলোকদের দেখা পাইতেছি না।
রাতের ঘুমের মধ্যে “মধ্যম” হইয়া শুক্রবার সকালে গিন্নী কহিল চল কিঞ্চিৎ বাজার সদাই করিয়া আসি। থলি হাতে বাজারে গেলাম। দেখিলাম “মধ্যম” খালি সচিবালয়ে কাগজপত্রেই আছে। উহা এখনো আমার মানিব্যাগে বা বাজারে পৌছে নাই। বাজারের লোকেরা আমার আমাশয় রোগীর মতো মানিব্যাগ দেখিয়া পাত্তা দেয় না। বড় বাবুদের স্ফিত উদর মানিব্যাগ দেখিয়া হাত ধরিয়া তাহারা তাহাদের মাছ গছাইয়া দেয় আমাকে তাহারা ফিরিয়াও দেখেনা। মাছের দাম জিজ্ঞাসা করিলে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকায়। (ইদানীং বাবুসাবদের দেখি পেটমোটা মানিব্যাগ পকেটের বদলে হাতে প্রদর্শন করিয়া বাজারে গমন করিতে।)
এই “চিতল” ভদলোকটির ওজন ১০ কেজি। তাহাকে ১০,০০০ টাকায় খরিদ করিয়াছেন মিরপুরের “হাজি” সাহেব যিনি তাহার সমস্ত পয়সা গঙ্গাজলে ধুইয়া পবিত্র করিয়া লইয়াছেন। মানুষের এত টাকা কোথা হইতে আসে?
চিতল সাহেবের পাশে যেসব পুটি মাছকে দেখিতেছেন তাহারা এই অধমের বাড়িতে যাইবার সাধ করিয়া বটির পাশে অপেক্ষা করিতেছেন। প্রতিটা ১ কেজি ওজনের তেলাপিয়া কিনিয়া আমি ভাবিতেছিলাম যাহোক দারুন মাছ কিনিলাম, আমার মতো ভাগ্যবান আর কে আছে? কিন্তু বটিশালায় আসিয়া যখন চিতল সাহেবের পাশে আমার ১ কেজি ওজনের তেলাপিয়াকে রাখিলাম তখন অবস্থা দেখিয় চুপসাইয়া গেলাম। ১০ কেজির চিতলের পাশে আমার তেলাপিয়াকে তো পুঁটির মতোই লাগিবে তাই না? তাকাইয়া দেখি গিন্নি (নিটোল) মুখ চুন করিয়া ফেলিয়াছে। না না, আমার সস্তা মাছের দুঃখে না। তিনি আমার দরিদ্র অবস্থাতে দুঃখিত নন। দুঃখ পাইতেছেন এই জন্য যে সামান্য সস্তা তেলাপিয়া কিনিবার যে তৃপ্তিটুকু ক্ষনিক আগে তিনি উপভোগ করিতেছিলেন তাহা হাজি সাহেবের চিতল বাবাজী নষ্ট করিয়া দিল। খোদাতায়ালা এই অধুনা “মধ্যম” আয়ের (আসলে গরীব) গার্মেন্টস কর্মীদের সামান্য গুড়া মাছ কিনিবার তৃপ্তিটুকু উপভোগের সুযোগটুকুও ছিনাইয়া নিয়া ধনবানদের দিয়া দিলেন?বিএই ভদ্রলোকদের কেউ চেনেন? ভদ্রলোক কেন বলছি?
এনারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যক্তিত্ব যারা সদ্য সদ্য বিরল প্রজাতিতে পরিণত হইয়াছেন । বিধায় তাদের ভদ্রলোকের কাতারে ফেলিয়াছি। ইহারা সাধারনত সমাজের উঁচু শ্রেণীর সঙ্গে উঠাবসা করেন। মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ইহাদের সাক্ষাতপ্রাপ্ত হননা কখনো। (গত বুধবারও তো ঘুমাইলাম গরীব একটা দেশের গরীব/নিম্নবিত্ত (অ)নাগরিক হিসেবে। ঘুম ভাইঙ্গা সকালে টিভিতে দেখি আমরা নাকি মধ্যম আয়ের দেশ হইয়া গেছি। এইটা কেমনে হইল? রাইতের মধ্যে এমন কী আলাদীনের চেরাগ এই দেশ পাইল যে ঘুমের মধ্যে এই দেশের ১৬ কোটি মানুষ অতি দরিদ্র হইতে হঠাৎ ”মধ্যম” হইয়া গেল? ঘুমের মধ্যে মাঝে মধ্যে লুঙ্গি খসিয়া পড়ার নজির থাকিলেও এইরূপ দারিদ্র খসিয়া পড়িবার নজির এই প্রথম। যা হউক, মধ্যম হইয়াওতো উপরোক্ত ভদ্রলোকদের দেখা পাইতেছি না।
রাতের ঘুমের মধ্যে “মধ্যম” হইয়া শুক্রবার সকালে গিন্নী কহিল চল কিঞ্চিৎ বাজার সদাই করিয়া আসি। থলি হাতে বাজারে গেলাম। দেখিলাম “মধ্যম” খালি সচিবালয়ে কাগজপত্রেই আছে। উহা এখনো আমার মানিব্যাগে বা বাজারে পৌছে নাই। বাজারের লোকেরা আমার আমাশয় রোগীর মতো মানিব্যাগ দেখিয়া পাত্তা দেয় না। বড় বাবুদের স্ফিত উদর মানিব্যাগ দেখিয়া হাত ধরিয়া তাহারা তাহাদের মাছ গছাইয়া দেয় আমাকে তাহারা ফিরিয়াও দেখেনা। মাছের দাম জিজ্ঞাসা করিলে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকায়। (ইদানীং বাবুসাবদের দেখি পেটমোটা মানিব্যাগ পকেটের বদলে হাতে প্রদর্শন করিয়া বাজারে গমন করিতে।)
এই “চিতল” ভদলোকটির ওজন ১০ কেজি। তাহাকে ১০,০০০ টাকায় খরিদ করিয়াছেন মিরপুরের “হাজি” সাহেব যিনি তাহার সমস্ত পয়সা গঙ্গাজলে ধুইয়া পবিত্র করিয়া লইয়াছেন। মানুষের এত টাকা কোথা হইতে আসে?
চিতল সাহেবের পাশে যেসব পুটি মাছকে দেখিতেছেন তাহারা এই অধমের বাড়িতে যাইবার সাধ করিয়া বটির পাশে অপেক্ষা করিতেছেন। প্রতিটা ১ কেজি ওজনের তেলাপিয়া কিনিয়া আমি ভাবিতেছিলাম যাহোক দারুন মাছ কিনিলাম, আমার মতো ভাগ্যবান আর কে আছে? কিন্তু বটিশালায় আসিয়া যখন চিতল সাহেবের পাশে আমার ১ কেজি ওজনের তেলাপিয়াকে রাখিলাম তখন অবস্থা দেখিয় চুপসাইয়া গেলাম। ১০ কেজির চিতলের পাশে আমার তেলাপিয়াকে তো পুঁটির মতোই লাগিবে তাই না? তাকাইয়া দেখি গিন্নি (নিটোল) মুখ চুন করিয়া ফেলিয়াছে। না না, আমার সস্তা মাছের দুঃখে না। তিনি আমার দরিদ্র অবস্থাতে দুঃখিত নন। দুঃখ পাইতেছেন এই জন্য যে সামান্য সস্তা তেলাপিয়া কিনিবার যে তৃপ্তিটুকু ক্ষনিক আগে তিনি উপভোগ করিতেছিলেন তাহা হাজি সাহেবের চিতল বাবাজী নষ্ট করিয়া দিল। খোদাতায়ালা এই অধুনা “মধ্যম” আয়ের (আসলে গরীব) গার্মেন্টস কর্মীদের সামান্য গুড়া মাছ কিনিবার তৃপ্তিটুকু উপভোগের সুযোগটুকুও ছিনাইয়া নিয়া ধনবানদের দিয়া দিলেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.