নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুগের সাথে সাথে নাকি সবকিছু বদলায়। ঈশপ যদি এই যুগে পয়দা হতেন তবে তার গল্পগুলো নিশ্চই অন্যরকম হত। না শিরোনাম দেখে ভাববেন না আমি ঈশপকে নিয়ে বা তার গল্পের ডিজিটালাইজেশান নিয়ে গল্প ফেঁদে বসব। আমি শুধু পুরোনো গল্প নতুন কাসুন্দি দিয়ে পরিবেশন করব।
একদা কোনো এক দেশে এক চোর বাস করিত। তাহার বংশ ছিল সৈয়দ। কোনো একদিন সে কোথাও চুরি করিতেছিল। কী করিয়া জানি না, থানাওয়ালারা খবর পাইয়া কতিপয় পুলিশ সদস্যকে তথায় প্রেরণ করিল। পুলিশের দলে একজন ছিল পূর্বে তাহার বংশ ছিল নিচু। অন্য পুলিশেরা তথায় পৌছিয়া দেখিল যে, সৈয়দ সাহেব চুরি করিতেছেন। তাহারা বংশ মর্যাদার কারণে তাহাকে ধরিল না। কিন্তু নিচু বংশীয় পুলিশ মহোদয় সততার মহান মন্ত্রে উজ্জিবীত হইয়া তাহার কলার চাপিয়া ধরিল। তাহাকে হিরহির করিয়া টানিয়া থানায় হাজির করিল। সে ভাবিল এইবার তাহার এহেন কর্মে প্রীত হইয়া সরকার মহাশয় তাকে দারোগা করিয়া দিবে।
বিচার সভা বসিল চোরের বিচারার্থে।
কিন্তু সবাইকে বেকুব বানাইয়া চোর মহাশয় তীব্রস্বরে কহিল, “কেন সৈয়দ বংশের চোরকে নীচু জাতের পুলিশ ধরিল, কেন তাহাকে যথেষ্ট সম্মান সহকারে অ্যারেষ্ট করা হয় নাই, কেন তাহার কলার ধরা হইল, চুরি করার কালে তাহার মানবাধিকার রক্ষিত করিয়া তাকে ধরা হয় নাই” ইত্যাদি ইত্যাদি।
------------!!
----------------------------!!
(অতঃপর বিচার সভা এই বলিয়া সমাপ্ত হইল যে, পরবর্তীকালে চোর ধরিবার কালে পুলিশ যেন বংশমর্যাদা রক্ষা করিয়া এবং চোরের মর্যাদাহানি না করিয়া, মানবাধিকার রক্ষা করিয়া তাকে সসম্মানে ধৃত করে।) .......... জনগণ বেকুব হইল।
এবারের গল্পটি আমার এক বন্ধুর কাছ হতে তার চাক্ষুস অভিজ্ঞতা হতে ধার করা, একটু এডিট করে বললাম। একদা কোনো এক প্রতিষ্ঠানে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দোর্দন্ড প্রতাপে কাজ করিতেন। তাহার অধীনে কিছু জুনিয়র কর্মী কাজ করিতেন। জুনিয়র লোকজনের কর্মমূল্যায়ন করিয়া তাহাদের বেতন নির্ধারন করিয়া তাহার উচ্চপদস্থকে দিতেন। উচ্চপদস্থ উহার সম্পর্কে কোনো জ্ঞান রাখিতেন না। কিন্তু নিজের অজ্ঞতাকে ঢাকিতে এক অভাবনীয় পন্থা অবলম্বন করিতেন। তিনি জুনিয়র যাহাই সুপারিশ করিতেন, তাহা হইতে ৫০-১০০ টাকা কাটিয়া দিতেন। কিছুকাল যাইতেই তাহার এই চাতুর্য জুনিয়ররা ধরিয়া ফেলিলেন। একদিন এক জুনিয়র কি করিল এক ব্যক্তির মূল্যায়নপত্রে ৫০০০ সুপারিশ করিয়া তাহার উচ্চপদস্থকে দিল। তিনি যথারীতি আধাঘন্টা ভাব ধরিয়া, মাথায় কলম ঠুকিয়া, হুমহাম করিয়া, জুনিয়রের দিকে তাকাইয়া হতাশার দীর্ঘশ্বাস ছাড়িয়া, “তোমরা কী যে কর......” করিতে করিতে ৫০ কাটিয়া তাহা ৪৮০০ করিয়া দিলেন। জুনিয়র বাহিরে গিয়া একই লোকের মূল্যায়ন আবার একটা কাগজে ৫২০০ সুপারিশ লিখিয়া ”উচ্চপদস্থ”কে দিল। তিনি এই চাতুর্য ধরিবার পর্যায় হইতে অনেক উর্দ্ধের মানুষ ছিলেন। বেকুবি ঢাকার চিরাচরিত পন্থাগুলি অবলম্বন করিয়া এবার কাটিয়া লিখিলেন “৫১০০”।
জুনিয়র তাহার পূর্বের ও পরের কাগজ দুটি কপি করিয়া (পয়েন্ট নেয়ার দুরাশায় ও উচ্চপদস্থের কেরেদ্দারী ধরাইয়া দিবার দুরাশায়) কাগজ দুটি লইয়া তৎক্ষনাৎ বড়বাবুর কক্ষে লইয়া গিয়া তাহাকে দেখাইয়া নালিশ ঠুকিল। ভাবিল এইবার আর তাহাকে পায় কে?
------------------------------!!
-----------------------------------------------------------------!!!
(আপনারা কী ভাবিলেন? বড়বাবু কর্তৃক উচ্চপদস্থকে বিতাড়ন আর জুনিয়রকে প্রমোশন? মিসটেক করিলেন। বড়বাবু জুনিয়রকে এই অযুহাতে তৎক্ষনাত চাকুরীচ্যুত করিলেন যে, তোমার কাজ বাদ দিয়া উচ্চপদস্থের খুত ধরিতে তোমায় কে বলিয়াছিল?)
২| ২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
বিজন রয় বলেছেন: বেচারা।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: নট ব্যাড।এখন এটাই চলছে।নিজের চর্কায় তৈল মারো।
৪| ২৫ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ভাল।
এমনটাই চলছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
৫| ২৫ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
সিলা বলেছেন: বাস্তব তুলিয়া ধুরিলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ভাল লাগল.............