নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের সাত সদাই: নুন আনতে পান্তা নাই

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

আমার কাছে প্রবাদবাক্যের মতো তবে বলেছিলেন প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ। যারা সুশীল সাহিত্যের পূজারী তারা এটাকে কিভাবে নেবেন জানি না। "মধ্যবিত্ত হচ্ছে সমাজের একটা ফাজিল অংশ। আনকন্ট্রোল গ্রোথ। এই মধ্যবিত্তের প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা হয় কাজিনের কাছে, প্রথম কৌমার্য বিসর্জনের অভিজ্ঞতা হয় বাড়ির কাজের মেয়ের সঙ্গে। প্রথম মদ্যপানের অভিজ্ঞতা হয় অন্যের পয়সায়" (কিঞ্চিৎ পরিমার্জিত)।
এবার আমার একটা আবিষ্কার বলি:-”টিপিক্যাল মধ্যবিত্ত। ২৫ বছরে বাবা হলে গর্বিত হয় এই ভেবে যে, কাজের কাজটা সময় মতো হয়ে গেল। ৫০ বছরে বাবা হলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে এই ভেবে যে, যাক অন্তত আটকুড়ে’র অপবাদ হতে তো মুক্তি পাওয়া গেল। আর ৮০ তে হলে হয় বিব্রত কারন যখন সে মোটামুটি পরপারে যাবার জন্য তৈরী তখন এই ঘটনা।

মধ্যবিত্ত, আমাদের মনমানসে বহুল আলোচিত ও চর্চিত একটি নাম। কবিরা পর্যন্ত মধ্যবিত্তকে নিয়ে টিটকারীসূচক কাব্য চর্চা করে গেছেন যেই কাব্যের ভাবসম্প্রসারন মুখস্ত করে মধ্যবিত্তের সন্তান এই আমার মতো আরো কাতারে কাতারে মধ্যম মানের ছাত্রের ম্যাট্রিকের টিকিট মিলেছিল। কাব্যটার দুটো লাইন আজও মনে আছে-”উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে, মধ্যম তিনিই যিনি চলেন তফাতে।” কী অবিচার! বোঝেন তো। অধমের সাহচর্য এড়িয়ে চলব, একটা সাধু কর্ম, তাতেও কবিদের মতো সজ্জন মানুষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তকে টেনে এনেছেন। হাতে দশ দশটা আঙুল। কারো কোনো দোষ নেই শুধু মধ্যম আঙুলটা অপয়া। কাউকে দেখালেই জুতার বাড়ি কপালে। তাহলে বুঝে দেখুন মধ্যবিত্ত কি নচ্ছার চিজ।

মধ্যবিত্ত কী চিজ-সেটা সে নিজেই বোধহয় জানে না। অর্থনীতির গুরু এডাম স্মিথ হয়তো একটা সঙজ্ঞা দিয়ে গিয়েছিলেন কোনো এক কালে তবে বাঙালী সেই সঙজ্ঞাকে পুরোপুরি নিজের মতো করে ভেঙে গড়ে নিয়েছে। মধ্যবিত্ত’র সঙজ্ঞা নিয়ে যদি আপনি পড়ে থাকেন তবে তাকে বাঙাল সমাজে আপনি খুঁজে নাও পেতে পারেন কারন কঠিন কঠিন ইকোনমির তত্বে যে বর্ণনা দেয়া আছে তার সাথে সত্যিকার মধ্যবিত্তকে আপনি মিলাতে পারবেন না। তারচেয়ে বরং আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে এ বিশ্বব্রহ্মান্ডের সবচেয়ে আশ্চর্য চিড়িয়া মধ্যবিত্তের কিছু কোর্স, ডিসকোর্স আর গুনকীর্তন করি। তাহলেই বুঝতে পারবেন মধ্যবিত্তের সত্যিকার পরিচয়:-

মধ্যবিত্তরা ‍মুখচোরা। তার বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। প্রাণে চায় সবই কিন্তু বলতে পারে না। ক্লাসে তরুনী সহশিক্ষার্থীরা বসে থাকে। তাদের সংকোচে প্রপোজ করতে পারে না। পাছে যদি দেখা যায় অনেক বড়লোকের মেয়ে। আবার লোভও সামলাতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উচ্চ মেধারা দিব্যি হেসে খেলে পাশ করে টিচার হয়ে বসে। নিম্ন মেধারা ওই ধান্দা বাদ দিয়ে দিব্যি প্রথম দিন হতে মোটা মোটা গাইড পড়ে বিসিএস পাস করে যায়। মধ্যবিত্ত, মানে মধ্য মেধারা না হতে পারে টিচার, না পারে আবার সেই দুরাশা পুরো ত্যাগ করে বিসিএসে পুরো মন দিতে। উচ্চবিত্ত’র দেখাদেখি মধ্যমও চায় কলাটা মুলাটা ভোগ করতে কিন্তু গলা উঁচু করে বলে উঠতে পারে না। পাছে লোকে কিছু বলে। উচ্চরা ঠিকই তাদের উঁচু তলায় লাইফ এনজয় করতে পারে। নিম্নদেরকে আবার সমাজ যা খুশি করার লাইসেন্স দিয়ে দেয় এই বলে “শালার ছোটলোক”। কিন্তু ঘাঁটের মরা মধ্যবিত্ত। না ঘরকা না ঘাটকা। সারাক্ষন ভয়ে থাকে কে দেখে ফেলে, লোকে কী বলবে, সমাজে মুখ দেখাব কী করে-----ইত্যাদি ইত্যাদি। টিপিক্যাল এথিকস অবলিগেশন।

মধ্যবিত্ত’র আরেক ন্যাচার সে বর্ণচোরা ও দ্বিচারী। তাকে চেনা বড় কঠিন। তার সঠিক রূপের খোঁজ পাওয়া টাফ। সে রাস্তায় বৃদ্ধাকে ভিক্ষায় দেখলে তার স্থলে নিজের মা’কে কল্পনা করে দু’টো টাকা যেমন দেয় তেমনি বাস কন্ডাকটর ৮ বছর বয়সের আব্দুলকে ভাড়ার টাকা কম দিতে বেধরক চড় দিতেও তার হাত কাঁপে না। মধ্যবিত্ত লিবারেল হয়ে টিভিতে স্বল্পবসনা পশ্চিমা মডেলদের র‌্যাম্প ওয়াক এনজয় করে, চোরা চোখে বাসের সামনের সিটে বসা মহিলার খোলা ঘামে ভেজা পিঠ দেখে সসংকোচে আবার বাস হাইকোর্টের মাজার ক্রস করার সময় কপালে হাত ঠেকিয়ে সেটা চুমুও খায় মাজারের দিকে ইশারা করে। মধ্যবিত্ত পেপারে ব্যাংকের পুকুর চুরির খবর পড়ে সরকারকে গালি দেয় আবার একটু পরে নিজেই অফিসের ডেস্কের কলমটা পকেটে পুরে বাসায়ও যায়-ছেলের হোমওয়ার্ক করতে লাগবে বলে। টিভিতে কাজের মেয়েদের উপর নির্যাতনের খবর পড়ে মানবতা নিয়ে গালি ঝাড়ে আবার একটু পড়ে বাসার কাজের মেয়েকে দিয়ে নিজের জুতা মোছায়।

মধ্যবিত্ত সর্বংসহা। তাকে সব সওয়ানো যায়। সে সবই খায়। সেই বৃটিশ আমল হতে এই শ্রেনীকে সামাজিকতার যাতাকলে পেষা হচ্ছে। সে টু শব্দটি না করে সয়ে যাচেছ এই ত্রিংশ শতাব্দীতেও। আফটার অল সমাজ বলে একটা কথা আছে।

মধ্যবিত্ত আজীবন দিয়ে যাবার জাত। দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে, দুর্বিপাকে, প্রয়োজনে এই মধ্যবিত্ত শ্রেনী সবসময়ই নিজের ভাগ হতে সব দিয়েছে। রাস্তা বড় করা হবে? উচ্চদের জমিতে হাত পড়বে না, দরকার হলে রাস্তা বেঁকে যাবে। নিম্নদেরটাতেও হাত পড়বে না, মানবাধিকার লঙ্ঘন হবার জিকিরে দেশ কেঁপে যাবে। তো, রাস্তা কী করে হবে? কেন, ওই যে, হাঁচড়ে পাঁচড়ে জীবন চালানো মধ্যবিত্ত কেরানীদের কষ্টে কেনা বসতবাড়ির জমি আছে না? ওটাকে একোয়ার করো। বুলডোজার চালাও। মধ্যবিত্ত’র পরিচয় নিয়েও যথেচ্ছা টানাটানি হয়-কখনো সে মধ্যবিত্ত, কখনো নিম্নবিত্ত আবার কেউ তকমা দেয় নিম্ন মধ্যবিত্ত। সে সব নিরবে হজম করে।

মধ্যবিত্ত এক গিনিপিগের নাম। রাবারের চেয়েও ইলাস্টিসিটি বেশি তার। পরিবারের পতি আর কর্তীর যাবতীয় এক্সপিরিমেন্ট হয় তাদের মেঝ সন্তানের উপর দিয়ে। বাড়ির বড় ছেলে স্বভাবতই অতি সমাদরের । তিনি থাকেন শাহেনশাহের মতো। আবার ছোট ছেলে যেহেতু সবার ছোটো, তাই সেও সংরক্ষিত আসনে। মাঝখান হতে পাটা পুতার ঘষায় মেঝ সন্তানের দফা শেষ। সমাজপতি, গণপতি, দেশপতি, রাষ্ট্রপতি, জাতিসংঘ মায় আমাদের পাড়ার চকিদার-সবার প্রথম হাতপাকানোর কাজটা করে মধ্যবিত্তদের দিয়ে। কোনো জরিপ হবে-সেও মধ্যবিত্তদের মধ্যে। বাজারদরের প্রভাব-টিভিতে প্রথম আশংকামিশ্রিত খবর পবিবেশিত হবে ওই মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস নিয়ে। যেন সমাজের বাকি দুই বিত্তের (উচ্চ ও নিম্ন) এই মূল্যবৃদ্ধিতে কিছুই যায় আসে না। ট্যাক্স বাড়িয়ে কমিয়ে কুতকুত খেলার মধ্যদিয়ে মাইক্রো ইকোনমির গতিধারা নির্ধারনের এক্সপেরিমেন্টও সম্পাদিত হয় মধ্যবিত্তের উপর দিয়ে। বাজেট করা হবে। এমনভাবে করবে যাতে উচ্চবিত্তদের মসনদ না টলে। কারন তাদের টালালে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রে টাল ধরাতে পারেন। নিম্নবিত্তের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী থাকে, এনজিও আছে, কাবিখা আছে, টিসিবির ট্রাক আছে। ব্যায় বাড়লে উচ্চদের কিছু না, বরং তাদের আয় বাড়ে। নিম্নরা রিক্সাভাড়া হতে ভিক্ষার দাবি-সবকিছুর রেট বাড়ায়। মধ্যবিত্তের কিছু করার জো নেই। সে লোকলজ্জায় কোনোটাই পারেনা। সে করে কি, তার বাজারের ব্যগটা ছোট করে, বোন তার ভাইয়ের সাথে আধখানা ডিম শেয়ার করে, মা তার পাতের সস্তা মাছের টুকরোটাও "খেতে পারছিনা, রুচি নেই" বলে মিছে বলে বাবার পাতে দিয়ে দেয়। বাবা সকাল অফিসে যেতে বাস বাদ দিয়ে হাঁটা ধরেন। মধ্যবিত্ত মানেই এডযাস্টমেন্ট।

মধ্যবিত্ত এক আত্মপ্রবঞ্চকের নাম। মধ্যবিত্ত বাবা তার পুরোনো শার্টটার ফুটো আরেকদফা সেলাই করিয়ে সেটা গায়ে অফিসে রওনা হন কিন্তু যদি সেটা তার ছেলে দেখে ফেলে তাহলে সেটা ঢাকা দেন এই বলে-গরম তো, এটা সুতির শার্ট, তাই ফেলিনা। বাজারে গেলে বড় চিতল মাছটি যখন চোখের সামনে ছোঁ মেরে উচ্চবিত্তরা নিয়ে যায় তখন মধ্যবিত্তরা এই বলে আত্মাকে সান্তনা দেয়-চিতল মাছে কোলস্টেরল বেশি। এই বয়সে কোলস্টেরল খাওয়া ঠিক না। বাজারে ইলিশের রমরমা সময়েও মধ্যবিত্ত বাজারে গিয়ে ইলিশের গলিটা দূর হতে দেখেও ঢোকেন না-”নাহ, এই বয়সে আর ইলিশটা খাওয়া ঠিক না” বলে।

মধ্যবিত্ত সবার ভাউজ। দেশগ্রামে একটা কথা আছে-গরীবের বিধবা সবার বৌদি। তেমনি অবস্থা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের। আমাদের উচ্চবিত্তরাও ঠোকরায় কারন তাদের শৌর্যবীর্য প্রদর্শনের জন্য কাউকে তো চাই আবার আমরা মধ্যবিত্তরা একটু জাতে উঠে গেলে উচ্চদের গায়ে লাগে বিধায় সমাজ নামক রঙ্গমঞ্চে আমাদের নিয়ে তারা মস্করা করে। আবার নিম্নবিত্তদের দলে গিয়ে মিশতে চাইলে তারাও নেয়না। রাতের আঁধারে লুকিয়ে যখন জীবন চালানোর জন্য নিম্নবিত্তদের সমাজে যাই জীবনের দরকারী টুকরা টাকরা দরকারে, তারা আমাদের ঠিকই ধরে ফেলে আর টিটকারী মারে।

মধ্যবিত্তকে আমি নিজ চোখে দেখেছি। তাকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার সুযোগ আমার হয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারে মেহমান এলে তাদের ঠিক কি করে মেহমানদারীর সংস্থান করে মধ্যবিত্ত পরিবার সেটার খোঁজ কি রাখেন? আমি নিজে দেখেছি, বাসার ছোটদের আগে থেকেই বা একফাঁকে শিখিয়ে দেয়া হত যাতে মেহমান বললেও তাদের আপ্যায়নের সময় সেখানে না যায় (পড়ার ছুতো দিয়ে)। কিংবা গেলেও, বাসার বড়রা খাবারে হাত দেবেন না-”আমার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা” বা ছোটরা-”আমি একটু আগে দুধ খেয়েছি” এই অপটু মিথ্যা দিয়ে। কারন একটাই-আপ্যায়নের উপাদান বড় কম। নিজেরা শামিল হলে তাতে মেহমানের শর্ট পড়বে।

মধ্যবিত্ত’র হাঁড়ির খবর আমি এভাবে হাঁট করছি জানলে তারা কষ্ট পাবেন জানি, আমার নামে মানহানির মামলাও হতে পারে । তবু ওইযে, আমি তাদের জাত ভাই যে। তারা কষ্ট পেলে সেতো নিজেকেই কষ্ট দেয়া হবে। আমি নিজেই তো মধ্য নামের নিম্নবিত্ত। তাদের প্রতি অসম্মান করলেতো নিজেকেই খাটো করা হবে। মধ্যবিত্ত বিধাতার এক আজব সৃষ্টি। এক সর্বপরিত্যাক্ত অপাঙক্তেয় মানবপ্রজাতি যাদের বাঙলা বিহার উরিষ্যার মহান অধিপতি সিরাজদ্দৌলাও মানুষ করতে পারেন নি। আলেকজান্ডার হতে নেপোলিয়ন মধ্যবিত্তকে শাসনের ভয়ে এপথ মাড়াননি। বৃটিষ তো না পেরে সেই হতাশাতেই ভারত ছাড়ল। হালে ট্রাম্প বাবাজিও মধ্যবিত্তকে ঘাটাবেন না-এমন গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তবেই সিংহাসনে! বসেছেন।

জয়তু মধ্যবিত্ত।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আলোচনা ভালো লাগলো ভাই, সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবন চিত্র।



মধ্যবিত্ত সবার ভাউজ। দেশগ্রামে একটা কথা আছে-গরীবের বিধবা সবার বৌদি। তেমনি অবস্থা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের। আমাদের উচ্চবিত্তরাও ঠোকরায় কারন তাদের শৌর্যবীর্য প্রদর্শনের জন্য কাউকে তো চাই আবার আমরা মধ্যবিত্তরা একটু জাতে উঠে গেলে উচ্চদের গায়ে লাগে বিধায় সমাজ নামক রঙ্গমঞ্চে আমাদের নিয়ে তারা মস্করা করে। - অসাধারণ সত্য কথা বলেছেন ভাই।

শুভকামনা জানবেন।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"মধ্যবিত্ত’র হাঁড়ির খবর আমি এভাবে হাঁট করছি জানলে তারা কষ্ট পাবেন জানি, আমার নামে মানহানির মামলাও হতে পারে । "

-কেহ মন খারাপ করবে না, বাংলাদেশের হাইস্কুলের বিতর্ক সভার যুক্তির লেভেলের

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

বেচারা বলেছেন: শেষ লাইনটি বুঝিনি।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

জে আর সিকদার বলেছেন: জয়তু মধ্যবিত্ত, আমি গর্বিত!

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:

"মধ্যবিত্ত বিধাতার এক আজব সৃষ্টি। এক সর্বপরিত্যাক্ত অপাঙক্তেয় মানবপ্রজাতি যাদের বাঙলা বিহার উরিষ্যার মহান অধিপতি সিরাজদ্দৌলাও মানুষ করতে পারেন নি। "

-আল্লাঃ নিশ্চয় মধ্যবিত্ত নামের অর্থনৈ্তিক গ্রুপ তৈরি করেন না; ইহা সমকালীন ফাইন্যান্স ও অর্থনীতির প্রোডাক্ট; আপনার কি সিরাজদৌলার সময়ের "মধ্যবিত্ত" সম্পর্কে কিছু জানার কথা?

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি যেন দুঃখ বোধ করতেই লজ্জা পাচ্ছি।
তবে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানকে দুঃখ পেতেই হবে এইটে যদি আপনাদের ব্যবস্থা হয়, তা হলে যতদূর সম্ভব তাকে অনাদরে রেখে দেওয়াই ভালো; আদরে দুঃখে ব্যাথাটা কেবল বেড়ে ওঠে ।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: কেমন যেন এলোমেলো আর বাচালের প্রলাপ বলে মনে হলো আযাইরা।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মধ্যবিত্তের স্বরূপ উন্মোচনে একটি ভালো পোস্ট।

ধন্যবাদ বেচারা।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হায়! মধ্যবিত্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.