নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।
মানুষ, নানারকম মানুষ আমার সব'চে বড় আগ্রহের জায়গা। মানুষকে জানতে চাই, শুনতে চাই। নানান রকম মানুষ, নানারকম চিন্তা, মতামত, আবেগ, পরিকল্পনা আর ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ ভঙ্গির মিথষ্ক্রিয়া আমার নিজেকে চিনে নিতে, বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে খুব। আমি আমাকে একটা চলমান ভাঙা-গড়ায় রাখতে পারি। মজার কথা হলো, এই অদ্ভুত উপায়ে নিজেকে শক্তিশালী করতে আমার মানুষ খুঁজে নিতে হয়না কখনও। আপনা থেকেই জুটে যায়। চলার পথে, দৈনন্দিন কাজে কিংবা একটা ভালো বইতে, গানে বা নাটকে অথবা নিতান্তই ছোট্ট কোন দোকানে, বাগানে এমন কি সম্পূর্ণ একা একা হাঁটতেও। আমার 'একা'র ভেতরেও নানারকম মানুষের অস্তিত্ব দেখি- সেসব নিয়ে পরে বলছি।
নিশ্চিতভাবেই বই, সঙ্গীত, নাটক, সিনেমা এবং সামাজিক যোগাযোগ এই রকম আগ্রহ মেটাবার বড় জায়গা সেটা বিশ্বাস করি। সৌভাগ্যবশত এক বিশাল পারিবারিক পাঠাগার, ভ্রমণ, মা এবং বড়ভায়ের বেছে দেয়া ভাল বই, সিনেমা, নাটক, ভাল গান শোনা বা একটুখানি চর্চার সুযোগ, অবাধ খেলাধুলার এবং নানারকম মানুষের সাথে মেশার পরিবেশ পেয়ে বড় হয়েছি। পাশাপাশি শৈশব থেকেই ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে পড়ে এবং শুনে শুনে চোখ-কান খুলতে শুরু করেছে। নানারকম মানুষের সাথে যোগাযোগের সুযোগ হয়েই চলেছে। আমি আনন্দ নিয়ে মানুষ দেখি, শুনি, বোঝার চেষ্টা করি বিশেষ আগ্রহ নিয়েই। দেশে-বিদেশে কেবল নানারকম মানুষ আর সংস্কৃতি নিয়েই আমার হাজারো কথা আর গল্প রয়েছে মনে, মাথায়। কত কিছু যে আমার বলার আছে। আমার একটুখানি 'বলা'য় অন্যদের অনেক কিছু বলিয়ে নিতে আমার খুব আনন্দ। কত কত বর্ণময় বিষয় তাতে আমি পেয়ে যাই। সেসব শুনে, জেনে, শিখে জীবন চলার পথে যোগ-বিয়োগ করি। এতে আমি নিজেকে ভাঙা-গড়ার সুযোগ পেয়ে আনন্দ পাই।
শৈশবে বাড়িতে অবজারভার আর সংবাদ এই দু'টো দৈনিক কাগজ রাখা হতো। আমার সপ্তম শ্রেণীর এক রোববারের সকাল। মা সহ সবাই মিলে নাশ্তার টেবিলে। সেদিনের দৈনিকের কোন একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে কথা বলছেন মা। আমার বড় ভাই-বোন দু'টো মায়ের সাথে আলোচনা করছেন। আমি শুনছি, ভাবছি। সবার মতামত কখনও এক কখনও আলাদা। আমার ভাল লাগছে শুনতে, জানতে। বিষয়টি নিয়ে আমার ভেতরে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ভাবনা ছটফট করছে বেরিয়ে আসার জন্যে। মনে মনে চাইছি, আহা যদি এমনটা হতো, আমাদের সবার এই আলাদা আলাদা কথাগুলো, চিন্তাগুলো সবাই জানতে পারতো! এভাবে যে হাজারো মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে নানান মত রয়েছে তাতো কেউ জানতে পারে না! সাহস করে বলে বসলাম, 'মা, খবরের কাগজের লেখাগুলোতো একপক্ষীয়। সবাইকে শুধু পড়ে যেতে হয়। এর পক্ষে বা বিপক্ষে যে হাজরো কথা সবার মনের ভেতর ছটফট করে তাতো কেউ জানতে পারেনা। তাই সবার মতামত সবাই জানতে পারবে এমন একটা কোন উপায় থাকা উচিত ছিল। মা হেসে বললেন, তবে, অত বড় খবরের কাগজ পড়তে তোমার কতদিন লাগতো জানো? আর তাতে হাজারো বক্তব্য-মন্তব্য যাচাই বাছাই, হাজারো লোকবল নিয়োগ, বিপুল পয়সা-কড়ি যোগাড় করতে খবরের কাগজওয়ালাদের কি দশা হতো বলতো? প্রতিদিন আর ঘরে ঘরে খবরের কাগজ আসতো? খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে ভাবলাম, সত্যি তো!
বলছিলাম, আমার 'একা'র ভেতরে প্রায়শই আরেকটি জলজ্যান্ত অন্য মানুষের অস্তিত্বের কথা। খুব অদ্ভুত শোনালেও কৈশরের কোন একটা সময়ে আমার ভেতর আমি এক ভিন্ন আমি টের পেয়েছি। শান্ত এবং একটুখানি অন্তর্মূখী সেই আমি আমার ভেতরে আরেকটা 'আমি' কল্পনা করে পছন্দসই কোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতাম মনে মনে। পক্ষে বিপক্ষে দুটোতেই যুক্তি দাঁড় করিয়ে তুমুল বিতর্ক হতো ভেতরে ভেতরে। নিজের যুক্তির শক্তিমত্তা যাচাইয়ের এক অদ্ভুত খেলা। অনেক সময় এমন হয়েছে যে আমার পড়ায় মন নেই, খেলায়, সঙ্গীত চর্চায় মন নেই। এমন কি খাবার টেবিলেও চামচ থেমে গেছে। আমি হয়তো মনে মনে খুব সাধারণ কিছু নিয়েই ভেতরে তুমুল বিতর্ক করে চলেছি নিজের সাথেই। বিষয়টা নিয়ে হয়তো কখনও মা বা ভাই-বোনদের সাথে কথা বলেছি। ভাইবোনরা দুষ্টুমি করে বলেছে এটা তোমার এক রকম পাগলামো। কিন্তু মা কখনও তা বলেননি বরং আমার বিতর্কের বিষয় জানতে চেয়েছেন, যুক্তিগুলো শুনতে চেয়েছেন। বুঝতে চেয়েছেন আমার এমন ব্যতিক্রম উপায়ে ব্যক্তিগত আনন্দ পাবার পথটা।
শৈশবে রূপকথার পাশাপশি প্রায় সবারই কম-বেশী 'ভূত' এর গল্প শোনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটা খুব প্রচলিত একটা বিষয় বিশ্ব জুড়েই। অনেক সময় দেখা যায় যে, বড়দের কেউ কেউ অকারণ শিশুদের 'ভূত'এর ভয় দেখিয়ে মজা পায়। আমারও ঘরে বাইরে পরিচিত কেউ কেউ তো ছিলেন এমন। এতে শিশুর মনে অদেখা 'ভূত' নিয়ে অকারণ বিচিত্র এক ভীতি জায়গা করে নেয়। এটা কতখানি সঠিক বা ভুল তা নিয়ে আজকে অজস্র লেখা, যুক্তি রয়েছে। আমি সেসব নিয়ে বলছিনা আজ। বরং আমার অন্যরকম 'আমি' নিয়ে বলি। আমারও 'ভূত' এর ভয় ছিল শৈশবে এবং তা বেশ জোরালোই ছিল দশ বারো বছর বয়স পর্যন্ত। আমার অকারণই মনে হতো কিছু একটা অদ্ভূত জিনিষ আমার বিছানার নীচে লুকিয়ে আছে যার নাম 'ভূত'। বিছানায় ওঠার সময় সে আমার পা টেনে ধরবে- ভেবে সারা শরীর হীম হয়ে যেত। ১০-১২ বছর বয়সের কোন এক শীতের সন্ধ্যায়, সেই অদেখা ভয় আমার ভেতরে অন্যরকম এক বিবেচনার জায়গা নেয়। আমি অদেখা সেই 'ভূত'কে দেখতে চাই। বড় একটা জানালার সাথে লাগোয়া আমার পড়ার টেবিল। সন্ধ্যেবেলায় মা জানালার পর্দা টেনে দিয়ে পড়তে বসিয়ে নিজের কাজে চলে যান আর আমি ভয়ে শিঁটিয়ে যাই 'ভূত' দেখতে না পেয়ে। বিচিত্র সব আকারের অদেখা ভূতের চেহারা মাথায় জড়ো হতে থাকে। বড় অদ্ভুৎ ব্যপার। পড়া মাথায় উঠলো। কিছুক্ষণ পরে মা ফিরে এসে মেয়ের পাংশুটে মুখ দেখে অবাক। মা'কে আমার বিচিত্র চিন্তার কথা অকপটে জানিয়ে দিই। আমি বিশ্বাস করি নিশ্চিতভাবেই পর্দায় ঢাকা জানালার ওপাশে 'ভূত' আছে এবং সেটা আমি যতক্ষণ নিজে চোখে না দেখতে পাচ্ছি ততক্ষণ আমার মাথায় তাদের ভয়ঙ্কর সব চেহারা এবং কার্যকলাপ ঘুরে চলেছে। তারচে' পর্দা সরিয়ে জানালা খুলে দাও। আমি সরাসরি 'ভূত'দের দেখতে পেলে ওরা কতখানি ভয়ঙ্কর, তা দেখে ভয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। আর যদি ভূত বলে কিছহু না-ই থেকে থাকে তবে সেটাও নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই। মা সেই ব্যবস্থাই করলেন আর আমার 'ভূত'এর ভয় ভিন্ন চিত্র পেল। আমার সেই বিশ্বাস হাজার গুণে শক্তিশালী হয়েছে পরে। আমি সবরকম 'ভূত' এর মুখোমুখি হতে চেয়েছি সবসময়, তার/তাদের রূপ এবং কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে প্রস্তুত থাকতে চেয়েছি, সজাগ থাকতে চেয়েছি, আজও চেয়ে চলেছি। পরে বড় হয়ে "ভূত" নিয়ে আমার উল্টো-পাল্টা ভাবনাগুলো একেবারেই ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় মাথায় জায়গা নিয়েছে। এখন আমি জানি এবং মানি "ভূত" এর অস্তিত্ব চীরকালই ছিল এবং রয়েছে। এরা সমাজেই, আশেপাশেই রয়েছে বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন স্বভাবে-আচরণে। এরা নিজেদের কুৎসিত চেহারা, "শক্তি" এবং "সাহস" মনুষ্য সমাজে দেখাতে এবং নিজেদের টিকিয়ে রাখতে স্বাভাবিকভাবেই মুখিয়ে থাকে যেহেতু এরা নগন্য, অস্থায়ী, বোধ-বিবেচনাহীন এবং অগ্রহণযোগ্য। তাই এদের বা এদের মতোদের গুরুত্ব দেবার কারণ নেই। তবে, অবশ্যই পরিস্থিতি অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ তো মানুষের রয়েছেই।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা, বিবেক-বিবেচনাবোধ, আত্নসম্মানবোধ, পারষ্পরিক সম্মানবোধ সহ যাবতীয় মানবিক গুনাবলী সত্যিকার অর্থে অপ্রতিরোধ্য শক্তিশালী এবং গতিশীল। ইতিবাচক, সুস্থ ও মুক্তচিন্তা মানুষকে জাগিয়ে রাখে। মানুষ এবং মানবিকতার জয় হোক, চীরস্থায়ী হোক সম্মানজনক জীবন এবং ভালোবাসা
১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:১১
জানা বলেছেন: আশা করি আপনিও সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন, নিরাপদে আছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই। এই লেখা এবং ভিডিও দু'টোই খানিকটা পুরনো। খুব ইচ্ছা করে এখানে এসে কিছু লিখি, দুটো কথা বলি, যুক্ত থাকি। শরীর অনুমতি দেয় না, দ্রুত ক্লান্ত হই। অন্তত আপাতত এই পরিস্থিতি। সব ঠিক থাকলে উঁচুনীচু দীর্ঘ পথ কঠিন নিয়ম মেনে পাড়ি দিতে হবে। এই আর কি! খুব ভালো থাকবেন।
২| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি আমাকে একটা চলমান ভাঙা-গড়ায় রাখতে পারি" - চমৎকার একটি জীবনবোধ; জীবনকে পরিপূর্ণভাবে দর্শন, অনুভব ও আত্মস্থ করার জন্য এই adaptability থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজন।
"আমি আনন্দ নিয়ে মানুষ দেখি, শুনি, বোঝার চেষ্টা করি বিশেষ আগ্রহ নিয়েই" - বেশ তো! এ কথাটি এবং এর পরের কথাগুলো জেনে জানাকে জানার আগ্রহ তো অনেক বেড়ে গেল!
"মানুষ এবং মানবিকতার জয় হোক, চিরস্থায়ী হোক সম্মানজনক জীবন ও ভালোবাসা" - সর্বৈব সার্বজনীন একটি প্রার্থনা!
সময় করে 'ড্রাফট-বিন' থেকে এ পোস্টটিকে তুলে এনে ঝেড়ে মুছে এখানে পরিবেশন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
জানা বলেছেন: পোস্টটি পড়ার জন্যে এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। শরীর এবং কঠিন সময় সহ সবকিছু মোটামুটিভাবে অনুকূলে থাকলেও চেষ্টা করবো 'জানার' এবং 'জানাবার'। খুব মন চায় একটু পড়তে এবং লিখতে কিন্তু এখনও শরীরযন্ত্র সেই পর্যায়ে আসেনি, দু'চারটে কথা বলতেই জ্বালানী ফুরিয়ে যায়। শক্তভাবে দু'পায়ে দাড়াঁই, অনেক কথা হবে। খুব ভালো থাকবেন। আপনাদের যুগল নিউইয়র্ক ভ্রমন আনন্দের হোক, সফল হোক।
৩| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২২
শেরজা তপন বলেছেন: বহুদিনবাদে ব্লগে আপনার লেখার মাঝে 'আপনাকে' খুঁজে পেলাম!
এভাবে সময় সুযোগ বুঝে মাঝে মধ্যে লিখলে আমরা সবাই দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হব।
৪| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে আনন্দিত হলাম, zipline ride কবে করেছিলেন? এটা কিন্তু বেশ সাহসের একটি টাস্ক।
আমারও মানুষ দেখতে, তাদের কাথা শুনতে, তাদের আচার-আচরণ অবজার্ভ করতে খুব ভালো লাগে, আমি মাঝে মাঝেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে দঁড়িয়ে শুধু মানুষ দেখি, প্রতিটি মানুষই ভিন্ন ভিন্ন একটি গল্প।
৫| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ব্লগে আপনার পোস্ট টি দেখে কি জানি এক অজ্ঞাত কারনে মনটা ভাল হয়ে গেল। জানা হলো আপনার সুন্দর ও গভীর ভাবনা গুলো। জানা হলো, আপনি শৈশবেই কি ব্যাতিক্রমী ভাবে চিন্তা ভাবনা করবার কি এক দুনির্বার শক্তি অর্জন করে ফেলেছিলেন, যা সাধারণত আর দশ জনের পক্ষে সহজসাধ্য নয়। লেখাটি এক নিঃশ্বাসে পরে শেষ করা হলো। পাঠ শেষে দারুন এক ভাল লাগা রয়ে গেল পাঠকের অন্তরে।
আপনি অনেক অনেক অনেক ভাল থাকুন। সুস্থ হয়ে উঠুন আগের মতোই।
পরিশেষে আপনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই "মানুষ এবং মানবিকতার জয় হোক, চীরস্থায়ী হোক সম্মানজনক জীবন এবং ভালোবাসা..."
৬| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:১১
শ্রাবণধারা বলেছেন: শরীর ও মনে সাহসী হয়ে ওঠা খুবই জরুরি যা আপনি নতুন করে আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। জিপলাইনে করে হ্রদ পাড়ি দেওয়া যেমন আপনার শক্তি ও সাহসের পরিচায়ক, তেমনি এই লেখাটি আপনার মানসিক শক্তির পরিচায়ক।
মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি-মুক্তচিন্তা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা-সহমর্মিতার চেয়ে বড় সাহস এবং শক্তি আর কিছু নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস একবিংশ শতকের মানুষ এই যুক্তি-বুদ্ধি-মুক্তচিন্তা দিয়ে একই সাথে প্রবল কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা এবং ক্ষমতার দাম্ভিকতা আর মানব বিধ্বংসী আনবিক-পারমানবিক বোমা এবং অস্ত্রের বিরুদ্ধে মনুষ্যত্বকে জয়ী করবে।
৭| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: মন খোলা রাখলে সব কিছুই মনে প্রবেশ করে।গ্রহন বর্জন আমার নিজের কাছে।কিন্তু আমরা দরজা জানালা সব বন্ধ করে রাখি বেশিরভাগ মানুষ।বিশ্লেষণ করে গ্রহন বর্জন করতে জানি না।
আমি কলেজে পড়ার সময় এক হিন্দু ভদ্রলোকের ফার্মেসিতে বসে পত্রিকা পড়তাম।তিনি অগ্নিযোগের বিপ্লবী ছিলেন।তিনিও অবজারভার আর সংবাদ পত্রিকা রাখতেন।তার সাথে আমার এক বিশেষ সখ্যতা গড়ে উঠে।পরবর্তী জীবনে সেটা আমাক জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলে।
৮| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ম্যাম। সবসময় ভালো থাকুন। সময় পেলে আমাদের জন্য লিখবেন।
৯| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৬
জনারণ্যে একজন বলেছেন: জানা - খুব তাড়াতাড়ি, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে সবার কাছে আবার আগের মতো ফিরে আসুন, শুভকামনা রইলো।
এবং পরেরবার আপনার বাঞ্জি জাম্পিং এর ভিডিও চাই।
১০| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জানা,
আলোচিত ব্লগ অংশে আপনার এই লেখাটি দেখে লগইন হতেই হলো।
পড়তে পড়তে মনে হলো, একটা "অন্যরকম আপনি" প্রোথিত ছিলো আপনার বুকের জমিনে সেই শৈশবকাল থেকেই। "অন্যরকম আপনি"র সেই যে বীজ বোনা ছিলো আপনার অন্তরে তা ক্রমেক্রমে " সামহোয়ার ইন ব্লগ"বৃক্ষে রূপান্তরিত হয়ে বাঁধ ভাঙার আওয়াজ তুলে গেছে বাংলাভাষীদের হৃদয়েও।
সেই "আপনি"রই বহিঃপ্রকাশ দেখছি আমরা আপনার সব লেখায়। এখানেও। শৈশবের স্মৃতিকথার রূপকে আপনি অনেক কিছুই বলে গেছেন।
আপনার মনের জিজ্ঞাসা আর তার উত্তর খোঁজার গিরিখাত আপনি যে পেরিয়ে গেছেন অবলীলায়, তা সাথের ভিডিওটি দিয়েও বুঝিয়ে গেছেন সন্দেহাতীত ভাবে। এভাবে সকল বাঁধা-বিঘ্ন পেরিয়ে যাওয়া তো আপনার সহজাত!
শেষ প্যারাটির সুতো ধরে বলি - মনের জানালার পর্দা সরিয়ে আমরাও যেন ভুতের আদল না দেখে "জয় হোক শুভ চিন্তার, জয় হোক মানবিকতার" এমন ভাবাদর্শে উদ্দীপ্ত সত্যিকার মানুষের আদল দেখতে পাই।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনায়......................
১১| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি আপনার মত অত সাহসী না, তবে আমার ও আনমনা থাকলে কোন কিছু তে ভয় পেলে বা চমকে উঠলে এমন করে পর্দা জানালা খুলে দেখতে ইচ্ছে করে কতটুকু ভয়ংকর সে ভূত।
খুবখুব ভালোলাগলো লেখা। আমাদের ও চাওয়া - মানুষের বুদ্ধিমত্তা, বিবেক-বিবেচনাবোধ, আত্নসম্মানবোধ, পারষ্পরিক সম্মানবোধ সহ যাবতীয় মানবিক গুনাবলী সত্যিকার অর্থে অপ্রতিরোধ্য শক্তিশালী এবং গতিশীল। ইতিবাচক, সুস্থ ও মুক্তচিন্তা মানুষকে জাগিয়ে রাখে। মানুষ এবং মানবিকতার জয় হোক, চীরস্থায়ী হোক সম্মানজনক জীবন এবং ভালোবাসা
১২| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: আপুনি হঠাৎ তোমার লেখা, তোমার নিক, তোমার মনের কথা জেনে এবং ভিডিও দেখে মুগ্ধ হলাম!!!
অনেক অনেক ভালোবাসা আপুনি!!!
১৩| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনাকে সবাই চেনে। নতুনরা হয়তো গল্পের ছলে জানতে পারে। আর যারা আপনার পার্শ্বে হেটেছে তারাতো নিশ্বচয় অনেক জেনে থাকবেন। তবো মানুষকে চেনা জানা শেষ হয়না। আপনার লিখাটি আপনাকে আরো অনেক ধাপ উপরে নিয়ে পরিচয় বয়ে দিয়ে গেল। এমন করে সময় পেলে লিখে যাবেন। ভক্তরা সদায় আপনাদের খোঁজে।
১৪| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫২
করুণাধারা বলেছেন: ভিডিওটা দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি কতটা নির্ভীকচিত্ত। এমন নির্ভীকতার সাথে জীবনের সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যাবেন, কোন সন্দেহ নেই।
আপনার ছোটবেলায় মনে হতো পত্রিকার লেখাগুলো খুব একপক্ষীয়, কারণ তাতে কেবল লেখক বলেন কিন্তু পাঠকের মনের কথা বলার সুযোগ নেই! তাই হয়তো গড়ে তুলেছেন এই ব্লগ, যেখানে লেখক- পাঠক দুজনেই বলতে পারেন তাদের মনের কথা।
ভালো থাকুন সবসময়, অশেষ শুভকামনা।
১৫| ১৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫
বাউন্ডেলে বলেছেন: ভালো থাকুন। আপনার মঙ্গল কামনা করি।
১৬| ১৭ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:৩৪
জোবাইর বলেছেন: লেখাটি প্রায় ৫ বছরের পুরানো হলেও লেখার চিন্তা-ভাবনাগুলো চিরন্তন। নীতি-নৈতিকতা, বিবেক-বিবেচনা ও পারষ্পরিক সন্মানবোধ নিয়ে আদর্শ মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে শৈশব কাটানো অনেক শিশু কর্মজীবনে কুটিল মানুষে ভরা জটিল পৃথিবীতে ঠিকে থাকতে আজীবন লালিত আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
যুক্তি ও বিবেক বিবেচনার আলোকে বলীয়ান হয়ে অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করার মতো দুর্লভ সাহস খুব মানুষের হয়। কথাকে কাজে প্রতিফলিত করে প্রমাণ করেছেন সেই দুর্লভ সাহসী মানুষদের মধ্যে আপনিও একজন।
আপনার শৈশবে লালিত সুন্দর স্বপ্নগুলোর মধ্যে একটি ছিল, যে কোনো বিষয়ে সবার মতামত প্রকাশ করার ও জানার সুযোগ থাকা। 'সামহ্যোয়ারইন ব্লগ' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আপনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে প্রতিটি বাংলাভাষী মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মতামত শেয়ার করার এক অনবদ্য সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
সময় ও সুযোগ হলে আপনার চিন্তা-ভাবনাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করুন। যেখানেই থাকুন - ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
১৭| ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যালো জানা আপা!
নরওয়েতে এবার অরোরা দেখতে পেয়েছেন? আমার কখনও দেখা হবে কি না জানি না। আপনার চোখ দিয়ে দেখতে চাই।
আমি আমার একটা ভিডিও দেই আকাশে ওড়ার- Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার উপস্থিতি দেখে অবাকানন্দে লেখাটি পড়লাম। ভিডিও দেখে ততটা অবাক হই নি, আপনি এমনই সাহসী। ছোটবেলার খবর জানি না। ভূত নিজে কিছুই করে নি আজও। মানুষই ভূতের নিষ্ঠুরতা আর কদাকার চেহারাকে সত্য করে দিয়েছে। আশা করি ভূতদের থেকে নিরাপদে আছেন এবং সুস্থ আছেন।