নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি সভ্যতাকে তছনছ করতে পারো
এক লহমার ক্রোধে।
ইস্রাফিলের প্রলয় শিঙ্গায়
তীব্র দহন উত্তাপে,
আমাকে ভষ্ম করতে পারো।
জীবন ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী মৃত্যুকূপে
ছাই চাপা আগুনের মতো-
ধিক ধিক জ্বলব।
তবু পুড়ে নিঃস্ব হব না কিছুতেই।
তোমার কূট বিষে বিষাক্ত করতে পারো
শরীরের তাবৎ শোনিত ধারা।
তাতে একটুও ফিঁকে হবেনা
পতাকার গাঢ় রক্ত লাল।
আমাকে মুছে দিলেও এতটুকু কমবে না নিস্তরঙ্গ জীবনের
টুকরো টুকরো কাব্যিক স্মৃতি;
আমাকে হত্যা করতে পারো
আমাকে নিস্তব্ধ করে দিতে পারো
হে হন্তারক,
তোমার চাপা উন্মত্তায়, মদমত্ত জিঘাংসার পঙ্কিলে
চাপা দিতে পারো আমার সমগ্র সত্ত্বা।
আমার ক্ষতি তাতে সামান্যই।
আমার বিনাশ নেই
আমার ধ্বংস নেই
ক্ষয় নেই আমার প্রবল অস্তিত্বশীল কবি স্বত্ত্বায়।
আমি তবু বলে যাব একটি কবিতার কথা
একটি সদ্য গজানো কুড়ি, একটি স্বপ্নের কথা
আমি তবু লিখে যাব জলপাই দেবতার বুটে
থ্যাতলানো ছিন্নভিন্ন লাশের কথা
বলে যাব সদ্যজাত,
পিতৃপরিচয়হীন নিষ্পাপ মানব শিশুর অধিকারের কথা।
আমার টুঁটি সবলে চেপে ধরেও রুদ্ধ করতে পারবে না
আমার কলমের রুধীর প্রবাহ
কেড়ে নিতে পারবে না সুপ্রচুর অসমাপ্ত কবিতা।
ওগুলো কবির নিজস্ব, একান্ত নিজস্ব স্থাবর।
পুঁজিবাদ বা রূপপসারিনির দালাল
রাজনীতিক হতে পাতি নেতা-
কারোর লোভের জিহবা, ঊন-কামার্ত অস্বচ্ছ দৃষ্টি-
কবিতার চৌহদ্দিতে পৌছাবে না ওরা ।
কবিতা অধরা। কবিতা অমরা।
©somewhere in net ltd.