নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ, নয়া জামানার দেশপ্রেম ও আমাদের বিভক্ত চেতনা:

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

পূর্ব প্রকাশিতের পর। [প্রথম পর্বের লিংক: Click This Link

চার:-
আমার বড় আফসোস হয় যে, আমাদের দেশে স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের একটি পূর্নাঙ্গ সিনেমা নির্মীত হয়নি। যেগুলোই হয়েছে সবই খন্ডিত। শুধু কাঠের রাইফেল বা মেকি এসএলআর হাতে কিছু গোলাগুলির দৃশ্য বা খান সেনাদের হাতে বাঙালী নিগ্রহের খন্ডিত চিত্র দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মতো বিশাল ক্যানভাসকে সিনেমা, নাটকে ফুঁটিয়ে তোলা সম্ভব না। কোনো টিভি চ্যানেল (যারা সুলেমান এমনকি মহিশুরের স্বাধীনতার বীর টিপুকে নিয়ে পর্যন্ত সিরিয়াল প্রচার করেছে) মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদদের নিয়ে ৪৬ বছরেও একটি ধারাবাহিক নাটক বা অন্তত দীর্ঘ ম্যাগাজিন প্রচারের কথা ভাবতে পারেনি। সারাবছর ডিজে ড্যান্স, সুলেমান, পাখি, কিরনমালা, কুটনামি নাটক, বমির মতো বিজ্ঞাপন। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর এলেই বাংলাদেশের মিডিয়াসমুহের বার্ষিক দেশপ্রেম মহড়ার প্রদর্শন আড়ম্বর শুরু হয়। দুশ্চরিত্র টিভি চ্যানেলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের কপোট রিহার্সেল শুরু হয়। ১৬ তারিখ গ্রান্ড ফিনালের মধ্য দিয়ে এই ভন্ডদের মৌসুমী জাতীয়তাবাদের পর্দা নামে। আচ্ছা মুক্তিযুদ্ধ কি শুধু ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর-এই দুইদিনই হয়েছিল? আমার মা তো আমায় জানিয়েছেন ১৭৫৭ হতে ১৯৭১ মোট ২২৪ বছর মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছে বাঙালী। বঙ্গ মা! তোমার শ্রেষ্ট সন্তানেরা কি মাত্র মার্চ ও ডিসেম্বর-দু’মাসই যুদ্ধ করেছিল? হায়রে দেশ! হায় মুক্তিযুদ্ধ।

পাঁচ:-
পৃথিবীতে এত অদ্ভূৎ জাতি মনে হয় কমই আছে যারা একটি টোটাল জাতি হিসেবে যুদ্ধ করে মাত্র ৯ মাসেই একটি স্বাধীন দেশ পেয়ে গেছে অথচ যার ইতিহাস আরো বহু বছর আগে রচিত হচ্ছিল। সেই জাতির অর্জিত দেশেই মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা নিয়ে কত দ্বিখন্ডিত দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ মাথা উঁচু করে বাঁচে? আমি কতগুলো কুলাঙ্গার দৃষ্টিভঙ্গির নাম বলি যা আপনি একটু কান পাতলেই শুনতে পাবেন চলমান বঙ্গদেশের বিষ বাতাসে:-১.সবচেয়ে বড় কুলাঙ্গারগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি হল পাকিস্তান নামক একটি জঘন্য রাষ্ট্র হতে আমাদের স্বাধীন হওয়া মোটেই ন্যায্য কাজ হয়নি। এই গোষ্ঠিটিকে আমরা ‘রাজাকার’ বা ’দালাল’ নামে চিনি। ২.আরেকদল কুলাঙ্গার আছে যারা ৭১’র মুক্তিযুদ্ধকে বলে ’গন্ডগোল’। কুলাঙ্গাররা জানে না, গন্ডগোল তো আছে তাদের জন্মে। ৩.তৃতীয় একদল আছে যারা খুব সুকৌশলে প্রচার করে, ‘৭১ সালে মোটেই ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হননি।’ ৪.একদল বিশ্বাস করে, ভারত তার নিজের স্বার্থে যুদ্ধে না জড়ালে আমাদের সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা কিছুতেই দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। ৫.একদল বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ এক না একদিন আবার পাকিস্তানের সাথে মিলে ‘পেয়ারা পাক+ইস্তান হয়ে যাবেই। ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর রাত হতে ১৬ ডিসেম্বর ৯ মাসে কতজন পাক বাহিনীর হাতে শহীদ হন, কতজন সম্ভ্রম হারান, সংখ্যাটা ৩০ লাখ নাকি ২৯,৯৯,৯৯৯ জন এই নিয়ে যারা সুশীল-তথা মিনমিনে শয়তানের মতো চূলচেরা যুক্তিতর্ক করতে চান তাদের গায়ে থুথু ফেলতে ইচ্ছা করে। তাদের কাছে আমার জানতে ইচ্ছে করে সংখ্যাটা যদি ৩০ লাখ না হয়ে ৩০ জন হত তাতে পাকি কুত......র বাচ্চাদের বা তাদের সহযোগীদের কুৎসিত অন্যায়ের সামান্যতম দোসস্খলন হত কি? আরে শালারা, এদেশের ৩ জন লোককেও হত্যার লাইসেন্স কি পাকি কু.ত.....র বাচ্চাদের দেয়া হয়েছিল? নির্মম অন্যায়ের মুখে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩০ লাখ আর ৩ লাখের তফাৎ কী? কষ্টের বিষয় হল, ওই লোকগুলো আমাদের চারপাশেই থাকে। সভা-সমাবেশে বুক ফুলিয়ে তাদের কুলাঙ্গার ভিতরটাকে প্রকাশ করে, আমরা তাদের সাথে বিনা দ্বিধায় নিজের মেয়েকে বিয়ে দিই, তাদের নাতীর মোসলমানিতে আমরা কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে আসি। আর সবচেয়ে বড় কথা-ওরা না হয় ’অমন’, আমরা যারা ’অমন’ না, তারাও কেন ওদের জাতীয়ভাবে ঘৃনার ঘেরাটোপে একঘরে করে রাখতে পারি না।

ছয়:-
মুক্তিযুদ্ধ বলতেই চোখের সামনে আমাদের বীর ভাইদের বীরত্ব ভেসে ওঠে। জানেন কি, বীর সৈনিকদের নামের পাশে এদেশে ’বীরাঙ্গনা’ নামের আরেকটি টার্ম আছে? খেয়াল করেছেন কি, মুক্তিযুদ্ধের আবেগের লিঙ্গান্তর-বীর=বীরাঙ্গনা? মজার বিষয় হল বীর শহীদ বা জীবিত বীরেরা বীরের আসনে পূজিত হলেও বীর টার্মটির স্ত্রী-লিঙ্গের তকমা পাওয়া বীরাঙ্গনারা কিন্তু বীরের আসন পাননি এদেশে। বরং বিশেষ অচ্ছুৎ মানবীর দুজ্ঞেয় অসম্মানে তাদের সমাজ হতে বিতাড়িত করা হয়েছে স্বাধীনতার পরপরই। যে দেশ তার ৩০ লক্ষ শহীদের গৌরবের ভাগিদার, যে দেশে ‘যশোর রোড’ নামে একটি রাস্তা আজও মহান মুক্তিযুদ্ধের ১ কোটি শরনার্থীর পদচিহ্ন বুকে ধরে রেখেছে, যে দেশের লক্ষ বিধবা আজও তাদের প্রেমিক বা স্বামীদের হারানোর শোকগাঁথা লেখে, সেই জাতিই আবার তার ৩ লক্ষ যুদ্ধ ধর্ষিত মা-বোনকে মেনে নেয়নি নিয়মিত সমাজযাত্রায়। এমন এক জাতি আমরা, যার জাতির পিতাকে বাধ্য হয়ে ঘোষনা করতে হয়, বীরাঙ্গনারা সবাই তার কন্যা। পিতা তার সম্ভ্রমহারানো সন্তানের দায় একা নিয়েও তার আপামর ৭ কোটি বা আজকের ১৭ কোটিকে শেখাতে পারেননি বীরাঙ্গনার প্রাপ্য সম্মান। হ্যা, বলবেন, সম্প্রতি সরকারতো তাদের সম্মানের স্থানটির স্বীকৃতি দিয়েছেই। হায়! জাতির ধর্ষিত বিবেকের হুশ ফেরাতেও এদেশে কোর্টের আর সরকারী আদেশের দরকার হয়। সরকারী আদেশের পর বিগত ৩ বছরে এই ৭ বীরশ্রেষ্ঠ’র দেশে ৩ লক্ষ বীরাঙ্গনার স্থান পতিত নরক ছেড়ে মানুষের পূজার বেদীতে এসেছে কি? যদিও তারা সরকারী বালামে ২০১৪ হতে পরিচিত হবেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। আপনারা মোতালেবের কথা নিশ্চই মনে করতে পারবেন, যে বিটিভি অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'র মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছর পরে কানাডা হতে তার হারানো বাবা-মাকে খুঁজে পান বাংলাদেশে। আমি নিজে সেই মধুর মিলনের দৃশ্য টিভিতে দেখেছিলাম। মনে হয়েছিল এর চেয়ে স্বর্গীয় দৃশ্য আর নেই। হৃদয় নিংরানো ছিল সেই দৃশ্য। আমার ক্ষুদ্র মেমোরীতে যতটা মনে আছে, নিকট অতীতে অন্তত ৩টি ঘটনা পেপারে পড়েছিলাম যেখানে ৩জন বীরাঙ্গনার সন্তান তাদের মা’কে খুঁজতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। অবাক হচ্ছেন? ওহো! আপনিতো জানেনই না, স্বাধীনতার পরে হাজার হাজার বাঙালী নারীর এবোরশন করানো হয় জাতিসংঘের উদ্যোগে। তবু যারা মা হয়ে পড়েন, তাদের সন্তানদের একটা বড় অংশই দত্তক হিসেবে পাঠানো হয় ইউরোপ, আমেরিকায়। আমি তো জানি না, আপনারা কেউ কি জানেন, বাংলাদেশে বিগত ৪৬ বছরে কোথাও কোনো স্মৃতিফলক, সৌধ হয়েছে কিনা বীরাঙ্গনাদের সম্মানে? যেই বীরাঙ্গনারা যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে পরিবার সমাজ হতে পরিত্যাক্ত হয়েছিলেন, সর্বসাম্প্রতিক সরকারী ঘোষনার পরও কি তারা সমাজে তাদের স্থান ফিরে পাবেন? তাদের নিয়ে কোনো ন্যাশনাল ইভেন্ট হয়েছে কি? (ওহ, স্যরি, আমরা তো আবার প্রাইভেট সিক্রেসী মেইনটেইন করি।)

সাত:-
বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের একটা বড় অংশকে দত্তক হিসেবে বিভিন্ন দেশে সরকারী-বেসরকারী মধ্যস্ততায় পাঠানো হয়। স্বাধীনতার নানা আবেগের ফাঁকে কখনোে এক মুহূর্তের জন্য ভেবে দেখেছেন, ওই যুদ্ধশিশুদের মানসিকতা আর তাদের অদ্ভূৎ মানসিক অন্তঃর্দ্বন্দ্বের কথা? কয়েকদিন আগেও একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম। একজন যুদ্ধশিশু জানত তার প্রকৃত মা কে। বড় হয়ে মানসিক দ্বন্দ্বে সে আত্মহত্যা করে। কী ভয়ানক অনুভূতিকে ভোগে একেক মানুষ যখন সে জানে তার জন্ম এমনকি শুধুমাত্র পিতৃপরিচয়হীন হিসেবে নয়, তাদের প্রত্যেকের পিতা একজন খুনি, একজন হানাদার, আর এই পৃথিবীর জঘন্যতম, নিষ্ঠুরতম গণহত্যার একজন দানব। যখন তারা জানতে পারে, ’৭১ এর নৃশংষতম গণহত্যা, পৌশাচিক গণধর্ষণের যে নারকীয় দুর্যোগের শিকার এই বঙ্গদেশ ও তার ৩ লক্ষ মা-বোন, তাদের সেই ভয়াল অভিজ্ঞতার সংহারকই হল তাদের বাবা। কী নিষ্ঠুর অনুভূতি! একবার চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখেছেন, ওই যুদ্ধশিশুরা তাদের সত্যিকারের মায়েদের ব্যাপারে মনের গোপনে কীরকম অনুভূতি ধারন করে? বিদেশে দত্তক পাঠিয়ে তো বাংলাদেশ একরকম বেঁচে গেছে, ‍কিন্তু ওদেরকে কি বেঁচে মরার হাত হতে বাঁচাতে পেরেছে?

আট:-
আচ্ছা, আপনাকে যদি হঠাৎ একদিন কেউ জিজ্ঞেস করে, বলুনতো কয়েকটি সংখ্যা-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক কতজন? আমি অস্বীকার করব না, এই লেখা যখন লিখছি, তখনও আমি নিজেও জানতাম না সবগুলো প্রশ্নের সহজ উত্তর। অথচ এই জাতির নিজের নাম জানারও আগে জানবার কথা ওই প্রশ্নগুলোর উত্তর। নায়িকা এঞ্জেলিনা জোলির কতটি বাচ্চা, কী তাদের নাম-তা হয়তো ঠোটস্থ থাকে আমাদের। আচ্ছা বাদ দিন, বলতে পারব কি, আমাদের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ’র কবর কেন একটি স্থানে এনে একটি স্মৃতিসৌধে সম্মিলিত করা গেল না? কেন আমাদের ৭ শ্রেষ্ঠ সন্তানকে অজানা, অচেনা, অপরিচীত, অখ্যাত পারিবারিক বা আধো-স্বীকৃত কবরে শুয়ে থাকতে হয় আজও ৪৬ বছর পরে? আমাদের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ’র কবর কেন পরিণত হয় না এদেশের মানুষদের ছুটিতে বেড়াতে যাবার অবশ্যম্ভাবি গন্তব্য? ২৬ মার্চ বা ১৬ ডিসেম্বরে কি তাদের কবরে কোনো ধুপ ধুনো পড়ে? কোনো রাষ্ট্রীয় আয়োজন যায় কি তাদের কবরে? আমার তো চোখে পড়েনি। আমরা কেন পারি না, অন্তত ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ’র কবর একটি স্থানে এনে একটি স্মৃতিফলক বা মিনার অন্তত করতে? কতগুলো জাতীয় সড়ক আছে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ইংরেজিসহ সবগুলো আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুবাদের ও প্রচারের কী ব্যবস্থা? আমাদের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রীক এক্সক্লুসিভ যাদুঘর-তাও গড়ে উঠছে বেসরকারী উদ্যোগে। দেশে এমনকি বন্যপ্রাণী যাদুঘর আছে সরকারী। অথচ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর গড়তে উদ্যোগ নিতে হয় সেই ব্যক্তিমানুষদের আর হাত পাততে হয় সেই নাগরিকদেরই কাছে। রাষ্ট্র ব্যস্ত বিপিএল আয়োজনে। ওহ! ক্রীকেটতো আবার সব দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের উর্দ্ধে। আমাদের কিছু নব্য ’প্রগতিশীল’ ও ”সুশীল” একটা চরম ধান্দাবাজী রাস্তা ধরেছেন। “ভাই খেলা আরা রাজনীতি আলাদা”। তাদের বক্তব্য হল, ”৭১ এ পাকিস্তান যা করেছে তার জন্য এই ২০১৭ সালে পাকিস্তানের ক্রীকেট টীমের সাপোর্টার হওয়া কেন চলবে না। ক্রীকেটাররাতো আর সেসময় ”গন্ডগোল” করে নাই।” আমার জানতে ইচ্ছা করে আমার ভাই, আমার বাবা অথবা আমার সন্তানকে কেউ রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে হত্যা করলে ঠিক কত বছর পার হয়ে গেলে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে পারতাম? হত্যাকারীর ছেলের সাথে আবার আমার মেয়ের বিয়ে দিতাম। পাকিস্তান যতদিন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা না চাইবে ততদিন পাকিস্তানের গোলাপের গন্ধও আমার কাছে পা....র গন্ধ মনে হবে। ততদিনের আগে তাদের সাথে এবং তাদের দোষরদের সাথে কোনো ”সুশীল” চর্চা নয়। (চলবে.........)

[প্রথম পর্বের লিংক: Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

মুফরাদ শেখ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধটাই তো গন্ডগোল পাকিয়েছে। স্বাধীনতার পর এ বাংলা যেন দুই সতীনের ঘর হয়ে গেছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

বেচারা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধটা তার জায়গাতেই আছে। তালগোল পাকিয়েছি আমরা।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটা খুব মন দিয়ে পর পর দুইবার পড়লাম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

বেচারা বলেছেন: ধন্যবাদ। তারপর কী করলেন??

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

ফ্রিটক বলেছেন: কথাগুলির সাথে আমিও একমত।তবে এখানে শেষ নয়, আরো আছে প্রকৃতমুক্তিযোদ্ধারা যেখানে বঞ্চিত,সেখানে নতুন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা র আবির্ভাব ঘটছে।সরকারি পৃষ্টপোষকথায় নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধার ভুয়াসার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

বেচারা বলেছেন: সত্যি বলেছেন। দুঃখজনক ও অপমানজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.