নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনকলা নামক আত্মপ্রবঞ্চনার বাস্তবতা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

মানসিক প্রবোধ বা আত্মপ্রচঞ্চনা নামে একটি বিষয় আছে। সত্যিই কি নিজেকে নিজে সান্তনা বা প্রবঞ্চনা করা যায়?
আমার বিশ্বাস, সবক্ষেত্রে না হলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যায়। এই যেমন ধরুন, কেউ আপনাকে রোজ বলে, আপনাকে সুন্দর লাগছে। আপনার হয়তো তেমন কিছু বোধ হয় না। কিন্তু, একদিন না বলুক। দেখবেন, আপনার একটু মিসিং মিসিং লাগছে।
আবার, আমরা যখন পোস্ট বুস্ট করি, প্রচুর লাইক, কমেন্ট পড়ে। আমরা জানি যে, এটা জোর করে টানা বুস্ট, লাইক। তারপরও আমরা কি খুশি হই না? অধীনস্থরা প্রশংসা করলে, জানি, বসকে তেল দিচ্ছে। তবু কি আমরা খুশি হয়ে উঠি না? যারা বলি, আমি প্রশংসা পছন্দ করি না। তারাও কি প্রশংসা শুনলে বিগলিত হই না? যারা বলি, আমি সমালোচনাকে পজিটিভলি দেখি, তারাও কি মনের মধ্যে খঁচখঁচ অনুভব করি না? সমালোচনাকারীকে অপছন্দ করি না?
মানব মন বড়ই বিচিত্র। তার গতিধারা বোঝা দায়। তাকে বশে রাখতে হয়। টিভির একটি বিজ্ঞাপনে মিজ সুইটির দেয়া একটি ডায়লগ খুব ভাল লাগে, “সব কিছু সুন্দর থাকে না, করে নিতে হয়।”
সেলফ মোটিভেশনের বক্তা বলেন না, সকালে উঠে নিজেকে বলুন, তুমি ভাল আছ?
এটা ৩০ দিন প্রাকটিস করে দেখুন। দেখবেন, আপনার মন বিভ্রান্ত হবে। সে বিশ্বাস করতে শুরু করবে, আসলেই তো আমি ভাল আছি। দশজনকে টাকা দিয়ে নিয়োগ করুন, যারা আপনাকে রোজ মেসেজ পাঠাবে, “আপনি দেখতে ঐশ্বরিয়ার মতো।” দেখবেন, একদিন আপনার ভেতরে বিভ্রান্তি তৈরী হবে, “আসলেই তো, আমি দেখতে দারুন।”
আত্মপ্রবঞ্চনা কি মনে মনে মনকলা খাওয়ার মতো?
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের “অটো সাজেশন” বস্তুটার সাথে আপনার পরিচয় আছে? ওটা অনেকটা মনকলা খাওয়ার মতো বস্তু। যাক, আজ কোয়ান্টামকে আপাতত রেহাই দিলাম। অন্যরকম একটা অটোসাজেশন বলব আজ।
আমার সহকর্মীদের সাথে প্রায়ই একটা মজা করি। [অবাক হবেন না, আমিও মাঝে মধ্যে মজা করতে জানি।] মজাটা হল, তিনি হয়তো আমাকে ফোন দিয়েছিলেন বা আমি তাকে। তিনি ধরেননি বা আমি। পরে ফোন ব্যাক করা হলে আর তিনি বা আমি মনে করতে পারি না, যে, ফোন করার মূল উদ্দেশ্যটা কী ছিল।
কখনো কখনো তো এমনও হয়, ফোন করলে ওপ্রান্তে ফোন ধরলে সাথে সাথে ভুলে যাই যে, কেন ফোন করেছি। তো তখন আমি বলি, “ভাই বাদ দিন। যেই জিনিস ভুলে গেছেন, সেটা কষ্ট করে মনে করতে হবে না। কারন, ওটা যদি তেমন গুরুত্বপূর্নই হত, তাহলে আপনি ভুলে যেতেন না।” হা হা হা।
আরেকটা বলি। মাঝে মধ্যে মধ্যবয়সী পুরুষ সুহৃদদের এটা বলি। সেটা হল, প্রেমিকা বা বউ যদি তার জমানো এফডি আর গয়নাগাটি সহ অন্য কারো সাথে চলে যায়, তাহলে খুব বেশি মুষড়ে পড়ার দরকার নেই। কারন, সে চলে গেছে, মানেই হল, সে আপনার ছিলই না।
আর যদি সে আপনারই হয়ে থাকে, তাহলে সে আবার ফিরে আসবে। এটাকেই বলে অটো সাজেশন।
আরেকটা আছে-অটো সান্তনা।
আপনি যদি আপনার দুঃখের কথা, শোকের কথা মাত্রই ফেসবুকে পোস্ট করে থাকেন, তাহলে ধরে নিতে পারেন, যে আপনি খুব একটা খারাপ নেই আর শোকে পাগলও হন নাই।
যথেষ্টই হুশে আছেন আপনি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



কিসব লিখে হয়রাণ হয়ে যাচ্ছেন!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

বেচারা বলেছেন: আপনিই বলে দিন, কী লিখব।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৭

বেচারা বলেছেন: আমি আসলে বলতে চাচ্ছি, যে, আমি কিছুই বলতে চাইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.