নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।




এসব আন্দোলন বিক্ষোভ খুব একটা সফল হবে না।
বিক্ষোভে সাধারন আমেরিকানরা খুব একটা সংস্লিষ্ট হয় নি। ৫,৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মাত্র ৪১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হলেও
মুলত বিক্ষোভ জমেছে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ও সিটি ইউনিভার্সিটি আর ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউসিএলএ আর সাউদার্ন। মৌলবাদ সমর্থক মুসলিম কংরেস সদস্য ইলহাম ওমরের মেয়ের নেতৃত্বে ইমিগ্রেন্ট ও স্টুডেন্ট ভিসায় আগতরা বিক্ষোভে ফ্রন্টলাইনে দেখা যাচ্ছে। যে কারনে মেইন্সট্রিম মিডিয়ার দায়সারা কিছু সমর্থন। অনেক সময় নেগেটিভ খবরও প্রাধান্য পাচ্ছে।

ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ জমে না উঠার আরো একটা বড় কারণ ভিয়েতনাম যুদ্ধের মত আমেরিকা সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িত নয়। তাই আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্দোলন কেন?
এছাড়া আমেরিকায় বিদ্বেষ প্রতিরোধ অ্যান্টি সিমিটিজম আইন আছে। বিদ্যমান ফেডারেল আইন অনুযায়ী, ইহুদিবিদ্বেষী বক্তব্য ইহুদিবিরোধী বৈষম্য ও হয়রানি এমনিতেই নিষিদ্ধ। শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অল্পতেই পুলিশ ডাকতে পেরেছে এবং নির্দ্বিধায় গ্রেফতার করতে পারছে। ইতিমধ্যে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের নেতা একটি অতি বিতর্কিত ইহুদী বিরোধী মন্তব্যে সবাই বিব্রত হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত বক্তব্য ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহার করতে হয়েছে। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চলে সরকারি নয়, দাতাদের অনুদানে। দাতাদের অনেকেই সতর্ক করেছেন যে, দ্রুত বিক্ষোভ থামানো না হলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেবেন।

যারা এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এজন প্রাক্তন ছাত্র রবার্ট ক্রাফট তিনি নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়ট এনএফএল দলের মালিক।

মি. ক্রাফট বলেছেন যে, “সংশোধনমূলক পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত” তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিবেন।


আমেরিকার রাজনিতিকরাও বসে নেই
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রতিনিধি পরিষদে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে একটি বিল দ্রুততার সাথে উত্থাপন ও পাস হয়েছে। নাগরিক স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার থাকা মানবধিকার সংগঠনগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও গতকাল বুধবার বিলটি পাস হয়। এটি এখন অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। দ্রুততার সাথে পাসও হয়ে যাবে। গতকাল প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩২০ জন সদস্য। আর বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৯১ জন। গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে বিক্ষোভ চলছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিলটি পাস করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সোমবার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে। তিনি “ইহুদি-বিদ্বেষমূলক প্রতিবাদের” নিন্দা জানিয়েছেন।

কিছুদিন আগে গুগল অফিসেও ২৮ জন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তকৃত কর্মীরা লাঞ্চ টাইমে ইসরাইল বিরোধী মামুলি প্রতিবাদ করে বসে থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কের গুগল অফিসে অবস্থান করেছিল।

গুগল ক্লাউডের সিইও থমাস কুরিয়ানের অফিসেও কয়েকজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, গুগল শুধু প্রতিবাদকারী কর্মীদেই বরখাস্ত করেনি, নিছক বিক্ষোভ যারা দেখছিল এমন দর্শক কর্মীও চাকরি হারিয়েছে। গুগলের একজন প্রাক্তণ কর্মচারী বলেছেন, তাঁকে শুধু বিক্ষোভ দেখা ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মাত্র ‘চার মিনিট’ কথা বলার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।


মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৩

অহরহ বলেছেন: ভাইয়া, এরা সব প্রো-হামাস। সন্ত্রাসী, জেহাদী diaspora. তার সাথে যুক্ত হয়েছে "উন্নত জীবনের লোভে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে আসা কিছু মাইগ্রেন্ট ছাত্র।

০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিন্তু বাংলাদেশী মিডিয়া দেখলে মনে হয় বিক্ষোভে আমেরিকা অচল।

২| ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭

আমি নই বলেছেন: হয় আপনি একজন কট্টোর জায়নিষ্ট আর না হয় গাজা কনফ্লিক্ট সম্পর্কে আপনার ধারনা খুবই কম অথবা...

আমেরিকার বিরোদ্ধে আন্দোলন কেন? এই সিম্পল প্রশ্নের উত্তরও জানা নাই??

কার সাপোর্টে জায়নিষ্ট দানবরা গনহত্যা চালাচ্ছে? ফান্ডিং, অস্ত্র কারা দিচ্ছে? জাতিসংঘে সিজফায়ারের প্রপোজালে কারা ভেটো দিচ্ছে? লিস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে, আপনার ছোট মাথায় ঢুকবেনা এসব।

মিডিয়ার ব্যাপারটাও বোঝার ক্ষমতা আপনার নেই, আপনার ব্রেইন নিতে পারবেনা।

০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমি জায়োর্নিস্ট কি না - এরকম হঠাৎ ব্যক্তি আক্রমণের কি কারণ?

আমি ঘটনাটি তুলে ধরছি মাত্র। আমেরিকা ইসরাইলকে কোন ফান্ডিং দেয় না, অস্ত্র বিক্রি করে, বা বাকিতে অস্ত্র বিক্রি করে।
আমেরিকা ইসরাইলকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে সত্য। তার চেয়ে বেশি সাহায্য করছে জর্ডন সৌদি আরব মিশর আরব আমিরাত প্রভৃতি ধনী আরব দেশগুলো। সেই সব দেশে তো কোনো প্রতিবাদ দেখিনা। অন্যান্য মুসলিম দেশেও কোন বিক্ষোভ নেই। অথচ সেই সব দেশের স্টুডেন্টরা আমেরিকায় পড়তে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গন্ডগোল শুরু করেছে। এটা কোন দেশই এলাও করবে না।

আমেরিকা সবসময় যুদ্ধ বিরতির পক্ষে ছিল। একটা যুদ্ধ বইতে চুক্তিও হয়েছিল আমেরিকান নেতৃত্বে কিন্তু হামাস যুক্তি ভঙ্গ করেছে ইসরাইলও চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ইসরাইলের ঢুকে নির্বিচারে গণহত্যা করেছিল হামাস। ইসরাইল তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। তবে ইসরাইল কোন গণহত্যা চালাচ্ছে না। বেছে বেছে হামাসকে মারছে। আমার থাকেন নারী শিশুদের চিপায়। তাই কিছু নিরীহ মানুষ মরছে এর জন্য হামাস দায়ী

আমেরিকার প্রধান মিডিয়াগুলো ইনিয়ে বিনিয়ে এ আন্দোলনকে কিছু সমর্থন করলেও মূলত আন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করছে।

৩| ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪০

রিদওয়ান খান বলেছেন: ভাষার জন্য লড়লে হয় ভাষা সৈনিক
দেশের জন্য লড়লে হয় মুক্তি বাহিনী
সেইম জিনিস ফিলিস্তিন করলে হয় টে রো রি ষ্ট হা মা স!

অথচ বর্বর রক্ত খেকো পাকিস্তানি হায়েনাদের মত ই স রা য়ে ল যে রক্ত খেয়ে যাচ্ছে তবুও তারা সাধু(!) তারা পৃথিবী উন্নয়নকারী(!)


০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আপনারা সবাই একটা ভুল করছেন।
হামাস মানে ফিলিস্তিন নয়। মেইনল্যান্ড ফিলিস্তিনি নাগরিকরা জঙ্গি নয় সাধারণ আন্দোলন করে।

হামাস মিশর থেকে আগত ব্রাদারহুডপন্থী ওহাবী সালাফি পন্থী বহিরাগত একদল জঙ্গি সন্ত্রাসী।
এই জঙ্গি দলটি মিশর সংলগ্ন বর্ডার দিয়ে গাজার একটি অংশ দখল করেছিল। এখন পুরো গাজাই দখল করেছে। গাজা ফিলিস্তিনের মেইনল্যান্ড ফিলিস্তিনের বাহিরে একটি স্ট্রিপ। এভাবে লেবাননের একটি অংশগ্রহণ করেছে হিজবুল্লা ডাকাত। ওরাও বহিরাগত এবং শিয়া ধর্মের। ইরানের সাহায্যে লেবাননের একটি অংশ দখল করেছে।
ইয়ামানের একটি অংশ ও ইরানের শিয়া জঙ্গি হুথিরা দখল করেছে।
ধনাঢ্য আরোপ শেখ রা আর আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া ইউরোপের অধিবাসী ধনী মুসলিমরা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছে মানবতার জন্য কিন্তু সব অর্থ চলে যাচ্ছে হাত ঘুরে এইসব জঙ্গিদের হাতে।

হামাসই প্রথম ইসরাইলে ঢুকে নিরীহ ইসরাইলীদের গণহত্যা শুরু করে। নির্বিচার গণহত্যা। অপহরণ। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয় না। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কখনো নারীর শিশুর উপর হামলা চালায়নি।

৪| ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: পুলিশের আচরণ মানবতা বিরোধী।

০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমেরিকান পুলিশ মোটেও মানবতা বিরোধী নয়।
কোন ছাত্রের বুকে এখনো কোনো গুলি চালায়নি। তারা আইন মেনে চলছে, আইনে যেভাবে আছে সেভাবেই বিক্ষোভ দমন করছে।
আমেরিকার আইনে সেই দেশে কোন ইহুদি বিরোধী প্রচার চালানো যায় না। ইহুদী বিরোধী কোন মন্তব্য করা যায় না।
আইনেই নিষেধ আছে। আমেরিকায় থাকলে আমেরিকার আইন কে রেসপেক্ট করতে হবে।
ছাত্রদের আন্দোলনের এক নেতা অনলাইনে জোসের ঠেলায় ইহুদী বিরোধী (ওয়াজ) করেছিলেন। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছেন
কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।
তিনি বলেছিলেন কোরআন হাদিসেই বলা আছে ইহুদিদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। সবাইকে মেরে ফেলতে হবে।

৫| ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: গণতন্ত্রের রক্ষক নামধারী দেশ পুলিশের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যে আচরণ করছে তা একধরণের ভায়োলেন্স।

৬| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা ব্যাপারে আমার বেশ গর্ব হচ্ছে। বিষয়টা খুলেই বলি।
''UCLA তে আন্দোলনকারীরা রাতে যখন তাবুতে ঘুমিয়ে ছিল, একদল মুখোশধারীর হামলা। পুলিশের অনুপস্থিতি। অনেক পরে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদেরকেই ধর-পাকড় করা।'' পুরো সিনারিওটা খুব পরিচিত না? আমার তো মনে হয়, আম্রিকা আমাদের দেশের হেলমেট বাহিনীর বিশেষায়িত সার্ভিস নিচ্ছে। আপনার কাছে তো খবর থাকার কথা!! আম্রিকা আম্লিগের কাছ থেকে আন্দোলন ঠেকানোর 'গেয়ান আর সাহাইয্য' নিচ্ছে..........বিষয়টা গর্বের না? :P

আমি নই বলেছেন: হয় আপনি একজন কট্টোর জায়নিষ্ট আর না হয় গাজা কনফ্লিক্ট সম্পর্কে আপনার ধারনা খুবই কম অথবা... কোনটাই না। উনি একজন বিশিষ্ট ইসলামোফোব। :)

৭| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: হামাস গোল্লায় যাক, ইসলাম গোল্লায় যাক। হিরোসিমা হতে গাঁজা কোটী কোটী নিরস্ত্র নিহত/আহত নারী-শিশু-সাধারন মানুষের অভিশাপে আমেরিকা নামক রাষ্ট্রটি ২০৩০ সালের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আমার উপরোক্ত বাক্যটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষন করুন হাসান সাহেব।

৮| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: তবে ইসরাইল কোন গণহত্যা চালাচ্ছে না। বেছে বেছে হামাসকে মারছে।

আপনাকে ইসরাইলি ডায়াপার ফোর্সের মুখপাত্র করার দাবী জানাচ্ছি।
তবে সামুর অনেক পুরাতন এবং খুব পপুলার একটা লাইনটা আবারো প্রমান হলো ল্যান্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড


ভুয়া মফিজ ভাই, অথবা এর পরে আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম।

৯| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মিডিলিস্ট থেকে কিছু মাথা মোটা ধনির দুলালেরা আমেরিকা গিয়ে আন্দলোন করছে, অথচ এদের আন্দোলন করা উচিৎ ছিলো হামাসকে আত্নসমর্পন করার জন্য। হামাস যখন ইজরাইলে আক্রমণ চালিয়েছিলো তখন এরাই চাপা উল্লাস প্রকাশ করেছিল।

হামাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইল থামছে না, হামাস আত্নসমর্পন করলে কালকেই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। এই যুদ্ধ কবে বন্ধ হবে তার পুরোটাই নির্ভর করছে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস বাহিনীর উপর।

১০| ০৩ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫২

এক্সম্যান বলেছেন: লেখক বলেছেন:

আপনারা সবাই একটা ভুল করছেন।
হামাস মানে ফিলিস্তিন নয়। মেইনল্যান্ড ফিলিস্তিনি নাগরিকরা জঙ্গি নয় সাধারণ আন্দোলন করে।


তো আপনার পেয়ারের ইসরাইল পশ্চিম তীরের অধিবাসিদের জায়গা, জমি, বাড়ী দখল, গবাদি পশু লুট-পাট করে কেন? ওখানেতো হামাস নাই!!!

ইসরাইল একটা অবৈধ জারজ রাষ্ট্র। সকল সহিংশতার মুলে জায়নিষ্ট সন্ত্রাসীরা, যারা পুর্ব ইউরোপ থেকে এসেছে। মুল ইহুদিরা ফিলিস্তিনের পক্ষেই ছিল, এখনো আছে। জায়নিষ্ট সন্ত্রাসীদের ফিলিস্তিন থেকে বিতারিত করতে পারলেই কেবল শান্তি ফিরে আসবে।

০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হামাস বহিরাগত কট্টরপন্থী সন্ত্রাসী।
মিশর অঞ্চলের ওহাবী সালাফি পন্থী কট্টর ব্রাদারহুড, এদেরই অংশ হামাস। অনেক টাকা পয়সা নিয়ে গাধার একটি অংশ দখল করে। সাধারণ ফিলিস্তিনিরা তাদের অস্ত্রের ভয়ে কিছু করতে পারেনা। দরিদ্র ফিলিস্তিনেরা তাদের অনেক সাহায্য পায় খাদ্য পায় তাই কিছু বলে না।

ইহুদিরা ফিলিস্তিন দখল করেনি। ফিলিস্তিনিদের কোন দেশ ছিল না, আলাদা কোন দেশের দাবিও ছিল না কখনো। বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের গোলামী করেছে। কিন্তু ব্রিটিশদের কাছে কোন স্বাধীন দেশ চাইনি। উল্টো ধনী আরব দেশগুলোর গোলামি করছিল। ইসরাইল দেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের স্বাধীনতার দাবি চেগিয়ে ওঠে।

কিছু ইহুদী বহিরাগত হলেও স্থানীয় কিছু ইহুদীরা বহু আগে থেকে এই এলাকায় তাদের অবস্থান ছিল, এলাকায় তাদের উপাসনালয় সবচেয়ে প্রাচীন।

১১| ০৩ রা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই পোস্টটার ভিতর দিয়ে ইসরাইল-প্যালেস্টাইন ইস্যুতে আপনার অজ্ঞতা এবং মানসিক বিক্বতি প্রকাশ পেয়েছে।

প্যালেস্টাইনের ৩৫ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু - আমাদের জীবদ্দশায় ঘটা এত বড় নৃশংসতাও যেহেতু আপনার ভিতরে মনুষ্যত্বের বোধ জাগাতে পারেনি, সেহেতু আপনার পক্ষে মানুষ হয়ে ওঠার কোন আশা আমি আর দেখি না!

তবে ইসরাইল-প্যালেস্টাইন ইস্যু নিয়ে অজ্ঞতা কাটিয়ে ওঠার জন্য একটা বই পড়ার সাজেশন দিতে পারি। এডওয়ার্ড সাইদের (Edward W. Said) "The question of Palestine" বইখানা পড়ে দেখতে পারেন। যদিও পড়ালেখা করার লোক আপনি নন, এবং সাইদের লেখা পড়ে আপনি বুঝবেন বলেও ঠিক বিশ্বাস হয়না।

এডওয়ার্ড সাইদের নামও খুব সম্ভব আপনি শেনেননি। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের কোন জংগী-জিহাদি মুসলমান নন, প্যালেস্টাইনি খ্রীষ্টান। আপনি পোস্টে প্রথম যে বিশ্ববিদ্যালয়টির কথা উল্লেখ করেছেন, তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তার আরেকটি বিখ্যাত গ্রন্থ "Orientalism", উত্তর আধুনিক দর্শন গ্রন্থগুলোর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ।

০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্যালেস্টাইনের ৩৫ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু,
এর জন্য হামাস শতভাগ দায়ী।

গত পাঁচ বছরের হামাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝতে পারবেন এর জন্য কারা দায়ী।
হামাস বারবার ইসরাইলের দিকে রকেট ছুঁড়ে ইসরাইলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছিল, গাজায় স্থল হামলা করতে।
আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া ইউরোপের অধিবাসী ধনী মুসলমানদের যাকাত ফিতরার টাকা নিয়ে এইসব অস্ত্র কিনে ইসরাইলের উপর মেরে, ইসরাইলকে আমন্ত্রণ জানা তো হামলার।

এতেও তেমন কাজ না হওয়ায় ফাইনালি বড় একটি উস্কানিমূলক হামলা চালিয়েছিল গত বছর অক্টোবরে।
একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখবেন এই হামলা ইসরাইলকে দুর্বল করার জন্য নয় বরং এই হামলা হয়েছিল ইসরাইলকে গাঁজা আক্রমণ করার জন্য আমন্ত্রণ। গাজায় বৃহৎ আকারে স্থল হামলার আমন্ত্রণ।
হামাসের যুক্তি হচ্ছে স্থল হামলা হলেই বেশি বেশি নিরীহ মানুষের মৃত্যু। বেশি বেশি নারী শিশুর মৃত্যু মানেই বেশি বেশি সাহায্য বেশি বেশি চোখের পানি। আর বিপুল পরিমাণ সাহায্য দিয়ে তাদের বিলাসী জীবন mercedes bmw তো চড়ে বিলাসী জীবন।
সাহায্য ভিক্ষার টাকা দিয়ে ১০ গুন দামে অস্ত্র কিনছে ইরান থেকে আর ইরান ধনী হচ্ছে। অস্ত্র কেনার টাকা দিয়েই দামি দামি মার্সিডিস বিএমডব্লিউ কিনছে। অথচ গাজার ভিতরে কোন বড় অর্থনীতি নেই কলকারখানা নেই কিন্তু অনেকের পকেটে কচকচে লাখ লাখ ডলার । বেশিরভাগ অর্থ আসে আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম অধিবাসীদের সাহায্যে। যারা সাহায্য দিচ্ছে এরা জানেও না যে এই টাকা দিয়া বিলাসিতা করছে হামাস। এই টাকা দিয়ে বিলাসিতা করছে হামাস। অস্ত্র কিনছে দশ গুণ দামে আর ইরানকে ধনী করছে।

১২| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: 'গুগোল' যদি এটা করে থাকে - কামটা কি ভাল করছে, আপনার কি মনে হয়?

০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

না। কাজটা মোটেও ভালো হয়নি। তাদেরকে ওয়ার্নিং দিতে পারতো।
তারা গুগলের কোন ক্ষতি করেনি চাকরির ওয়ার্কিং আওয়ারের কোন ক্ষতি করেনি, টিফিন টাইমে কাফেটেরিয়ার মেঝের উপর বসে ছিল। কোন স্লোগান দেয়নি। কোন হইচই ও করেনি।
তুচ্ছ কারণে রুটি রুজির উপর হামলা করা ঠিক হয়নি।

১৩| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: Click This Link

আপনার পোস্টের আজগুবি তথ্যের ভিত্তি কি ? কিসের ভিত্তিতে আপনি ইলহাম উমরকে মৌলবাদি সমর্থক বলছেন ? কোথায় পেয়েছেন যে , শুধু নতুন ইমিগ্র্যন্ট ও ফরেন স্টূডেন্টরা আন্দোলন করছে ? ইউ এস এর আইভি লীগ ইউনিগুলো সম্পর্কে কি আপনার কোন ধারনা নাই? কারা সেখানে চান্স পায় জানেন ?কোন লিডিং নিউজপেপার এভাবে ছাত্রদের ট্যাগ করে নাই। অবস্য আপনাদের আর দোষ কি ? যারে তারে শিবির , মৌ্লবাদী , জঙ্গী ট্যাাগ করাটা আপনাদের মজ্জাগত অভ্য্যাাস।

১৪| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫১

এক্সম্যান বলেছেন: লেখক বলেছেন:

হামাস বহিরাগত কট্টরপন্থী সন্ত্রাসী।
মিশর অঞ্চলের ওহাবী সালাফি পন্থী কট্টর ব্রাদারহুড, এদেরই অংশ হামাস। অনেক টাকা পয়সা নিয়ে গাধার একটি অংশ দখল করে। সাধারণ ফিলিস্তিনিরা তাদের অস্ত্রের ভয়ে কিছু করতে পারেনা। দরিদ্র ফিলিস্তিনেরা তাদের অনেক সাহায্য পায় খাদ্য পায় তাই কিছু বলে না।

ইহুদিরা ফিলিস্তিন দখল করেনি। ফিলিস্তিনিদের কোন দেশ ছিল না, আলাদা কোন দেশের দাবিও ছিল না কখনো। বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের গোলামী করেছে। কিন্তু ব্রিটিশদের কাছে কোন স্বাধীন দেশ চাইনি। উল্টো ধনী আরব দেশগুলোর গোলামি করছিল। ইসরাইল দেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের স্বাধীনতার দাবি চেগিয়ে ওঠে।

কিছু ইহুদী বহিরাগত হলেও স্থানীয় কিছু ইহুদীরা বহু আগে থেকে এই এলাকায় তাদের অবস্থান ছিল, এলাকায় তাদের উপাসনালয় সবচেয়ে প্রাচীন।


এই উত্তরের মাধ্যমে আপনি শতভাগ প্রমান করলেন আপনি ফিলিস্তিন আর দখলদার সম্পর্কে বিন্দু মাত্র ধারনাও রাখেন না। টিভিতে যা দেখেন তাই গেলেন।

আচ্ছা ব্রিটিশ আমলেতো বাংলাদেশো ছিলনা, ব্রিটিশদের কাছে কেউ বাংলাদেশের দাবীও করেনাই। তাহলে পাপিস্তান আমলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি চেগিয়ে উঠেছিল কেন?

বর্তমানে ফিলিস্তিনের ৯০% ইহুদিই বহিরাগত, বাকি যে ১০% স্থানীয় ইহুদি আগে থেকেই ফিলিস্তিনে বাস করে তাদের সাথে মুসলিম, খ্রিস্টান কারোই কখনই বিবাদ হয় নাই। এমনকি এখনো জেরুজালেমের ওল্ড টাউনে ইহুদিদের বাড়ীতে ফিলিস্তিনের পতাকা আর্ট করে রাখে। আগে ইতিহাস পড়েন, তারপর না হয় কথা বলেন।

যাইহোক, একজন জায়নিষ্ট তার প্রভুর দেয়া তথ্যের বাহিরে কখনই কথা বলবেনা এটাই নরমাল। তবে আজগুবি সব যুক্তি দিয়ে নিজেকে হাস্যকর প্রমান করা বোকামি।

সন্ত্রাসি অরগানাইজেসন হানাদার ইসরাইল ইচ্ছা করেই উদ্দেশ্য মুলক ভাবে গনহত্যা চালাচ্ছে, এটা ওদের নেতাদের টুইটার দেখলেই বোঝা যায় কিন্তু চেলারা স্বীকার করেনা। প্রমান চাইলে হাজারটা দিতে পারব কিন্তু আপনি হার্ট অলরেডি ব্লাইন্ড হয়ে হয়ে গেছে, সত্য নিতে পারবেনা।

১৫| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:১৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এসব আন্দোলনে আসলে কাজ কতটুকু হবে কে জানে।

১৬| ০৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অবাক করা তথ্য দিলেন দাদা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.