নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাগরপাড়ে বসে এনসিপি’র রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা: ‘নাগরিক পার্টি’ নাকি ‘সাগরকূলীয় দার্শনিক’দের আড্ডা ?

০৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১৬


জুলাই আন্দোলনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি যে নতুন শব্দগুলো শোনা যাচ্ছে, তার মধ্যে ‘এনসিপি’ বা জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যতম। একসময় যারা দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারাই এখন দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে ভাবছেন। আর এই ভাবনার প্রক্রিয়াটিও বেশ অভিনব। সাধারণত রাজনৈতিক নেতারা যখন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন, তখন তারা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বা কোনো নীতিনির্ধারণী বৈঠকে বসেন। কিন্তু আমাদের নতুন যুগের এই নেতারা দেখালেন, বড় বড় চিন্তাভাবনা করার জন্য সাগর পাড়ের শান্ত পরিবেশই উপযুক্ত।

সম্প্রতি, এনসিপি'র মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী ঘোষণা করেছেন যে তিনি ‘ঘুরতে গিয়েছিলেন’, তবে এটি কেবল সাধারণ ঘোরাঘুরি ছিল না। এর পেছনে ছিল এক গভীর দার্শনিক উদ্দেশ্য: ‘রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে একান্ত চিন্তাভাবনা করা।’ তিনি সাগর পারে বসে গভীর মনোযোগে ধ্যান করেছেন গণ-অভ্যুত্থান, নাগরিক কমিটি, নাগরিক পার্টির কাঠামো, ভবিষ্যৎ গণপরিষদ এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে।

এই দৃশ্যটি একদিকে যেমন হাস্যকর, অন্যদিকে তেমনি চিন্তার খোরাক জোগায়। যেখানে পুরো দেশজুড়ে এনসিপি'র বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে অস্পষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেখানে দলের একজন বড়ো নেতা সাগর পাড়ে বসে নতুন সংবিধান রচনার রূপরেখা নিয়ে ভাবছেন। বিষয়টি অনেকটা এমন যে, নৌকা ফুটো হয়ে জল ঢুকছে, কিন্তু নৌকার মাঝি নৌকার কোথায় নতুন নকশা করা যায়, তা নিয়ে ভাবছেন। এই 'সাগরকূলীয় দর্শন' কি এনসিপি'র রাজনৈতিক অস্পষ্টতারই প্রতিফলন? নাকি এটি সাধারণ মানুষের মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নেওয়ার একটি অভিনব কৌশল?

আমরা জানি, রাজনীতিতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এনসিপিকে ঘিরে যে অভিযোগগুলো উঠেছে, তার সুনির্দিষ্ট জবাব না দিয়ে এভাবে 'দার্শনিক' ভঙ্গিমায় ঘুরে বেড়ানো সাধারণ মানুষের মনে আরও প্রশ্ন তৈরি করে। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, জুলাই আন্দোলনের পর এই তরুণ নেতৃত্ব দেশের পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে এবং একটি সৎ ও স্বচ্ছ রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। কিন্তু এক বছরের মাথায়ই যদি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তাহলে প্রশ্ন জাগে: এই আন্দোলন কি শুধু শাসক পরিবর্তনের জন্য ছিল, নাকি সত্যিই একটি গুণগত পরিবর্তনের জন্য?

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর এই ‘একান্তে চিন্তাভাবনা’র পর হয়তো এনসিপি একটি নতুন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে হাজির হবে। হয়তো তারা ঘোষণা করবে, তাদের নতুন সংবিধানের প্রথম ধারা হবে 'সাগর দর্শনের মূলনীতি'। আমরা আশা করি, সেই নতুন সংবিধানে অন্তত একটি বিষয় পরিষ্কার থাকবে: দলের তহবিলের হিসাব কি সাগর পাড়ের ঢেউ গুনে গুনে করা হবে, নাকি তা প্রকাশ্য করা হবে। কারণ, জনগণের আস্থাই যেকোনো রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। আর সেই আস্থাকে ধরে রাখতে গেলে সাগর পাড়ের দর্শন নয়, প্রয়োজন মাঠের রাজনীতিতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: তারা অতিতে যেমন ষড়যন্ত্র করেছে,বর্তমানেও করছে ভবিষ্যতেও করবে।তাদের মূলমন্ত্র হলো ষড়যন্ত্র।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশ নিয়ে সবাই ষড়যন্ত্র করে। কাউকে এখন আর বিশ্বাস হয় না।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, এই পুরো ঘটনার সবচেয়ে দুঃখজনক ও নিন্দ/নীয় দিক ছিল তাসনিম জারার বিরুদ্ধে পরিচালিত ন/গ্ন ও কুরু/চিপূর্ণ স্লা/টশেই/মিং। তিনি বলেন, শুধুমাত্র একজন নারী হওয়ার কারণে তাসনিম জারাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশা/লীন ও উদ্দে/শ্যপ্রণো/দিত প্রচার চালানো হয়। হাসনাত আরো বলেন, এমন বিধিবহি/র্ভূত শোকজ দেওয়া এবং অতি উৎসাহী হয়ে তা মিডিয়ায় প্রকাশ করা কতটুকু রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচায়ক হয়েছে, সে বিষয়ে গভীরভাবে ভাববার অনুরোধ করবো। হাসনাত বলেন, আমাদের পার্টির উচিত ছিলো এই গোয়েন্দা সংস্থা ও অ/সৎ মিডিয়ার বিরু/দ্ধে দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়া। তার পরিবর্তে পার্টি এমন ভাষায় আমাদের বিরুদ্ধে শো/কজ প্রকাশ করেছে, যা মি/থ্যা অভি/যোগ ও ষড়/যন্ত্র/তত্ত্বকে উসকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, যে কোনও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে শোকজ করতে হয় গঠনতন্ত্র বা বাই-লজের (bylaws) কোনও নির্দিষ্ট ধারা লঙ্ঘ/নের কারণে। কিন্তু আমি পার্টির কোনও আইন ল/ঙ্ঘন করিনি।


সুশিক্ষিত মানুষ কথা বলে যুক্তি দিয়ে , আইনি ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে। মিডিয়া এই কয়দিন যা করেছে তা কোন মিডিয়া এথিকসের মধ্যে পড়ে না। এই দেশের মিডিয়ার যে কোন জাত নাই , তা অজানা নয় কারোরই। কিন্তু এনসিপি শো কজ করে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। নিজেদের অজান্তেই ষঢ়যন্ত্রকারীদের পক্ষ নিয়েছে। নাহিদ ও আখতার বিচক্ষনতার সাথে পরিস্থিতি হ্যা্নডেল না করলে , দিনশেষে নিজেদের ও দলের ক্ষতি করবে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এনসিপি শোকজ করে ভুল করেছে । তারা কোনো খারাপ কাজ করে নাই। পিটার হাসের সাথে দেখা করলেও ঝামেলা দেখি না । বাট কথা মেপে বলা উচিত।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: ভালো লোকের সাথে দেখা করলে কোন সমস্যা নাই।কিন্তু পিটার হাঁসের মতো খারাপ লোকের সাথে দেখা করলে অবশ্যই সমস্যা আছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পিটার হাস বেসামরিক লোক। ঊহা একজন জিরো।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:১৫

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: দেশ এদের হাতে নিরাপদ নয় ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেটা বলার সময় এখনো আসেনি।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: যে জিরো তার সাথে দেখা করা দরকার কি?নিশ্চয় কোন দেনা পাওনার হিসাব আছে।গনতান্ত্রিক সরকার আসলে সব জানা যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.