![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতি স্বল্প দক্ষতা আর ভয়ানক সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ একজন
-------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------
আমি আমার বক্তব্যে কোন ভার্সিটির নাম উল্লেখ করবোনা।তবে প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ।
ধরেন আপনি একজন ভার্সিটির শিক্ষক(ফুলটাইম)।মোটামুটি এন্ট্রি লেভেলে মানে লেকচারার হিসেবে আছেন।আপনি প্রতি সেমিস্টারে গড়ে ১৮ ক্রেডিট করে ক্লাস পান।মানে ধরতে পারেন ৩ ক্রেডিটের একটা থিওরি কোর্স দুই সেকশন হিসেবে মানে ৬ ঘন্টা।সপ্তাহে দুই সেকসনের প্রত্যেককে ৩ ঘন্টা করে সময় দিতে হয় এমন দুইটা ল্যাব মানে ১২ ঘন্টা।ধরেন বছরে এরকম ২ টা সেমিস্টার আছে।তাতে একটা একাডেমিক ইয়ার শেষ হয়।
কিন্তু এতে আপনার কাজ শেষ হয়না।কেননা,আপনি আপনার বিভাগীয় প্রধান দ্বারা অর্পিত যেকোন কাজ করতে বাধ্য।তাই,আপনাকে প্রত্যেক সেমিস্টারে টিচিং লোড বা রুটিনের কাজ করতে হয়।ক্লাস রুমের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা,ইন্টার ডিপার্টমেন্টাল কোর্স গুলা কোন কনফ্লিক্ট ছাড়া ঠিক ভাবে ফেলা,প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে রুটিনের চয়েস নেয়া আপনারই দায়িত্ব।এছাড়া এনুয়াল স্পোর্টসেও আপনার কাজ আছে টাইম জাজ হিসেবে কিংবা আন্ত: বিভাগীয় ক্রিকেট,ফুটবল,ভলিবলে টিম মেনেজার হিসেবে।এছাড়া যেকোন মেজর ফাংশনেই আপনি কোন না কোন কমিটির আওতাতে কোন না কোন কাজ করবেন,যেটা আপনি অবশ্যই ফ্যাকাল্টি হিসেবে খুব আনন্দ নিয়ে করবেননা এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। এছাড়া ধরেন আছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের সময় কোন স্টুডেন্ট গ্রুপকে সাথে করে নিয়ে যাওয়া আর নিয়ে আসা।এবং অবশ্যই এডমিশন কমিটির কাজ।অর্থাত আপনাকে ভর্তি প্রার্থীদের ফর্ম,মার্কশীট ইভালুয়েশন করতে হবে।ডাটা এন্ট্রি করতে হবে।এছাড়া আরো এই টাইপের কাজ আপনাকে করতে হতে পারে।এছাড়া আপনার পড়বে ডিপার্টমেন্ট আয়েজিত ওয়ার্কশপের সব লেখার কিংবা প্রসিডিং এর ফরমেটিং ঠিক করার দায়িত্ব।
ধরেন,এ দায়িত্ব পালনের পর মাস শেষে আপনি যা পান তাতে আপনি সন্তুষ্ট বা চাইলে চাকরির শুরুর দিকে বিয়ে করার চিন্তা ও করতে পারেন।তবে আপনি ফুল টাইম হলে ও আপনার জবটি কন্ট্রাকচুয়াল,মানে প্রত্যেক বছর পরে কন্ট্রাক্ট নবায়ন হবে আপনার টিচিং এবং ঐসব করণিক কাজে অংশগ্রহণে স্বাফল্য আপনার বিভাগীয় প্রধান ও ভিসি দ্বারা মূল্যায়ন এর পরে।
আমি কোন উপসংহার দিবনা।এখন আপনারা বলেন এইটা টিচিং এর জন্য বিডির প্রেক্ষিতে কেমন পরিবেশ?বাইরের সাথে তুলনা করা উচিত হবেনা;কেননা ঐখানে লেকচারার হতেই পিএইচডি করতে হয় আর ইউনির জন্য তাদের তো ফান্ড আনার ব্যাপার আছেই।
আমি খুব খুশি হব যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় আছেন কিংবা দেশের ভিতরে বাইরে উচ্চতর শিক্ষায় আছেন,তারা যদি তাদের মূল্যবান মতামত দেন।
সবাইকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
উল্লেখ্য, প্রথমবার পোস্টের সময় ওয়াচে থাকায় এই রিপোস্ট
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
বেওয়াকুফ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
কেরানীর কাজ বলার চেয়ে এইটা বলাই ভাল মনে করছিলাম,তাই এইটাই দিছি।ভাল কোন প্রতিশব্দ পাইলে দিয়েন,তাইলে চেন্জ করে দিব।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১৬
মু আ হাকিম নিউটন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরুনোর পরে আমাদের সকলের "একটা বিশাল কিছু অর্জন করেছি" এই রকম একটা ভাব থাকে। যারা শিক্ষক হয় তাদের সবার ফলাফল ভাল থাকে এটা ধরে নিয়ে অনায়াসে এ কথা বলা যায়। কাজেই প্রত্যাশাও থাকে সেই রকম, যার অনেকটা অবাস্তব। এই প্রত্যাশার সাথে মিলাতে গিয়েই আমরা মাঝে মাঝে এইরকম কথা বার্তা বলে থাকি। প্রত্যাশার বেশির ভাগ অবশ্য থাকে টাকার অংকে। আমার পর্যবেক্ষন মতে বেশি টাকা বেতন দিলেই অামাদের অধিকাংশই এই কথা বলবেন না। যারা অর্থমুখী তাদের উচিৎ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন বেশি বেতনের চাকুরী করা। তবে অামাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন তুলনামুলক অনেক কম, এটি বাড়ানোর দাবী করা দরকার সম্মিলিত ভাবে। তবে সারা বিশ্বেই শিক্ষকদের বেতন অন্য অনেক পেশার বেতন থেকে কম।
শিক্ষক হিসাবে এই রকম কাজ করা উচিৎ কিনা -- অামি যদি মনে করি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অামার নিজের প্রতিষ্ঠান, তাহলে যেকোন কাজ করতেই কোন কিছু মনে হওয়ার কথা না। নিজের বাড়িতে অামরা অনেক কাজই করি -- নিজের কাজ মনে করে। প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতি পর্যায়ে অামার বা অামার নিকটাত্নীয়দের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, শিক্ষকদের অনেক কিছুই করতে হয়। হয়ত এর অনেক কিছুই টাকা থাকলে, অন্য কোন পদে লোক নিয়ে করা সম্ভব। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বা তাদের সহকারিদের, বা পড়ানোর শিক্ষকদেরও ( যাদের গবেষনা করতে হয়না) অনেক কাজ করতে হয় -- কিছু কম কিছু বেশি। অামি যদি মনে করি অামি শুধু একজন চাকুরিজীবি, প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করার দরকার নেই অথবা অামি বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় যাওয়ার পূর্বে অল্প কিছু দিন থাকব কাজেই এইসময় কিছুটাকা উপার্জন করা দরকার -- তাহলে অবশ্য এই রকম কাজ উচিৎ নয় বলে মনে হবে।
পূর্ণসময়কালীন চাকুরিতে সপ্তাহে *নুন্যতম* ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। প্রয়োজন হলে অারও বেশি সময় এমনকি দিনে রাতে যেকোন সময় কাজ করা লাগতে পারে। অাইন এটি। সারা বিশ্বেই। কাজেই অাপনি যে অবস্থা বর্ণনা করেছেন তা বাংলাদেশ সাপেক্ষে বাস্তবসম্মত, যদিও অনেক ক্ষেত্রে অাদর্শ নয়, বেতনের সাথে কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণও নয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
বেওয়াকুফ বলেছেন: ধন্যবাদ,আপনার মতামতের জন্য
কিন্তু টিচিং কে অন্যান্য পূর্ণকালীন চাকুরির সাথে মিলানো কি উচিত হবে?আমি বলতে চাচ্ছি ঐ সমস্ত কাজে আলাদা কর্মী নিয়োগ দেয়া টাই কি ভাল নয়?
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:২১
বিডি আইডল বলেছেন: you probably mentioned about private university scenarios....but the sitution in public uni are much much worse
I remebered those old days....I have to spent 14-18 hrs in the dept...not just the clarical jobs...some time the jobs of "coolie" as well!
sorry my bangla is not working...
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১২
বেওয়াকুফ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য
যাক আপনার কাছ থেকে কিছুটা হলে ও তো সান্ত্বনা পাওয়া গেল
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৩৪
আশার আলো বলেছেন: আপনি কোন ডিপার্টমেন্টে আছেন?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৯
বেওয়াকুফ বলেছেন: ইইই
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৩
মু আ হাকিম নিউটন বলেছেন: আপনি সান্ত্বনা খুজছেন জানলে ভাল করে সান্তনা দিতে পারতাম :-)
চাকুরী তো চাকুরী -- সবদেশে, সবপেশায়। শিক্ষকতার কাজ তো আলাদা রকম তা তো দেখতে পাচ্ছেন নিজেই। শুধু অন্য পেশার সাথে মিল টা খুজে পাচ্ছিলেন না বলে মনে হয়েছিল।
আর আপনার এই একই অভিযোগ তো শুনে আসছি আজ কম হলনা। বেতন বাড়ানো দরকার শিক্ষকদের, অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের -- এগুলার সাথে দ্বিমত নাই।
তবে একটা ছোট উদাহরন দেই -- বিদেশে অধ্যাপক রাও ফটোকপি করে নিজ হাতে, আর আমরা ফটোকপি যন্ত্রের সামনে দাড়িয়ে পিয়ন ডাকি ১০ মিনিট ধরে। পিয়ন ছাড়া আমরা চলতে পারি না। এই মানুষিকতা একটা উন্নয়নশীল দেশের জন্য ভাল নয়।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২১
বেওয়াকুফ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে তবু ও কেন যেন আমার মনে হয় মাঝেমাঝে যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তো ভুল করছে।তারা তো এই টাইপ কাজ গুলোর জন্য খুবই উপযুক্ত কয়েকজনকে নিয়োগ দিতে পারে।
সেটা করে তারা সহজেই ফ্যাকাল্টির উপর বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভাল পাবলিকেশন কিংবা সেমিনার করার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিতে পারে।আমার মতে এইটা ইউনি রেপুটেশনের জন্য ও ভাল।
আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেটা করার মত অবস্হা ও আছে;কিন্তু তারা সেটা করছে না।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২২
আশার আলো বলেছেন: কোথায় তুমি এখন ?
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৭
বেওয়াকুফ বলেছেন: ভাই আপাতত দেশেই আছি
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
রোবট ভিশন বলেছেন: আপনার কথা সত্য... পুরোটাই একমত... একি সাথে ক্লাশের বিভিন্ন রকম ঝামেলা আছে... তার সাথে খাতা দেখা, প্রশ্ন করা, হল ডিউটি দেওয়া, ল্যাবে থাকা সহ আরো অনেক কিছু। এইসব কিছু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু মেজাজ খারাপ হয় তখন , যখন, একটা সিম্পল অফিসিয়াল কাজের জন্য কোন ফাইল এডমিনিষ্ট্রেশন অফিসে যায়। নিজে না গেলে ওই ফাইল আর নড়বে না... তাই যখন ঐ অফিসে যেয়ে বলি, কেন দেরী হচ্ছে বা নড়ছে না কেন, তখন সেকশন অফিসার বা তার বস বলেন, নিজে না আসলে কি কাজ হয়?? আমি বলি, তাইলে আমার ক্লাশ সহ আরো যে সব একাডেমিক কাজ আছে ঐগুলো আপনি নিয়ে যান। আমি যা বললাম তা বেশির ভাগ পাব্লিক ইউনিভার্সিটির অবস্থা। বিশেষ করে, যারা নিচের দিকে মানে লেকচারার, তাদের অবস্থা আসলে খুবি খারাপ... আর বিশ্ববিদ্যলয়ে অফিসার গুলো ইদানিং তারা শিক্ষক এর সমান মান মর্যাদা চাইতেছে, যার ফলে একটা হজবরল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে... আমি দেখেছি, বাইরের বিশ্ববিদ্যলয়গুলোতে যেমন জাপান বা কোরিয়া তে, প্রফেসর মানে গডের পরেই যার অবস্থান। যাইহোক, আরো অনেক কথা বলতে গেলে শেষ হবে না...
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:১৯
বেওয়াকুফ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
আর বিশ্ববিদ্যলয়ে অফিসার গুলো ইদানিং তারা শিক্ষক এর সমান মান মর্যাদা চাইতেছে
এটা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতার সবচেয়ে হতাশাজনক দিকের একটা দিক,অন্তত আমার মতে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৬
দ্রোহ বলেছেন: 'করণিক' কি আদৌ ক্লারিকাল এর সঠিক বাংলা?

'ওয়াচ' থেকে 'জেনারেল'--->অভিনন্দন