নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনি পাতা দই.........

গড কখনই পাশা খেলতে পারেন না !!!

বেথুন

সেই-সব হেলাফেলা, নিমেষের লীলাখেলা চারি দিকে করি স্তূপাকার, তাই দিয়ে করি সৃষ্টি একটি বিস্মৃতিবৃষ্টি জীবনের শ্রাবণনিশার।

বেথুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতিয় মুভি দেশে আসুক “পেয়িং গেস্ট হিসেবে”। দখলদার হিসেবে নয়।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১১

আনেক দিন থেকেই আমারা দেশি TV চ্যানেল ভারতিয় TV চ্যানেল নিয়ে কথা বলে আসছি।

আমাদের আশা যে ওদের দেশে আমাদের টিভি চ্যানেল প্রচার করাতে পারলে হয়তো আমরা

একটা বাজার তৈরি করতে পারবো ওদেরদেশে।

এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি চ্যানেল ওদের দেশে প্রচার শুরু হয়নি।

এক ভাই এর পোস্টে হিসাব পেলাম তাতে বোঝা যাচ্ছে ওদেরই সব চ্যানেল ওরা দেখে শেষ করতে পারতেছে না।

এতই চ্যানেল বেড়ে গেছে ওদের দেশে !!!

এখন আবার ভারতে যে বিদেশি চ্যানেলই ঢুকছে সেটাতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রচুর ভারতিয় বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে।

সেই ভারত মিক্স বিদেশি চ্যানেল গুলোই আবার বিভিন্ন ফরেন দেশে প্রচার কার হচ্ছে। কেননা প্রচুর ভারতিয়

প্রবাশি রয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে।

বাংলাদেশে 1 কোটিতে খুজলে 2 জন ভারতিয় হয়তো বেরোবে।

অথচ বাংলাদেশে ভারতিয় চ্যানেলের অভাব নাই।

বাংলাদেশের 100% টিভি চ্যানেলের মধ্যে 70% বিদেশি চ্যানেল। 70% এর মধ্যে 40% ভারতিয় চ্যানেল।

বাকিটা পিওর ও ভারতিয় মিক্স বিদেশি চ্যানেল।

বাংলাদেশি চ্যানেল যখন ভারতে ঢুকবে তখন বাজার রক্ষার জন্য তাদের ভারতিয় রং ঢং এ মেতে উঠতে হবে।

ভারতিয় বিজ্ঞাপন দেখাতে হবে বেশি বেশি।

প্রচন্ড প্রতিযোগিতা করতে হবে টিকে থাকতে হলে। সেগুলো কী আমাদের চ্যানেলগুলো পারবে ????



এটা একটা ধারনার কথা বললাম। যাই হোক এখনও আমরা ওদের দেশে চ্যানেল ঢুকাতে পারি নি। আর আমাদের অনলাই চ্যানেল ব্যবস্থা নাই যে ওরা অনলাইনে দেখবে।

ভারতিয় রাজনৈতীকদের বলা হলে ওরা বলে চ্যানেল ডিসট্রিবিউটার কোম্পানির সাথে কথা বলুন।

আবার ডিসট্রিবিউটারদের বলা হলে ওরা বলে “আনেক আইন কানুন নিয়ম টিয়মের ব্যপার আছে, দেখছি কী করা যায়”।

ওরা কায়দা করে বলেই দিলো যে ওদের কোন আগ্রহ নাই।



ভারতিয় হিন্দি মুভি বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য ভারত সরকারের উঠেপড়া কোন আগ্রহ দেখি না।

বরং আমাদের দেশের কিছু হল মালিকদের বেশ আগ্রহ আছে।

কেননা তাদের হল চালাতে হবে কিন্তু মুভি নেই। তাই তারা আমদানির কথা ভাবছেন।

এদিকে আজকাল পশ্চিম বঙ্গ থেকে কিছু প্রডিউসার আর অভিনেতাদের আগ্রহ চোখে পড়ার মত।

তারা মুভি চালাচালি অর্থৎ আদান প্রদান করতে চাচ্ছে । জয়েন্ট প্রডিউস করে মুভি বানাতে চাচ্ছে।



এখন কথা হচ্ছে বাংলাদেশে এই সময়ে বেশ কিছু ভালো মুভি তৈরি হচ্ছে এবং প্রদর্শন হচ্ছে।

সবার প্রশ্ন: এই সময় ভারতিয় মুভি দেশে প্রদর্শন কতটা যৈক্তিক ???



কোলকাতার মুভির সাথে বলিউডের মুভির তুলনা চলে না।

কোলকাতা তাই তার মার্কেট প্লেস বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিচ্ছে।

দুই দেশেই বাঙালি আছে। মুভি চলবে।



এদিকে আবার আমাদের দেশে ভারতিয় মুভির গল্প কপি করে কিছু মুভি করা হচ্ছে।

যখন আমরা ভারতিয় মুভি প্রদর্শন বর্জনে সোচ্চার তখন কপি পেস্ট এর ব্যাপারটা দুঃখজনত।



আমি মনে করি ভারতিয় ছবি বাংলাদেশে এসে প্রথমেই সুবিধা করতে পারবে না।

কেননা সেন্সের বোর্ড এখনও অনেক দৃশ্যকে বাংলাদেশি হলে প্রদর্শনের উপযোগি মনে করে না।



আমরা যে কোন দেশের মুভি বাংলায় ডাবিং করে প্রদর্শন করতে পারি।

আবার দুইতিনটা ভাষার জন্যও মুভি তৈরিও করতে পারি।

শুধু ভারতের দিকে না তাকিয়ে বিশ্বের যেখানে বাঙালি আছে সেখানে মুভি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে পারি।



আমি মনে করি দুই বাংলার চলচ্চিত্র উন্নয়নের একটাই পথ। যৈথ নির্মান।

আর আমাদের চলচ্চিত্র উন্নয়নের মাথা ব্যথা আমাদেরকেই বহন করতে হবে।

অন্যের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে কিন্তু নির্ভর করা চলবে না।





সবশেষে বলবো লিমিটেড কিছু ভারতিয় মুভি দেশে আসুক “পেয়িং গেস্ট হিসেবে”। দখলদার হিসেবে নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.