নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আসসালামু আলাইকুম।
আমি কোন হোমড়া-চোমড়া ব্যক্তি নই। ১৮ কোটি বাংলাদেশীর একজন অতি নগন্য এবং ক্ষুদ্র হিস্যা। একটা বিশেষ বিয়োগান্তক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। কোন ভূল-ত্রুটি হলে আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
চিঠির বিষয়বস্তু অতি-সাম্প্রতিক একটি ঘটনা; চকবাজার ট্রাজেডি। লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই, আমি এটাকে দুর্ঘটনা বলছি না। ঠিক তাই; সত্যি বলতে এটা কোন দুর্ঘটনা নয়। একটি বিয়োগান্তক ঘটনা, যাকে একটা গণ-হত্যাকান্ডও বলা যায়। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, এটা আসলে কতোগুলো সীমাহীন দূর্ণীতিগ্রস্থ, লোভী মানুষের লোভের কাছে আত্মাহুতি দেয়া আরো কতোগুলো নিরপরাধ মানুষের গল্প, যাদের এভাবে মারা যাওয়ার কথা ছিল না।
ইতিহাস বেশী ঘাটাঘাটি করবো না। চকবাজারের এই ঘটনা ২০১০ এ নিমতলীতে ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনার একটা কপি মাত্র। এটাকে আপনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রায় এক দশকের একটা শীতনিদ্রাও বলতে পারেন। সেবারও তদন্ত কমিটি হয়েছিল, বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল। ফলাফল? এবারকার এই চকবাজারের ঘটনা। আমাদের জাতীয় সমস্যা হলো, আমরা সবকিছু অতিদ্রুত ভূলে যাই। ফলে, ভবিষ্যতে আবার একটা শীতনিদ্রার পর কর্তাব্যক্তিরা উঠে হয়তো দেখবেন আরেকটা ঘটনা। তারপর আবারও পুরানো নাটকের নতুন মন্চায়ন! এই ভিশাস সার্কেল থেকে জাতীকে বের করতে একমাত্র আপনিই পারেন।
অনেকেই বলেন, দেশে গনতন্ত্র নাই; কাজেই এসব অবশ্যম্ভাবী। আমি বলি না থাকলে নাই, ডিক্টেটরশীপ-ই সই; তাতে যদি দেশের সমস্যার সমাধান হয়......ক্ষতি কি? ডিক্টেটর বললাম দেখে আবার রাগ করবেন না যেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি কিন্তু এই ডিক্টেটরশীপ এর পক্ষে। এই বেয়াড়া জাতীকে, আমলাতন্ত্রকে, আর রাজনীতিকে সঠিক পথে আনতে আমাদের ডিক্টেটরশীপ-ই দরকার। তাছাড়া বিশুদ্ধ গনতন্ত্রের হ্যাপাও অনেক। স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় না, বিভিন্ন দিক সামলাতে সামলাতেই অনেক সময় চলে যায়। কাজেই একজন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকলে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া তথা দেশের উন্নতি করা সহজ হয়। বিশ্বে এমন উদাহরনও প্রচুর আছে। তবে হ্যা, শর্ত একটাই; ডিক্টেটরকে হতে হবে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। উপরে একজন সর্বশক্তিমান মালিক আছেন, যিনি গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের নিয়ন্ত্রক। তবে নীচে, বাংলাদেশের জন্য বর্তমানে আপনিই সেই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং নো অফেন্স, এটাকে......আই মিন, ডিক্টেটরশীপকে পজিটিভলি-ই দেখুন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সঠিক জায়গায় সঠিক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া খুবই জরুরী। না হলে আপনি লক্ষ্য অর্জনে কামিয়াব হবেন না। একটা উদাহরণ দেই। এই যে আপনি শাহজাহান খানের মতো একজন বিতর্কিত কমেডিয়ানকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ কমীটির সভাপতি বানালেন; কাজটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত? আপনার কি যোগ্য লোকের অভাব? আর এখন দেখেন, শিল্পমন্ত্রী বলে দিলেন, ওখানে কোন রাসায়ানিক পদার্থের গুদাম ছিল না! আপনার দরকার যোগ্য লোকের, যারা আসলেই কাজ করবে। ''মর্ণিং শো’জ দ্য ডে'' বলে ইংরেজিতে যে কথা আছে, তা তো এমনি এমনি বলা হয় না। এই লোকের কথা-বার্তাতেই পরিস্কার যে উনি দায়িত্ব সচেতন নন। কাজেই আরো ঝামেলা পাকানোর আগেই এনাকে বিদায় করে দেয়া উচিত। বাংলাদেশের আসলে এখন কোন কমেডিয়ানের দরকার নাই, দরকার গুটিকয় কাজের লোকের। এসব অযোগ্য লোকজন আর তোষামোদকারীদেরকে সরিয়ে একটু ভালো করে কান পাতুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। শুনতে পাবেন, দেশের মানুষ কি বলছে; তারা আসলে কি অবস্থায় আছে, কি চায়!!
আমি যদি ভূল না শুনে থাকি তাহলে যতোদূর জানি, আপনি ভবিষ্যতে আর প্রধানমন্ত্রী হতে ইচ্ছুক নন। যদি তাই হয়, তাহলে আমার সবিনয় অনুরোধ; এই টার্মে এমনকিছু করুন, যাতে করে বাংলাদেশের জাতী-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সাধারন মানুষ ভবিষ্যতে যখনই আপনার নাম নেবে, শ্রদ্ধায় মাথা নত করে যেন নেয়। আল্লাহ আপনাকে যে সুযোগ দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের কতোজনকে দিয়েছেন.......আপনিই চিন্তা করুন। এটা আল্লাহর তরফ থেকে একটা বিশাল নেয়ামত। তাছাড়া মৃত্যুর পর জবাবদিহিতার ব্যাপারও তো আছে, তাই না! আমি আরও শুনেছি, আপনি নিয়মিত পাচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন, ভোরে পবিত্র কোরান শরীফ তেলাওয়াত করেন। আল্লাহর প্রতি যার এতো শ্রদ্ধা, এতো ভক্তি, এতো আনুগত্য; তিনি কোন যুক্তিতে আল্লাহর দেয়া নেয়ামতকে অস্বীকার করবেন?
এখন সিদ্ধান্ত আপনার।
অকালে স্বজন হারানোর বেদনা আপনার চাইতে বেশী কয়জন বোঝে? আমরা সবাই জানি, মৃত্যু একটি অবশ্যম্ভাবী সাধারন ঘটনা। তাকে স্বাভাবিক নিয়মেই আসতে দিন। অনাকাংখিত মৃত্যু তো কারো কাম্য না। আপনি বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল করতে চাইছেন। প্রশংসা করার মতো একটা ব্যাপার। আপনার এই ইচ্ছাকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাতে চাই। কিন্ত মাননীয় দেশনেত্রী আপনি নিশ্চয়ই জানেন, তবুও বলছি। উন্নত বিশ্ব মানে কিন্তু কতোগুলো ফ্লাইওভার, ব্রীজ কিংবা স্কাইট্রেন অথবা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিই শুধু না। উন্নত দেশ মানে হচ্ছে, একই সাথে সাধারন মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় একখন্ডে নিরাপদে বাসায় প্রিয়জনদের কাছে ফেরার নিশ্চয়তা। আপনি হয়তো বলবেন, উন্নত দেশে কি কোন দূর্ঘটনা ঘটে না!! সবিনয়ে জানাই, জ্বী ঘটে; তবে সেগুলো আক্ষরিক অর্থেই দূর্ঘটনা। আর সেখানে জবাবদিহীতা থাকার কারনে এসব দূর্ঘটনার ফ্রিকোয়েন্সি সহ্যসীমা অতিক্রম করে না সহসা।
আপনার কিছুটা মুল্যবান সময় নিলাম, সে জন্যে দুঃখিত। তবে দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অভিভাবক আপনি; এই বিপুল জনসংখ্যার একজন হিসাবে এটুকু সময় তো আপনার কাছে দাবী করতেই পারি। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সত্যি সত্যিই বিশ্বের বুকে একদিন মাথা উচু করে দাড়াক, এই কামনা করছি।
আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, যাদের সীমাহীন লোভ, লালসা কিংবা অবহেলার কারনে এই ঘটনা, তাদের চিহ্নিত করুন। নিয়মিত শীতনিদ্রায় যাওয়া এসব সরীসৃপদের নিবৃত্ত করার সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। অতিদ্রুত এদের দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তি দিন, যাতে করে অন্যরা সাবধান হতে পারে। নয়তো এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি আপনি ঠেকাতে পারবেন না কখনও।
এ দাবী আমার, দেশের সমস্ত সাধারন মানুষের, নিহতদের আত্মীয়-পরিজনের। সর্বোপরি, পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া প্রতিটি মানবদেহের আত্মার। অন্যের অপরাধের বোঝা কেন আপনি শুধু শুধু নিজের কাধে তুলে নিবেন? কোন যুক্তিতে??
আপনি কি পারবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? আমার বিশ্বাস আপনি পারবেন, নিশ্চয়ই পারবেন। সর্বান্তঃকরণে এবং আন্তরিকভাবেই আপনার ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করছি।
বিনীত,
এদেশের একজন অতি সাধারন নাগরিক।।
ছবিঃ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম এর সৌজন্যে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেটাই..........যোগ্য লোক ছাড়া সমস্যার সঠিক সমাধান হওয়া তো সম্ভব না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন, আশা করি এই চিঠিটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হবে, এবং তখন আপনার সুপারিশ মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে অযোগ্যের তালিকায় আরেকজনকে যোগ করতে পারতেন, যিনি ক্ষমতার দম্ভে, ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে এমন পদক্ষেপ নিলেন যাতে আমাদের পরিচিতি হল পর্নো লেখক হিসাবে
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সামুকে পর্ণো সাইট আর আমাদেরকে পর্ণো লেখক হিসাবে পরিচিত করাতে পারলে তো তার লাভ। সেজন্যেই তো বলি, সঠিক জায়গায় সঠিক লোক দরকার।
এনার উদাহরনও দেয়া যেতো তবে চিঠির কন্টেন্টের সাথে ঠিকভাবে যায় না, তাই দেইনি। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে হয়তো লিখতে পারি; তাছাড়া অনেকেই অলরেডি লিখেছেনও।
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৮
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি পৌঁছাতে হলে এই নিচের নাম্বারে ফোন করে উনার ইমেইল এড্রেস জেনে নিন। এই নাম্বারটা ডাইরেক্ট নাম্বার- +88 01555 888 555
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চিঠিটা অসাধারন হয়েছে।
শুভকামনা জানবেন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩
যাযাবর চখা বলেছেন: চমৎকার চিঠি। প্রধানমন্ত্রী দেখলে ভালো হইত।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা কি আসল, নাকি ভুয়া চিঠি?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার শান্তি-ই আমার শান্তি!
কাজেই যেভাবে আপনি নিতে চান, নিতে পারেন।
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
আরোগ্য বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই আমাদের মত সাধারন মানুষের কাছে দেশের উন্নয়ন মানে জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা সবার আগে কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে উন্নয়ন মানে ব্রীজ, ফ্লাইওভার ইত্যাদি নির্মাণ করা।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবস্থার পরিবর্তন দরকার। নয়তো এমন মৃত্যু ঘটতেই থাকবে।
৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ইশ! আমি যদি পোধানমনতিরি হইতে পারতুম...
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হন.....মানা করছে কে????
৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর এবং সময়োপযোগী চিঠি । ++++
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।- কামনা করি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।
এটা হলে বেশীরভাগ সমস্যার এমনিতেই সমাধান হয়ে যাবে।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নিন।
১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম আজকাল মুশকিল আসান দেশে একজন ই ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার উপলব্ধি ১০০% সঠিক। সেজন্যেই ভাবলাম সরাসরি উনাকেই লিখি।
হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে কি লাভ?
১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫
জুন বলেছেন: চিঠিটি তার প্রাপকের কাছে বিনা বাধায় পৌছে যাক এই প্রত্যাশা রইলো ভুয়া মফিজ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার শুভকামনা পূর্ণতা লাভ করুক। বিনা বাধায় পৌছে যাক এবং এ্যকশান শুরু হোক......এটাই প্রত্যাশা!
১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "ভবিষ্যতে আর প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না", "ক্ষমতা চাই না" - এইসব কথা তো কবে থেকেই শুনছি। সব কথা গুরুত্ব দিতে নেই।
আপনার চিঠিও কোন ফায়দা বয়ে আনবে না।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কখন কিসে ফায়দা হবে বলা মুশকিল, হলেও হতে পারে। না হলেও ক্ষতি নাই।
তবে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে যে কোন ফায়দা নেই, এটা সুনিশ্চিত।
১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৪
বেঙ্গল রিপন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল ই-মেইল এড্রেস হলো- [email protected]
আপনার লিখাটা মেইল করে দিন।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ইমেইল এডেসে হলো- [email protected]
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেইল না করি, লেখাটা বরং এখানেই থাক।
বাই এনি চান্স, প্রধানমন্ত্রী যদি লেখাটা এখানে পড়েন তাহলে উনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন যে, এটা কোন পর্ণো সাইট না; বরং এটা একটা সাহিত্য চর্চার ফোরাম; যেখানে পাঠকই লেখক আর লেখকই পাঠক। কি বলেন?
কষ্ট করে ই-মেইল এড্রেস দু'টো দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ব্যবসায়ী নামক কসাইগুলো সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করছে, কেমিক্যাল গোদাম সরানোর প্রতিবাদ করছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ জন্যেই তো বলেছি, এই বেয়াড়া লোকজনকে লাইনে রাখার জন্য ডিক্টেটরশীপ দরকার! লাঠির বাড়ি না খেলে এগুলো সোজা হবে না।
১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
চিঠিটা সুন্দর।
বেশ কৌশলী ঢংয়ে লেখা।
আন্তরিকতার ছোঁয়া মেশানো।
বেশি ভালো লেগেছে ডিক্টেটরশীপের ব্যাখ্যাটা।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাজার হলেও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা। প্রতিটা শব্দ চিন্তা-ভাবনা করে লিখতে হয়েছে।
ডিক্টেটরশীপের ব্যাখ্যাটা কিন্তু শুধু বলার জন্যই বলা না, এটা আসলেই আমার মনের কথা।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
নীলপরি বলেছেন: খুব মানবিক লেখা । সুন্দর লিখেছেন ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি মানবিক দেখেই বুঝতে পেরেছেন, এই বুঝতে পারাটাও একটা বিশাল ব্যাপার আমার কাছে।
অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
সামিয়া বলেছেন: বেশ আবেগপ্রবন চিঠি, হৃদয় নাড়িয়ে দিলো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি এমনিতে আবেগকে খুব একটা প্রশ্রয় দেই না। কিন্তু এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটা আমাকে খুবই আবেগপ্রবন করে দিয়েছে। ব্যবসায়ী, প্রশাসন সবাই যে যার স্বার্থ দেখছে। সাধারন মানুষের জীবন এদের কাছে কিছুই না!
কেমন মানুষ এগুলো!!!
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পোস্টে অথবা মেইল করে উনাকে পাঠান। ব্লগে কাজ নাও হতে পারে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১৩ নং মন্তব্যে উত্তরে বলেছি, বাই এনি চান্স, প্রধানমন্ত্রী যদি লেখাটা এখানে পড়েন তাহলে উনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন যে, এটা কোন পর্ণো সাইট না; বরং এটা একটা সাহিত্য চর্চার ফোরাম; যেখানে পাঠকই লেখক আর লেখকই পাঠক।
জানেন তো নিশ্চয়ই, ব্লগের উপর এক মন্ত্রীর শনির দৃষ্টি পড়েছে! সেজন্যেই এখানে রাখতে চাচ্ছি।
১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯
সামিয়া বলেছেন: যতই দিন যাচ্ছে মানুষ নিজেকে ছাড়া নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না। মানুষ নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম হচ্ছে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, নিজেকে সমাজের উঁচু জায়গায় নিয়ে যেতে, নিজেকে জাহির করতে, অথবা কোন কারন ছাড়াই মানুষের অপরের কষ্টেই সুখ। এমনকি অপরের মৃত্যুতে ও ।।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। চমৎকার উপলব্ধি আপনার!
এখনই লাগাম টেনে না ধরলে সামনে আরো ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। ভাবতেই ভয় লাগে।
২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০২
নতুন বলেছেন: এই টার্মে এমনকিছু করুন, যাতে করে বাংলাদেশের জাতী-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সাধারন মানুষ ভবিষ্যতে যখনই আপনার নাম নেবে, শ্রদ্ধায় মাথা নত করে যেন নেয়। আল্লাহ আপনাকে যে সুযোগ দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের কতোজনকে দিয়েছেন.......আপনিই চিন্তা করুন।
এই বিষয়টা উনাকে ব্যক্তিগত ভাবে বলা দরকার।
দেশে আইনের শাসন আর দূনিতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে যেই ঝড় উঠবে সেটা সামাল দিতে যা দরকার তা শেখ হাসিনার আছে। অন্য নেতারা পারবেনা। তাই এই সুযোগটা উনার নেওয়া উচিত। তবে সবাই শেখের বেটি হিসেবে তাকে মনে রাখবে নতুবা তিনিও অন্য বাকি নেতার মতন ভুলে যাবে জনগন।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে আইনের শাসন আর দূনিতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে যেই ঝড় উঠবে সেটা সামাল দিতে যা দরকার তা শেখ হাসিনার আছে। অন্য নেতারা পারবেনা। তাই এই সুযোগটা উনার নেওয়া উচিত। অত্যন্ত সত্যি কথা বলেছেন।
এই বিষয়টা উনাকে ব্যক্তিগত ভাবে বলা দরকার। বললে কাজ হবে বলে মনে হয় আপনার?
২১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
নতুন বলেছেন: মানুষ অনেক কিছুতেই মটিভেটেট হতে পারে, হয়তো তাকে এই বিষয়টা এমন ভাবে বলেনাই।
চেস্টা করলে একটা না একটা উপায় বের হয়।
২৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আর কিভাবে বলবো....বড়জোড় ই-মেইল করতে পারি।
মানুষ অনেক কিছুতেই মটিভেটেট হতে পারে, হয়তো তাকে এই বিষয়টা এমন ভাবে বলেনাই। এটা অবশ্য মন্দ বলেন নাই। উনার চারিদিকে তো শুধু চাটুকার। আসল কথা কেউ বলে, বলে তো মনে হয়না!
২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭
সোহানী বলেছেন: সেই সময়ে অনেক কষ্টের লিখার ভীড়ে আপনার লিখাটি পড়েছিলাম।
মফিজ ভাই, আপনার যা চাওয়া সেটা আমার মতো আরো কোটি খানেক বাঙ্গালীর চাওয়া কিন্তু এটি কোনভাবেই হবার নয়। হাঁ, নীমতলির সে আগুনের মাঝে আমি ও ছিলাম। যদিও কিছুটা নিরাপত্তায় ছিলাম বলে ডাইরেক্ট আঁচ না লাগলেও তার ছোঁয়ায় ছিলাম। আর বেশ কিছু সময় পুরোন ঢাকায় ছিলাম বলে বলছি যা বলেছেন বা চেয়েছেন তা এক কথায় কঠিন চাওয়া। এটির একটি দাবী পুরোন করতে হলে হাজার হাজার সংস্কার জরুরী। তারচেয়ে ও দরকার ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করা। কম করে চার ভাগের তিনভাগ লোক যদি সরাতে পারে তবেই একটি একটি করে পদক্ষেপ পুরোন সম্ভব। পুরো ঢাকার লোকবল কমিয়ে, এর অর্ধেক পুরোনো বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপে যেতে হবে।......... তাছাড়া এর কোনই বিকল্প নেই।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সদিচ্ছা থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব, না থাকলে কিছুই সম্ভব না। আমি পুরানো ঢাকারই মানুষ। আমি জানি, আমার চাওয়া পূরণ করা কঠিন, তবে অসম্ভব না। এ‘ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে অনেক প্রস্তাবনা সরকারকে দেয়া হয়েছে। নগরবিদরা দিয়েছেন, পুরানো ঢাকার মানুষজন দিয়েছেন। কিন্তু কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।
অন্তত রুল অফ ল বা আইনের শাসন যদি প্রতিষ্ঠা করা যায়; ক্যামিক্যাল গোডাউন যদি সরিয়ে ফেলা যায়, ওয়েল্ডিংসহ অন্যান্য কারখানা যারা গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য ক্যামিক্যাল ব্যবহার করে, তাদেরকে সরিয়ে ফেলা যায়, তাহলে দুর্ঘটনার মাত্রা অনেক অনেক কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
একটা উদাহরন দেই, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরের ফলে সেখানে যে বিশাল জায়গা খালি হচ্ছে/হবে....সেখানে কি করা উচিত বলে মনে করেন? এ‘ব্যাপারে কিন্তু সরকারের স্ট্যানস পরিস্কার না। একেক সময়ে একেক কথা বলে। শেষমেষ যা করবে, তা আমি নিশ্চিত পুরানো ঢাকার মানুষজনের পক্ষে যাবে না।
পুরানো একটা পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। দু‘টা দুঃখের কথা বলে মন হাল্কা করলাম, তাই বা মন্দ কি!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর চমৎকার চিঠি।
আপনার একটা পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ন সেটা হলো আমাদের দেশে যোগ্যপদে যোগ্য লোক নেই।