নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসাঃ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

১৪ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৪



মাদ্রাসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগে বিভিন্ন লেখা এসেছে অতীতে, ভবিষ্যতেও আসবে; আসতেই থাকবে। কারন এটা এমন একটা বিষয় যেটা কয়েকদিন পর পরই আলোচনার দ্বার খুলে দেয় আর উৎসাহীরা পক্ষে বিপক্ষে ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু কেউই সম্ভবতঃ আসল বিষয়গুলোর ধারে কাছে যায় না, কেবলই আশ-পাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করে। এটা কি জ্ঞান-বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা নাকি দৈন্যতা? স্পর্শকাতর বিষয় বলে হাল্কার উপরে ঝাপসা কিছু কথা বলে মূল বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া; নাকি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে শ্রেণী বৈষম্য জাকিয়ে বসে আছে সেটাকে জাগিয়ে রাখার সীমাহীন অপচেষ্টা........….কোনটা? তো, বিভিন্ন সময়ে অনেকের ঝাপানো দেখে ভাবলাম আমিও একটা ঝাপ দেই। এই ঝাপের ফলে দেহের কলকব্জায় কোন চিড় ধরে কিনা সেই ভাবনা না হয় আপাততঃ শিকেয় তোলা থাক!

মোটা দাগে বাংলাদেশে তিন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত। বাংলা মিডিয়াম, ইংলিশ মিডিয়াম আর মাদ্রাসা। যতোদূর জানি, তিনটাতে ভিন্ন ভিন্ন তিন ধরনের কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। যে কোনও শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্যই হলো, শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনের জন্য তৈরী করা; এবং অতি অবশ্যই তাকে বর্তমান বিশ্বে বিচরণের উপযোগী করে গড়ে তোলা। সেক্ষেত্রে বাংলা বা ইংলিশ মিডিয়াম মূল স্রোতে সহজভাবে মিশতে পারলেও মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা পিছিয়ে পড়ছে। এদেরকে সমাজের মূলধারা থেকে আলাদা করে দেয়া হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। এই যে বৈষম্য সমাজে তৈরী করা হয়, সেটা কি আদতে কোন সুফল বয়ে আনে? একটা বিশাল সংখ্যার তরুণ জনশক্তির কি নিদারুণ অপচয়!! যে কোনও চাকুরী বা পেশাগত জীবনে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা প্রতিযোগিতায় অন্য দুই স্রোতের তুলনায় পিছিয়ে থাকে। একইভাবে বলা যায়, বাংলা মিডিয়ামে শিক্ষিতরাও ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষিতদের তুলনায় কিছুটা হলেও পিছিয়ে থাকে। এই সমস্যার উপরে বিস্তারিত আলোকপাতের আগে চলুন মাদ্রাসা শিক্ষার কিছু ফ্যাক্টসের উপর একটু চোখ বুলাই।

দেশে বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসা রয়েছে। যেমন, আলীয়া (সরকার অনুমোদিত), কওমী (স্বায়ত্বশাসিত)। এ'ছাড়াও নূরানী, ফোরকানিয়া বা হাফিজিয়া এবং ক্যাডেট মাদ্রাসা রয়েছে যেগুলোর কোন সরকারী স্বীকৃতি কিংবা নিয়ন্ত্রণ নাই। এগুলোর বাইরে বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আরেকটা নয়া ধারা দেশে প্রবর্তিত হয়েছে, দারুল আরকাম। দেশে প্রকৃতপক্ষে ঠিক কতোগুলো মাদ্রাসা আছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নাই। তবে সব মিলিয়ে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হবে আনুমানিক ছয় থেকে আট মিলিয়নের মতো। বর্তমান বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রীর বৃহদাংশের ভবিষ্যৎ যাত্রাপথ যে মোটামুটি অনিশ্চয়তায় ভরা, সেটা বলার কোন অবকাশ নাই। আরেকটা সমস্যা হলো, মাদ্রাসা শিক্ষার এই প্রতিটা ধারাই শুধুমাত্র নিজেদেরকেই ইসলামী শিক্ষা-দীক্ষা আর সংস্কৃতির একমাত্র ধারক ও বাহক মনে করে। এনারা বেশীরভাগ বিষয়েই একে অন্যের ধার ধারেন না। ফলে কোন সমস্যা সামনে আসলে সেটার সমাধান হওয়ার চাইতে আরো জটিল আকার ধারন করে। এসব থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায় আছে। সেটা হলো, একটা সমন্বিত জাতীয় কারিকুলামের প্রবর্তন।

এখানে একটা প্রাসঙ্গিক বিষয় না বলে পারছি না। বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী মেনিফেস্টোর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অঙ্গ-সংগঠন ইসলামিক ফাউন্ডেশান বাংলাদেশের অধীনে ১,০১০টি নতুন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এগুলোই দারুল আরকাম মাদ্রাসা নামে পরিচিত। এটা বর্তমানে পন্চম শ্রেণী পর্যন্ত থাকলেও এটাকে পর্যায়ক্রমে মাস্টার্স পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তবে দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো, সরকার প্রবর্তিত মাদ্রাসা শিক্ষার এই নতুন তৃতীয় ধারাটা বর্তমানের জটিল এবং ঝামেলাপূর্ণ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো জটিলতর করে তুলবে। দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা কতোটা জটিল এবং পশ্চাদপদ সেটা জানতে আগ্রহীরা চাইলে Faith and education in Bangladesh: A review of the contemporary landscape and challenges পড়ে দেখতে পারেন।

পাগলের জট-পাকানো চুলের মতো এই যে আমাদের জট পাকানো শিক্ষা ব্যবস্থা, এর পেছনের কারন খতিয়ে দেখারও প্রয়োজন আছে। ক্ষমতাসীনদের কেন এই জট খোলার ব্যাপারে কোন আগ্রহ থাকে না, বরং জট আরো বেশী করে পাকান? জাতি শিক্ষা-দীক্ষায় দূর্বল হলে একচ্ছত্র ক্ষমতালোভী ক্ষমতাসীনদের যে লাভ হয়, সেটা একটা প্রমাণীত সত্য। এটা বোঝার জন্য একজন রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নাই।

এবার একটা উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে চোখ ফেরাই। পৃথিবীর সব উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে, ধারনা করি….…এগুলো মোটামুটি একই ধরনের। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় কারিকুলাম বা পাঠ্যক্রম হলো ইংলিশ কারিকুলাম। বিলাতে ১৯৮৮ সালে সংবিধিবদ্ধ জাতীয় কারিকুলাম চালু করা হয়। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো, সব শিক্ষার্থীর জন্য একই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা যাতে করে শিক্ষাকালীণ সময়ে কোন ধরনের বৈষম্য কিংবা অসামন্জস্যতা না থাকে। জাতীয় পাঠ্যক্রমটি শিক্ষার্থীদের মূল জ্ঞানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যা তাদের শিক্ষিত নাগরিক হওয়ার জন্য অপরিহার্য। এর লক্ষ্য হলো, কঠোরভাবে শিক্ষার উচ্চমানকে বাস্তব রুপ দান করা। বাস্তব দুনিয়া আর স্কুলে যা শেখানো হয় তার মধ্যে একটা যোগাযোগ স্থাপন করা। সর্বোপরি, এটা নিশ্চিত করা যে, সমস্ত শিশুকে মূল বিষয়গুলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে।

এখন সময় এসেছে (একটু ভুল বললাম, ''সময়'' বহু আগেই এসেছে; দরজায় দাড়িয়েও আছে তাকে সাদর অভ্যর্থনার অপেক্ষায়। করা হয় নাই। তারপরেও…...বেটার লেইট দ্যান নেভার!!), আমাদের দেশেও একটা সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার। একটা ''জাতীয় কারিকুলাম'' চালু করা বর্তমানে সময়ের দাবী, যেটা ইংলিশ মিডিয়াম, বাংলা মিডিয়াম কিংবা মাদ্রাসা, সবাই অনুসরন করবে, আর আস্তে-ধীরে সবাইকে একীভূত করবে। ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা এই কারিকুলামের ইংলিশ ভার্সান পড়বে। সব শ্রেণীতেই একটা আলাদা বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা দরকার (ফোর্থ সাবজেক্টের মতো)। এতে করে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় জ্ঞানের উপরে একটা আলাদা কোর্স করতে পারবে। এখানে লাভ যেটা হবে, সেটা হলো ধর্ম বিষয়ক মুখস্থ বিদ্যার উপর ফোকাস না করে বিষয়বস্তুকে আত্মীকরণ করা। অন্যরাও তাদের পছন্দমতো একটা বিষয় বেছে নিবে। এটা কার্যকর থাকবে এইচএসসি পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক স্টাডিজ বা ইসলামের ইতিহাসের মতো সাবজেক্ট এমনিতেই চালু আছে। প্রয়োজনে আরো নতুন নতুন বিষয় চালু করা যেতে পারে, যাতে করে যারা ধর্মীয় কোন নির্দিষ্ট ধরনের উচ্চশিক্ষা নিতে চায়, নিতে পারে। আর এ‘জন্যে প্রয়োজন শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো আর একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা যার মধ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ সুবিধার পর্যাপ্ততা থাকবে। মোট কথা, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া এটা কোনভাবেই সম্ভবপর হবে না। তবে, আমাদের বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার একটা নমুনা আগেই উপস্থাপন করেছি, আরেকটা নীচে দেখেন। এই মানসিকতার পরিবর্তন খুবই প্রয়োজন।


Government expenditure on education, total (% of GDP) - South Asia

আমাদের দেশটাকে বা আরো নির্দিষ্ট করে বললে ঢাকাকে সময়ে সময়ে আমাদের কর্তাব্যক্তিরা সিঙ্গাপুর, লন্ডন, প্যারিস, লস এন্জেলেস ইত্যাদি নগরীর সাথে তুলনা করেন; সম্ভবতঃ এটা বর্তমানের তথাকথিত অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারনে। যদিও এসব শহরের সাথে তুলনাটা হাস্যকর, তারপরেও তেনারা করেন। কেন করেন বা এটা করে কোন ধরনের আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, আমার জানা নাই। তাহলে এসব শহর যে সব দেশে অবস্থিত, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে আমাদেরটার তুলনা করাটাও যুক্তিযুক্ত, নয় কি? কারন একটা জাতির আসল উন্নয়নই তো হয় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে। আচ্ছা, বাদ দেন উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনার এইসব হাবিজাবি কথা। আপনারা বরং উপরে দেয়া আমাদের আশেপাশের দেশগুলো শিক্ষাখাতে তাদের জিডিপি'র কতোভাগ ব্যয় করে, সেটার তুলনামূলক চিত্রটা আরেকবার দেখেন। অবশ্য এটা না দেখেও চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় যে, বাংলাদেশের অবস্থান তলানীতেই হবে!!!

দেশের যে কোনও অনাচারের ঘটনা সামনে আসলেই সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ব্লগে রব উঠে এই বলে যে, এই অধঃপতিত জাতি বা সমাজ থেকে আমরা আর কি আশা করতে পারি…….ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু পিছনের কারনটা কেউ খতিয়ে দেখেন না। এটা নিয়ে ব্লগে বহুবার বলেছি, পোষ্টও দিয়েছি। তারপরেও কতিপয় মানব সন্তানের ঘুম ভাঙ্গে না। কেন? উনাদের কি জানা নাই, বান্দরের হাতে একে-৪৭ রাইফেল দেয়া আর অশিক্ষিত জনগোষ্ঠির হাতে স্মার্টফোন দেয়া একই কথা!! জাতি কাকে অনুসরণ করবে? জাতির মাথা বা বিবেককে, তাই না? তাহলে এটাও তো ভাবা দরকার যে এই মাথা বা বিবেকদের কাছ থেকে সাধারন জনগন কি শিখছে? মন্ত্রী, বিচারক, পুলিশ, সরকারী কর্মকর্তা…….এনারা যদি ট্রাফিক আইন অমান্য করে রাস্তার উল্টাদিকে গাড়ি ছোটান, তাহলে সাধারণ মোটর সাইকেল চালকরা তাদের বাইক ফুটপাথে তুলতেই পারে; সেটাই তো স্বাভাবিক!! প্রকৃত শিক্ষার অভাবেই সমাজে এ'ধরনের বিশৃংখলা ঘটে। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে শুধুমাত্র গেল গেল রব তুলে কোটিবার চিৎকার করলেও কোন লাভ হবে না। বরং উত্তোরণের সঠিক পথ নিয়ে যদি আলোচনা করি, তাহলে কিছু হলেও হতে পারে।

জাতিকে সঠিক পথে আনতে আইনের শাসন দরকার। যথাযথ আইনের যথাযথ প্রয়োগ দরকার। জাতির সামনে রোল মডেল দরকার যার বা যাদের কাছ থেকে আপামর জনসাধারণ অণুপ্রেরণা লাভ করবে, দেশপ্রেমের দীক্ষা পাবে। আর সর্বোপরি বৈষম্যমূক্ত একটা সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার যা কিনা জাতিকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবে। আমাদের জাতির কাছে এর কোনটা আছে? সচেতনতা কি আসমান থেকে পড়বে? কতিপয় আদম সন্তানের কি আজব মেন্টালিটি!!!

কোন রকমের দূরদর্শী নেতৃত্ব ছাড়া দুনিয়াতে কবে কোন জাতি নিজে নিজে ঠিক হয়েছে? উদাহরন আছে কোন? কারো কাছে থাকলে আওয়াজ দিবেন দয়া করে, তারপরে না হয় সাধারন জনমানুষের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করবেন।

সমালোচনার একটা বেসিস তো থাকতে হবে, নাকি!!!

শিরোনামের ছবিসূত্র।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
কষ্ট করে অনেক ভূয়া কথা লিখেছেন। কিন্তু এসব ভূয়া কথায় কি সার্বিক পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে? গেনীরা কি আপনার এসব ভূয়া কথা আমলে নেবে বলে মনে করেন? নাকি আপনার এসব ভূয়া কথা ব্লগে চলমান জটিল পরিস্থিতি আরো জটিল করবে?

কারণ, এমন পোস্ট যাদের উদ্দেশ্য দিচ্ছেন, আপনার কথা মত তাদের হাতে একে-৪৭ তুলে দিচ্ছেন =p~

এবার দেখি রকেট সাইনটুসটরা কি পাল্টা হামলা করেন :P

১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে......এইটা কোন ক্যাচাল পোষ্ট না, সচেতনতাবৃদ্ধি মূলক পোষ্ট। আপনের উদ্দেশ্য ভালো না, আইছেন ক্যাচাল লাগাইতে। মনে রাখবেন, গেয়ান বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই। :P

২| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

কাছের-মানুষ বলেছেন: দারুন এবং যুগপযোগী পোষ্ট, একমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থা ছাড়া কোন গতি নাই! এইচ এস সি পর্যন্ত সব একই পড়বে ইউনিভার্সিটিতে কেউ ইসলামিক সাবজেক্ট, কেউ জেনারেল সাবজেক্টগুলো পড়ুক, এই আলোচনাগুলো আমরা অনেক বাঙ্গালিরাও করে থাকি আড্ডায় তবে এগুলো ফেইসবুকে নিজের পোষ্টেও কেউ বলতে সাহস পায় না কেউ! সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে রাস্তায় আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন!

আপনার এই পোষ্টটি আলেম সমাজ দেখলেও ধর্ম গেল বলে রাগে থর থর করে কাপতে থাকবে! তবে সরকারও যে বুঝে না তা না, তবে আমার মনে হয় সাহসের অভাবে করতে পারে না! বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে!

১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে কোনও পরিবর্তনই একদিনে করা সম্ভব না, বিশেষ করে এই ধরনের স্পর্শকাতর পরিবর্তন। এগুলো করতে হয় ধীরে ধীরে। সরকার সেই পদ্ধতি জানে, কিন্তু তাদের নিয়্যতই হলো খারাপ। দেখেন না, নিজেরাই মাদ্রাসা শিক্ষার আরেক শাখা খুলছে!!!

তাদের মূল লক্ষ্যই হলো, সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা; যাতে করে দুই নাম্বারী কাজগুলো নির্বিঘ্নে করা যায়। সরকারের সাহস আছে, সদিচ্ছা নাই।

৩| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: পড়লাম, বুঝতে চেষ্টা করলাম।

১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চেস্টা জারী রাখেন, একদিন না একদিন সাফল্য আসবেই!!! =p~

৪| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসা জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
মাদ্রাসার শিক্ষা দিয়ে ভালো কোনো কাজ পাওয়া যাবে না। বড়জোর মসজিদে আযান দিবে, কেউ মারা গেলে কোরআন খতম দিবে অথবা মাদ্রাসায় বাচ্চাদের পড়াবে।

আমাদের দেশে প্রচুর মাদ্রাসা।
কারন আমাদের দেশের বেশির ভাগ বাবা মা দরিদ্র। তাই ছেলেমেয়েকে মাদ্রাসায় দিয়ে দেয়। অনেক বাবা মা ধর্মের কারনে সন্তানকে মাদ্রাসায় দেয়। সরকারের উচিৎ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া, অথবা মাদ্রাসায় শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন করা। আমার ওস্তাদ তো একটা কথা সব সময় বলেন, জাতির কাছে যে পরিমান সম্পদ আছে, জাতি সুন্দর ভাবে তা দিয়ে চলতে পারে। শিক্ষা ব্যবস্থা ফ্রি করে দেওয়া দরকার।

আপনি আপনার পোষ্টে অপ্রয়োজনীয় কথা বেশি বলেছেন। দরকারী কথা কম বলেছেন।

১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাদ্রাসা না, আপনার পেয়ারের সরকার জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আর ওস্তাদের চামচামী অন্য পোষ্টে গিয়ে করেন, এইটা সঠিক জায়গা না।

আরেকটা কথা। আপনার ব্রেইনের প্রসেসর খুবই স্লো। এটা দিয়ে শুধুমাত্র শ্যালো চিন্তা-ভাবনা করা সম্ভব। প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় কথার ফারাক বোঝা সম্ভব না। ভালো কথা, আপনার ব্রেইন বিক্রির যেই উপদেশ দিলাম, তার কি করলেন? কাস্টোমার পাওয়া গেল? চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি।:-B

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

জটিল ভাই বলেছেন:
১নং এবং ৪নং মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়ে বুঝতে পারলাম যে গরীবের কথা বাসি হলে ফলে :P
বাই দ্যা ওয়ে, যদি আপনাকে বলা হয় আপনি নিজের ব্রেইন উহার ব্রেইনের সঙ্গে একচেঞ্জ করতে পারবেন তবে আপনি বিষয়টিকে কিভাবে দেখবেন? =p~

১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে গরীব এইটা ক্যাডায় কইলো? আমি তো জানতাম, আপনে শুধুই জটিল!!! ;)

বাই দ্যা ওয়ে, যদি আপনাকে বলা হয় আপনি নিজের ব্রেইন উহার ব্রেইনের সঙ্গে একচেঞ্জ করতে পারবেন তবে আপনি বিষয়টিকে কিভাবে দেখবেন? =p~ সেইটা ফেয়ার হবে না। ওইটা মোটামুটি অব্যবহৃত, প্রায় নতুনের মতোন; আর আমারটা অতি-ব্যবহৃত, পুরান মাল!!! =p~

৬| ১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

জটিল ভাই বলেছেন:
হেহেহেহে.... উহা বলিতে কিন্তু আমি উহা নয়, সত্যিকারের উহার কথা বুঝাইয়াছি! =p~
আপনি যে উহার কথা বুঝিলেন তাহার সাথে তুলনা যে ফেয়ার নয়, উহা আমিও বুঝি :P

১৪ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের ইঙ্গিত আগেই বুজছি............কোন ক্যাচালে যাইতে চাই না আপাততঃ! নিজগুনে বুইঝা লন!!! :-B

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: জনগনকে পঙ্গু করে রাখতে হলে সবচেয়ে আগে দরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধংশ করা। মিডনাইট ইলেকশনের সরকার টিকায়ে রাখতে দরকার বোবা কালা পঙ্গু জনগন।

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জনগনকে পঙ্গু করে রাখতে হলে সবচেয়ে আগে দরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধংশ করা। কোন সন্দেহ নাই। দেশ আস্তে আস্তে সেদিকেই আগাচ্ছে।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

আমি সাজিদ বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লেখেছেন। রিভিউ পেপারটা ডাউনলোড দিলাম। সময় করে পড়বো।

১৪ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রিভিউ পেপারটা ডাউনলোড দিলাম। এটা একটা ভালো কাজ করেছেন। সম্পূর্ণটা পড়ে আপনার একটা রিভিউ পোষ্ট করতে ভুলবেন না। এটা নিয়ে আরো আলোচনার দরকার আছে।



৯| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ব্লগে নাম হচ্ছে- ভূয়া মফিজ।
নামের সাথে আপনার লেখা ও মন্তব্যের একটা সম্পর্ক আছে।
ভূয়া ও মফিজ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব না আপনার।
আপনি ফেঁসে গেছেন।
মায়া লাগে, আফসোস হয়।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার প্রতি আপনার এই সহানুভূতি আমি হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করছি.......এরশাদ চাচা!!! =p~

১০| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: যত তাড়াতাড়ি বন্ধহয় এই আপদ,ততই দেশ ও জনগনের জন্য মঙ্গল।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে খুব শীঘ্রই কোন খুশীর খবর দিতে পারছি না.......দুঃখিত!! ;)

১১| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: সকালেই পড়েছিলাম মন্তব্য করতে পারিনি।
আপনি বলেছেন, কোন রকমের দূরদর্শী নেতৃত্ব ছাড়া দুনিয়াতে কবে কোন জাতি নিজে নিজে ঠিক হয়েছে? উদাহরন আছে কোন?
সম্ভবত নেই কিন্তু আমরা সব তত্ত্ব আর ইতিহাসকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দুই-চারশ বছরের মধ্য অবশ্যই ঠিকঠাক হয়ে যাব।

আহা আপনি আমরা মরে ভবিষ্যতে ভুত হবার পরে কথাগুলো ভুল প্রমাণিত হবে বলে, সেই লাইগ্যাই 'মায়া লাগে-আফসোস হয়' :)

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সম্ভবত নেই কিন্তু আমরা সব তত্ত্ব আর ইতিহাসকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দুই-চারশ বছরের মধ্য অবশ্যই ঠিকঠাক হয়ে যাব। হয়তো। বাংলাদেশে সবই সম্ভব। B-)

আহা.......আপনেরও মায়া লাগে, আফসোস হয়? কিন্তু কার জন্য?

১২| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মাদ্রাসা ব্যবস্থার সংস্কারের পক্ষে। বন্ধ করার পক্ষে না। ধর্মীয় একটা শিক্ষার পথ থাকুক এটা আমি চাই। যার ইচ্ছে হবে সে এই লাইনে যাবে। যার ইচ্ছে হবে সে যাবে না। অনেক দরিদ্র শিশু বাধ্য হয়ে মাদ্রাসায় পড়ে এটা ঠিক। সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়া উচিত।

প্রথমে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু সমালোচনা করি তারপর ভালো দিকগুলি বলবো।

মাদ্রাসায় যৌন নির্যাতন, অমানুষিক মারধোর, দুর্নীতি এগুলি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাক্রম আরও উন্নত করতে হবে।

এবার ভালো দিকগুলি বলি;

১। বেকারের হার মাদ্রাসা ব্যবস্থার চেয়ে সাধারণ শিক্ষায় বেশী। মাদ্রাসার ছেলেরা বসে থাকে না। ছোট ব্যবসা বাণিজ্য বাঁ ছোট কাজ করতে এদের কোন বাঁধে না। কিন্তু বি এ, এম এ, এম বি এ পাস ছেলে মেয়েরা সাদা কলার চাকরী ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করতে পারে না। বেশ কয়েক বছর আগে একটা পরিসংখ্যান অনুযায়ী (ব্রিটিশ পত্রিকা ইকোনোমিষ্টের একটা প্রতিবেদনে এসেছিল। লিঙ্কটা দিতে সমস্যা হচ্ছে) বাংলাদেশের স্নাতক ডিগ্রিধারী ৪৭% ছেলেমেয়ে বেকার। চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীর বেকার হওয়ার হার প্রায় ১৪%। বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যার কথা মাদ্রাসাতে শোনা না গেলেও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় হয়। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দুই হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪০ হাজার ৫৬৫ জন ছাত্র। এর মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৮৭৪ জন পাস করেন এবং প্রথম হন মাদরাসাছাত্র আব্দুর রহমান মজুমদার। একই বছর তিনি ‘ঘ’ ইউনিটেও প্রথম হন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও তিনি সর্বাধিক নম্বর পান। সে বছর ঢাবির মেধাতালিকার প্রথম দশজনের তিনজনই মাদরাসাছাত্র। যেখানে ৩৫ হাজার ২৮০ জন ছাত্র ফেল করেছে, সেখানে প্রথম দশজনের তিনজনই মাদরাসাছাত্র। অনেক বছরেই এই রকম দেখা যায়। মাদ্রাসার ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষায় ভালো করছে।

২। মাদরাসার শিক্ষাক্রমে (সিলেবাস) বিজ্ঞান এবং গনিত থাকে। অনেকের ধারণা এরা শুধু আরবি পড়ে।
৩। মাদকের ছোবল মাদ্রাসাগুলিকে গ্রাস করতে পারে নি। কিন্তু বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক একটা বড় সমস্যা।
৪। মাদ্রাসায় অনেক ধনির সন্তান পড়ে। এছাড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে পড়ে। অনেকের ধারণা মাদ্রাসায় শুধু গরীব বাচ্চারা পড়ে।
৫। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘গ্লোবাল টিচার্স প্রাইজের’ জন্য মনোনীত হন বগুড়ার প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন। বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২১-০১-২০১৭ ইং তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, পৃথিবীর সেরা ৫০ জন শিক্ষকের শীর্ষে স্থান করে নেওয়া শাহনাজ পারভীন ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে আলিম পাস করে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন।
৬। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন কলকাতা আলিয়া মাদরাসার ছাত্র। পিতা মৌলভি মো. ইয়াসিন খান সাহেবের কাছে গ্রহণ করা দ্বিনি শিক্ষাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বুনিয়াদ। তাজউদ্দীন আহমেদ সম্ভবত কোরআনে হাফেজ ছিলেন। মওলানা ভাসানী, মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশের মতো সূর্যসন্তান তৈরি হয়েছিলেন মাদরাসা থেকেই।
৭। বাংলাদেশে জঙ্গি হামলায় মাদ্রাসা ছাত্রদের চেয়ে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আশা ছেলেদের ভুমিকা বেশী।
৮। মাদরাসার ছাত্র সমাজের জন্য বোঝা হয় না সাধারণত।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধর্মীয় একটা শিক্ষার পথ থাকুক এটা আমি চাই। আমিও চাই। আমি সেই দরজা বন্ধ করতে বলছি না।

মাদ্রাসায় যৌন নির্যাতন, অমানুষিক মারধোর, দুর্নীতি এগুলি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাক্রম আরও উন্নত করতে হবে। এগুলোর সাথে মাদ্রাসার কোন সম্পর্ক নাই। এসব অনেক নন-মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়। মাদ্রাসারগুলো মিডিয়াতে আসে বেশী, মাতামাতিও হয় বেশী। কারনটা আপনি জানেন। এসব বন্ধ করাটা সরকারের দায়িত্ব।

অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো মাদ্রাসাতেও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে, বলাই বাহুল্য। আবার সাধারনভাবে এরা সমাজে অবহেলিত, এটাও সত্যি। আমি সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করার পক্ষে। সমাজের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করা জরুরী। আপনি শিক্ষা ক্ষেত্রে যেসকল সাফল্যের উদাহরন দিলেন, তা তো আসলে ব্যতিক্রম। সাধারনভাবে এরা সমাজে ন্যুনতম সুযোগ-সুবিধাও পায় না। এটাই সত্যি।

মোদ্দা কথা, মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে সমাজে আলাদা করে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেটার অবসান হওয়া দরকার।

১৩| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




আপনার এই সারগর্ভ লেখার বিরূদ্ধাচারণ করিবার মতো এলেম আমার নাই।
তবে যতোটুকু বুঝিয়াছি তাহাতে শিক্ষা লইয়া আপনার (আমাদেরও) যে আক্ষেপ তাহার সমাধান কেন যে হইবেনা তাহার মূল মনে হয় এইখানে--

যায় যদি যাক প্রান, হিরক এর রাজা ভগবান।
প্রতিটি রাজার আমলেই আমরা এই মর্মবাণী মাথা পাতিয়া লইয়াছি বলিয়াই আমরা রাজাদেশে রাজ-সভাসদদের দেওয়া সকল জরি-বুটি, টোটকা গলাধঃকরণ করিয়া আসিতেছি।
আর ----
যে যতো বেশি জানে, সে ততো কম মানে।
তাহাদের মনের ভিতরে এই যে অব্যক্ত ফতোয়াটা সব সময় ফাল পাড়িতেছে তাহা আমরা বুঝিতে পারি বলিয়াই বেশি জানিতে চাহিনা পাছে রাজরোষ প্রাপ্তি হয়!

আর ভাবিয়া দেখুন, আমার জানার পরিমান বেশি হইলে আপনার এই লেখার বক্তব্য মোটেও মানিয়া লইতাম না। ;)
ঠিক কিনা ?????? :#)

১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই সারগর্ভ লেখার বিরূদ্ধাচারণ করিবার মতো এলেম আমার নাই। আপনি বড়ভাই অত্যন্ত বিনয়ী একজন মানুষ, তবে অপাত্রে সেই বিনয় ঢেলে দেয়া অনেকের জন্য অস্বস্থির কারন হতে পারে!!! ;)

আমার (আপনাদেরও) আক্ষেপ সমাধান হইবে না, তাহা মোটামুটি জানি, তারপরেও আশায় বুক বাধিলে কোন ক্ষতি নাই। আমার এক লেখায় ইহার সমাধানও আমি আশা করি না, তবে মনের ক্ষেদ উদগীরণের এইটা একটা ভালো উপায় বলিয়া মনে করি। সেই জন্য মাঝে মধ্যে এসব লইয়া কিন্চিৎ লেখালেখি করি। যেই কারনে আপনি ''মহাবেকুব জাতক'', সেই একই কারনে আমি ''ভুয়া মফিজ''!!! :P

আর ভাবিয়া দেখুন, আমার জানার পরিমান বেশি হইলে আপনার এই লেখার বক্তব্য মোটেও মানিয়া লইতাম না। ;)
ঠিক কিনা ?????? :#)
কে বলিতে পারে, ঘটনা উল্টাও ঘটিতে পারে!!! :)

১৪| ১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

একলব্য২১ বলেছেন: @সাচু ভাই, আপনার কমেন্টের মাধ্যমে তাজউদ্দীন আহমেদ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। উনি পুরান ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী'জ স্কুলের ছাত্র ছিলেন এবং সেখান থেকেই মেট্রিকুলেশন পাশ করেন।

Tajuddin Ahmed went to Saint Gregory's High School, where he matriculated in 1944, securing 12th position in undivided Bengal, according to Wikipedia.

১৫| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:০১

একলব্য২১ বলেছেন: **তাজউদ্দীন আহমদ (Tajuddin Ahmad)

১৬| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ একলব্য২১ ভাই - সেন্ট গ্রেগরি স্কুল আপনার বাড়ির কাছে ছিল মনে হয়। আমি সম্ভবত তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের লেখা বইয়ে পড়েছিলাম যে উনি কোরআনে হাফেজ ছিলেন। অন্তরজালে বিচরণ করে উইকিপিয়া থেকেও জানতে পারলাম যে উনি হাফেজ ছিলেন। সেখানে লেখা আছে।

তাজউদ্দীন আহমদ কোরআনে হাফেজ ছিলেন, যা তিনি নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার সান্নিধ্যে আয়ত্ত করেন। তিনি ম্যাট্রিক (১৯৪৪) ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) থেকে অবিভক্ত বাংলার সম্মিলিত মেধাতালিকায় যথাক্রমে দ্বাদশ ও চতুর্থ স্থান (ঢাকা বোর্ড ) লাভ করেন।


এছাড়া আরেকটা সাইটে নীচের তথ্যগুলি পেলাম।

'বাংলাদেশের প্রথম এই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন একজন হাফেজে কুরআন। শৈশবে বাবা ইয়াসীন খানের কাছে কুরআন শিক্ষার হাতেখড়ি হয় জননেতা তাজউদ্দীন আহমদের।

তাজউদ্দীন আহমদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় গ্রামের মক্তবে, এরপর বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভুলেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে উঠে তিনি ভর্তি হন দরদরিয়া থেকে আট কিলোমিটার দূরের কাপাসিয়া মাইনর ইংরেজি স্কুলে। তারপর তিনি গাজীপুরের কালিগঞ্জের সেন্ট নিকোলাস ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। সর্বশেষ স্কুল জীবন ঢাকার সেন্ট গ্রেগরীজ হাইস্কুলে শেষ হয়। '

১৭| ১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৮

একলব্য২১ বলেছেন: @সাচু ভাই, জ্বী সেন্ট গ্রেগরী'জ স্কুল আমার বাড়ীর কাছেই। আমার পরিবার আর আমার কাজিনরা ভাতিজারা সব মিলিয়ে মোট ১১/১২ জন এই স্কুলের ছাত্র ছিল ও এখনো আছে।

১৮| ১৫ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৩১

কাঁউটাল বলেছেন: সবার জন্য ছেকুলার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা। :)

১৯| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি যে কয়েকটা ক্যাটাগরির কথা বললেন এর ভেতরে আলিয়া মাদ্রাসার কারিকুলাম কিন্তু আমাদের স্কুলের মতই । আমাদের যেমন বাংলা ইংরেজি গণিত ফিজিক্স ক্যামিস্ট্রি আছে ওদেরও কিন্তু সেটাই আছে এবং প্রায়ই একই জিনিস । কেবল এক্ট্রা হিসাবে দুইটা আরবির বিষয় যুক্ট । ব্লগে যারা মাদ্রাসা বিরোধী আছে তাদের অনেকের কথা বার্তা শুনলে মনে হয় যে এটা তারা জানেই না । তারা ভাবে মাদ্রাসা মানে কেবল আরবিই পড়ায় । আমাদের ডিপার্টমেন্টের সেকেন্ড বয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল মাদ্রাসা । পড়াশোনাতে কিন্তু অনেক ভাল ছিল । এই আলিয়াতে অনেক ভাল ভাল ছেলে মেয়েরা পড়ে । ভাল পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়ে । আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলো এই আলিয়া মাদ্রাসারই একটা ছেলে । আমার মনে হয় না যে এটার পরিবর্তনের দরকার আছে ।

কিন্তু অন্য যে ক্যাটাগরি গুলো আছে সেগুলোর ভেতরে যে কী পড়ায় সেটা উপরওয়ালা জানে । যেহেতু সরকার টাকা দেয় না তাই তাদের চিন্তাও নাই । এই প্রতিষ্ঠান আর্থিক সাাহয্য দেশ এবং বিদেশ থেকে আসে । মযওলানারা যায় মিডল ইস্টের ধনী দেশে সেখান থেকে ভিক্ষা করে নিয়ে আসে । এবং এখানে কোটি কোটি টাকার মামলা । টাকার ছড়াছড়ি। এখানে কেবল টাকা মাওলানাদের পকেটে যায় সেটা কিন্তু না, আরো অনেকের পকেটেই যায় এই হিসাব ছাড়া টাকা । এই কারণে এই সিস্টেম কখনই বন্ধ হবে না, কেউ করবে না । এইসব নিয়ে আলোচনার কোন মানে নেই আসলে ।

আর এই মাদ্রাসা গুলোতে বিপুল পরিমান গরীব এতিম ছেলে মেয়েরা পড়ে । এদের ভরণ পোষেণ হয় ঐ দানের টাকাতেই । আমরা যতই এই ব্যবস্থার সমালোচনা করি আমাদের এটা চিন্তা করবে হবে এই ব্যবস্থা বন্ধ হলে এই বিপুল পরিমান ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব কে নিবে? এখন সরকার কি এদের ব্যবস্থা করতে পারবে ? আমাদের মত গরীব দেশের সরকারের পক্ষে আসলেই কি তা সম্ভব !
ব্লগে বসে কিছু ইসলাম বিদ্বেসী আছে তারা কিন্তু এই কারণে মাদ্রাসা সমালোচনা করে না যে এটা সংস্কার জরূরী কিংবা তারা খুব চিন্তিত, তারা এটা নিয়ে কথা বলে কারণ এর সাথে ধর্ম জড়িয়ে, আর নিজেকে আধুনিক প্রমান করতে এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে । নয়তো কোন ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি করা কোন পিয়নের ঘাটে এই জ্ঞান নেই যে সে কোন বিষয়ের উপর সুস্থির ভাবে চিন্তা করবে আর সেটা নিয়ে সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করবে ।

কদিন থেকে ব্লগে সময় দিতে পারছি না একটু ব্যস্ততার কারণে । সকালের দিকে বের হওয়ার আগে কফি খেতে খেতে একটু ঢুকি ব্লগে । আর খবর নেই সারা দিনে । ব্যবস্তা করুক একটু । পরিশেষে আপনার অব্যবহৃত মস্তিস্কের মন্তব্যের উত্তরে এতো কথা খরচ করার কোন দরকার আছে বলে মনে হয় না । এদের হেদায়েত হবে না কোন ।

১৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং, মাদ্রাসা নিয়া আমার জ্ঞান সীমিত। আলিয়া মাদ্রাসা নিয়া আপনে যা কইলেন, তাতে বুঝলাম এইটা নিয়া টেনশানের কিছু নাই। থাকুক, যেমন আছে। কিন্তু বাকীগুলার কিছু একটা করা দরকার। মূল কথা হইলো, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরী করা।

আসলে ব্লগে আলোচনা করলেই যে আসমান-জমীন রাতারাতি এক হয়া যাবে, বিষয়টা এমন না। আমরা আলোচনা-সমালোচনা করি, আমাদের আত্মতুষ্টির জন্য। লেখালেখি করলে মনের মধ্যে যেই দুঃখের বাষ্প পুন্জীভূত হয়, সেইটার একটা রেমিডি পাওয়া যায়। এর বেশী কিছু না। এই যে, ব্লগে পুতিন-বাইডেন নিয়া উথাল-পাতাল লেখা হয়, তাতে ওদের কোন কেশটা কেউ স্পর্শ করতে পারে, কন দেখি!!! :P

আমাদের মত গরীব দেশের সরকারের পক্ষে আসলেই কি তা সম্ভব ! এইখানে কিন্তু প্রচুর কথা আছে। সরকার যেই পরিমান টাকা চুরি আর অপচয় করে, তা দিয়া সারা দেশের শিক্ষার চেহারাই পাল্টায়ে দেওয়া যায়। উপ্রে যেই টেবিলটা দিছি, তাতে দেখেন, আমাদের চেয়ে গরীব দেশও শিক্ষাখাতে আমাদের চাইতে বেশী খরচ করে। আর ব্লগের আবাল ইসলাম-বিদ্বেষীদের কথা বইলা লাভ নাই। এগুলি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। হুদাই ফালাফালি করা এগো রক্তের মধ্যে! বিচার-বিশ্লেষণ তো বহুত দুর কি বাত!!!

আমিও মহা ব্যস্ত। ব্লগে আসি কম। চাকরির পাশাপাশি একটা নতুন কাজে হাত দিছি। দেখি, কিছু করন যায় কিনা। আমি আসলে ''অব্যবহৃত মস্তিষ্ক'' নিয়া টেনশানে আছি। এর একটা গতি করতে পারলে শান্তি পাইতাম। আপাততঃ কাষ্টমার খুজতাছি!! =p~

২০| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২২

নতুন বলেছেন: আপনি যেই পরিবর্তনের কথা বলেছেন তারজন্য দরকার একজন ভিসনারী লিডার।

যে স্বপ্ন দেখবে দেশের সকল শিশু আগামী ৫ বছরের মাঝে স্কুলে যাবে।
যে স্বপ্ন দেখবে দেশের সকল শিশু আগামী ৫ বছরের মাঝে পথ শিশু বলে কিছু থাকবেনা।
যে স্বপ্ন দেখবে দেশের সকল শিশু আগামী ৫ বছরের মাঝে ইয়াতিম শিশুরা সরকারী পৃস্ঠপোষকতায় এগিয়ে যাবে...
যে স্বপ্ন দেখবে দেশের সকল শিশু আগামী ৫ বছরের মাঝে সকল শিক্ষা কারিকলাম ২০৫০ এর বিশ্বের চ্যালেন্জ নিতে বাচ্চাদের প্রস্তুত করবে।

কিন্তু উপরে যেমনটা আহমেদ জী এস কোট করেছেন:- সেটাই দেশের শিক্ষার উন্নতির অন্তরায়।
" যায় যদি যাক প্রান, হিরক এর রাজা ভগবান।"
"যে যতো বেশি জানে, সে ততো কম মানে।"

১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি যেই পরিবর্তনের কথা বলেছেন তারজন্য দরকার একজন ভিসনারী লিডার। আমার পোষ্টের শেষের দুই প্যারায় আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। নেতৃত্ব যদি মিশন আর ভিশন বিহীন হয়, তাহলে যে অবস্থা হয়, সেটাই আমাদের দেশে চলছে। অবশ্য তাদের মিশন আর ভিশন যদি হয় নিজের আখের গোছানো, তাহলে তাদেরটা ঠিক আছে। দেশপ্রেম হলো বেইজলাইন। সেটা না থাকলে কোন কিছুতেই কিছু হবে না।

লক্ষ্য যদি হয় দেশের উন্নতি করা, তাহলে দেশের উন্নতি হবে। লক্ষ্য যদি থাকে নিজের উন্নতি করা, তাহলে দেশ গোল্লায় যাবে। সোজা হিসাব।

২১| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:২১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: মাদ্রাসা'কে শুধু ধর্মীয় শিক্ষা হিসাবে দেখলে কওমী বা অন্যান্য স্বায়ত্বশাসিত ধারা চলতেই পারে, তাহলে তাদের মূল্যায়নও হবে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেই। সেক্ষেত্রে কে মাদ্রাসায় পড়ে কই চান্স পেলো বা কই চাকরি পেলো, সে আলোচনা অবান্তর। আর যদি দুনিয়াবি চিন্তাই করতে হয়, তাহলে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা কি বর্তমান মার্কেটের কারিকুলাম এবং এনভায়রনমেন্ট দুই দিক থেকেই কমপিটেবল কিনা সে চিন্তা করতে হবে। সেই অনুযায়ী একমূখি শিক্ষা ব্যবস্থার কোন বিকল্প নাই। আলিয়াকে তাদের কারিকুলাম মডিফাই করে স্ট্যান্ডার্ডের সাথে এলাইন করতে হবে। আর হ্যাঁ, মাদ্রাসার যে বিপুল পরিমান শিক্ষার্থী আছে, সেটা ধর্মীয় বা অর্থনৈতিক যেই কারনেই হোক, তাদের শুধুমাত্র একটা সঙ্খ্যা হিসাবে দেখে খারিজ করে দিলে হবে না। এরা কি সম্পদ হবে, নাকি বোঝা হবে এবং সম্পদ হলে সেটা দুনিয়াবি নাকি আখারাতি, সেইটা ঠিক করে পলিসি নির্ধারন করা উচিত।

১৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে আখেরাতের চিন্তা করলে দুনিয়ার কোন বিষয় নিয়ে খুব বেশী ভাবার প্রয়োজন পড়ে না। এই শ্রেণীর মানুষ অল্পতেই যেহেতু সন্তুষ্ট থাকে, তাই তাদের বর্তমান বিশ্বের সাথে মানিয়ে চলা, প্রতিযোগিতা করা খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না।

আমার এই পোষ্টটা দুনিয়াবী চিন্তা থেকেই করা। একটা দেশের বিপুল পরিমান তরুণ প্রজন্ম যদি মেইনস্ট্রীমের বাইরে থাকে অথবা মেইনস্ট্রীমে আসার এবং টিকে থাকার জন্য স্ট্রাগল করে, সেটা সেই দেশের অগ্রগতির জন্য একটা বিরাট বাধা। সে'জন্যেই একটা সমন্বিত জাতীয় কারিকুলামের কোন বিকল্প নাই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

১৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একই মন্তব্য দুইবার আসাতে একটা মুছে দিলাম। আশা করি, কিছু মনে করেন নাই। :)

২২| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আগের পোস্টে আপনার গিট্টু লাগালো কমেন্ট পড়ে ভাবছিলাম আমার এমন সিম্পল কমেন্টের মধ্যে গিট্টু কোথায়? তখন থেকেই ভাবছিলাম হয়তোবা লেখক মহোদয়ের মনোরাজ্যে ইতিমধ্যে ভয়ঙ্কর সুনামি আঘাত করিয়াছে। লাইক করার সময় পড়তে পড়তে আমার ই গিট্টু বেঁধে যায়। কাজেই খান্ত দেই। ঠিক করি আবার একদিন ফ্রেস মাইন্ডে আসিতে হইবো।আজ আসিয়া মর্ম উদ্ধার করলাম। পাশাপাশি লেখক মহোদয়ের চিন্তাশক্তির বিচক্ষণতার বহর দেখে তাজ্জব বনে গেলাম। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আপনার উল্লেখিত চিত্রের সঙ্গে ভারতের স্পিসিফাই করলে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষার খুব বেশি পার্থক্য নেই। ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়ারা সমাজের ক্রিম শ্রেণীর সন্তান। তাদের চেয়ে অনেকটাই কম সঙ্গতিপূর্ণ পরিবারের সন্তানরা বাংলা মাধ্যমে পড়ে। যেহেতু ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় হিন্দু। কাজেই সংখ্যাতত্ত্বের দিক দিয়ে এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের আশানুরূপ সাফল্য উভয় ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয়। সংখ্যালঘুদের অবস্থান এখানে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো কতিপয় চোখে পড়ে। এবার এই সাফল্যের জিয়নকাঠিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদ্রাসায় পড়তে আসে সমাজের একেবারে অসহায় নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা।যেখানে আবার পুত্র সন্তানের আধিক্য বেশি।তার উপর তাদের কারিকুলাম সম্পূর্ণ ধর্মাশ্রয়ী।সরকারী সিনিয়র মাদ্রাসায় দুশো নম্বরে আরবির পাশাপাশি ৫০ নম্বরের বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করলেও সেই বিজ্ঞান একজন মাদ্রাসার ছাত্রকে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় কতোটা সাফল্যের পক্ষে যে পর্যাপ্ত নয় সেকথা বলা বাহুল্য। ভারতের ক্ষেত্রে দেখেছি পাহাড় প্রমান ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করে একজন মাদ্রাসার ছাত্রকে মেইনস্টিমে আর আসা সম্ভব হয়না।ফলে বছরের পর বছর মাদ্রাসা শিক্ষা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শাসকের সদিচ্ছা থাকলে এইচিত্র হবার কথা নয়।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আগের পোষ্টে গিট্টু লাগানো কমেন্ট করেছিলাম? কই, মনে নাই তো? আপনের এইটা ভালো অভ্যাস। একটা লেখা ফ্রেশ মাইন্ডে পড়লে অনেক কিছুই কিলিয়ার হয়ে যায়। এই অভ্যাস জারী রাখা খুবই জরুরী। :P

মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আপনার উল্লেখিত চিত্রের সঙ্গে ভারতের স্পিসিফাই করলে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষার খুব বেশি পার্থক্য নেই। তা হয়তো নাই, তবে আপনাদের অবস্থা আমাদের চাইতে কমপ্লেক্স। ওখানে বড় সমস্যা হলো, মুসলমানদের মাইনরিটি। কাজেই শুরুতেই তারা ধাক্কা । তারপরে গোদের উপর বিষফোড়ার মতো বাকী বিষয়গুলো একে একে সামনে আসে।

আমাদের এখানে শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার করলেই চলবে। সেই সংস্কারে বাধা আসবে সন্দেহ নাই, তবে সেটা মোকাবেলা করা সরকারের জন্য খুব একটা কঠিন বিষয় না; যদি তাদের সদিচ্ছা থাকে।

আশাকরি, এইবার গিট্টু লাগাই নাই!!! ;)

২৩| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

আরোগ্য বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। যতদূর জানি আলিয়া আমাদের মতই অনেকটা, শুধু সাথে কিছু আরবি বই আছে আর কওমী নাকি সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের, এখন নাকী কওমীতে ইংরেজিও পড়ানো হয়। কোর্সের সুবাদে আরো জানতে পারলাম, মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলেমেয়েদের ব্রেন খুব ভালো হয়, তবে আফসোস পরিচর্যা ঠিকমত হয় না।

অন্যদিকে জেনারেল লাইনে পড়ুয়াদের অবস্থা আরো করুন। দিনকে দিন শিক্ষা ব্যবস্থা তাদের হতাশা ও নাস্তিক্যবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নৈতিকতার বালাই নাই আজকাল।

উভয় শিক্ষা ব্যবস্থাই আমার অপূর্ণাঙ্গ মনে হয়। নতুন করে ঢেলে সাজানোর খুবই প্রয়োজন।

কুন চিপা দিয়া আপনের এত বিশাল পোস্ট আয়া গেল, দেখবারই পারিনি। এহন ব্লগে আহি যাই কম তাই অইবো চোখে পড়ে নাই। কালকা রাইতে দেইখাই পড়সি কিন্তু ঘুমের ঠেলাম মন্তব্য করতে আহিনি।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার জ্ঞানও খুবই সীমিত। অপু তানভীর কিছুটা জ্ঞান দান করেছে। আপনি মন্তব্যটা পড়ে দেখতে পারেন। মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের বলে কথা না........আসলে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ব্রেইনেরই একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। বাকীটা চাকু ধার করার মতো। যে যতো ধার দিবে, তারটা তত শার্প হবে। কেউ যদি এই কাজ না করে তাহলে তার ব্রেইনের মার্কেট ভ্যালু অনেক হাই, কারন সেটা স্বল্প-ব্যবহৃত হওয়ার কারনে প্রায় নতুনের মতো থাকে। কি কইলাম, বুজবার পারলেন? :P

আমাদের সমাজে নীতি-নৈতিকতার বালাই নাই, কারন আমাদের যাদের কাছ থেকে এসব শেখার কথা; তারা এসবের ধারে-কাছে দিয়েও হাটে না। রোল মডেল ছাড়া নীতি-নৈতিকতা তো আসমান থেকে নাজিল হবে না, তাই না!!!

আমাদের পুরা শিক্ষা-ব্যবস্থাটারই লেজে-গোবরে অবস্থা। সমস্যা হইলো, এই নিয়া যাদের মাথা ঘামানোর কথা, তারা মাথা ঘামায় অন্য কামে। কি করবেন, সবই আমাগো কপাল!!!

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কুন চিপা দিয়া আপনের এত বিশাল পোস্ট আয়া গেল, দেখবারই পারিনি। এহন ব্লগে আহি যাই কম তাই অইবো চোখে পড়ে নাই। কালকা রাইতে দেইখাই পড়সি কিন্তু ঘুমের ঠেলাম মন্তব্য করতে আহিনি। আমি অহন চিপা-চাপা দিয়াই ব্লগে আহি, আর পুষ্টাই। টাইম ম্যানেজ করন খুবই মুশকিল। চিপা দিয়া আরেকটা পুষ্টাইছিলাম। দ্যাহেন নাই মনে হয়। লিঙ্ক দিলাম, মজা পাইতে পারেন!!! :-B view this link

২৪| ১৯ শে জুন, ২০২৩ ভোর ৫:৫৭

করুণাধারা বলেছেন:

১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মতো ভুয়া লেখকের লেখাও চুরি হয় আজকাল, চিন্তা করেন অবস্থাটা!! শিক্ষার এই হালের জন্যই একটা সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার। আপনার গোয়েন্দাগিরির উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। অনেক ধন্যবাদ এমন একটা চুরিকে সামনে নিয়ে আসার জন্য। আপনার কোন লেখা চুরি হয় নাই এখনও? :P

২৫| ১৯ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫

এইযেদুনিয়া বলেছেন: তাজউদ্দীন আহমেদ সম্পর্কে আরেকটি তথ্য না শেয়ার পারছি না। তিনি ছাত্রজীবনে স্কাউটিং করতেন। সেখান থেকে অসাম্প্রদায়িকতার একটি ধারণা লাভ করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে তিনিই অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে ধারণা দেন। আমার জানায় ভুল থাকলে জানাবেন প্লিজ।

২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্কাউটিংয়ের বিষয়টা আপনি সঠিক বলেছেন। তবে, পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে তিনিই অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে ধারণা দেন পড়ে মনে হচ্ছে, এর আগে বঙ্গবন্ধুর কি অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে ধারণা ছিল না? বরং বলতে পারেন, বাংলাদেশকে একটা অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

স্কাউটিং ছাড়াও উনার একটা বায়োগ্রাফীতে বলা হয়েছে, ''দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪২ সালে তিনি সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং নেন। তখন স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় কয়েক মাস নিয়মিত রাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এ কাজে প্রতি রাতের জন্য তিনি সম্মানী পেতেনে ৮ আনা।''

ভুয়া মফিজের ব্লগ ভুবনে আপনাকে সু-স্বাগতম!!! :)

২৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পাঠ শেষ করে মনে হলো, আলোচনাটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেল!
একটি সমন্বিত, সার্বজনীন শিক্ষা কর্মসূচী অনেক আগেই সময়ের দাবী ছিল। তবে আপনিই যেমনটি বলেছেন, বেটার লেইট দ্যান নেভার, এ ব্যাপারে এখনই একটি কারিকুলাম প্রণয়ন শুরু করা উচিত এবং তা জনমত যাচাই ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য একই সাথে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত, যেন জনগণ এবং এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ পরামর্শকগণ তাদের মতামত জানিয়ে কর্মসূচীকে সর্বাধিক উপযুক্ত ও প্রয়োগযোগ্য করে তুলতে পারেন।
আমাদের এই ব্লগেই অনেক ব্লগার মাদ্রাসা শিক্ষার অনুসারী ছিলেন। রেডিলী মনে করতে পারছি হাবিব স্যার এর নাম। ওনার ব্লগিং এর মান তো উন্নত ছিল। ওনার লেখা থেকে বুঝা যায়, উনি যথেষ্ট মানবিক গুণাবলীরও অধিকারী ছিলেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যরি খায়রুল ভাই। বহুদিন নিজের বাড়িতে ঢুকি না, তাই আপনার এই মন্তব্য দেখি নাই। পোষ্ট দিতে গিয়ে দেখলাম। আশা করি কিছু মনে করেন নাই।

আপনার মন্তব্যের প্রসঙ্গে আসি।

আপনি বলেছেন, পোস্ট পাঠ শেষ করে মনে হলো, আলোচনাটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেল! কেন আপনার কাছে এমনটা মনে হলো, একটু ব্যাখ্যা করলে আমার বুঝতে সুবিধা হতো। পোষ্টের শেষের দিকে আমি বলেছি, জাতিকে সঠিক পথে আনতে আইনের শাসন দরকার। যথাযথ আইনের যথাযথ প্রয়োগ দরকার। জাতির সামনে রোল মডেল দরকার যার বা যাদের কাছ থেকে আপামর জনসাধারণ অণুপ্রেরণা লাভ করবে, দেশপ্রেমের দীক্ষা পাবে। আর সর্বোপরি বৈষম্যমূক্ত একটা সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার যা কিনা জাতিকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবে।

এই যে, বৈষম্যমূক্ত সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা'র কথা বললাম, এটাই তো পোষ্টের মূল কথা। সরকার এই বৈষম্য চালু রাখতে চায় তাদের নিজেদের স্বার্থে। ডিভাইড এন্ড রুল..........ধান্ধাবাজ শাসকদের অতি পুরানো কিন্তু কার্যকর একটা পদ্ধতি। সেই যে, বৃটিশরা চালু করে দিয়ে গিয়েছিল!!!

একটা সার্বজনীন শিক্ষায় শিক্ষিত উন্নত সমাজ এবং সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এর কোন বিকল্প নাই।

বাকী আপনি যা বলেছেন, সেটাই তো আমাদের চাওয়া। সদিচ্ছা থাকলে এটা পূরণ করা সরকারের অবশ্য কর্তব্য।

শুধু হাবিব স্যার কেন, মাদ্রাসাগুলোতে পড়ালেখা করা মেধাবী মানুষের অভাব নাই। কিন্তু শুধু মাদ্রাসায় পড়ার কারনে সমাজে সাধারনভাবে এদেরকে আলাদা চোখে দেখা হয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, তবে সেটা ব্যতিক্রমই; উদাহরন তো হতে পারে না। সমাজের এই বৈষম্য দূর করে সবার জন্য সমান পরিবেশ সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।

২৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২০

রিদওয়ান খান বলেছেন: আজকে সকাল থেকে কাজকর্মের ফাকে ফাকে আপনার ওয়ালেই ঘুরঘুর করছি। আপনার লেখাগুলো পড়ে আরাম পাচ্ছি। অবশেষে এখানে এসে একটা মন্তব্য করার ইচ্ছে জাগলো। আসলে মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে আমাদের ধারণা একেবারেই ক্ষীণ। যার জন্য মূলত এ ব্যাপারে সবাই গুছিয়ে মন্তব্য করতে পারেনা। মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপারে যাদের ধারণা আছে তারা আশাকরি @সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের সাথে একমত হবেন। উনি সুন্দর বলেছেন। @অপু তানভীর আলিয়া মাদ্রাসার ব্যাপারে যা বললেন তা একেবারেই বাস্তব।
তবে তিনি অন্যান্য মাদ্রাসার কারিকুলামের ব্যাপারে আবল-তাবল যা বকেছেন এটা উনার না জানার কারণেই। আলিয়াতে যে দুইটা আরবী বিষয় পড়ানো হয় সেগুলোর-ই ফোল ভার্সন মাদ্রাসায় পড়ানো হয়। মোটকথা কওমী মাদ্রাসাগুলোতে আরবী বা ইসলামি শিক্ষার 'র' যে জিনিসটা সেটা পড়ানো হয়। বাদ বাকি ফুরকানিয়া, সালাফিয়া এসমস্ত যে মাদ্রাসাগুলো আছে সেগুলো আলিয়ার কারিকুলামেই চলে শুধু যার যার মতাদর্শের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়। যেমন যাদেরকে 'আহলে হাদিস' মতাদর্শের বলা হয় তারা 'সালাফিয়া' মাদ্রাসায় পড়ে, যারা 'সুন্নী ও চিশতিয়া-ক্বাদেরিয়া' মতাদর্শে অনুসারী তারা 'ফুরক্বানিয়া' মাদ্রাসায় পড়ে। যাহোক, আমিও আপনার মত চাই যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সমাজে যে বৈষম্য সেটা কাটুক। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন হউক।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ক‘দিন আগে আমার ব্লগবাড়িতে লাইট জ্বলতে দেখেই বুঝেছিলাম, কেউ সম্ভবতঃ বাড়ির ভিতরে ঘোরাঘুরি করছে!!! :)

মজা করলাম। নিজের বাড়ি মনে করে ঘোরাঘুরি করেন, যতো খুশী। আমার ব্লগবাড়িতে সু-স্বাগতম!!

আপনার মন্তব্য থেকেও মাদ্রাসা সম্পর্কে কিছু জানতে পারলাম। যাহোক, আমিও আপনার মত চাই যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সমাজে যে বৈষম্য সেটা কাটুক। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন হউক। আসলেই। একটা বিশাল সংখ্যার তরুণ জনগোষ্ঠিকে সমাজের মেইন স্ট্রীমের বাইরে রেখে কোন টেকসই উন্নয়নই আসলে ভীষণ রকমের কঠিন একটা বিষয়।

মন্তব্যের জন্য আমার ধন্যবাদ রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.