নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনভাবে ''ভাষা'' বিষয়টা আমার কাছে সব সময়েই একটা রহস্যময় ব্যাপার। পৃথিবীব্যাপি লক্ষ-কোটি মানুষ কতো বিচিত্র ভাষায় কথা বলে। প্রায় শতভাগই বুঝি না। একেক রকমের ভাষা শুনলে একেক রকমের অনুভূতি হয়। কোনটাতে ঝগড়াটে, কোনটাতে প্রেমময় তো কোনটাতে আবার একেবারেই নিরস, রসকষহীন; একেবারেই এ্যভোকাডোর স্বাদের ভাইব আসে। তবে, আনকোরা নতুন ভাষা শেখার ব্যাপারে আমার ভীষণ অনিহা ছিল একটা সময়ে। এর চেয়ে কঠিন কাজ আমার কোনটাকেই মনে হয় না।
কিছুদিন আগে আমার কলীগ বন্ধু ক্রিস প্রস্তাব দিল, মফিজ চলো, আমরা জার্মান ভাষা শিখি। অবশ্য এই প্রস্তাবের পিছনে ওর নিজস্ব ধান্ধা আছে। আমাদের নতুন মিউনিখ অফিসের এক অস্ট্রিয়ান কলীগকে ওর মনে ধরেছে। সেইজন্যই এই আকুলতা! বললাম, তুই ধান্ধা করতে চাস, কর; এর মধ্যে আবার আমাকে টানাটানি করা কেন বাপু? তাছাড়া জার্মান ভাষার যেই কাটখোট্টা টোন, সেই টোনে তোর পক্ষে প্রেমালাপ জমানো কঠিন হবে। তোর প্রতি আমার উপদেশ হইলো, যেইখানে মেয়ে দেখস, সেইখানেই বড়শি ফেলা বন্ধ কর। ও আমতা আমতা করে বলে, তুমি সব সময়েই দড়িরে সাপ মনে করো। এই প্রস্তাবের মধ্যে প্রেম আসলো কোইত্থিকা? সারাহর লগে খাতির হওয়ার পর থিকাই তুমি কেমন জানি পর পর হয়া গেছো গা!!!
প্রেমের কথায় পুরানো কিছু কথা মনে পড়লো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে প্রেমে পড়লাম। আমি প্রেমের উপরে পড়লাম, নাকি প্রেম আমার উপরে পড়লো, সেই বিতর্ক দূরে রেখেই বলা চলে, সেটা ছিলো কঠিন প্রেম। বিয়ে করার আগেই পুরাদস্তুর জড়ুকা গোলাম বনে গেলাম। প্রেমিকার (তখনও যেহেতু বিয়ে করি নাই, তাই বর্তমান বউকে প্রেমিকাই বলছি; আপনাদের অন্য রকম চিন্তা করার সুযোগ নাই) কোন প্রস্তাবেই না করতে পারি না। সে এক বেকায়দা সময় গিয়েছে। উদাহরন দেই……. যেই আমার টক জাতীয় খাবার খেলে দাত এমন শিরশির করতো যে, কয়েকদিন অন্য কিছু খেতেই পারতাম না; সেই আমি প্রেমিকার প্রেমময় আহ্বানে অবলীলায় কাচা আম ভর্তা, কামরাঙ্গা মাখা কিংবা লবন-মরিচ দেয়া আমড়া দাত-মুখ খিচে অবলীলায় কচকচিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। মিশন-ভিশন সফল করার জন্য কতো রকমের ত্যাগ স্বীকারই না করতে হয় এই এক মানব জীবনে!!!
তো, একদিন আমার প্রেমিকা বললো, এ্যাই চলো না, আমরা আলিয়ন্স ফ্রসেজে গিয়ে ফ্রেঞ্চ শিখি। আমি বললাম, হঠাৎ ফরাসী ভাষা কেন? সে একটা মায়াকাড়া লুক দিয়ে বললো, কি সুন্দর প্রেমময় ভাষা! আমরা ফ্রান্সে গিয়ে ফ্রেঞ্চ বলবো!!! আমার মাথায় ঢুকলো না, দুনিয়াতে এতো দেশ থাকতে ফ্রান্সেই যেতে হবে কেন? তাছাড়া কয়েকদিন আগেই এক বন্ধুর সাথে কথায় কথায় বলেছিলাম, ফ্রেঞ্চ একটা ভাষা হইলো? ফকিরনী ভাষা! কেমন চেগায়ে চেগায়ে টাইনা টাইনা কথা বলে। মনে হয় বাস-ট্রেনে ভিক্ষা চাইতাছে! ইংরেজির মতোন স্মার্টনেসই নাই হালাদের। আমাগো কপাল ভালো, এই সাব-কন্টিনেন্টটা ফরাসীরা দখল করে নাই।
সেই কথা বেমালুম গিলে ফেলে মুখে বললাম, অবশ্যই, কেন নয়? প্রেম যেহেতু করছি, প্রেমময় ফরাসী ভাষা না শিখলে কেমন দেখায়? শেখা হয়ে গেলে আমরা নিজেরাও সবসময়ে ফ্রেঞ্চ ভাষাতেই ভাবের আদান-প্রদান করবো, কি বলো!!!
ভর্তি হয়ে গেলাম দু'জনে। সন্ধ্যার পরে ক্লাশ। কয়েকদিন ক্লাশের পরেই জানলাম, ফরাসী ভাষায় নাকি টেবিল-চেয়ারেরও লিঙ্গ-বিন্যাস আছে। বুঝে গেলাম, দুনিয়া উল্টে গেলেও এই খাতারনাক অযৌক্তিক ভাষা শেখা আমার কম্মো না। বাংলাতেই নদ আর নদীর ব্যাপারে আমি সব সময়েই প্রতিবাদমুখর। নদীর আবার লিঙ্গভেদ কি? সেখানে কি না টেবিল-চেয়ার! নো ওয়ে!! আমি ভেগে গেলাম। আমার প্রেমিকা অসীম ধৈর্য্য নিয়ে আরো কিছুদিন চালিয়ে গেল, তারপরে সেও ক্ষান্ত দিল; তবে দোষটা পুরাপরি আমার উপর চাপিয়ে দিয়ে। জানিয়ে দিল, আমি একটা অপদার্থ। আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। আমি গদগদ স্বরে বললাম, আর কিছু হওয়ার আমার দরকারও নাই। শুধু তোমার বর হইতে পারলেই আমি খুশী। ওর মুখ ভেঙচি দেখে বুঝলাম না, খুশী হলো.......নাকি রাগ!
আসলে জন্মসূত্রে বাংলার মতো একটা সুমধুর ভাষায় কথা বলার যোগ্যতা অর্জনেই আমি খুশী ছিলাম। তাছাড়া, দেশে অ আ ক খ শেখার সাথে সাথেই আমাদের এ বি সি ডি শেখাও শুরু হয়ে যায়। কাজেই ইংরেজির ক্ষেত্রে কখনও ক্ষুনাক্ষরেও মনে হয় নাই যে, একটা নতুন ভাষা শিখছি। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কল্যানে বাংলা আর ইংরেজি, দু'টাকেই আপন মনে হয়েছে সবসময়ে। বিজাতীয় বোধের স্থানই হয় নাই কখনও।
দেশে চাকুরী সূত্রে আমার এক ভারতীয় সহকর্মী ছিল। তার সাথে হিন্দিতে কথা বলার কসরৎ শুরু করলাম। লেগে থাকলে যে ফল ফলতে বাধ্য, সেটা অনুভব করলাম কিছুদিনের মধ্যেই। ইংরেজি বাদ দিয়ে বলিউডি মুভি দেখা শুরু করলাম নিজে, আর বউয়ের সাথে দেখা শুরু করলাম হিন্দি টেলি সিরিয়ালগুলো। কাহানী ঘর ঘর কি, কিউ কি শাস ভি কাভি বহু থি ইত্যাদি দেখতে দেখতে হিন্দির সাথে সাথে ঘরোয়া পলিটিক্সও ভালোভাবে শিখে গেলাম। বউকে বললাম, সারাদিন গয়না-গাটি পড়ে সাজুগুজু করে আমার চারিদিকে ঘুরাঘুরি করবা। দেখতেই তো ভালো লাগে। মনে করবা আমি পৃথিবী, তুমি আমার চাদ! হিন্দি সিরিয়ালগুলো দেখেও তো কিছু শিখতে পারো!!
ইংল্যান্ডে আসার পরে এখানকার ডাইভার্সিফায়েড অবস্থা দেখে বড়ই পুলকিত বোধ করলাম। কতো দেশের বিচিত্র সব মানুষ, ততোধিক বিচিত্র তাদের ভাষা। তারা যখন নিজেরা নিজেরা কথা বলে, মন দিয়ে শুনি। যদিও কিছুই বুঝি না, তবে লাভের লাভ যেটা হলো..........নতুন ভাষা-ভীতি আস্তে আস্তে কেটে গেল।
এখানে আরেকটা লাভ হলো। চাকুরী, প্রতিবেশী বা সামাজিক কারনে বিভিন্ন সময়ে প্রচুর ভারতীয় আর পাকিস্তানীদের সাথে মেলামেশা, কথা বলার সুযোগ হলো। ভারতীয়রা বলে, আরে তুমি তো দেখি চমৎকার হিন্দি পারো!! আমি আনন্দে আটখানা হই। পাকিস্তানীরা বলে, বাহ........তুমি উর্দুও পারো দেখি!! ওরা অবশ্য ভারতীয়দের মতো অতোটা উৎফুল্ল হয় না, কারন আমি তো আসলে উর্দু না, হিন্দি বলি। সে যাই হোক, এভাবেই দিন চলে যাচ্ছিল। হিন্দি ভাষাটা খালি লিখতে, পড়তে পারি না। তবে, ভাবনায় ছিল, বলা আর বোঝাতে আমি প্রায় শতভাগ ফ্লুয়েন্ট!!! আমার এই আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেল একবার।
বছর দশেক আগের কথা। দেশে গিয়েছি। এক বন্ধুর সকরুণ মিনতিতে তার চিকিৎসার গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করার জন্য ভারতে গেলাম, দিল্লীতে। আমার বন্ধু আবার হিন্দি পারেই না বলতে গেলে। কাজেই সুযোগ বুঝে ওর গার্ডিয়ান বনে গেলাম। যে কোন কথোপকথনেই আগ-বাড়িয়ে কথা বলি, বড়ই আনন্দ লাগে। মনে মনে বলি, দ্যাখ ব্যাটা.......হিন্দি কতো প্রকার ও কি কি!!
একদিন ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ বিএমডাব্লিউ এর একটা শো-রুম নজরে পড়লো। অনেকদিন আগের কথা, ওটা ছিল সম্ভবতঃ মথুরা রোডে। গাড়ীর প্রতি আমার ফ্যাসিনেশান সাংঘাতিক রকমের। তাছাড়া, আমার নিজের গাড়িটা ওই ব্র্যান্ডেরই হওয়াতে একটা আত্মীক টানও অনুভব করলাম। ঢুকলাম। এই গাড়ি সেই গাড়ি দেখি। এক স্মার্ট এবং সুন্দরী সেলস পারসন আমার সাথে সাথে ঘুরছে। হঠাৎ একটা গাড়ি দেখে থমকে গেলাম। চমৎকার মডেল, আর ততোধিক চমৎকার রং। বললাম, ইস কা টেস্ট ড্রাইভ হো সাকতা হ্যায়?
আমার কথার উত্তর না দিয়ে সুন্দরী পাল্টা প্রশ্ন করলো, আপ কাহাছে হো?
আমি বললাম, বাংলাদেশছে, কিউ?
সুন্দরী গাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বললো, ''ইস কা'' না ''ইস কি'' হবে, আর ''সাকতা হ্যায়'' না, ''সাকতি হ্যায়'' হবে।
আমি বললাম, বলো কি? কেন?
কিউ কি ইয়ে ফিমেইল হ্যায়। সুন্দরী ঘোষণা দিল।
স্যরি…...এক্সকিউজ মাই ল্যাঙ্গুয়েজ, ওর কথা শুনে আমি আক্ষরিক অর্থেই বোকাচোদা বনে গেলাম। গাড়িটার আপাদমস্তক ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলাম। নারীত্বের বিন্দুমাত্র চিহ্নও নাই। তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করলাম, ইয়ে লাড়কি হ্যায়? ইউ মাস্ট বি জোকিং। তা সব গাড়িই মেয়ে নাকি শুধুই বিএমডাব্লিউ?
সব গাড়িই মেয়ে।
সব গাড়ি বলতে ভারতের সব গাড়ি? নাকি তামাম দুনিয়ার সব গাড়ি?
এই পর্যায়ে মেয়েটা মনে হলো খানিকটা বিরক্ত। কিন্তু কাস্টমারের সামনে তো সেটা প্রকাশ করতে পারে না! প্রফেশনাল অবলিগেশান্স বলে কথা! তারপরেও গলায় খানিকটা বিরক্তি ঢেলে বললো, তামাম দুনিয়ার সব গাড়িই মেয়ে!!!
আমি মনে মনে বললাম, হলি কাউ! আর মুখে বললাম, কিছু মনে করবেন না বেহেনজি। আপনি মনে হয় খানিকটা বিরক্ত। আপনাকে এতো ত্যক্ত করার কারনটা খুলেই বলি। আমি বাংলাদেশী হলেও ইংল্যান্ডে থাকি। সেখানে গত দু'বছর ধরে একটা বিএমডাব্লিউ-ই ব্যবহার করছি। তাছাড়া দেশে বিদেশে কতো গাড়িতেই না চড়েছি। এরা সবাই যে মেয়ে সেটা জানা ছিল না। এখন থেকে কোন গাড়ির ভিতরে ঢোকার আগে 'এক্সকিউজ মি' বলতে হবে। মেয়ে বলে কথা!! তাছাড়া, গত দু'বছর ধরে আমার বর্তমান গাড়িটা ব্যবহার করছি যথাযথ সন্মান না দিয়েই! কি না কি মনে করে বসে আছে! তাকেও তো আমার স্যরি বলা উচিত, তাই না!!! সে‘জন্যেই এতো প্রশ্ন করলাম। কিছু মনে করবেন না।
হতভম্ব বেহেনজিকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ত্রস্তপায়ে সেখান থেকে ভেগে এলাম, গাড়িও যে নারী সেই জ্ঞান হাসিল করে! ভাবলাম, আমার এই নয়া লব্ধ জ্ঞান অতি-অবশ্যই গোপণ রাখতে হবে। বউ ক্ষুনাক্ষরেও যদি জানে, ইয়ে লাড়কি হ্যায়; তাহলে আমার সাধের গাড়িকে ঝেটিয়ে বাড়িছাড়া করবে তো বটেই, আমার এতোদিনের মেলামেশারও কৈফিয়ত চাইতে পারে!!
সন্দেহ খুবই খারাপ জিনিস!!!
ছবিসূত্র
২০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি কোন টেলিপ্যাথিতে আমার মনের খবর পাইলেন! ব্লগে পীর-ফকির যেহেতু আছে, দেখতে দেখতে একটু আধ্যাত্মিক গেয়ান আমার মধ্যেও যদি চলে আসে, তাইলে কি খুব বেশী দোষ দেয়া যায়?
রাশান ভাষাতেও কি গাড়িরা মেয়ে? এসব শুনলে আমাদের মেয়ে-ব্লগারগন কিন্তু চেইতা যাইতে পারে।
উর্দু জানি না। হিন্দির তুলনায় ওইটার খটর-মটর বেশী। উর্দুভাষীরা হিন্দি যতোটুকু বোঝে তা দিয়াই কাজ চালাই আর কি!!!
আপনার ভাষা নিয়ে ভাসা ভাসা জ্ঞান কবে নাগাদ পাওয়া যাবে?
২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার হিন্দির জ্ঞান বেশ মনে হচ্ছে ।
আমি অবশ্য হিন্দি বলতে বেশ ভাল ভাবেই । ছোট বেলায় হিন্দি কার্টুন দেখতাম । তারপর হিন্দি মুভি ! এভাবেই শেখা যদিও এখনও ইসকা আর ইসকিতে ঝামেলা হয়েই যায় !
২০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গেয়ান বলতে বুঝতে আর বলতে পারি। তবে ইসকি আর ইসকা'তে প্যাচ লেগে যায়। সরাসরি মেয়ে নিয়ে বলতে গেলে সমস্যা নাই, কিন্তু জড় পদার্থের লিঙ্গভেদ এখনও পুরাপুরি বুঝে উঠতে পারি নাই।
ইসকা আর ইসকিতে ঝামেলা হয়েই যায় ! হবেই। আসলে বাংলা বা ইংরেজিতে তো এই সমস্যা নাই, তাই এই দুই ভাষাতে যারা অভ্যস্ত, তাদের সমস্যা হবে।
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি হিন্দী পারেন। আর এখনকার গাড়ির ব্রান্ড বিএমডব্লিউ। আপনার দাম্পত্য জীবন নিদেনপক্ষে দুই দশকের। একটা ধারণা পাওয়া গেল।
যথারীতি চমৎকার স্যাটায়ার ভুয়া ভাই।
২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার দাম্পত্য জীবন নিদেনপক্ষে দুই দশকের। চমৎকার বিশ্লেষণ ক্ষমতা আপনার!! আমি মুগ্ধ!!! বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
এখনকার গাড়ির ব্রান্ড বিএমডব্লিউ। ইয়ে তো আপ পেহলে সেই জানতেহে। ইয়াদ কিজিয়ে (এই কথায় একটু উর্দু ফ্লেভার দিলাম; কি বলেন দেখি? দেখি ধরতে পারেন কিনা!!!)।
লেখা পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:১০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আমিও আপনার মতো ‘বোল সাকতা হ্যায়’ পাড়না অউর লিখনা নাহি আতা হ্যায়।
পোষ্ট পইড়া মজা পাইলাম।
২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'বোল সাকতা হ্যায়' পাড়না অউর লিখনা নাহি আতা হ্যায়। 'বোল সাকতি হ্যায়' পাড়না অউর লিখনা নাহি আতি হ্যায়। বলেন নাই, সেইজন্য অভিনন্দন।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: গাড়ি বলতে প্রাইভেট ভাষায় বলা হয় 'মাশিনা'машина যেহেতু আকার আছে সেহেতু সেটা স্ত্রীর লিঙ্গই হবে তবে বাস কে বলে আবতোবুশ автобус বা অটো বাস সেটা আবার পুংলিঙ্গ।
কিন্তু কাহিনী আছে আর একখানা সেটা হল উভলিঙ্গ!! যেমন 'দরজা' যাকে রুশ ভাষায় বলা হয় দ্বভির дверь কোন বস্তু বা প্রাণীর নামের শেষে ইংরেজি ছোট বি এর মত হরকত বা হসন্ত থাকলে সেটা উভলিঙ্গ হয়!!
২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গাড়ি বলতে প্রাইভেট ভাষায় বলা হয় 'মাশিনা'машина যেহেতু আকার আছে সেহেতু সেটা স্ত্রীর লিঙ্গই হবে তবে বাস কে বলে আবতোবুশ автобус বা অটো বাস সেটা আবার পুংলিঙ্গ। এর যুক্তিটা তো বুঝলাম না!! বাসের কি আকার নাই?
হিন্দিতে কিন্তু বাসও স্ত্রী লিঙ্গ!
আপনে হইলেন গিয়া রাশান ভাষার ওস্তাদ মানুষ। আমার কাছে এই ভাষা শুনলে মনে হয় টেরোরিস্টদের ভাষা। এইটা বলাতে চেইতেন না আবার। বড়ই খটর-মটর ভাষা।
উভলিঙ্গের বিষয়টা ইন্টারেস্টিং। কতো রকমের আচানক ভাষা যে এই দুইন্যায় আছে!!!
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি হিন্দি ভালো পারেন ?
আমার কাছে মনে হয় ফার্সির চাইতেও হিন্দি অনেক কঠিন আবার ফরাসির চাইতেও হিন্দি অনেক কঠিন । আর আপনি কিনা ফরাসিরে গোঁত্তা মাইরা হিন্দিতে কথা বলেন ??
সে যাক আপনাকে আমি আরও অনেক বয়স্ক মনে করেছিলাম এখন দেখি আপনার বিয়ের বয়স আমার বয়সের সমান !
একখান প্রশ্ন হিন্দিতে বাহন মানেই নারী ? এটার পেছনের ব্যাখ্যা যদি হয় এই যে পুরুষরাই নারীদের ওপর চড়ে তাই যাহার ওপর চড়া হয় তাহাই নারী সেই অর্থে গাড়িও নারী , তবে তো নারীরাও পুরুষের ওপর চড়ে ( কী আর কমু শরমিন্দার কথা ) সেইক্ষেত্রে পুরুষ বাহনও থাকা উচিত কী বলেন ??
২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফারসি বলেন আর ফরাসিই বলেন, দুইটাই আমার কাছে হিন্দির চাইতে কঠিন। আসলে ভারত আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করার পর থেকেই আমার হিন্দি পছন্দ!
সে যাক আপনাকে আমি আরও অনেক বয়স্ক মনে করেছিলাম এখন দেখি আপনার বিয়ের বয়স আমার বয়সের সমান ! মজা নিচ্ছেন মনে হচ্ছে!!!
আপনের শেষের কথাগুলোর জন্য বলতে হয়........হিন্দি ভাষার যারা প্রবর্তক, তারা বাহন হিসাবে নারীদেরকেই পছন্দ করতো, পুরুষদেরকে না। অর্থাৎ তারা পুরুষ ছিল; অর্থাৎ তারা শুধু চড়তেই পছন্দ করতো। তাদের এই ক্রিয়াকর্মের কারণে নারীরাও যে নারীদের উপরে চড়বে, এইটা তাদের ভাবনায়ও ছিল না। আবার ভবিষ্যতে যুগ যে পাল্টাবে, অর্থাৎ নারীরাও যে পুরুষদের উপর চড়বে, এটা তাদের জানা ছিল না। অর্থাৎ তারা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ছিল না, অর্থাৎ তারা খানিকটা বেকুব কিসিমের ছিল। এখন তাদের এই বেকুবী বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে একটা আর্টিকেল লেখা আপনের নৈতিক দায়িত্ব। বুঝাইতে পারলাম?
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ঝামেলাবিহীন, সহজ সরল সুন্দর লেখা।
২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কথায় মনে পড়লো, আমার একটা ঝামেলাপূর্ণ, জটিল এবং প্যাচানো লেখাও তৈয়ার আছে। পোষ্ট করে দেই, কি বলেন?
৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ভাইয়া মনে গেলাম হাসতে হাসতে!!!!!!!!!!!
গাড়িরা মেয়ে হয়!!!!!!!!!!
হায় হায় এই কারণেই অনেক বদমাইশকে বলতে শুনি গাড়ি নাকি ফার্স্ট ওয়াইফ তাদের!!!!!!!!!
এতদিনে কারনখানা বুঝলাম!
২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তোমার হাসি বেশী হয়ে যাওয়াতে 'মরে গেলাম', 'মনে গেলাম' হয়ে গিয়েছে। এরকম বেকায়দা হাসা ঠিক না।
হায় হায় এই কারণেই অনেক বদমাইশকে বলতে শুনি গাড়ি নাকি ফার্স্ট ওয়াইফ তাদের!!!!!!!!! ( তোমার তাদেরকে শুধুই বদমাইশ মনে হলো, গাড়ির প্রতি তাদের যে নিখাদ প্রেম, সেটা নজরে পড়লো না। দুঃখজনক!! দেখো, ওয়াইফ হিসাবে গাড়ি অনেক সেইফ। আমার মনে হয় না, এতে সেকেন্ড ওয়াইফ.........থুক্কু, জেনুইন ওয়াইফদের কোন আপত্তি আছে।
৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮
শায়মা বলেছেন: হা হা হা আরও একটা কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে মরে গেলাম!! কিন্তুক কোন কমেন্ট বলবোক না।
তুমি বলো দেখি কাহার কমেন্টটা???
২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেই কমেন্টের কথা বলেছো, সেটার উত্তর দিয়েছি। দেখো, উত্তর পছন্দ হয় কি না!!!!
১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মারহাবা!! মারহাবা!!!
অসুস্থতার জন্যে বেশ কিছুদিন ব্লগে আসা হয়নি, তার উপর ডাক্তার সাহেব আবার বলে দিয়েছেন মোবাইল-ল্যাপটপ-পিসি কম ব্যবহার করতে, সেইজন্য ব্লগেও একেবারে গড় হাজিরই ছিলাম। যাইহোক, আপনার এই পোস্ট পড়ে মোটামোটি এত দিন ব্লগ এ না আসার ঘাটতি সুদাসলে মিটে গেল!!
আর একটা বিষয় বুঝলাম কোন ভাষা পুরোপুরি আয়ত্ব না করে পন্ডিতি করতে গেলে কোনো কোনো সময় পুংলিঙ্গের ভিতর স্ত্রী লিঙ্গ ঢুকে যায় আবার কখনো বা স্ত্রী লিঙ্গের ভিতর পুংলিঙ্গ ঢুকে যাবার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই অন্য ভাষা ঠিক মতো আয়ত্ব করেই পন্ডিতি করা লাগবে, নিদেনপক্ষে লিঙ্গ বিষয়টা ভালভাবে জেনে বুঝেই শব্দ প্রয়োগ করতে হবে।
২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষ নাকি দেশে আজকাল সূদ পাইলে আসল পায় না; আবার আসল পাইলেও সূদ ঠিকমতো পায় না। আপনি সূদ এবং আসল দুইটাই পাইলেন........আমার অভিনন্দন!!!
যে যার ভিতরে খুশী ঢুকুক, ওইটা নিয়া আমার মাথাব্যথা নাই। আমার কথা হইলো, বিষয়টা যৌক্তিক হইতে হবে। আপনারে একটা তথ্য দেই, এই যে জড়বস্তুর লিঙ্গভেদ, এইটা হিন্দি ভাষাভাষীরাও ঠিকমতো বোঝে না। জন্মের পর থেকে শুনে আসার কারনে বলতে পারে। তবে, একটা সাধারন নিয়ম আছে। যেসব জিনিসের শেষে 'আ' উচ্চারণ হয়, তারা ছেলে। আর 'ই' উচ্চারণ হলে তারা মেয়ে। তবে এরও ব্যতিক্রম আছে। আমার এই কথায় আবার প্যাচ লাগায়েন না। আমি প্যাচ ছুটাইতে পারবো না।
পন্ডিতি ফলাইতে তো পয়সা লাগে না, তাই সুযোগ পাইলে ফলাইতে অসুবিধা নাই। ধরা না খাইলেই হইলো। তবে, দিনশেষে কোথাও না কোথাও ধরা তো খাইতেই হয়! কিন্তু সেই ভয়ে তো এইসব বন্ধ রাখা যাবে না, তাই না!! এর উদাহরন কিন্তু আমাদের এই ব্লগেই পাবেন!!!
১১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার স্যাটায়ার!! খুব হাসলাম।
মন্তব্য পড়েও দ্বিগুন হাসলাম।
আমার খুব ইচ্ছা হিন্দিতে কথা বলার, কিন্তু তেমন নিরিবিলি পরিবেশ পাই না বলে হিন্দি বলা হয় না...
আরবিতে কিন্তু সব জড়বস্তু পুংলিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গ!
২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হিন্দি বলার জন্য নিরিবিলি পরিবেশ জরুরী না আপা, জনাকীর্ণ জায়গায়ও চেষ্টা চালাতে পারেন। আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেই নিজের সাথে কথা বলেন। আমার চিন্তায় এর চাইতে নিরিবিলি পরিবেশ আর আসছে না।
আরবিতে কিন্তু সব জড়বস্তু পুংলিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গ!.........আরবীতেও???
১২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাড়িটা সুন্দর।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইয়ে লাড়কি হ্যায়। খুবসুরাত তো হোনাই চাহিয়ে। হ্যায় কে নেহি!!!!
১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:২৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা শুনে ভাল লাগল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়ের প্রেমের কাহিনী ভাল লাগল, তবে শুরুতেই বলে দিলেন বর্তমান বউকে প্রেমিকা বলছেন। এটা শুরুতে না বলে আরেকটু রংচং মেখে পেঁচিয়ে, খিচুরি বানিয়ে "প্রেমিকাই বর্তমানে বউ" এই তথ্যটা একটু পরে এলে আরও ভাল হত।
হিন্দি ভাষায় যে বস্তুর ও লিঙ্গ আছে এই ব্যাপারটা আমি সম্প্রতি জেনেছি। আপনি হিন্দি ভাষায়ও পারদর্শী আগে জানতাম না, আমার পেটে বোমা মারলেও হিন্দি বের হবে না।
চমৎকার স্যাটায়ার ধর্মী লেখা।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুরুতেই বলে দিলেন বর্তমান বউকে প্রেমিকা বলছেন। আমার লেখা যারা নিয়মিত পড়েন, তারা সবাই ইতোমধ্যেই এই বিষয়টা জানেন, কাজেই রঙচঙ মাখানোর তেমন কিছু নাই। মাঝখান দিয়ে পোষ্ট হুদাই বড় হয়ে যাবে।
প্র্যাকটিস মেইকস এ ম্যান পারফেক্ট.............যতো বলবেন আর শুনবেন, কোন একটা ভাষার পারদর্শীতা ততোই বাড়বে। নাথিং স্পেশাল! চেষ্টা করে দেখতে পারেন!!
১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
Bonjour mon cher ami.
Voir après un long moment
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিডের এইটা কেমন ব্যবহার বুঝলাম না। এই দরিদ্র বিজাতীয় ভাষায় মন্তব্য করার মানে কি?
তারপরেও এমন একটা মন্তব্য, যার সাথে পোষ্টের কোনই সম্পর্ক নাই। হইলো কিছু?
১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: ভাই, যে কোন ধরণের যানবাহনই ফিমেল। ছোট বেলায় যখন জেন্ডার পড়েছি, যখন সেটাই জেনেছি। এর ব্যাখ্যা একজন স্যার করেছিলেন এভাবে। পরিবহণ আমাদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যায়, যেভাবে একজন নারী আমাদেরকে এক সময় থেকে আরেক সময়ে নিয়ে যায়। কি চমৎকার যুক্তি, তাই না?
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে কোন ধরণের যানবাহনই ফিমেল। ছোট বেলায় যখন জেন্ডার পড়েছি, যখন সেটাই জেনেছি। আপনি কি হিন্দিতে পড়ালেখা করেছেন? কারন, যতোদূর জানি, বাংলাতে তো এমন কোন ব্যাপার নাই!!
আপনার স্যারের যুক্তি ভালো হলেও চমৎকার বলা যাবে না। কারন বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে। সংক্ষেপে বলতে, এটা আসলে স্থান-কাল-পাত্র-সমাজভেদে ডেফার করে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২২
আখেনাটেন বলেছেন: ভাষা নিয়ে খাসা লেখা।
তবে অন্য একটি বিষয়ে খটকা লাগল। আপনি চোস্ত হিন্দি পারেন। এ কিসের ইঙ্গিত? আপনি তো দেখছি মিয়া 'ভুয়া ভারতীয় দালাল'।
আবার দেখছি উর্দুও ভালোই আসে...। মানে আপনি তাহলে...ক্যামনে কি...
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে আবার কোত্থেকে উদয় হইলেন এতোদিন পরে? অবশ্য কিছু বলার নাই। আমি নিজেও এখন একেবারেই অনিয়মিত।
চোস্ত না ফ্লুয়েন্ট হিন্দি পারি। দুইটার মধ্যে তফাৎ আছে না!!! মিসইন্টারপ্রেইট করেন ক্যান? হিন্দি কইলেই ভারতীয় দালাল, উর্দু কইলে পাকিস্তানী দালাল, ইংরেজি কইলে আংরেজগো দালাল..........দালালী আসলে এখন মহান একটা পেশা!!!
ক্যামনে কি... ( ক্যামনে কিছু না। ভাবতাছি, দালালীরে পেশা বানায়ে ফেলবো।
১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনের শেষের কথাগুলোর জন্য বলতে হয়........হিন্দি ভাষার যারা প্রবর্তক, তারা বাহন হিসাবে নারীদেরকেই পছন্দ করতো, পুরুষদেরকে না। অর্থাৎ তারা পুরুষ ছিল; অর্থাৎ তারা শুধু চড়তেই পছন্দ করতো। তাদের এই ক্রিয়াকর্মের কারণে নারীরাও যে নারীদের উপরে চড়বে, এইটা তাদের ভাবনায়ও ছিল না। আবার ভবিষ্যতে যুগ যে পাল্টাবে, অর্থাৎ নারীরাও যে পুরুষদের উপর চড়বে, এটা তাদের জানা ছিল না। অর্থাৎ তারা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ছিল না, অর্থাৎ তারা খানিকটা বেকুব কিসিমের ছিল। এখন তাদের এই বেকুবী বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে একটা আর্টিকেল লেখা আপনের নৈতিক দায়িত্ব। বুঝাইতে পারলাম?
ওস্তাদ , কিঞ্চিৎ ভজকট আছে । ইয়ে মানে শরমিন্দা কামের বিদ্যাতে ভারতবর্ষ সেই প্রাচীনকাল থেইকাই অনেক পরিচিত । এই ভারতবর্ষেই তো কামবিদ্যার একখানা গ্রন্থ একেবারে প্রাচীন থেকে আজ অব্দি প্রচলিত । তো প্রশ্ন হলো এই যে কলেন তারা জানতো না এইটা আমি মানতে পারতেছি না তখন এই ভারতবর্ষে নারীকে নারীর বাহন গণ্য করবার প্রথা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত তো একটু ভজকায়া গেছে গা !!
আর কসম দুইটাকা আপনার বৈবাহিক বয়স আর আমার দুনিয়ার বয়স সত্যিই এক !!
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরে বিষয়টা আরো ভাইঙ্গা কইতে হইবো দেখতেছি।
এইসব কাম-অকামের বই-টই, গুহা-লিখন এইসব অনেক পরের কথা। তারও বহুবছর আগে হিন্দি ভাষার উৎপত্তি হইছে। তখনকার কথা কইছি, তারা অর্থাৎ ভাষার প্রবর্তকেরা বেকুব ছিল।
আর কসম দুইটাকা আপনার বৈবাহিক বয়স আর আমার দুনিয়ার বয়স সত্যিই এক !! অতি উত্তম কথা। আপনে তো দেখা যায় দুধের বাচ্চা! এইসব কাম-অকাম নিয়া আপনের কামটা কি?
১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি আবার উলটা। হিন্দি বুঝি ,চেষ্টা করলে অল্প বিস্তর কইতেও পারুম । কিন্ত এই চেষ্টা কখনো করি না। ইন্ডিয়ান্দের সাথে সবসময়েই ইংলিশে কথা কই। হিন্দি স্পিকিং কোন ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি শুনে হিন্দিতে কথা শুরু করলে , আমি বাংলা কথা কই। চাই যে হেরা বুইঝা লউক
গাড়ির যে জেন্ডার আছে, তা জানা ছিল না
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হিন্দি বলা আমাদের জন্য খুব একটা কঠিন কিছু না। বাংলার সাথে অনেক শব্দেই মিল আছে।
ইন্ডিয়ান্দের সাথে সবসময়েই ইংলিশে কথা কই। আমি অবশ্য ইংরেজিতে দূর্বল হওয়াতে হিন্দিই কই!!!
১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
পোষ্টের কমেন্টতো করিনি এখনও।
আমিতো শুধু গ্রিটিংস জানাতে এসেছিলাম।
শুনলাম ফ্রেঞ্চ শিখতে গিয়েছিলো তাইতো সেই ভাষায় হ্যালো জানালাম
বিজাতীয় ভাষা বলতে পারে কিন্তু দরিদ্র না।
সেকেন্ড মোস্ট স্পোকেন হচ্ছে স্পানিশ এন্ড ফ্রেঞ্চ।
আমি নিজেও শিখতে শুরু করেছিলাম কিন্তু একসময় গিভআপ করি।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাইতো বলি, মিডের এই হাল কেন?
দরিদ্র বলতে টাইনা টাইনা ভিক্ষুকদের মতো কথা বলে। গিভআপ করাই উচিত, ভুয়া ভাষা!!!
২০| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
নিরস, রসকষহীন; একেবারেই এ্যভোকাডোর স্বাদের ভাইব আসে।
এ্যভোকাডোর সাথে ব্রকলি আর কাঁচামরিচ দিয়ে ভর্তা করলে গরম ভাতের সাথে অনেক মুখরোচক।
তোর প্রতি আমার উপদেশ হইলো, যেইখানে মেয়ে দেখস, সেইখানেই বড়শি ফেলা বন্ধ কর।
কেনো?? ক্রিস বড়শি ফেলুক যত খুশি তত, ভুমের সমস্যা কি
সারাহর লগে খাতির হওয়ার পর থিকাই তুমি কেমন জানি পর পর হয়া গেছো গা!!!
ঠিক বলেছে। সারাহ কাছের হওয়ার পর ক্রিস দুরের হয়ে গেছে।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ্যভোকাডোর সাথে ব্রকলি আর কাঁচামরিচ দিয়ে ভর্তা করলে গরম ভাতের সাথে অনেক মুখরোচক। আমার এইসব বিজাতীয় খাবার সাধারনতঃ মুখে রুচে না।
ক্রিস বরশি ফেললে আমার সমস্যা আছে। কারন বরাবরই সে কোন একটা ঝামেলা পাকায়, তারপরে সেটার সমাধানের জন্য আমার পিছনে ঘ্যান ঘ্যান করা শুরু করে।
সারাহর ব্যাপারটা তো মিড জানেই। সমস্যা হলো, ক্রিসকে তো আমি কিছু বলতে পারি না। আর সারাহর সাথে স্বাভাবিকভাবেই আমার সেই আগের সম্পর্ক নাই। এই নিয়ে অফিসে অনেক মুখরোচক কাহিনী আছে। আমি মুখের উপরে কথা বলি, ঠোটকাটা স্বভাবের, তাই আমার সামনে কেউ আকার ইঙ্গিতেও কথা বলে না। কোন একটাকে একদিন ধরতে পারলে খবর আছে।
২১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
কতো রকমের ত্যাগ স্বীকারই না করতে হয় এই এক মানব জীবনে!!!
শব্দটা মানব জীবনে হবে না, শাখামৃগের জীবনে হবে।
মনে হয় বাস-ট্রেনে ভিক্ষা চাইতাছে! ইংরেজির মতোন স্মার্টনেসই নাই হালাদের।
কি বলে!!! ওদের মাঝে অনেক সুইটনেস আছে।
মেয়েগুলোও কিউট, ছেলেদের মাঝেও একটা অন্যরকম আবেদন আছে।
আমি ফ্রেঞ্চদের সাথে কাজ করেছি। সেইসময় আমার বস ছিলো একটা প্রিন্স চার্মিং!
They have their own style.
রোমান্সেও তারা সেরা।
French kiss is the best kiss ever!
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শব্দটা মানব জীবনে হবে না, শাখামৃগের জীবনে হবে। মানব জীবনই হবে। ওটা আমার ছ্দ্মবেশ!!!
কিউট আর সুইট ছেলেমেয়ে সব দেশে, সব জাতিতেই আছে। তাই বলে তো আর ভাষা সুইট হয়ে যায় না।
French kiss ট্রাই করি নাই কখনও, শুধু শুনেছিই.........ভাবছি কিছু একটা করা দরকার!!!
২২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আর সারাহর সাথে স্বাভাবিকভাবেই আমার সেই আগের সম্পর্ক নাই।
আগের সম্পর্ক নেই, তা এখন সেটা কোনদিকে ধাবিত হচ্ছে?
আমার কথা নাহ কিন্তু! ভুমই বলেছে অফিসে মুখরোঁচক কাহিনী।
শুনেছি যাহা রটে, তাহা কিছুটা বটে।
এটাও আমার কথা না, মুরুব্বীরা বলে।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কথায় আছে......... যারে দেখতে নারি, তার চলন বাকা! আমি বিভিন্ন কারনে ফ্রেন্চদেরকে পছন্দ করি না। একজন ব্রিট হিসাবে আরো কারন যোগ হয়েছে। তারাও আমাদের দেখতে পারে না।
কেন, কি......... মিডের সব কিছুই জানা আছে। তারপরেও খোচাখুচি? কোন লাভ নাই!!!!
২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
French kiss ট্রাই করি নাই কখনও, শুধু শুনেছিই.........ভাবছি কিছু একটা করা দরকার!!!
Impossible!!!! পাগলও এ কথা বিশ্বাস করবে না, anyway!
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাগলরা তো কতোকিছুই করে, ওদের বিশ্বাস অবিশ্বাসে কি আসে যায়?.........হু কেয়ারস!!!!
২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
নির্বর মন্তব্য পড়ে, I can't stop laughing
এই পিচ্চু অনেক পাকনা আছে!
anyway, nice talking to you after long time.
থ্যাংকস ভুম।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকালকার পিচ্চুরা পাকনা-ই হয়। ওদের বয়সে আমরা ভাজা মাছ উল্টে খেতেও জানতাম না। অবশ্য আমি এখনও জানি না!!!
anyway, nice talking to you after long time. থ্যাংকস ভুম।..........same here!!
২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নির্বর মন্তব্য পড়ে, I can't stop laughing
এই পিচ্চু অনেক পাকনা আছে!
যাক তোমাকে হাসাতে তো পারলাম শেষতক !!
আজকালকার পিচ্চুরা পাকনা-ই হয়। ওদের বয়সে আমরা ভাজা মাছ উল্টে খেতেও জানতাম না। অবশ্য আমি এখনও জানি না!!!
হ , আপনে এই আমার বয়সেই প্রেমিকার কথায় উঠতেন আর বসতেন । আর বলতাছেন ভাজা মাছ উল্টায়া খাইবার পারতেন না নেহাত আপনার প্রেমিকা ও বউয়ের লগে যোগাযোগ করবার কোন মাধ্যম নাই , নাহলে কৈতাম , "গুর্বী ( ওস্তাদের ফিম্যাল ফর্ম) , এই দ্যাহেন ওস্তাদ এইসব কৈয়া নিজের বয়স কম কৈবার ও আপনারে বয়স বেশি কৈবার চায় !"
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকালকার পোলাপাইনের আরেকটা বড় সমস্যা হইলো, এরা কথার গভীরে যাইতে পারে না। শ্যালো মাইন্ডসেট!!! আরে......ভাজা মাছ উল্টাইতে জানতাম না বইলাই তো প্রেমিকার কথায় উঠবস করতাম!!!
এই দ্যাহেন ওস্তাদ এইসব কৈয়া নিজের বয়স কম কৈবার ও আপনারে বয়স বেশি কৈবার চায় !" এইসব কয়া এখন আর প্যাচ লাগানো যাইবে না। এখন আমি মাছ ভাজি না, গ্রিল করি!!
২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এইসব কাম-অকামের বই-টই, গুহা-লিখন এইসব অনেক পরের কথা। তারও বহুবছর আগে হিন্দি ভাষার উৎপত্তি হইছে। তখনকার কথা কইছি, তারা অর্থাৎ ভাষার প্রবর্তকেরা বেকুব ছিল।
না তো , আর্য ভাইয়াদের কাছ থেকেই তো এই হিন্দির জন্ম । আসলে হিন্দি হলো উর্দু ও সংস্কৃতের প্রেমের মিলনের ফসল ( এইক্ষেত্রে কে কার ওপর চড়েছিল জানা নাই ) । এখন এই দুটোই তো আর্য ভাইয়াদের ফসল , আর এরাও কিন্তু এইসবে জবরদস্ত ওস্তাদ ছিল বলা বাহুল্য এক ফুল পাঁচ মালি মার্কা খতরনাক সম্পর্ক এরাই তৈরী করেছিল । তো এর আগে হিন্দি ছিলই ভালোভাবে বললে হিন্দির বাপ মা অনেক পুরনো কিন্তু হিন্দির বয়স মাত্র ৭৬ বছর ! তাই এত কথা বললাম !!
দেখা যায় দুধের বাচ্চা! এইসব কাম-অকাম নিয়া আপনের কামটা কি?
দুইযুগ + ১ বছর আমার বয়স , এখনই তো এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবার সময়
ভালো থাকবেন অগ্রজ । আবার কবে লিখবেন জানি না , অপেক্ষায় থাকলাম !!
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি ফাইনান্সের লোক, ভাষাবিদ না। এইসব নিয়া কথা বলতে গেলে পড়ালেখা করতে হবে। টাইম নাই। তবে, চেষ্টা করতে তো দোষ নাই, তাই না!!
দুইযুগ + ১ বছর আমার বয়স , এখনই তো এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবার সময় ওকে, হ্যাভ ফান।
আবার কবে লিখবেন জানি না , অপেক্ষায় থাকলাম !! আমিও জানি না। থ্যাঙ্কস নিনি!! স্টে ওয়েল এন্ড টেইক কেয়ার।
২৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাষা লইয়া ভাসা ভাসা কথাগুলো ভালো লাগলো, আহা পৃথিবী কত বিচিত্রময়।
২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আহা পৃথিবী কত বিচিত্রময়। হাচাই কইছেন!!
২৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চুপিচুপি দেইক্কা গুলুম। শুরু করলেন ক্রিশ গেইল দিয়ে।আর শেষ হলো ইন্ডিয়ান বহিনজি দিয়ে। মাঝে অগণিত গাড়ি চলেছেন কিন্তু তার লিঙ্গ যাচাই না করার জন্য নিঃসন্দেহে বেয়াকুব কাজ করেছেন। তবে সব ভালো যার শেষ ভালো। আপনে এখন থেইক্কা যে ফিমেল গাড়ি চড়বেন সেইটা বাসায় আরেকবার রিনুয়াল করে নিন।নইলে আপনার ভারতীয় বোহেনজির মতো আমার বাংলাদেশী বোহেনজি কপালে কি যে রেখেছে কে জানে...
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফিমেল গাড়ি আবার কি? মেইল গাড়িই তো নাই। সব গাড়িই ফিমেইল!! কাজেই লিঙ্গ যাচাই করার কিছু নাই। আমি গাড়িতে উঠার আগে সব সময়ে ''এক্সকিউজ মি'' বলেই উঠি। মেয়েদের উপরে চড়া কোন ভালো কথা না। আশাকরি, একজন ভারতীয় হিসাবে আপনিও এই পদ্ধতিই ফলো করেন!!!
বাংলাদেশ ভ্রমন কেমন হলো? এই বিষয়ে পোষ্ট কবে পাচ্ছি?
স্যরি। উত্তর দিতে দেরী হইলো। মাইন্ড খাইয়েন না কইলাম!!!
২৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩
আরোগ্য বলেছেন: প্রেম করসেন নাকি প্রেসার কুকারের ভিত্রে আসিলেন। । আমার বিশ্বাস এহনো ততটা প্রেসারেই থাকেন, ভাবিজি জিন্দাবাদ।
আপনে পিরিতির ঠেলায় নয়া ভাসা শিখবার গেসিলেন আর আমার ইংরাজি সাহিত্য পড়তে যায়া আরবী ভাষার স্বাদ জাগছে। ওদিকও এই মেইল ফিমেল। গাড়ি তো বটে বাড়ি, রাস্তা, মদ, কুয়া, সুরুজ, আগুন এমনকি জাহান্নামও ফিমেল, সাবধানে থাইকেন। তবে আরবীতে ফিমেল তত কঠিন না কিছু টেকনিক আছে। এই লিঙ্গ বিভাজন সবতেরই শুরুতে ভেজাল করে।
বলিউড আর টিভি সিরিয়াল দেইখা পুরান ঢাকাইয়াগো দ্বিতীয় ভাসা হিন্দি হয়া গেছে। এদিক দিয়া আমি আপনের চেয়ে এক কদম আগায়া আছি। আমি হিন্দি মোটামুটি পড়বারও পারি আর আমিও ওইসব সিরিয়াল দেইখাই বড় হইসি । কিন্তু জেন্ডার ফেন্ডারে সমস্যা তো আছেই। এহন মনে হয় হিন্দি না দেইখা উর্দু দেখলে কামে দিত। অনেক আরবী শব্দ জানতে পারতাম ।
আরবী ভাষাটা শিখা ফালান, ওত কঠিন না। আমি উস্তাদ নোমান আলী খানের কোর্স করছিলাম, উনার অ্যাপ আছে একটা। আরবি ভাষার গুরুত্ব নিয়া একটা পোস্ট করুম ভাসতাসি কিন্তু সময় সুযোগ করতে পারতাসি না।
আল্লাহ মালুম কবে আপনে মন্তব্যের উত্তর দিবেন???
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আল্লাহ মালুম কবে আপনে মন্তব্যের উত্তর দিবেন??? | আরে, মাইন্ড খায়েন না। আমি যে কিয়ের মধ্যে আছি জানলে আপনেই কইতেন, থাক........যহন পারেন, উত্তর দিয়েন!! তারপরেও লন, এইবার তাড়াতাড়িই দিলাম।
আরবী ভাষাটা শিখতে পারলে ভালাই হইতো। তয়, এহন আর নতুন কিছু শিখনের টাইম নাইক্কা। যহন-তহন মইরা যাইতে পারি। আরবি ভাষার গুরুত্ব নিয়া একটা পোস্ট করুম ভাসতাসি কিন্তু সময় সুযোগ করতে পারতাসি না। পোষ্ট কইরা দ্যান। ল্যাদাইন্না পাবলিকগো বহুৎ ল্যাদাল্যাদি দেহন যাইবো।
প্রেম পর্যন্ত ঠিক আছে; বিয়া করন মানেই প্রেশার কুকারের ভিত্রে হান্দায়া যাওন। এহন আর কিছু করনের নাই। ইটস অ্য ওয়ান ওয়ে জার্নি!! আরবীতেও লিঙ্গ বিভাজন!! আমি এর ধারেকাছেও নাইক্কা।
পুরান ঢাকার ভাষার মধ্যে এমনিতেই বহু উর্দু শব্দ আছে। আবার উর্দুর সাথে আরবী-ফারসীর কানেকশান আছে। তবে হিন্দি উর্দু শেখার গ্রাউন্ড ওয়ার্ক বলতে পারেন। এই দুই ভাষায় অনেক মিল।
আমি হিন্দি মোটামুটি পড়বারও পারি আরে.....আপনে তো দেহি বহুৎ কামেল আদমী!! বাংলা-হিন্দি-উর্দু-আরবী-ইংরেজি.........আর কি চাই? এইবার স্প্যানিশ শিখ্যা ফালান। হুনছি, এইটা দুইন্যার সবচেয়ে সোজা ভাষা!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভাষা নিয়ে ভাসা ভাসা জ্ঞান নামে একটা সিরিজ লিখতে চেয়েছিলাম আপনার এটা দেখে মনে হল ওটার সাথে এটা আবার তালগোল পাকিয়ে গেল কিনা!
আপনি কোন টেলিপ্যাথিতে আমার মনের খবর পাইলেন!
এখন দেখি এটা মোটেও কাঠখোট্টা বিষয় না একদম চরম মানের স্যআটআয়আর। হাসতে হাসতে চাপাচাপি লেগে গেল!!
এই সেম দিকদারী রাশিয়ান ভাষাতেও আছে। ইংরেজি বাংলায় জানতাম কিন্তু আপনি যে হিন্দি উর্দুর জাহাজ সেটা জানতাম না।