নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১


গণতন্ত্রের মানসপুত্র ও উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের বৈরুতের এক হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একাধারে প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
যথাযোগ্য মর্যাদায় অবিসংবাদিত এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে দেশবাসী এটাই স্বাভাবিক। দেশের প্রায় সব প্রত্রিকার অনলাইন আপডেট ও কিছু ব্লগ এ ঢু- মেরে তেমন কোন বিশেষ লেখা দেখলাম না গণতন্ত্রের মানসপুত্র ও উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে।
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দির কনিষ্ঠ সন্তান। জাহিদ সোহরাওয়ার্দি কলকাতা হাইকোর্টের একজন খ্যাতনামা বিচারক ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যবর্গ তৎকালীন ভারতবর্ষের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের প্রথা অনুসারে উর্দু ভাষা ব্যবহার করতেন। কিন্তু সোহরাওয়ার্দি নিজ উদ্যোগে বাংলা ভাষা শিখেন এবং বাংলার চর্চা করেন। কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করার পর যোগ দেন সেইন্ট জ্যাভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি তার মায়ের অনুরোধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৩ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক অর্জন করেন। এছাড়া এখানে তিনি আইন বিষয়েও পড়াশোনা করেন এবং বিসিএল ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে গ্রে'স ইন হতে বার এট ল ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
১৯২০ সালে তিনি বেগম নেয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বেগম নেয়াজ ফাতেমা ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা।
রাজনৈতিক জীবনঃ
প্রথমে তিনি যোগ দেন চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে। এটি তখন মূলত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ ছিল। ১৯২৩ এর বেঙ্গল প্যাক্ট স্বাক্ষরে তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। ১৯২৪ সালে তিনি কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাস। ১৯২৭ সালে সোহরাওয়ার্দী পদত্যাগ করেন। ১৯২৮ সালে সর্বভারতীয় খিলাফত সম্মেলন এবং সর্বভারতীয় মুসলিম সম্মেলন অনুষ্ঠানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মুসলমানদের মধ্যে তার ব্যাপক রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত মুসলিম লীগের সাথে তিনি জড়িত হননি। ১৯৩৬ সালের শুরুর দিকে তিনি ইন্ডিপেন্ড্যান্ট মুসলিম পার্টি নামক দল গঠন করেন। ১৯৩৬ এর শেষের দিকে এই দলটি বাংলা প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাথে একীভূত হয়। এই সুবাদে তিনি বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল মুসলিম লীগ তথা বিপিএমএল এর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৪৩ সালের শেষ দিক পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। ১৯৪৩ সালে শ্যমা-হক মন্ত্রীসভার পদত্যাগের পরে গঠিত খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি একজন প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী, পৌর সরবরাহ মন্ত্রী ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৬ এর নির্বাচনে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের বিপুল বিজয়ে তিনি এবং আবুল হাশিম মূল কৃতিত্বের দাবীদার ছিলেন। ১৯৪৬ সালে বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি ব্যাপক সমর্থন প্রদান করেন।পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৯৪৬ সালে তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের প্রতি তার সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদান করেন। তার উদ্যোগে ১৯৪৬ সালে দিল্লী সম্মেলনে মুসলিম লীগের আইন প্রণেতাদের নিকট লাহোর প্রস্তাবের একটি বিতর্কিত সংশোধনী পেশ করা হয়। এই সংশোধনীতে অখন্ড স্বাধীন বাংলার প্রস্তাবনা ছিল। উল্লেখ্য যে, সোহরাওয়ার্দি ৪৭ এর দেশভাগের সাথে সাথে পাকিস্তানে চলে যাননি।
১৯৫৪ সালের মার্চের আট থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মওলানা ভাসানী, আবুল কাশেম ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কর্তৃক গঠিত যুক্তফ্রন্ট অভূতপূর্ব জয়লাভ করে। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হয়। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যেকার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে তিনি পদক্ষেপ নেন। কিন্তু তার এই পদক্ষেপ ব্যাপক রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্ম দেয়। পূর্ব পাকিস্তানের মতো পশ্চিম পাকিস্তানেও এক ইউনিট ধারণা প্রচলনের তার চেষ্টা পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের কারণে নস্যাৎ হয়ে যায়। এরপর ১৯৫৮ সালেইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারী করেন। আগস্ট,১৯৫৯ হতে ইলেক্টিভ বডি ডিসকুয়ালিফিকেশান অর্ডার অনুসারে তাকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে রাস্ট্রবিরোধী কাজের অপরাধ দেখিয়ে তাকে জানুয়ারি ৩০, ১৯৬২ তে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং করাচি সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ করা হয়। আগস্ট ১৯, ১৯৬২ সালে তিনি মুক্তি পান। অক্টোবার, ১৯৬২ তে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট (এন ডি এফ ) গঠন করেন। মূলত তখন থেকেই পাকিদের অবস্থা নড়বড়ে হতে থাকে।
আজ এই মহান নেতার ৫২তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০০

কালের সময় বলেছেন: গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

আজ এই মহান নেতার ৫২তম মৃত্যু বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

বিদ্যুৎ বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন সব সময়। ধন্যবাদ

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

অন্ধকারে আলোর পথ বলেছেন: আল্লাহ তাকে জান্নাতের শ্রেষ্ঠ মাকাম দান করুক,দুয়া রইল

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

অন্ধকারে আলোর পথ বলেছেন: আল্লাহ তাকে জান্নাতের শ্রেষ্ঠ মাকাম দান করুক,দুয়া রইল

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গণতন্ত্রের মাসনসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আসলেই ভাই, ব্লগে তেমন কিছু দেখলাম না, ব্যাপারটা দুঃখজনক।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ।

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

ফাহিম শিশির বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ, ,,,

"সোহরাওয়ার্দী এবং ভাসানীদের নিয়ে মাতামাতি না করাই বর্তমান চেতনার(!) অংশ।"

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

আবু শাকিল বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

রমিত বলেছেন: "এ'কথা সত্য যে, ইংরেজদের পাশবিক শক্তির কাছে আমরা হার মানতে বাধ্য হয়েছি, কিন্তু সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত গুনাগুন বিচার করলে আমরা তাদের চাইটে কোন অংশেই কম নই।" - হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

শ্রদ্ধাঞ্জলী এই মহান নেতাকে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

উচ্ছল বলেছেন: দেশের বেশিরভাগ মিডিয়া ১৯৭১-এ গিয়ে ঠেকে যায়। তার পূর্বে যেতে চায় না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: কঠিন সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছেন। মিডিয়া, রাজনৈতিক গোষ্ঠী এমন কী তথাকথিত সুশীল সমাজ খ্যাত পা চাটা গোলামগুলো ভুলে গেছে যে, ৭১'র পিছনের দৃশ্যপট কতটা গভীর ও সুদূর প্রসারী। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

রমিত বলেছেন: বিদ্যুৎ ভাই, আমি কিন্তু ১৯৪৭ পূর্ব ইতিহাস নিয়ে মাঝেমাঝেই লিখি। ('৪৭ পূর্ব ইতিহাস আমাদের ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ রমিত ভাই। খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। আমার কাছে লেখালেখি বিষয়টি সবচেয়ে কঠিন মনে হয়। মাঝে মধ্যে চোখে আঙুল দিয়ে খোঁচা মারার মত বিষয় দেখলে কিছু না লিখে থাকতে পারিনা। তাই সামান্য চেষ্টা আর কি! আপনারা কিছু লিখেন বলেই তো কিছু জানতে পারি। আবারও ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.