নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্মের মাধ্যমেও বিজয় আনন্দে মাতা যায়।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৭



বিজয় দিবসে প্রতিবার শুধু আমরা শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি।যে সুন্দর একটি দেশ পাওয়ার ইচ্ছা,বাসনা নিয়ে অগণিত মানুষ কেউ আদরের ছোট্ট সন্তানের পিছু ডাক উপেক্ষা করে, কেউ বা নব বধূর শুভ আলিঙ্গন না করে, কেউ বা প্রিয় বন্ধু, প্রিয়তমাকে ফিরে আসার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে, শুধু মা-বাবার দোয়া আর বাঙ্গালী জাতির ভালবাসার টানে অকাতরে জীবন দিয়েছে এই লাল সবুজ পতাকার জন্য।আমরা চাইলেও তাঁদের ঋণ কোন দিন শোধ করতে পারব না কিন্তু অন্তত পক্ষে চেষ্টা তো করা উচিৎ সৎ ভাবে। আমরা কি তা করছি সৎ ভাবে? বুকে হাত দিয়ে আমরা এই সত্য বলতেও পারব না। আমরা হীন, আমরা লোভী, আমরা অকৃতজ্ঞ, তাই অনেক মুক্তিযোদ্ধা অভিমানে নিজেদের লুকিয়ে রাখে। তাঁদের কয়জনের কথা-ই বা আমরা জানি? মাঝে মধ্যে প্রত্রিকার পাতায় কিছু চিত্র আসে বড়ই নির্মমভাবে, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক আহমদ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে, সিরাজগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা বৈদ্যনাথ কর্মকার দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে পরলোকগমন করেন এবং মৃত্যুর পরেও তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য যথেষ্ট অর্থ ছিলনা। ওই ঘুড়কা মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার নামে ২১ বার তপ্তধব্বনি ছাড়া আর কিছুই জটেনি। কত মানুষ আজ মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য কি না করছে? কেউ জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে সুবিধা ভোগ করছে। সাধারণ মানুষ শুধু দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবেসে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের অসম্মান তাঁদেরকে ভীষণ ভাবে আক্রান্ত করে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যারা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাঁরা হয়ত ভাবছেন শহীদ হয়ে তাঁদের আত্নসম্মান রক্ষা হয়েছে, গাজী হয়ে থাকলে তাঁদেরকে এই অকৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে অসম্মান কুঁড়ে কুঁড়ে মারত।
গৌরব গাঁথা মুক্তিযুদ্ধের অনেক কথা শুনি। বিজয়ের উচ্ছ্বাসে আমরা মাতি। এবার ঢাকা বিজয়ের সাঁজে সাজিয়েছে। আহ কি সুন্দর দেখতে ঢাকা! বিজয় দিবসে মঞ্চে উঠে বক্তব্য দিবে পাতি-ছাতি মার্কা নেতারা। সেখানে মঞ্চে স্থান হবে না কোন মুক্তিযোদ্ধার। সব মুক্তিযোদ্ধারা বসবেন সামনে পাতা আসনে শ্রোতা হয়ে। কি আজব কাণ্ড! একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনতে হবে এক অমুক্তিযোদ্ধার এমন কি কখনও বা রাজাকারের কাজ থেকেও। ভাগ্য বড়ই নির্মম!
আমরা গর্ব করে বলি ১৯৭১ সালে এই দিনে ৯৪ হাজার পাক সেনা অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় আত্নসমর্পণ করে। কিন্তু এই সজ্জিত আধুনিক অস্র কোথায় গেল তা কি আমরা জানি?
আগে সপ্তাহে দেড় দিন ছুটি ছিল। অফিস আদালতে কর্ম চাঞ্চল্য ছিল। এখন সপ্তাহে ছুটি দুই দিন হলেও আসলে তিন দিন। শুক্রবার এবং শনিবার পুরাপুরি ছুটি আর বিশেষ করে সরকারী অফিসগুলোতে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে মোটামুটি ফাঁকা। টানা দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি, কেউ গ্রামের বাড়িতে, কেউ বেড়াতে যাবে অন্য কোথাও তাই একটু আগেভাগে আর কি!
২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ছুটি মোটামুটি ৫০দিনের মত, সাধারণ ছুটি ১৪দিন, নির্বাহী আদেশে ছুটি ৮দিন,ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব) ৫দিন, (হিন্দু পর্ব) ৮দিন, খ্রিষ্টান পর্ব ৮দিন, বোদ্ধ পর্ব ৫দিন,আদিবাসী পর্ব ২দিন। আর বছরে ৫২ সপ্তাহে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন হিসেবে ১০৪ দিন ছুটি। ৩৬৫ দিনের মধ্যে ২১১দিন ছুটি থাকবে। আসুন আমরা এত ছুটি না কাটিয়ে অন্তত পক্ষে সাধারণ ছুটি যেমন, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস প্রভৃতি দিবসে অহেতুক ছুটি না কাটিয়ে আরও বাড়তি কাজ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনি। আসুন আমরা এই বিজয় দিবসে সরকারের কাছে দাবি জানাই যে, সভা সমাবেশে অসাড় বক্তব্য দিয়ে সময় নষ্ট না করে আসুন সবাই আমাদের কর্মের মাধ্যমে বিজয়ের আনন্দে ভাসি। শুভ হোক বিজয়ের আনন্দ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: দেশের জন্য কাজ ,মৌলিক অধিকার

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.