নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধ-ই তো হয় নাই আবার শহীদদের সংখ্যার কি দরকার?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৫


বাঙ্গালী জাতির মধ্যে দুই জাতের লোকজন আছে বলে আমার ধারণা!
এক জাতের হলঃ গোল্ড ফিস জাতের।গোল্ড ফিসের নাকি মেমোরি বা স্মৃতি খুব কম। এমন কম যে, গোল্ড ফিস পায়খানা করে সঙ্গে সঙ্গে সেই পায়খানা খাবার মনে করে খেয়ে ফেলে! আমার মনে হয় আমরা যারা আমজনতা আছি তাঁরা হলাম এই গোল্ড ফিস জাতের। খুবই মন ভোলা। এই তো সেদিন ১৯৭১ সাল আজ থেকে মাত্র ৪৪ বছর আগে, অর্ধশতক বছরও হয় নাই। এত এত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করলাম, কি হারালাম, কি পেলাম আমরা কিছুই বুকে হাত রেখে হলপ করে বলতে পারি না। যে যা বলে শুধু সাঁই দিয়ে যাই। কোন কিছুই মনে করতে পারি না আমরা।
আরেক জাতের হলঃ উল্লুক জাতের। দেখতে অনেকটা মানুষের মত! বিলুপ্ত প্রায় কিছু কিছু চিড়িয়াখানাতে দেখতে পাওয়া যায়। এদের স্বভাব বড়ই খারাপ। এরা যখন পায়খানা করে তখন তার পায়ু পথের নিচে হাত দিয়ে হাতের উপর পায়খানা করে। আবার সেই পায়খানা সে নিজেই খাই!! মাঝে মধ্যে দর্শনার্থীদের বিশেষ করে সুন্দরী ললনাদের দিকে ছুড়ে মারে!! শুনেছি এখানেই শেষ নয়, পায়খানা না আসলে সুন্দরী নারী দেখলে নাকি ব্যহায়াপনায় মেতে উঠে। আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক হলেন এই উল্লুক জাতের!! তাঁরা নিজেরা নিজেদের মল-মুত্র খায় আর ভাবে অন্যরাও তাঁদের মত তাই তাঁরা ছুড়ে মারে আমজনতার দিকে।
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক জনাব সোহরাব হাসান হলেন এই উল্লুক জাতের এক অনন্য উদাহরণ। “খালেদা কেন ইতিহাসকে অস্বীকার করছেন?” শিরোনামে লেখা লিখেছেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ২৫শে ডিসেম্বর। সেই দিন সঙ্গে সঙ্গে আমি তার প্রদত্ত ইমেইল অ্যাড্রেসে নিম্ন লিখিত বিষয়টি লিখি। তিন দিন পরেও কোন উত্তর না পেয়ে আমি আবারও ইমেইল করি আজ সাত দিন হতে চলছে কিন্তু কোন উত্তর দেয়নি এমন কি ভদ্রতা স্বরূপ পত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করে কোন ইমেইলও করেনি। সে বেগম খালেদা জিয়া কে হেয় করতে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ কে অস্বীকার করেছে। ১৯৭১ সালে যদি পাক-ভারত যুদ্ধ হয়ে থাকে তবে শহীদদের সংখ্যা কি দরকার?
তাকে লেখা পত্রটি নিচে হুবহু দেওয়া হলঃ
জনাব, সোহরাব হাসান সাহেব
শ্রদ্ধা ও সালাম নিবেন। আশা করি খুব ভাল আছেন। আমি সময় পেলেই আপনাদের মত বিশেষ ব্যাক্তিদের মতামত, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, বিশেষ কলাম বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পড়ে থাকি। অনেক সময় পড়ে মজা না পেলেও শুধু জানার জন্য পড়ে থাকি। আগে মাঝে মধ্যে কিছু লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় পাঠাতাম কিন্তু মান ভাল হয়নি বলে ছাপানো হয়নি কিন্তু অনেক সময় লক্ষ্য করেছি ওই লেখাটা পরিমার্জন করে কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ নিজের নামে ছাপাত। যাই হোক এখন বিভিন্ন ব্লগে লিখি এবং মাঝে মধ্যে ভাল মন্দ কমেন্ট পায়। এখন লেখা পাঠানো বন্ধ করলেও আপনাদের মতামত ও লেখা অবশ্যই পড়ে থাকি। আসলে জানার জন্যই পড়ি কিন্তু লেখায় যখন মারাত্মক অসংগতি দেখি তখন আর চুপ থাকতে পারিনা। গত বছর এই ডিসেম্বর মাসেই আমি একটি লেখা লিখেছিলাম “বিজয়ের মাসেও পরগাছার আস্পর্ধা কত?” শিরোনামে। সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান যখন শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছিল। সেই ডিসেম্বর মাসেই আবার সেই বিতর্ক আর আজ ২৫ শে ডিসেম্বর আপনি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত কালের পুরাণ মতামত বিভাগে “খালেদা কেন ইতিহাসকে অস্বীকার করছেন?” শিরোনামে লেখা লিখেছেন। তাই এই রকম একটি আপনার বিশেষ লেখা না পড়ে থাকতে পারিনি। কিন্তু পড়তে গিয়ে আমি কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি তাই আমি আপনাকে লিখছি। আশাকরি বিষয়গুলো আমাকে খোলাসা করে বলবেন।
১. তিনি অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে পাকিস্তানি শাসকেরা কেন তাঁকে কারাগারে রাখবে? কেন দেশদ্রোহের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেবে? সেই দণ্ড ইয়াহিয়া খান কার্যকর করতে পারেননি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায়।
১৯৭১ সালে কি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল?
যদি অনুগ্রহ করে একটু পরিষ্কার করে বলতেন তবে আমার জন্য ভাল হয়।
“৪৪ বছর বিবিসি এর ওয়েব সাইটে স্বাধীনতার যুদ্ধের ভূল তথ্য” শিরোনামে আমি আরও একটি লেখা লিখেছিলাম। বিবিসি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস লিখতে গিয়ে লিখেছিল যে, ১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের জন্ম হয়।
তাহলে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ কি মিথ্যা? ৩০ লক্ষ শহীদদের আত্নদান কি মিথ্যা? ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত বিসর্জন কি মিথ্যা? এতগুলো প্রশ্ন যখন আমাকে বিষাক্ত তীরের মত এসে আঘাত করল, আমি তখন বিবিসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখলাম। তাঁরা আমাকে এই আপনি যে ভাবে পাক-ভারত যুদ্ধের কথা বলেছেন এই রকম বেশ কিছু রেফারেন্স দিলো। আমি তো মানতে নারাজ, সারা জীবন যে মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা চেতনায় ধারণ করছি তা কিভাবে মিথ্যা হবে? তাই আমি তাঁদের কে আমার জানা কিছু ইতিহাস, যুদ্ধের দলিল পত্র দিয়ে তাঁদের সাথে বিতর্ক করতে থাকি। তাঁরা একে একে তিন বার সময় নেই আমার কাছ থেকে তাঁদের উচ্চ পর্যায়ে তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণার জন্য। শেষে তাঁরা তাঁদের ভুলের জন্য আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি দেয় এবং সেই দিন থেকে পাক-ভারত যুদ্ধের কথা না লিখে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লেখে।
২. ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু কোন প্রকৌশলীর সহায়তায় খুলনা থেকে আনা একটি ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেছিলেন,
৩. জিয়াউর রহমান কার নামে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন?
উপরে ২ ও ৩ নম্বর বিষয়টি আমার কাছে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হচ্ছে।
২৫ মার্চ যদি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করে থাকেন এবং ২৭ মার্চ যদি মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে থাকেন তাহলে...
কেন ২৬ মার্চ আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকি?

ক) ১৯৭১ সালে কি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল?
খ) কেন ২৬ মার্চ আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকি?
অনুগ্রহ করে ক) এবং খ) বিষয় দুটি জানালে খুব খুশি হব।
পরিশেষে, আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে শেষ করছি।
ধন্যবাদান্তে,
বিদ্যুৎ


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৩

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: ভাল লাগল ভাই.।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২০

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। ভাল থাকবেন সব সময়।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১১

কারাবন্দি বলেছেন: আমারো সেটাই কথা

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ বাদে পৃথিবীর কোন দেশ নিজ দেশবাসিদের উপর নৃসংস আচরনকারি খুনিদের সমর্থন করে না। গণহত্যাকারিদের বাচাঁতে নিহতের সংখা কমিয়ে বলে না। কারন সেখানে দুধ-কলা দিয়ে 'ছাগু' পুষা হয় না।
আমার এই লেখাটি পড়ুন - লাশ কেউ গুনে দেখেনি

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: বুঝে মন্তব্য করলে ভাল হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.