![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ
এ+ নিয়ে এখন খুব মাতামাতি হচ্ছে। ছাত্র, শিক্ষক, অবিভাবক এমন কি গণ ম্যাধম এমন মাতামাতি করছে যেন শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যই ভূলে গেছে। আগে গ্রেড সিস্টেম ছিল না, ছিল ডিভিশন সিস্টেম। পাশের হার বাড়ানোর জন্য গ্রেড সিস্টেমের পাশাপাশি সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে আসল। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় শিক্ষকদের সমস্যা হল শিক্ষা প্রদানে। অনেক মফস্বল স্কুল ফেল করল মানে পাশের হার শূন্য ভাগ। এখন বেশ উন্নতির দিকে কিন্তু শিক্ষার মান খুবই হতাশাজনক। আমার এক কাজিন এস এস সি পরীক্ষায় এ+ পেতে ব্যর্থ হলেন। বাড়ির সবারই মন খারাপ। ৪.৮০ পেয়ে পাশ করেও তাঁর নিজের মন খুব খারাপ। বাসার সবাই সিদ্ধান্ত নিল এই মফস্বলে ভাল পড়ালেখা হবে না। তাই ওকে পাঠিয়ে দিল ঢাকায় আমার জিম্বাদারিতে। পড়ালেখা ভালই চলছিল, ঢাকা আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ৪.৬০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করল। আমি ছাড়া সবাই হতাশ। সবার আশায় আমি যেন গুঁড়ে বালি দিলাম। কত আশা নিয়ে ওর বাবা-মা আমার কাছে পাঠিয়েছিল! কাউকে তেমন কিছু না বলে শুধু আমার কাজিন কে বললাম ভাই তুই হতাশ না হয়ে আরও একটু মনযোগ দে মেডিক্যালে ভর্তি পরিক্ষার জন্য। আল্লাহর রহমতে সে মেডিক্যালে সুযোগ পেল। এখন সে ডাক্তারি পাশ করে উচ্চতর শিক্ষা নিচ্ছে চিকিৎসা বিদ্যায়। ওর এ+ না পাওয়া টাই ছিল ওর এই চরম সাফল্য। আমার কাছে থেকে সে এ+ পাইনি সেই জন্য ওর পরিবারের লোকজন ভাল ভাবে অনেক দিন আমার সাথে কথা পর্যন্ত বলেনি। আমি জানি ও খুব মেধাবী। আমি নিজে ওর কাছ থেকে কৌশলে অনেক গাণিতিক জিনিস শিখেছি। মানুষ এখন শুধু এ+ নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু ছেলে মেয়ে কি শিখল তা নিয়ে কোন ভাবনা নেই। পিতামাতা, শিক্ষকদের চাপে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এখন দিশেহারা। তাই তো পরীক্ষার সেই কংখিত ফলাফল না পেয়ে আত্নহত্যা করছে অনেকে। এটা কি নির্মম হত্যাকাণ্ড নয়? এর জন্য কি পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, শিক্ষা ব্যাবস্থা দায়ী নয়? লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে এ+ পাচ্ছে কিন্তু যখন শুনি ভর্তি পরীক্ষায় পাশ মার্ক পেতে ব্যর্থ! এমন কি ভাল মানুষ হওয়া তো দূরের কথা, তখন তো এ+ নিয়ে গর্ব করার কিছু থাকে না। আসুন আমরা সবাই পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে সচেতন হয় এবং নিস্পাপ কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের শুধু এ+ এর ফ্রেমে না বেঁধে রেখে ভাল মানুষ হয়ে সমাজকে আলোকিত করে সেই ভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
গেদা (Geda) বলেছেন: বেশ সুন্দর বলেছেন । আমরা লেদা ভোলারা পড়া লেখা নিয়ে বড় বিপদে আছি । বাবা-মা এর বকুনীর কারণে মাঝে মধ্যে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে । ধন্যবাদ
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও পড়ে উপলব্ধি করে মন্তব্য করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০১
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভাল মানুষ হয়ে সমাজকে আলোকিত করে সেই ভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি -ঠিক তাই। বিদ্যুৎ, এসব কথার মর্ম বুঝার মত শিক্ষাটও যেন উদাও হয়ে যাচ্ছে ...