নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিট্রেন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মুখে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৪



অন্তত ব্রিটিশ জনগণ গণতন্ত্রের ধারক বাহক হিসেবে এক নাম্বারে থাকবে তাতে দ্বিমত করার মত তথ্য উপাত্ত আমার মনে হয়না কেউ দেখাতে পারবে। ওয়েস্টমিনিস্টার সংসদীয় ব্যবস্থা পিউর গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে খ্যাত। ইউকে পার্লামেন্ট সাইটে পিটিশন করার জন্য সিগনেচার ব্যবস্থা আছে। দেশের জনগণের কোন উদ্বেগের বা অভিযোগের বিষয় থাকলে সেখানে স্বাক্ষর করে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। এটা ম্যানুয়ালিও করা যায়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল পার্লামেন্টের ওই সাইটে পিটিশন করে দেশের জনগণ তাদের সরকারকে উদ্যোগ নিতে বাধ্য করতে পারে। যদি ওই উদ্বেগের বিষয়ে কমপক্ষে দশ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করে তবে সরকার তাতে সাড়া দিবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। আর যদি কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষ স্বাক্ষর করে তবে সরকার সেই উদ্বেগের বিষয় নিয়ে পার্লামেন্টে সরাসরি ডিবেট করে এবং প্রয়োজনে আইন করে সমাধান করে। সাম্প্রতি সময়ে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম অভিবাসী ও মুসলিম দেশ নিয়ে যে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সমালোচনা ও প্রতিবাদে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এমনই এক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মিঃ গ্রাহাম গেস্ট নামে এক ভদ্র লোক ইউকে পার্লামেন্ট সাইটে পিটিশন খুলেছেন। মাত্র একদিনের মধ্যে প্রায় দেড় মিলিয়ন লোক পিটিশন টি সমর্থন করে স্বাক্ষর করেছেন। একটি পিটিশন ওপেন থাকে ৬ মাস । যেভাবে স্বাক্ষর করছে মানুষ কত মিলিয়ন হবে তা এখনও অনুমান করা যাচ্ছে না। টাইম মেশিনের মত যেভাবে স্বাক্ষর কাউন্ট হচ্ছে তা কোথায় গিয়ে থামবে বলা অসম্ভব।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইউকে পিটিশন দেখুন
তবে অন্য আরেকটি পিটিশন বন্ধ করেছে সরকার যেখানে প্রায় ৬ লক্ষ স্বাক্ষর জমা পড়েছে। দেশটির সরকার এই পিটিশনে খুব বিব্রত এবং চাপে আছে। তবে যত সমস্যায় হোক ব্রিটেন কোন ভাবেই তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তথা আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর বিরাগ ভাজন হতে চাইবে না। এমনিতেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে মহা বিপদে। যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ব্রিট্রেন ভ্রমণে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা পিটিশন বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তবে ধারণা করছেন অনেকে যে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ত বিলেত ভ্রমন করতে পারবেন কিন্ত রাষ্ট্রীয় ভাবে আমেরিকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রন নাও জানাতে পারে।
তবে অপেক্ষা করতে পারি আমরা কি হতে যাচ্ছে সামনে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবেন, ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন, সম্ভব মতো ব্যায়াম করবেন, একা একা কম থাকবেন; পিটিশনে ইংল্যান্ডের সবাই সাক্ষর করলেও কিছু ঘটবে না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। কিছু হবেনা তা খুবই অনুমেয়। বিষয়টা হচ্ছে তার প্রতি এত এত মানুষের অনাস্থা।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: অচেতন মানবজাতিকে জাগানোর জন্য ট্রাম্পের মতো একজনের বড় দরকার ছিল।

১৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৪৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: হয়ত আপনি ঠিকই বলেছেন। মাঝে মাঝে দরকার এরকম কিছুর। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪০

মহা সমন্বয় বলেছেন: পিটিশনে ইংল্যান্ডের সবাই সাক্ষর করলেও কিছু ঘটবে না।

১৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫১

বিদ্যুৎ বলেছেন: তা আপনি ঠিক বলেছেন কিন্তু একজন মানুষের প্রতি অধিকাংশ মানুষের অনাস্থা অনেক কিছুই হতে পারে ভবিষ্যতে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ভাইরে শুশিল সব জায়গা্য আছে, সমস্যা না। ট্রামকে দরকার ছিলো। এটা ছিলো সময়ের প্রয়োজন। যারা এগুল করছে তারা একবারও ভাবছেনা, তারা আমেরিকার প্রচুর সাবালক লোককে ফালতু মনে করছে। আসলে কি তাই?

১৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকে হয়ত জেনে করেছে আবার অনেকে না জেনেই করছে। সময়ের প্রয়োজনে অনেকে এসেছিল আবার চলেও গেছে অপমানিত হয়ে। তবে সব যেন ভাল হয়। সেটাই আমাদের কাম্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.