নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ- ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ; কবি, লেখক, কলামিস্ট আর ব্লগিং তো করিই সব সময়।

বিদ্যুৎ

আমি মানুষ-ই থাকতে চাই - বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্য, বিদ্যুৎ নয় সরকার দুর্নীতিতে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২১



বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার প্রচার মাধ্যম বা মিডিয়াকে ব্যবহার করে অতিমাত্রায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করছে। এতে অবশ্য তাদের জন্য কাজ হচ্ছে বেশ ভাল। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ ভিন্নমতালম্বি প্রচার মাধ্যম ও মিডিয়াকে সরকার অন্যায় ভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, সম্পাদক, মিডিয়া কর্মীদের জেল জুলুম অত্যাচার করছে। অনেক সাংবাদিক ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা হতে হয়েছে। অনেকে বিনা বিচারে জেল জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে। সেখ মুজিব নিজের মতের চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকি সব সংবাদ মাধ্যমগুলো বন্ধ করেছিলেন, বাকশাল করে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিলেন এমন কি তাঁদের নিজের দল আওয়ামীলীগও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আজকে আওয়ামীলীগ যে দল নিয়ে আজ রাজনীতি করছে এর অস্তিত্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলার গণ মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আওয়ামীলীগের উচিৎ ছিল তাঁদের অস্তিত্বের ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৩৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা। সেখ মুজিব মানুষের বাক স্বাধীনতা পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ করে দেশ ও দেশের মানুষকে বাকরুদ্ধ করে রেখে ছিল। কিন্তু বেশি দিন টিকতে পারেনি তাঁর সেই স্বৈরাচারী শাসন। তাঁকেও নির্মম ভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। যার ডাকে মানুষ নিজের জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে তুলে ছিল সেই নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু মানুষের হৃদয়ে এতটুকু রক্ত ক্ষরণ করেনি। কারণ যে স্বাধীনতার স্বপ্নের কথা বলে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলার মানুষকে নতুন ভাবে, নতুন কায়দায় পরাধীনাস্ত করা হয়েছিল। মুখে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল কালো টেপ আর পায়ে পরানো হয়েছিল পরাধীনতার নতুন শৃঙ্খল। শুধু বইয়ের মলাট বদলে ছিল কিন্তু ভিতরে ছিল সেই একই বিষয়বস্তু। আমারা সাধারণ জনগণ কোন নির্মমতা আর দেখতে চাই না। সময় বদলেছে, বদলেছে রাজনৈতিক কটু-কৌশল। তাই তো বর্তমান অনৈতিক আওয়ামীলীগ সরকার কৌশল বদলিয়ে এখন বিভিন্ন গণমাধ্যম যেমন সংবাদপত্র,টেলিভিশন সংখ্যা বাড়িয়েছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিন্তু নিরপেক্ষ ও ভিন্নমতালম্বি সবগুলোকে অন্যায় ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রায় ত্রিশটির বেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছে সরকার দলীয় নেতা ও প্রভাবশালী আওয়ামী সমর্থকদের। প্রায় চার শতাধিক সংবাদপত্র আওয়ামী সরকারী ঘরনায় পরিচালিত হচ্ছে। সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতা হিসেবে বর্তমানে সোশ্যালমিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম বেশ জনপ্রিয়। সেখানে মানুষ তাঁদের মুক্তবাক প্রকাশ করতে পারে কিন্তু এই বাংলাদেশে ৫৭ ধারা কালো আইন যোগ করে অনৈতিক সরকার তাদের স্বৈরাচারী মনভাব প্রকাশ করেছে। তাদের দল,নেত্রী এবং নেতাদের কুকর্ম কেউ প্রকাশ করলে তাঁর অত্যাচারিত হওয়ার উদাহরণ বড়ই নির্মম ও বেদনাদায়ক। তাই একদিকে যেমন সৎ সাংবাদিকতা চর্চা সম্ভব হচ্ছে না, অন্যদিকে তাদের চাটুকার সংবাদপত্র সব সময় এই সরকারের গুণগান আর মিথ্যা প্রচারে মানুষকে রীতিমত বিভ্রান্ত করছে। একটি মিথ্যা তথ্য সবসময় গণমাধ্যম এবং সরকার বার বার প্রচার করায় তা অনেকটা সত্য বলে সাধারণের মধ্যে ধারণা জন্মায়। কিন্তু আসলে তা মিথ্যা। এই যেমন সরকার বলতে চাচ্ছে যে দেশে বাক স্বাধীনতা আছে বলেই এই দেশে ত্রিশ এর বেশি টেলিভিশন চ্যানেল আর চার শতাধিক সংবাদপত্র আছে। শুধু সংখ্যায় কি বাক স্বাধীনতা বা মুক্ত চিন্তা পরিমাপের তথ্য উপাত্ত হতে পারে? যেখানে ষড়যন্ত্র করে নিরপেক্ষ ও ভিন্নমতালম্বি সংবাদ মাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী সরকার নিজস্ব প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের অপকর্মকে সুকর্মে রূপ দিচ্ছে তার প্রমাণ প্রায় সবাই জানি। এই যেমন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদ্যুৎ এর খেত্রেও প্রায় তাই প্রচার করা হচ্ছে।
সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে দেশে বার্ষিক খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে তিন কোটি তেত্রিশ লাখ টন এবং মোট চাহিদা বার্ষিক দুই কোটি ৬৪ লাখ টন। সেই হিসেবে প্রায় ৬৯-৭০ টন উদ্বৃত্ত থাকার কথা। অথচ খাদ্য অধিদপ্তর সরকারী ভাবে ৬ লক্ষ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এই জন্য গত ২ মে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। চাল সংকটের কারণে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ বাড়িয়ে ৮ লাখ টন করা হয়েছে। এই বোর মৌসুমে অভ্যন্তরীণ ভাবে ৮ লাখ টন সংগ্রহ করার কথা ছিল কিন্তু সরকার সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ২৭০ টন যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। আর এই প্রস্তাব নিয়ে খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে ভিয়েতনাম সহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে চাল আমদানি করার জন্য চুক্তি করতে গেছেন। এর আগে ব্রাজিল থেকে ২ লাখ টন গম আমদানি করে সরকার। এই দুই লাখ টন গম প্রায় সব পচা যা একেবারে খাবার অনুপযোগী। ৪’শ কোটি টাকা দামের ২ লাখ টন গম আমদানি করতে ইমপেক্স এবং ওলাম ইন্টারন্যাশনাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠান অনুমতি পায়। আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মন্ত্রীর একান্ত স্বার্থের জন্য এই নিম্নমানের গম গ্রহণ করা হয়। আবার ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে যে পচা ও নিম্নমানের চাল আমদানি করবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সরকারের এমপি, মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে যে, তাদের অধীনে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আসলে দেশ খাদ্যে এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। রীতিমত খাদ্যে ঘারতি আছে দেশে। সরকার শুধু মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে তাদের সমস্ত দুর্নীতি আর অদক্ষতা আড়াল করার জন্য।
এবার আসি বিদ্যুৎ উদপাদনের ক্ষেত্রে। ২০১০ সালে সরকার একটি মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। ঘটা করে প্রচার করা হচ্ছিল যে, সরকার বিদ্যুৎ উপাদনে এক ম্যাজিক কৌশল হাতে নিয়েছে যা ২০১২ সালের পর আর কোন বিদ্যুৎ সমস্যা থাকবে না। আর এরই অংশ হিসেবে সরকার কুইক রেন্টাল পদ্ধতি গ্রহণ করে। হ্যাঁ এটা ম্যাজিক কৌশল ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই তবে এটা ছিল দলীয় নেতাদের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার ম্যাজিক কৌশল। ভাড়া ভিত্তিক বা কুইক রেন্টাল কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে এই আওয়ামীলীগ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা আত্নসাধ করেছে। এই ভাড়া ভিত্তিক কুইক রেন্টাল কেন্দ্র স্থাপন একটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অন্যতম প্রকল্প হয় আওয়ামীলীগের জন্য। আর এই জন্য সরকারের লোকজন, এমপি, মন্ত্রী এমনকি আমলা অনেকে এই ব্যবসায় নামেন। এই প্রকল্পের বড় জালিয়াতি হল কেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানি ডিজেল, ফার্নেস অয়েল যা লাগবে তার সমস্ত ভর্তুকি সরকার জনগণের টাকা থেকে পরিশোধ করবে আর অন্য দিকে সেই উৎপাদিত বিদ্যুৎ কয়েকগুণ বেশি দামে তাদের কাছ থেকে কিনবে সরকার। তাতে একদিকে যেমন ভর্তুকি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে খাচ্ছে অন্যদিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে সরকার টাকা লোকসান গুনছে। গত বছর ৭ ডিসেম্বর সরকার ঘটা করে “আলোক উৎসব ২০১৬” উদযাপন করেছে। উৎপাদনের সক্ষমতা ১৫০০০ মেগাওয়াট নাকি ছাড়িয়ে গেছে। অনৈতিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন। অথচ গত কয়েক দিন আগেও দেশ অন্ধকারে ছিল লাগাতার কয়েক দিন বিদ্যুৎ এর অভাবে। যদিও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কয়েক দিন সময় চেয়েছিলেন স্বাভাবিক হতে। কোথায় গেল এই আলোক উৎসব? মানুষকে মিথ্যার জালে বন্দি করেছে সরকার। পরিকল্পনায় দেশবাসীকে ঘটা করে বলা হয়েছিল ২০২০ সালের জন্য বিদ্যুৎ এর চাহিদা ১৭ হাজার ৩০৪ মেগাওয়াট কিন্তু নতুন পরিকল্পনায় তা কমিয়ে ১২ হাজার ৯৪৯ মেগাওয়াট করা হয়েছে। সরকার এই ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে তবে তাদের আখের গোছিয়ে নিয়েছে। একেই ভাবে আর্থিক খাত ব্যাংক বিমা শেয়ার বাজার সব কিছু এখন ধব্বংসের মুখে। বর্তমানে রাষ্ট্র চালিত সব কয়টি ব্যাংক এখন মূলধন ঘারতিতে বা সংকটে আছে। শুধু মিথ্যা প্রোপাগান্ডা যা হচ্ছে আসলে দেশের সামাজিক, আর্থিক, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা সমস্ত ক্ষেত্রে এই সরকার লালবাতি জ্বালিয়েছে। তাই মিথ্যা প্রচারণা যতই করুক না কেন বাস্তবতা এবং সঠিক পরিসংখ্যান প্রমাণ করে খাদ্য, বিদ্যুৎ নয় সরকার দুর্নীতিতে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪২

সামছুল ইসলাম মালয়েশিয়া বলেছেন: অসধারন লেখনি অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ সামছুল ইসলাম। পড়ে আপনার ভাল লেগেছে যেন খুশি হলাম।

২| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখা কোন পত্রিকায় চাপা হয়েছে?

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

বিদ্যুৎ বলেছেন: বাংলা সংলাপ পত্রিকায়।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: নির্ভীক সত্য উচ্চারণ। ভাল লিখেছেন। বলা হচ্ছে রামপালে আর রূপপুরে বিদ্যুৎককেন্দ্র স্থাপিত হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে

পোস্টে ভাল লাগা।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫২

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কাছে ভাল লেগেছে তাই আমার ভাল লাগল। ভাল থাকবেন সব সময়।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি বাংলা সংলাপে চাকুরী করেন, বা কোনভাবে যুক্ত?

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: কি জন্য এত কিছু জানতে চাচ্ছেন।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কুইক রেন্টাল, কুইক মানি, কুইক ঠকবাজি

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

বিদ্যুৎ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:

"আওয়ামীলীগের উচিৎ ছিল তাঁদের অস্তিত্বের ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৩৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা। "

-শেখ হাসিনা এটি করতে পারতেন, এতে জিয়ার প্রতি মর্যদা দেখানো হতো; সাথে সাথে গ্রেনেড যারা মেরেছে, ও জর্জমিয়ার জন্মদিনও পালন করতে পারতেন!

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৫

বিদ্যুৎ বলেছেন: এখন তো কত জজমিয়ার জন্ম হচ্ছে। কত জনের জন্ম দিন আপনি পালন করবেন?

৭| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার বাড়ীতে এসি আছে?

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১১

বিদ্যুৎ বলেছেন: কেন ভাই?

৮| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: যখন খাম্বা ছিল কিন্তু বিদ্যুত ছিল না..এসি কিভাবে চলত?

"লেখা কোন পত্রিকায় 'চাপা' হয়েছে?"

৯| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৫

তাওহিদ হিমু বলেছেন: মিথ্যুকদের খপ্পরে দেশ। মিথ্যাচারের শিল্পী এরা।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩০

বিদ্যুৎ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। তবে আমাদেরও অনেক দায়িত্ব আছে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ বিষয় তুলে ধরা। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: পুরানো ইতিহাস লিখলেন। ১৯৭৪ সালের দিকে সন্মানিত শেখ মুজিব সেনাবহিনীকে নামিয়েছিলেন ব্ল্যকারদের(ঐ সময়ে জনগনের জন্য রেশন দোকানের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ; শিশুখাদ্য বিতরন কর হোত, কিন্তু রেশন দোকানে শিশু খাদ্যটি অধিকাংশ সময়ে পাওয়া যেত না, পাওয়া যেত ব্ল্যকারদের কাছ থেকে) আস্তানায় চিরুনী অভিযানের জন্য। ঐ চিরুনী অভিযানে যাদেরকে সেনাবাহিনী পাকরাও করতো, জানা যেত কোন না কোন ভাবে তারা সরকারের উচু পদের সংগে সংশ্লিষ্ট। আমার মনে হয় এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরন হতে আরও ভিন্নতর পদক্ষেপ ও সাহসিক নেতৃত্য লাগবে।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

বিদ্যুৎ বলেছেন: সময়ের সাথে সব কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিক্রমায় হয়ত সাহসিক ও যোগ্য নেতৃত্ব আসবে। সময় সব বলে দিবে।

১১| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৪

লাল মাহমুদ বলেছেন: ভাই, কাজী নজরুলের কবিতা পাঠ করে নিজেকেই যদি কাজী নজরুল দাবী করে বসেন, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দেখায় বলুন তো।
এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম তিন বছরে ২২লাখ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছিল। যার জন্য কুইক রেন্টাল পদ্ধতিটি খুবই উপযোগী ছিল। তবে সেখানে যে দূর্নীতি হয়েছিল সেটাও অস্বীকার করার মত না। ২৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে বিদ্যুৎ এর উৎপাদন আজ সরকারী হিসেবে ১৫০০০ মেগাওয়াট। যদিও ১৫০০০ মেগাওয়াট উৎপাদন নাও হয়ে থাকে তবু বিদ্যুৎ এর উৎপাদন যে বেড়েছে তা কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না। সেই সাথে বিদ্যুৎ এর যে চাহিদা বেড়েছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
যাইহোক, আপনার লেখনিটা মোটামোটি ভাল লাগল।

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন বা আশ্বাস দেওয়া অথবা মিথ্যা তথ্য দেওয়া কি অন্যায় নয়? বলা হবে চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন করছি অথচ বাস্তবে তার বিপরীত। আলো উৎসব বলেন আর যাই বলেন এই প্রোপ্যাগান্ডা হল তাঁরা যে কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিচ্ছে সেইটাকে আড়াল করার জন্য এই মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।

১২| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট একটা দেশ। মানুষ বেশী। কিছু সমস্যা তো থাকবেই।

১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৪

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি বলছিনা যে কোন সমস্যায় থাকবে না। এই যেমন আপনি ছোট দেশ বেশি মানুষকে সমস্যা মনে করছেন। কিন্তু আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। বিশ্বে অনেক দেশ আছে যেখানে জন্ম হার নেতিবাচক। যেমন জাপান,জার্মানি ইত্যাদি। আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ জার্মানির জনসংখ্যা কমে যাবে ৮ লাখ।
আবার দেখুন কাতার এবং বাংলাদেশ একই সালে স্বাধীন হয়েছে। এখন কাতারে বার্ষিক মাথা পিছু গড় আয় ৭০ হাজার ডলার আর আমাদের মাত্র ১৪৬৬ ডলার। তেলের খনি যেমন কাতারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ তেমনি জনসংখ্যা হল আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আমরা আজও জনগণ কে জনশক্তিতে রুপান্তর করতে পারি নাই। আমরা বরাবরই জন সম্পদকে বোঝা মনে করেছি। এই বৃহৎ জন গোষ্ঠীকে জনশক্তি বা জন সম্পদে রুপান্তর না করাটাই হল সমস্যা।

১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

সবুজ২০১২ বলেছেন: লুটেরার দল, অপেক্ষায় আছি কবে এই ফেরাউনের দু:শাসন থেকে আল্লাহ এই দেশের মুসলমানদের মুক্তি দেবেন.......।

১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুধু অপেক্ষায় থাকলে হবে না দুঃশাসন দূর করার জন্য কাজ করতে হবে। আবার খেয়াল রাখতে হবে যেন এক ফেরাউন বিদায় নিয়ে আরেক ফেরাউন শাসন ক্ষমতায় না আসে। আসলে সিস্টেম বদলায়তে হবে যেন যেন লুটপাট আর দুঃশাসন সমাজে না জন্মায়। সকল সৎ ও দক্ষ মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.