![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক তো চিল্লাপাল্লা করলেন তনুকে নিয়ে।দুঃখজনক হলেও সত্য তনু সুশ্রী হিজাব দর্শনে আমাদের কিছু ভাই অতি উৎসাহিত হয়ে পড়েছে।ফেইসবুকে লিখে ক্ষান্ত হয়নি কেউবা আন্দোলনের! জন্য নাকি প্রস্তুতি নিচ্ছে।আসুন,এবার নতুন কিছু শুনুন। তুচ্ছ গল্প বলে উড়িয়ে দিবেন না। আট দশটা ধর্ষন-কাহিনীর মত তনুর ধর্ষন স্রেফ একটা ধর্ষন নয়,এর পেছনে রয়েছে গভীর এক ষড়যন্ত্র। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য।
:
সেনানিবাস নিয়ন্ত্রণ নিতে আওয়ামী লীগ-ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অপারেশন !
.
গত সপ্তাহে দেশের সেনানিবাস গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হঠাৎ করে তৎপর হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ মন্ত্রী পরিষদ । নিজেদের আওতায় আনার জন্য ‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’-এর খসড়া প্রস্তাব উঠেছে মন্ত্রী সভায় । মজার ব্যাপার হচ্ছে এমন একটি গুরুত্বপুর্ন প্রস্তাব আনার আগে যাদের জন্য এই আইন সেই তিন বাহিনীর কোন মতামত নেয়া হয়নি । ফলে তিন বাহিনী আইনটিতে আপত্তি করে। ভেস্তে যায় সেনানিবাস নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আওয়ামী পরিকল্পনা ।
দেশের সব কিছু এখন আওয়ামী লীগ ও ভারতের আজ্ঞাবহ হলেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে এখনো পুরো তাদের নিয়ন্ত্রনে আসেনি। ওদিকে বাংলাদেশে ভারতের অপদৃষ্টির অনেক গুলো বাধার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যতম । ঐতিহাসিকভাবেই আওয়ামী লীগও সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে না, এখনোও পারছে না।
সেনাবাহিনীকে পুরো নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ওরা বসে থাকেনি। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনায় আঁকা হয় নতুন ছক । সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতেই সেনানিবাসের মত গুরুত্বপুর্ন জায়গায় বেছে নেয়া হয় এই অপারেশান যাতে নাকি অংশ নেয় ভিন দেশী কিছু গোয়েন্দা কর্মী । ভিক্টিম হয় তনু।
:
সেনানিবাসের ভিতরে হত্যাকাণ্ড যে গভীর পরিকল্পনার ফল তা বুঝা যায় কট্রর ভারতপন্থি হিসেবে সুপরিচিত শাহাবাগী ইমরান এইচ সরকারের কথায়। তনু হত্যাকান্ডের পর পরেই তিনি দাবী করেন, 'এই হত্যাকাণ্ডে অনেক উপর তলার লোক জড়িত ' । ইনিয়ে বিনিয়ে তিনি সেনাবাহিনীকেই দায়ী করেন। ওদিকে আরেক ভারতবান্ধব নাট্যকার নাসির উদ্দিন বাচ্চু সরকারি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সেনাবাহিনী জড়িত এমন ইংগিতও দেন।
:
মজার ব্যাপার হচ্ছে, দেশের খুন ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডে ইমরান-বাচ্চুদের টু শদ্ধ করতে না দেখা গেলেও তনু হত্যাকান্ডে তারা প্রথন দিন থেকেই সরব। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোন রকম তদন্ত ছাড়াই ঘটনায় সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন।
ওদিকে দেশের আওয়ামী বান্দব ও ভারতপন্থি হিসেবে সুপরিচিত মিডিয়াও বসে নেই । চ্যানেল আই লিখেছে,
তনু ইস্যুটি সেনাবিরোধী ইস্যুতে রূপ নিচ্ছে নাতো? - collected from indian doctrine page.
কিছুদূর পর পর জুতা, চুল, মোবাইল ফেলে যাওয়া যাতে করে যে কেউ লাশ পেয়ে যায়।
মনে হচ্ছে যেন আর্মি নিজেকে নিজেই অপরাধী প্রমাণ করতে চাইছে।
নাট্যকর্মীর বাকি সব ছবি বেমালুম গায়েব কেবল সুমিষ্ট হাসির হিজাবী ছবি ব্যতিত।
এক শাহবাগী আগ বাড়িয়ে বলছে যে তাকে কিছু না বলার জন্য আর্মি হুমকি দিয়েছে।
একি সময়ে এরচেয়ে জঘন্য হত্যাও হয়েছে অথচ এগুলো নিয়ে কোন আওয়াজ নাই।
সাময়িক উত্তেজনায় ধর্ষণ করা কোন লোক এত নির্মম আঘাত করে কেন মারবে?
একটি দুর্বল মেয়েকে ধর্ষণ লুকানোর জন্যই যদি হত্যা করা হয় তাহলে আর্মির মত প্রফেশনালদের জায়গামত কয়েকটা আঘাতই যথেষ্ট ছিল।
কেন আঘাত এমন জায়গায় ছিল যাতে সবাই দেখে আর চরম বর্বরতার উদাহরণ হয়ে থাকে?
হত্যার দুইদিন আগেই সেনানিবাসকে আইনের আওতায় আনতে চেয়েছিল কারা যা বাহিনীগুলো প্রত্যাখ্যান করল?
:
ও ভাইয়েরা, সিকিম আর আমাদের পার্থক্য হল আমাদের আর্মি বেশ শক্তিশালী। এমনকি পীলখানার ঘটনার পরেও।
দিনের আলোর মত পরিষ্কার একটা ঘটনা কেন বুঝতে পারছেন না?
শাহবাগ কখন, কার ইস্যুতে, কাদের ইশারায় আন্দোলন করে আপনারা তা ভালই জানেন । ইতি মধ্যে তারা অনেক ধরনের ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে প্রচার চালাচ্ছেন এবং ঐই সব ভিডিওতে হিজাব পরা মেয়েদের ব্ক্তব্য দেখা যায় , তারা তনু হত্যার বিচার চায় কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোন ব্যাপার না তাদের কাছে । তার এই তথ্য জীবন দিয়ে হলেও গোপন রাখতে চায় । অতএব হিজাব পরা কোন শাহাবাগীদের দেখে আপনারা কেউ বিভ্রান্তি হবেন না ।
তনু নামক মেয়েটি শুধুই বলি হয়েছে। হয়ত মিষ্টি একটি চেহারাই তার খুন হবার কারণ যে চেহারা দিয়ে সহজেই জনগণের মাঝে এন্টি- আর্মি সেন্টিমেন্ট তৈরী করা যায়।
হয়ত আমাদের অনেকের জীবন হুমকির মুখে যারা এই RAW ব্যাপারগুলো তুলে ধরছি। ভেবে দেখবেন কি?
একটু চিন্তার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকল।
বি দ্র: তনুকে ধর্ষণ ও হত্যাকারী অবশ্যই নিকৃষ্ট মানের পশু।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বক্ত্যের শেষ বাক্যটিই 'বি দ্র: তনুকে ধর্ষণ ও হত্যাকারী অবশ্যই নিকৃষ্ট মানের পশু' প্রমান করে হত্যার নেপথ্যকারীরাই সফল হয়েছে । তাদের সাথে সকলেই আপনার সন্দেহের জায়গাটাতেই আংগুল তুলছে ও মহল বিশেষের ভাবমুর্তী বিনাসের সুফল ঘরে তুলছে । তাদের প্রাপ্তি পাওয়া হয়ে গেছে । এখন লুম বাছতে কম্বল শেষ করার কাজটিই শুধু বাকী আছে । তাহলেই ষোলকলা পুর্ণ হবে । তাই এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যকারীদের ও খুজে বের করে বিচার এর সম্খুখীন করতে হবে । ।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭
সমুদ্রতীর বলেছেন: কুমিল্লা ক্যন্টন্মেন্টের ভেতর সাম্প্রতিক যেসব ঘটনাবলী ঘটে চলেছে সেটা সেনা সদস্যদের কার্যকলাপ নয় ছাত্রলীগের কার্যকলাপ বলেই প্রতীয়মান হয়। ধর্ষন, খুন , পরবর্তীতে পুলিশি সাপোর্ট, খুনীদের সদর্পে ঘুরে বেড়ানো, আসামীর বদলে বাদীদের জিজ্ঞাষাবাদের নামে হুমকি প্রদান,তনুর বাসায় যেতে গিয়ে তনুর সহপাঠী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রদের চূড়ান্ত হয়রানির শিকার ... এই জাতীয় কার্যকলাপ আমরা এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দেখতে পেয়েছি। এখন দেখতে পাচ্ছি ক্যন্টন্মেন্টে। সেনাবাহিনীর মত একটি সুশৃংখল বাহিনীতে সেনা সদস্যদের এই জাতীয় কার্কলাপ কোনভাবেই স্বাভাবিক নয়।এটা এখন পরিষ্কার যে জলপাই রং এর পোশাক গায়ে দিয়ে সেখানে এখন ছাত্রলীগ ঠাই নিয়ে।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯
রাজু বলেছেন: এ্যাঁ.....!!
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১১
বাংলার জামিনদার বলেছেন: আপনি তো ভাই ভালোই জানেন দেখা যায়। দেশের এত গোয়েন্দা, সাংবাদিক যা যানেনা, আপনি সেকেন্ডের ভিতড়ে পাইয়া গেলেন???? আপনি বিরাট।
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
Safin বলেছেন: বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হউক!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৩
সাদ্দাম হোসেন। বলেছেন: থ্যাংকস ভাইয়া খুব ভালো লিখেছেন।
এই সরকার চায় প্রতিটা নাগরিক ওদের নতজানু হোক।
এবং আইনের লোকেরাও ওদের পা চাটুকারিতা করুক