নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীতে সিটিং বাসের চিটিংবাজী বন্ধে প্রয়োজন শক্তিশালী নাগরিক সচেতনতা

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২০



রাজধানীতে অর্ধশতাধিকের বেশি পরিবহন নিজেদের ইচ্ছেমতো সিটিং সার্ভিস বানিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলে অভিযোগ রয়েছে বলে দেখা যায় সংবাদপত্রের ভাষ্যে ।
সিটিং সার্ভিসের নামে রাজধানী জুড়েই চলছে এ রকম অরাজকতা। প্রতারণা। ‘কম স্টপেজ’ বা ‘সিটিং সার্ভিস’ লিখে যে যার ইচ্ছেমতো বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। কারো কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। নেই জবাবদিহিতা।
যাত্রীসেবায় বিশ্বাস হারানো যাত্রীদের টানতে এখন বিভিন্ন পরিবহন আল্লাহর নামে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করছেন খোদ সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেছেন সরকারের গাড়ির গায়ে লেখা ‘সিটিং সার্ভিস’, অথচ ভেতরে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। এটি সিটিং নয় একটা ‘চিটিং সার্ভিস’। কোন কোন বাসের গায়ে লিখা ‘আল্লাহর কসম সিটিং সার্ভিস’! কোনটায় লিখা ‘আল্লাহর কসম ভিআইপি সার্ভিস’!
বেশিরভাগ সিটিং সার্ভিস বাসে ফ্যানের কোন ব্যবস্থা নেই। জানালা ও আসন ভাঙ্গাচোড়া। তেমনি যাত্রীও তোলা হয় যেখানে সেখানে। অপরিচ্ছন্ন আসন। ছাড়পোকার দৌরাত্ম্য। লক্কড়ঝক্কড় বাস। ইঞ্জিনের ওপর বসানো হয় যাত্রী। সব মিলিয়ে মানসম্মত গণপরিবহন একেবারে নেই বললেই চলে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিআরটিএ’র কোন অনুমোদন ছাড়াই রাজধানীতে পরিবহনের বেশিরভাগ বাস সিটিং সার্ভিস হয়ে চলছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতারাতি সাধারণ বাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে চালানো হচ্ছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, সিটিং সার্ভিসের নামে রাজধানীতে ৮৭ ভাগ পরিবহন যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করছে।
সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১০ পয়সা বাড়িয়ে এক টাকা ৭০ পয়সা করা হয়। মিনিবাসের ভাড়াও ১০ পয়সা বেড়ে এক টাকা ৬০ পয়সা হয়েছে। সে হিসেবে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলে বাসগুলোতে মাত্র এক টাকা বেশি ভাড়া নেয়ার কথা। কিন্ত এই পরিমাণ দূরত্বে ঢাকার বিভিন্ন রুটের পরিবহনগুলোকে নতুন ভাড়া কার্যকরের অজুহাতে দুই টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এছাড়া ‘লোকাল’ বাসগুলো আগে যেখানে পাঁচ টাকা ভাড়া নিত এখন সেখানে ছয় টাকা নিচ্ছে। আবার আগের ৭/৮ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১০ টাকা হারে।
রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস চালানোর নামে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কোন বৈধতা নেই। কারণ গাড়ির আসন বিবেচনা করে বিআরটিএ থেকে ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। এই হিসেবে কোন পরিবহনেই দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কথা নয়। কিন্তু একদিকে বাস কোম্পানিগুলো দাঁড়িয়ে যাত্রী নিচ্ছে অন্যদিকে সিটিংয়ের নামে বাড়তি ভাড়াও নিচ্ছে। এখন প্রকাশ্যে স্টিকার লাগিয়ে সিটিং সার্ভিস চলছে। এসব বাস কোম্পানিকে সহজেই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া খুবই সহজ কিন্ত সহজ কাজটি সহজে করা হচ্ছেনা ।
বিআর টিএ এ দিয়ে কোন সুফল আসছেনা তখন প্রয়োজন শক্তিশালী নাগরিক সচেতনতা । এর ফলে ঢাকা বাসী ২ কোটি মানবের জীবন সংগ্রামে এনে দিতে পারে কিছুটা স্বস্থি । বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন মিডিয়া সরগরম থাকলে একটা সুফল আসতে পারে বলে বিশ্বাস ।
তথ্য সুত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ
রাজধানীতে-রাতারাতি-লোকাল-বাস-হচ্ছে-সিটিং

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেশের হাজার হাজার অনিয়মের মধ্যে বাসওয়ালাদের ৫-১০ টাকা করাপশন একটা মাত্র খুব নগন্য করাপশন। ! কতটাকা চুরি করে বাস ড্রাইভার বা কনডাকটর? কোন এক শ্রেনীর মানুষের একটা কলমের খোঁচায় হাজার কোটি টাকা উধাও হচ্ছে তা তো আপনার অজানা নয়!

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

বিলুনী বলেছেন: এটাতো ভাই ঢাকা বাসীর কথা হলোনা । যাত্রী প্রতি ৫-১০টাকা নগন্যই বটে হিসাব করলে দৈনিক চুরির পরিমান শত কোটি টাকা ছাড়াবে , নগন্য করাপশন বটে !!!!!!!!!!!! একটি গরীব পরিবারের গড়ে ৩ জন সদস্যকে যদি বাসে যাতায়াত করতে হয় দৈনিক ১ বার করে তাহলে কমপক্ষে ৬ বার আপ ডাউন জারনী করতে হয় তাদেরকে , প্রতিবারে যদি ৫-১০ এর গড় ৭-৫০ টাকা হারে দৈনিক চুরীর পরিমান ধরা হয় তাহলে পরিবার প্রতি দাঁড়ায় ৪৫ টাকা হারে ( হিসাবটা কম বেশী ও হতে পারে পরিবার সদস্য সংখ্য্ ও জার্নীর ফ্রিকোয়েনসি অনুসারে ) , হিসাবটা কি কি নগন্য মনে হলো !!!!!বিবেচনার ভার রইল বিবেকমান ঢাকাবাসীর কাছে ।
যাদের কলমের এক খোঁচায় হাজার টাকা চুরি গেল তাদেরকে ধিক্কার জানাই , তাদের চরম শাস্তি হোক ,আমিউ চাই , দেশ বাসিও চায় , পালের বড় এক গোদাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে পড়ের দিন , তদন্ত চলছে , বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে ।
ড্রাইভার কনট্রাটররা কানা পয়সাও চুরী করছেনা , কাওনটার থেকে মানুষ টিকেট কেটে বাসে উঠে , কাওনটারের পয়সা মালিক পায় ,বুজেন কে করছে চুরী ।
তাদের এ অপরাধের ভুক্তভোগী ঢাকার কোটি মানুষ যারা বাসে চলাচল করে নিত্য । এটা ঢাকাবাসীর চোখে কনট্রাকটর আর ড্রাইভারের দোষ , গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ঘারে দোষ চাপিয়ে ধনী বাস মালিক গোষ্টীর স্বার্থ রক্ষার এ হীন চক্রান্ত আর কতদিন চলবে ঢাকাবাসীর কাছে দেশবাসী জানতে চায় । যাদের কলমের খোচায় হাজার টাকা চলে যায় তাদের বিরোদ্ধে দেশবাসী যেমন সোচ্চার তেমনি ভাবে গরীব বাসযাত্রীর পকেট চোষায় যারা রত তাদের বিরোদ্ধে দেশবাসীরা জেগে উঠতেছে একটু নীচের দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন । আশা করছি ঢাকা বাসীও তাদের বিরোদ্ধে জোড়ালোভাবে সোচ্চার হবে। এটাই দেশবাসীর কামনা, বাসনা সকলের প্রতি ।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকারের লোকেরাই এগুলোর মালিক, বা পরোক্ষভাবে সরকারেের লোকদের সাহায্যে এগুলো চলছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

বিলুনী বলেছেন: অতি সত্য কথা বলছেন, স্যলুট জানালাম অন্তরের অন্তস্থল থেকে ।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২০

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: রবরব আর গ্যালাক্সি নামে দুইটা বাস রামপুরা থেকে গুলশান হয়ে মিরপুর যায়। এই বাস দুটি রামপুরা ব্রীজ থেকে বাড্ডা পর্যন্ত ১ কি:মি:রও কম রাস্তা ভাড়া আদায় করে ১০ টাকা। আবার বনানী থেকে কালশী ৩ কি:মি: ভাড়া আদায় করে ২৫ টাকা।

তরন্গ প্লাস নামে একটা বাস কাকরাইল থেকে শাহবাগ ১ কি:মি: রাস্তার ভাড়া আদায় করে ১৫ টাকা। এগুলোর কোনটাই সিটিং না।

নাগরিকরা সচেতন হয়ে যদি ভাড়া দিতে অস্বীকার করে, তবে বাসে উঠতেই দেবেনা। আপনার পরামর্শ কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.