নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাস মিডিয়া ও সুসিলরা ট্রাম্পকে পাগল বললেও বনের পশু জ্যোতিষী বানরে ঠিকই চিনেছিল ট্রাম্পকে

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩০


মাস মিডিয়া ও রাজনৈতিক সুসিলরা ট্রাম্পকে পাগল বললেও বনের পশু জ্যোতিষী বানরে ঠিকই চিনেছিল ট্রাম্পকে : তার হাতেই হবে বিশ্ব নিরাপদ , পুতিনের সাথে মিলে মিশে দুর করবে দুনিয়া হতে যুদ্ধের আপদ । পুতিনও তার অভিনন্দন বানীতে জানিয়েছেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি আলোচনায় বসবেন টা্রম্পের সাথে । যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আমাদের আশাবাদী হতে দোষ কি । অনেকতো দেখলাম ঝানু রাজনৈতিকরা কুট কৌশলৈ কেমন করে যুদ্ধ বাধিয়ে রাখে দুনিয়া জোরে এখন দেখা যাক আনারী স্পষ্টবাদী কথার মানুষ পাগল ট্রামন্পে কি করে ।

রয়টার্স থেকে শুরু করে মাস মিডিয়ার সকলেই মোটামুটি হলেন কুপোকাৎ । এমনকি বিশ্ব জনমত জরিপের অনেক কোম্পানিও এর সঙ্গে সঙ্গে হলো চিৎপাত। কারণ, সকলকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন। অনেক বড় ব্যবধানে জয়লাভ করলেন। যা তাঁর জন্যে গ্রেট নাইট। ট্রাম্পের কাছে যেমন গ্রেট নাইট তেমনি আমেরিকার ওই রাতটি মিডিয়ার জন্যে একটি ডার্ক ইভনিং বা গাঢ় অন্ধকার সন্ধ্যা। ট্রাম্পের নির্বাচনের ভিতর দিয়ে প্রমাণ হলো, মাস মিডিয়ার সেই শক্তি নেই যা মানুষকে প্রভাবিত করে। বরং এখন সোস্যাল ফোরাম যাকে কেউ কেউ সোস্যাল মিডিয়া বলেন, এই যেমন টুইটার, গুগল প্লাস, লিঙ্কডইন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোস্যাল ফোরাম ও ব্লগ এদের কাছেই পরাজিত হচ্ছে মিডিয়া।

আমেরিকার এই নির্বাচনে নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন-এর এডিটোরিয়াল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের পাঠক ও দর্শককে জানিয়ে হিলারির পক্ষ নিয়েছিল। এছাড়া বিশ্বের মিডিয়ার একটি বড় অংশ হিলারিকেই সমর্থন করে। কিন্তু যারা সোস্যাল ফোরাম তারা লক্ষ্য করতে পারেন সোস্যাল ফোরামে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানরা সব সময়ই এই মাস মিডিয়ার বিপরীতে কথা বলে ।

এখানেও আমাদের সোসাল মিডিয়াতেও তার ব্যতিক্রম নয় । উল্লেখ করা যেতে পারে যে এ ব্লগে জনাব চাদগাজীর পরাজিত রিপাবলিকানরা ট্রাম্পকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলছে শীর্ষক একটি লিখায় মন্তব্যের ঘরে বলে ছিলাম যে কোন মূল্যেই ট্রাম্প হবে বিজয়ী । বিশ্ববাসী পেটে পেটে কুটনামী বুদ্ধীওয়ালী একটি তোতা পাখী র খপ্পরে পড়তে চায়না । গোপন শত্রুর চেয়ে মুখ ফুসকা প্রকাশ্য প্রতিদন্ধিই অনেক ভাল । ট্রাম্পের রয়েছে প্রচন্ড আত্ম বিশ্বাস জয়ের জন্য যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী । তাই মিডিয়ার প্রবল প্রতিকুল প্রপাগান্ডা ও নীজ প্রভাবশালীদের বিপক্ষে একা একাই যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করে এটা তার জন্য বিধাতার আর্শীবাদ বলেই গন্য ।

মেজরিটি সাধারণ এমেরিকান ট্রাম্পকে পছন্দ করে , তারা ফেবুকে বা সংবাদ মাধ্যমে সচরাচর রাজনৈতিক মন্তব্য প্রকাশ করেনা , তারা ব্যলটে তাদের মতামত জানাবে । তারা ভাওতাবাজ রাজনীতিক ও প্রোপাগান্ডাডিস্ট সংবাদ মাধ্যমকে কে এবার একটা উচিত শিক্ষা দিবে , দেখে নিবেন আগামী মাসে । ট্রাম্প ৩/৪মিলিয়ন ইমিগ্রান্ট ভোটারের বিষয় নিয়ে চিন্তিত নয় মোটেও আমিরিকা সহ ইংলিশ ভাষাভাষী দেশ যথা ইংল্যান্ড ,কানাডা অস্টেলিয়া ,নিউজিলান্ড এর শতকরা ৯৫ জন প্রকাশ্যে বা অনলাইন নেট ওয়ার্কে তাদের রাজনৈতিক মতামত জানায়না । এরা ভোটও বেশি দিতে যায়না , তাদের মোট ভোটারের শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোট কাস্ট হয় । তবে খুটি নাটি খবর ঠিকই রাখে , এবং মনে মনে ঠিক করে কাকে ভোট দিবে নীজের বিবেচনায় , কোন সংবাদ মাধ্যমের মতামত তাদেরকে প্রভাবিত করেনা । আমিরিকান জনগন চায়না তাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা কুটকৌশল করে যুদ্ধ বাধাক, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করুক , তাদের মতের বাইরে যুদ্ধে জড়িয়ে আমেরিকান কোন সাধারণ সৈনিক কুটকৌশলের অন্যায় যুদ্ধে মৃত্যুবরন করুক , আর দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত হতে অশিক্ষিত অপরিনামদর্শী শরনার্থী এসে তাদের দেশ ভরে উঠুক এবং সময় সুযোগ পেলে তাদেরকেই বিনাশ করুক । ট্রাম্পের নীজ দলীয় লোক বুঝে গিয়েছে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতে পারলে তাদের খবর আছে । মিডিয়ার চামচারাও বুঝে গেছে ট্রাম্প আসলে তাদের কপালে কি আছে ।

আমিরিকান জনগন ভাল করেই জানে যেই ক্ষমতায় আসুক তাদের মৌলিক কোন বিষয়ের পরিবর্তন হবেনা , তাদের জন্য কারো আলাদিনের চেরাগ জ্বালাতে হবেনা , বা কেও ইচ্ছা করলেই তা নিভাতে পারবেনা, তাদের আলাদিনের চেরাগ এমনিতেই জ্বলে আছে । ট্রাম্প রাজনীতিবিদ না হলেও সে জনগণের নাড়ী বুঝে ফেলেছে । সে রাজনীতিবিদ না হলেও কুশলী ব্যবসায়ী , সে হালি হালি রাজনীতিবিদ পয়দা দিয়েছে বিভিন্ন রকম চান্দা দিয়ে । তাই যদি কোন কারণে সে না পিছায় জয় তার সুনিশ্চিত এমনটাই হয়েছিল বলা সামাজিক এ যোগাযোগ মাধ্যমে ।

ওর পার্টির ৫০ জনের বেশী কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর ওর বিপক্ষে ভোট চাচ্ছে আমিরিকান বাতাসে কান পাতলে শুনা যায় তারা নীজেরা বলাবলী করছে এই কংগ্রেসম্যান ও সিনেটররা আগে কি আঙ্গুল চুষছিল, ট্রাম্প পাগলটা নমিনেশন দৌড়ে জিতল কিভাবে , তার মানে এই কংগ্রেসম্যান ও সিনেটররা নীজেদের গ্রহণযোগ্যতা নীজেরাই হারিয়েছে , তারা ভোটারদেকে প্রভাবিত করবে কিভাবে , নীজেরাই প্রশ্র বানে জর্জরিত ভীষণভাবে ।

ট্রাম্প নীচের তথ্যগুলি ভাল করেই জানে কিংবা তাকে বুঝানো হয়েছে :

White Americans are the racial majority. African Americans are the largest racial minority, amounting to 13.2% of the population. Hispanic and Latino Americans amount to 17% of the population, making up the largest ethnic minority. The White, non-Hispanic or Latino population make up 62.6% of the nation's total, with the total White population (including White Hispanics and Latinos) being 77%. White Americans are the majority in every region except Hawaii
.
কাজেই মিডিয়া ও কালো ( ওবামা ) নেতাদের কারণে কালোরা প্রভাবিত হয়, এবং সেটা স্পেনিশদের বেলায়ও সত্য হলেও এবং সব রাজনীতিবিদ, সব মিডিয়া ভয়ে ট্রাম্পের বিপক্ষে এক হয়ে গেলেও ট্রম্পের ভয়ের কোন কারণ দেখছিনা এখন পর্যন্ত , অর্থাৎ এমনই বলা হয়েছিল সোসাল মিডিয়ায় ।

এমনকি ৫ ই নভেম্বর ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে সোসাল মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়েছিল জ্যোতিষী’ বানর বলল ট্রাম্প জয়ী হবে , তার কথা ফলল অক্ষরে অক্ষরে । ‘জ্যোতিষরাজ’খ্যাত চীনা বানরট নাম তার ‘গেতা’। হিলারি ও ট্রাম্পের বিশাল দুটি ছবির পাশে দুটি কলা রেখে বেছে নিতে বলা হয়েছিল বানরটিকে। হলুদ শার্ট পরা গেতা ট্রাম্পের ছবির পাশের কলাটাই শুধু বেছে নেয়নি, তার ছবিতে খেয়েছে চুমা ।

এই বানরের ‘কথা’ কিন্তু মোটেই ফেলনা নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে কে বিজয়ী হতে চলেছে, তা ঠিকঠাক বলে দিয়েছিল এটি। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলে বেশ কয়েকবার ঠিকঠাক ভবিষ্যদ্বাণী করে রাতারাতি তারকা বনে যায় অক্টোপাস পল। তারপর ভবিষ্যদ্বাণী করায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে নাম ছড়িয়েছে গেতারই। এখন আবার গেতারই হল জয় পরাজয় হল প্রপাগান্ডিস্ট মাস মিডিয়া ও কিছু ভ্রান্ত সুসিলদের হিসাব নিকাশ ।

মাস মিডিয়ার থেকে সোসাল মিডিয়া যে কত ক্ষমতাশালী তা এখন বুঝে নিক সকলে ।


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বানরটা আগের জন্মে অক্সফোর্ডের অংকের প্রফেসর ছিল; প্রেডিকশান থিওরী ভুলেনি হয়তো, তাই আমেরিকান ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে জরীপে ভালো করছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৯

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ যতার্থ অনুধাবনের জন্য।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ যতার্থ অনুধাবনের জন্য।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১২

কানিজ রিনা বলেছেন: বুদ্ধি দিপ্ততায় বেশ ভাল লিখেছ। ট্রাম্পের
হাতেই যেন পৃথিবীর সমস্ত যুদ্ধের দামামা
শেষ হয়। আমেরিকা বাসির কৌসল হয়ত
এটাই,তাই হোক সত্য। তোমাকে ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: In 6 elections, out of last 7 elections, democrats got more votes than the Republicans got.

এবার ও হিলারী প্রায় ২০০,০০০ ভোট বেশী পেয়ে (টোটাল ভোটের) এগিয়ে আছে কিন্তু ইলেক্টোরাল ভোটের মার প্যাচে হেরে গেল। যদিও
Trump, who four years ago tweeted, "The electoral college is a disaster for a democracy," কিন্তু এই ইলেক্টোরাল ভোটের মার প্যাচে উনি জিতে গেলেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫

বিলুনী বলেছেন: ইলেকটোরাল ভোটটা যতি মারপেচের ভোটই হয় তাহলে এটাকে আমিরিকার মত ভোট সচেতন সমাজে এত দীর্ঘদিন ধরে কিভাবে সযতনে সন্মানের সহিত লালন করে আসা হয়েছে মনে প্রাণে? এবার কি বিষয়টা প্রয়োগ পছন্দ হয়নি বলে এটা পড়ে গেল মারপেচের আবরনে , হায়রে বিচিত্র সেলুকাশ, কত বৈচিত্রতা তাতে ধরে ।

বিক্ষোভটা তাই হওয়া উচিত ছিল এই বিচিত্র ভোটের ব্যপারে , এর উপরে ট্রাম্পের কোন হাত আছে আমিরিকার মত সর্বাধুনিক এই ভোটাভুটির ব্যবস্থাধীনে । খুশী হব বিষয়টি বুজিয়ে দিলে দোষটা কার ঘারে পড়ে, ট্রাম্পের না ভুতুরে নির্বাচন ব্যবস্থার ঘারে ।

দেশের জনগনের পপুলার ভোট বেশী পেলেও পরাজয় মেনে নিতে হয় নতশীরে , তাহলে বিক্ষোভটা কেন আবার ঝরে । বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত গনতান্ত্রিক দেশের পরিচয়ের এটাই কি নমুনা ধরে । বিক্ষোভটা মনে হল ট্রাম্পের পরে নয় অর্ধেকটা আমিরিকা বাসির পরে । কামনা করি আমিরিকান এমনি গনতন্ত্র বিকাশ লাভ করুক সারা দুরিয়া জুরে । !!!! তাহলে নির্বচনের পরে দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগে যেতে পারবে ঝট করে , পুজিবাজীদের অস্র ব্যবশাও জমে উঠবে দারুনভাবে । দেখা যায় ইতিমধ্যে দুনিয়া জুরে শেয়ার বাজারে ডিফেন্স স্টকের দাম নাকি গেছে বেড়ে ।

ধন্যবাদ নীজের অনুভুতি প্রকাশের জন্য ।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিজের জ্ঞাতি ভাইকে চিনতে কেইবা ভুল করে বলুন? =p~

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

বিলুনী বলেছেন: ডারউইন বলেন সবাই নাকি ঐখান থেকেই এসেছে , তাই সকলেই ঐ জ্ঞাতিতেই পরে !!!!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.