নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অফিসে চাকুরীজীবিদের দৈনিক দশ হাজার কদম হাটা বাধ্যতামুলক – নাহলে চাকরীকে ‘আলবিদা’ বলো

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫১


হয় শরীর সুস্থ রাখো, নয় চাকরিকে ‘আলবিদা’ বলো। হ্যাঁ, শরীর ফিট রাখতে এ বার এমনই দাওয়াই দিল এক চিনা সংস্থা। আধুনিক কর্মব্যস্ত লাইফস্টাইলে অফিস থেকে বাড়ি, আর বাড়ি থেকে অফিস, এই সময়টুকুর মধ্যে শরীরচর্চা করার পর্যাপ্ত সময় নেই মানুষের হাতে। অফিসে এসেও বেশির ভাগ সময়ই কাটে কম্পিউটারের সামনে, চেয়ারে বসে। যার ফলে আমাদের অজান্তেই শরীরের কোটরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। আর এর ফল হয় মারাত্মক। আজ হার্টের সমস্যা তো কাল শিরদাঁড়ায় ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্পনডেলাইটিস লেগেই রয়েছে। কিন্তু এ ভাবে কর্মীদের বেশির ভাগই অসুস্থ হয়ে পড়লে তো মুশকিল। তাই মুশকিল আসান করল খোদ কোম্পানিই।
চিনের বেশির ভাগ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাতেই কর্মীদের বহু ক্ষণ অফিসেই কাটাতে হয়। ফলে বাড়ি ফিরে শরীরচর্চার কোনও সুযোগই হয় না। তাই কর্মীদের সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ১০,০০০ পা হাঁটার নিদান দিল এই সংস্থা। এই সংস্থায় কাজ টিকিয়ে রাখতে গেলে কর্মীদের রোজ ১০ হাজার পা অর্থাৎ ৮ কিলোমিটার হাঁটতেই হবে। আর যদি কোনও কর্মী এই নিয়ম না মানেন বা লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারেন তা হলে তাঁকে ৫০ থেকে ১০০টা ‘পুশ-আপ’ দিতে হবে। নির্দেশ ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কি না তা দেখতে আস্ত একটা অ্যাপস বানিয়ে ফেলেছে ম্যানেজমেন্ট। উপায় না দেখে এখন চার চাকা, দু’চাকা, মেট্রো সব ছেড়ে অন্তত কিছুটা পথ হেঁটে অফিস আসা শুরু করেছেন এই সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা। এমনকী লাঞ্চ টাইম বা অবসর সময়েও মোবাইল গেম বা ফেসবুকে মন না দিয়ে হাঁটতে বেরচ্ছেন তাঁরা!

বাংলাদেশের অফিস আদালতের মানুষের হাটার অভ্যাস কম, তাই প্রথম অবস্থায় চীনের অর্ধেক তথা ৫০০০ কদম বা ৪ কিলোমিটার হাটার বিধান রেখে আইন পাশ করার বিষয় বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে । এর ফলে অফিস আদালতের চাকুরী জীবিদের শরীর ফিট থাকবে , সরকারের ও কতৃপক্ষের কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমবে, অফিস আদালতে উপস্থিতি হার বাড়বে , সরকারী ও বেসরকারী যানবাহনের উপর চাপ ও ব্যয় কমবে, সর্বোপরি দেশের জন্য লাভই লাভ । জামের জন্য জন্য ঢাকায় এখন হেটে চলায় ও গাড়ীতে চলাচলে একই সময় লাগে বলে গাড়ীতে চলাচল করলে সময় সাস্রয় হবে এ কথা ধুপে টিকবেনা । অতএব গাড়ীতে করে অফিসে যাতায়াতের পক্ষে নো যুক্তি, দৈনিক ৫০০০ কদম হাটার জন্য আইন করার পিছনেই যুক্তি বেশী ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চিনের মত নির্ভেজাল আর যানজট মুক্তু পথও যে থাকতে হবে ভাই।।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল কথা বলেছেন , এ নিয়ম চালু নির্বিগ্নে ফুটপাতে হাটার জন্য আমলারা কামলা দিয়া ফুটপথ দখলমুক্ত করবে নীজের তাগিদে ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৫

সুমন কর বলেছেন: ১নং মন্তব্যের সাথে সহমত।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ সমস্যাটা অনুধাবান করার জন্য , এ নিয়ম চালু নির্বিগ্নে ফুটপাতে হাটার জন্য আমলারা কামলা দিয়া ফুটপথ দখলমুক্ত করবে নীজের তাগিদে, কারণ চাকুরীটা তো টিকিয়ে রাখতে হবে যে কোন মুল্যে , পেটের দায় বড় দায় বুঝে নিবে সকলে ।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২১

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সহমত

অন্য সরকার হাটতে বলছে। অামাদের সরকার পাজেরো কিনে দিচ্ছে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

বিলুনী বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন, তাই দেশের লেঙড়া , লুলা , অলস, ডায়াবেটিক, আলসার , ব্লাড প্নেসার অআমলাদের জন্য পাজেরোর পরিবর্তে হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার জন্য সরকার ব্যবস্থা করতে পারে , মোদ্দা কথা চাকুরী টিকাতে হলে হাটতে হবে ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগে খালি সচিবালয়ের জন্যই বাধ্যতামূলক করা হোক ;)

পরে আম জনতা ;)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধাভাজনেষু যথোপযুক্ত প্রস্তাবের জন্য । প্রথম দফায় সচিবালয় থেকেই শুরু করা উচিত ।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ পাঁচ মিনিটের রাস্তা হাটতে চাইনা। আর প্রতিদিন চার কিলোমিটার হাটবে!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল ভাই , সত্য কথাটিই বলেছেন ।
তবে একটি কথার প্রসঙ্গ এখানে টানা যায় তাহলো
সাভারে পাবলিক এডমিনিসট্রেশন ট্রনিং সেন্টারে ( পিএটিসি)
সরকারী সকল বিসিএস ক্যাডারের আমলাকে ফউন্ডেশন ট্রেনিং এর সময়
ট্রেনিং কেমপাসের ভিতরে দেয়ালের পাশের রাউন্ডে প্রত্যহ ৪ কিলোমিটার পথ দৌড়াতে হয় ।
তারা অবশ্য তাদের ট্রেনিং লব্দ বিষয় প্রশিক্ষন শেষে সেখানেই ফেলে রেখে আসে
আর কর্মস্থলে এসে অলসতার আমলাতান্ত্রক প্রশিক্ষনটা সারা জীবন চালু রাখে ।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

মাজুবিবি বলেছেন: আমাদের দেশেও এ নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হোক। আমাদের দাবী মানতে হবে, মানতে হবে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার দাবীর সাথে সহমত ।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এতো দিন কোথায় ছিলেন?

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই, বিষয় কর্মে কিছুটা ব্যস্ত থাকতে হয় বলে বিচরণটা একটু কম ।
তবে একটা কথা আমিউ জিজ্ঞাস করি,তাহলো ছাগল যদি গাছে চড়তে পারে
তাহলে চাকুরী জীবিরা দৈনিক ৪ কিলোমিটার কি হাটতে পারবেনা ?
এদের হাটার কৌশল দেখানোর জন্য অআপনার ঝুড়িতে কোন ছবি
থাকলে দয়া করে তা একটু দেখাবেন ।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: উত্তম প্রস্তাব ! তয় আমাদের দেশে পা মালিশ করার জন্য আবার লোক নিয়োগ দিতে হবে , বিশেষ করে সরকারি আমলাদের জন্যতো বটেই ! আমার প্রস্তাব হইলো ডেরাইবারগো বসাইয়া বসাইয়া না খাওয়াইয়া পা মালিশের জন্য নতুন কইরা পদায়ন করা যাইতে পারে !

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনার প্রস্তাবটিও বেশ সুন্দর ও বিবেচনারযোগ্য তবে ড্রাইভারগন কি তাতে রাজী হবে , অবশ্য ড্রাইভারগন আমলাদের নিয়ে গাড়ি চালনার সময় সর্বদাই তাদের তেল মালিস করে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.