নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

করতোয়া নদী বাঁচাতে শিশুদের ব্যতিক্রমি উদ্যোগ: হাজারো কাগজের নৌকা ভাসাল জলে

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:২৬

এক হাজার কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিল করতোয়া নদীতে। শিশুরা উত্তাল প্রমত্তা সেই করতোয়া নদী ফিরে পেতে চায়। যে গল্প তারা মা-বাবার কাছে শুনেছে। দেখতে চায় দখল ও দূষণমুক্ত করতোয়া নদী। এ যাবত বগুড়ার করতোয়া নদী বাঁচাতে দখলদারের বিরুদ্ধে যত আন্দোলন হয়েছে তার সব ছাপিয়ে খুদে শিশুরা নদী রক্ষায় ব্যতিক্রমী এই আকুল আবেদন জানালো। যা দেখে বগুড়ার সুধীজন বিস্মিত। আগামী প্রজন্মের মনোজগত যে কতটা ক্রিয়েটিভ, উন্নত মেধা, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন তার প্রমাণ এটা। আয়োজনটি ছোট, তবে তার ব্যাপ্তি বিশাল। যা প্রকৃতি রক্ষার ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।মাত্র ১২২ জন শিশু। বয়স ৪ থেকে ৭ বছরের মধ্যে। ওরাই কাঁপিয়ে দিল বগুড়া।

নগরীর বিভিন্ন স্কুলের শিশু শ্রেণী থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বগুড়ায় বাবুই নামের শিশু-কিশোরদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস পহেলা মে ছুটির দিনে করতোয়া নদী তীরে গিয়ে সিডিতে রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানোর সাথে ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি/
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই... আহ হা হা হা/
কী করি আজ ভেবে না পাই,
পথ হারিয়ে কোন বনে যাই,
কোন মাঠে যে ছুটে বেড়াই সকল ছেলে জুটি...
কেয়া পাতার নৌকা গড়ে সাজিয়ে দেব ফুলে/
তাল দীঘিতে ভাসিয়ে দেবো চলবে দুলে দুলে...’

এই গানের পর শিশুরাই জানিয়ে দিল তাদের লাল-নীল রঙিন কাগজ দিলে কাগজের নৌকা বানিয়ে করতোয়া নদীতে ভাসিয়ে দেবে। নদীর পাড়ে একটি দিন কাটিয়ে চড়ুইভাতি করবে। নদী রক্ষার দাবি জানিয়ে তারা একটি দিন নদীর পাড়ে কাটাবে।
এই ভাবনায় সেদিন দিনভর দেশের স্বার্থে শিশুদের মনোজগতের ভাষায় নদী রক্ষার আন্দোলনে শরিক হয় খুদে শিশুরা। নদীর পাড় ভেঙ্গে পড়ায় শিশুরা তীরে নৌকা ভিড়িয়ে কাগজের নৌকা ছেড়ে দেয়। শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবা-মাও আসেন। বাবারা চুলা জ্বালিয়ে দেয়। মায়েরা রান্না করে। ছবি আঁকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নদীর গান গাওয়া হয়।

ওগো নদী, আপন বেগে পাগল-পারা
আমি স্তব্ধ চাঁপার তরু গন্ধভরে তন্দ্রাহারা॥
আমি সদা অচল থাকি, গভীর চলা গোপন রাখি
আমার চলা নবীন পাতায়, আমার চলা ফুলের ধারা॥
ওগো নদী, চলার বেগে পাগল-পারা
পথে পথে বাহির হয়ে আপন-হারা
আমার চলা যায় না বলা
আলোর পানে প্রাণের চলা
আকাশ বোঝে আনন্দ তার,
বোঝে নিশার নীরব তারা ।।
কথা : রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর

নদীকে নিয়ে গাইল শিশুরা আরো গান , নাচল গানের সাথে
ও নদীরে,
একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেই কি চলার শেষ
ও নদীররে তোমার কোনো বাঁধন নাই
তুমি ঘর ছাড়া কি তাই ।।
এই আছো ভাটায়
আবার এই তো দেখি জোয়ারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেই কি চলার শেষ
ও নদীরে এ কূল ভেঙে
ও কূল তুমি গড়ো
যার একূল ওকূল দুকূল গেল
তার লাগি কি করো?
কথা : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

শিশুদের এমন আয়োজনে বগুরা জেলা প্রশাসক শিশুদের সঙ্গে মিশে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে বললেন কোন দখলদার নগরীর ভেতরে করতোয়া নদী দখল করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেবেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দুই তীরে রাস্তা নির্মাণ করে নদী রক্ষায় বড় একটি প্রকল্প তৈরি করে তা ওপর মহলে পাঠিয়েছে বলেও জানালেন । জেলা প্রশাসকের এমন কথায় খুদে শিশুরা করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দিত করে।

এখন এটা শুধু করতালী পাওয়ার মধ্যে সীমিত না থাকলেই হয় । অার প্রকল্প পরিকল্পনাটার পরি আকাশে উড়ে গিয়ে শুধু কল্পনা টুকু মুখ থুবরে পড়ে না থাকলেই হয়

সংবাদ সুত্র : জনকষ্ঠ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কেহ ঢুবে টুবে নাই তো? আমাদের শিশুরা আবার সাঁটার জানে না

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:০১

বিলুনী বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন , বাংলাদেশের শহড়াঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় ৩ কোটি শিশুদের সাতার কাটার বা সাতার শিখার কোন ব্যবস্থা নেই , এটা নিয়ে কেও মাথাও ঘামায় না , আমার মনে আপনিই এটা প্রথম বললেন ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

২| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
বেঁচে থাকুক করতোয়া।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের আর একটা নদীও যেন হারিয়ে না যায, এই প্রত্যাশা করি।
ছোট্ট সোনামনিদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।

১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ
আপনার ভালবাসা ছোট্ট সোনামনিদের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হবে ।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শিশুদের প্রতি অনেক ভালোবাসায় অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা রবীন্দ্রনাথে, আপনার শেষ আহ্বান পূরণের প্রত্যাশা।
অনেক ভালো লইল পোষ্টে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ ,
আমার লেখায়তো তো পারতপক্ষে কেও লাইক দেয়না
সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল ।
আহ্বা টা আমার নয় এটা সেই ছোট্ট সোনামনিদের
আবেদন , আপনার ভালবাসা তাদের
কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হল ।
সুপ্রিয় কবি নাঈম ভাই
মরা নদীর কান্না নিয়ে কবিতা
একখান চাইই চাই

৪| ১০ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

বিলুনী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জনাব নাঈম ভাই ,
আমার লেখায়তো তো পারতপক্ষে কেও লাইক দেয়না
সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল ।
আহ্বান টা আমার নয় এটা সেই ছোট্ট সোনামনিদের
আবেদন , আপনার ভালবাসা তাদের
কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হল ।
সুপ্রিয় কবি নাঈম ভাই
মরা নদীর কান্না নিয়ে কবিতা
একখান চাইই চাই ।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.