নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা কাঁটায় বিদ্ধ সু চি নেই জাতিসংঘে : অন্যদিকে তাকে অভিযুক্ত করে চলছে আন্তর্জাতিক গণ–আদালতে বিচার

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:২৯


সুচিকে এশিয়ার ‘নেলসন মেন্ডেলা’ বলতেন অনেকেই। এখন তাঁরই কুশপুতুল পুড়ছে রাস্তায়-রাস্তায়। সেনার অত্যাচারে দেশছাড়া প্রায় ৪ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম। তবু সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করা, শান্তির নোবেলজয়ী আউং সান সু চি-র মুখে সেই কুলুপই। অস্বস্তি এড়াতে আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণসভার অধিবেশনেও যাচ্ছেন না তিনি ।
নোবেল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে। অন্য নোবেলজয়ীরা চিঠি লিখে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সু চি-কে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে গোটা দুনিয়ার কাছে আর্জি জানিয়েছে জাতিসংঘ । মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হোয়াইট হাউসও। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়টি জাতিসংঘের অধিবেশনে তুলবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সু চির বিচারে আন্তর্জাতিক গণ–আদালতে শুনানি শুরু


মুসলিম রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে একটি আন্তর্জাতিক গণ-আদালতে গতকাল সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শনানী শুরু হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীই শুধু নয়, দেশটির প্রধান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবং এর আলোচিত নেত্রী অং সান সু চি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র গত মার্চে লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত রোমভিত্তিক পারমানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালের (পিপিটি) সূচনা অধিবেশনে গৃহীত হয়েছে।
এই গণ-আদালতের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম জেনারেলদের পাশাপাশি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কেউ নৈতিকভাবে দণ্ডিত ও দোষী সাব্যস্ত হতে চলেছেন।

পিটিটির অধিবেশনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল অংশগ্রহণ করেছে। প্যনেলের অধ্যাপক স্ট্যানটন তাঁর জবানবন্দিতে রোহিঙ্গা ও কাচিনদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী ও পুলিশ কীভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরেন।

স্ট্যানটন তাঁর পাঁচ পৃষ্ঠার জবানবন্দির উপসংহারে মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং মিয়ানমারের বর্তমান বেসামরিক সরকারকেও অভিযুক্ত করেছেন।

স্ট্যানটন তার জবানবন্দিতে আরও বলৈন পশ্চিম মিয়ানমারে ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশু চলাচলের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা স্কুলে যেতে পারে না। ভবিষ্যতে তাদের বিয়ের অধিকার থাকবে না। স্ট্যানটন তাঁর লিখিত জবানবন্দিতে আরও বলেন প্রতিবছর শত শত রোহিঙ্গা নৌকাডুবিতে প্রাণ হারায়। আর অনেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক সীমান্তে পোঁতা মাইন বিস্ফোরণে প্রাণ দিচ্ছে। পলায়নরত রোহিঙ্গাদের সামরিক বাহিনী গুলি করে হত্যা করছে।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারের মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার দিনভর বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন।

আট সদস্যের এই বিচারক প্যানেলের সুনাম রয়েছে বিশ্বজুড়ে।পিপিটি মালয়েশীয় সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি চন্দ্র মোজাফফর বলেছেন, পাঁচ দিনের অধিবেশনে বিচারকেরা প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক বিশেষজ্ঞ সাক্ষীদের মতামত, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি বিচার-বিশ্লেষণ করবেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় তাঁরা রায় ঘোষণা করবেন। বিচারকদের এই রায় ও পর্যবেক্ষণ জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।

মিয়ানমার ও তার নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রসিকিউশনের নেতৃত্বে রয়েছেন অস্ট্রেলীয় মানবাধিকার আইনজীবী দোরিন চেন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন খ্রিষ্টান, কাচিন ও বৌদ্ধ তারাংরাও তাদের জবানবন্দিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। ‘প্রসিকিউশন, ফোর্সড ডিসপ্লেসমেন্ট অ্যান্ড জেনোসাইড অব রোহিঙ্গা, কাচিন, শান, কারেন অ্যান্ড আদার মাইনরিটিস অব মিয়ানমার’ শীর্ষক জবানবন্দিতে গ্রেগরি স্ট্যানটন সাম্প্রতিক কয়েকটি রায়ের আলোকে বলেন, এথনিক ক্লিনজিং নয়, মিয়ানমারে যা ঘটেছে তা গণহত্যা।

মোদ্দা কথা হল সু চি পালাবে কোথায় ।

তথ্যসুত্র : বিভন্ন সংবাদপত্র মাধ্যম

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৩৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নাক বোঁচারা খুবই নিষ্ঠুর হয়ে থাকে - ইতিহাস স্বাক্ষী | তাই বর্মীদের গতিবিধি বাংলাদেশকে খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে | তাছাড়া বার্মার প্রাকৃতিক সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি থাকায় চীন, ভারতের প্রত্যক্ষ্ বা পরোক্ষ সমর্থন তো আছেই | তাই সীমান্ত প্রহরীদের খুব সজাগ থাকতে হবে |এই জানোয়ারগুলো যদি কোনোক্রমে বাংলাদেশ আক্রমণ করে ভিতরে ঢুকে পড়ে তবে দেশের নিরীহ জনসাধারণের খবর আছে |

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
এই জানোয়ারগুলো যদি কোনোক্রমে বাংলাদেশ আক্রমণ করে ভিতরে ঢুকে পড়ে তবে বাংলার বিচ্ছুগুলা পাকিগুলারে ১৯৭১ সনে যেমন করেছিল, তেমনি ভাবে এদের ছাল কুত কুত করে দিবে । বাংগালী বিচ্ছুদেরে এরা চিনেরা । বাংগালী বিচ্ছুদের দু এক চিমটীতেই এদের ৪ লক্ষ অার্মী বিদিশা হয়ে যাবে , নিয়াজীর মত লাখে লাখে মাথার পাগরী খুলে অাত্ম সমর্পন করবে । এ ইতিহাসটা ভাল করে তাদের জানা আছে ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

কানিজ রিনা বলেছেন: বিচার হোক সুচীর সামরিক জান্তার বিচার
হোক এই জলদস্যু অসভ্য বর্বর সরকারের।
অসহায় রহিঙ্গা গোষ্ঠি ফিরে পাক মাতৃভূমি।
হাজার বছরের বসত ভিটা জমি জায়গা।
ধন্যবাদ সুখবর পৌছে দেওয়ার জন্য।
আল্লাহ্ সহায় হোক।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ এদের বিচারের জন্য জোড়ালো আওয়াজ তুলার জন্য ।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

স্বল্প বাঁধন বলেছেন: সুকি না পালাতে পারলেই ভালো।কিন্তু এই আদালত কি পারবে সুকির সঠিক বিচার করতে? সময়ের অপেক্ষায় থাকলাম উত্তরের জন্য!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বিলুনী বলেছেন: আন্তর্জাতিক জনমত দিয়ে তাদেরকে শক্তি ও সাহস যোগাতে হবে যেন তারা সুচির বিচারে সফল হয় ।
সুচির পালানোর পথ সে নীজেই বন্দ করছে । মিয়ানমার আর্মীর সাথে তার কনফ্লিক্ট লেগে যাচ্চে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে ।
দেশের অখন্ডতা বিপন্নের অযুহাতে সেখানে আর্মী আবার পুরামাত্রায় ক্ষমতা কেরে নিতে পারে এবং সুচিকে তার পুর্বের গৃহবন্দী অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়ে তার নোবেল বাবাদের সন্মান রক্ষা করবে । কারণ নোবেল দাতা গুষ্ঠিই ( এরা কাদের কথায় কাওকে শান্তির জন্য নোবেল দেয় তা সবাই জানে ) এখন বিরাট প্রশ্নের মুখে নিপতিত । এই নোবেল অস্রটিকে তার যথাসম্ভব কলুষমুক্ত রাখতে চেষ্টা করবে । এর জন্য সুচিকে কুরবানি দিতে তারা পিছপা হবেনা , এক সুচি গেলে বহুত সুচি আসবে, কিন্তু নোবেল অস্রটিকে কোন মতেই তারা সহজে ভুতা হতে দিবেনা । দেখেন না বিশ্ব জনমত যখন সোচ্চার হয়ে উঠেছে তখন তা দেখার পরে নীজেদের চামরা বাচানোর জন্য কেমন তারাহুরা করে তারা ১২ জন নোবেল লরেটিদেরকে দিয়ে একখান আই ওয়াস মার্কা চিটি লিখিয়েছে জাতিসংঘ বরাবরে । চিঠিতে কোথাও নিন্দা করা হয় নাই মিয়ানমারকে , শুধু বলা হয়েছে সেখানে কি ঘটছে এবং তা বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে । তারা কি কোথাও তাদের চিঠিতে মিয়ানমার ও সুচীকে নিন্দা করেছে কিংবা বলেছে মিয়ানমারের উপর এই মহুর্তে সর্বোচ্চ অবরোধ আরোপ করতে !!! তারা কি কোথাও একে গনহত্যা বলে উল্লেখ করেছে , এবং গনহত্যার দায়ে এদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের সন্মুখীন করতে ।

ধন্যবাদ, আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম শেষ পর্যন্ত কি হয় তা দেখার জন্য ।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: আন্তর্জাতিক মহলে সারা পড়ার পেছনে রয়েছে ডঃ ইউনুসের তৎপরতায় তেরজন শান্তিতে নোবেল পদকপ্রাপ্তদের জাতিসংঘ বরাবর লেখা চিঠি । তা নাহলে চীন ও ভারতের সরাসরি সমর্থনের পর মিয়ান্মার আরো শক্তিশালী হয়ে যেত এবং এই রোহিঙ্গারা পার্মানেন্ট আমাদের বোঝা হয়ে দাড়াত। আমাদের দেশের কুটনীতি যে দুর্বল সেটা সবাই জানে কিন্তু এতখানি নির্বোধ সেটা আগে বোঝা যায়নি। সারা বিশ্ব যেখানে মিয়ান্মারের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের কথা ভাবছে সেখানে আমাদের মন্ত্রী এই অবস্থায় মিয়ান্মারে যেয়ে আতপ চাল আমদানীর চুক্তি করে এসেছে!!! শুধু তাই নয় জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষনিকের দেখায় অল্প কিছুক্ষন কথা হয়। স্বল্প সেই সময়ের কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান্মন্ত্রী রয়টারকে জানায় রোহিঙ্গা ইস্যূতে ট্রাম্পের কাছ থেকে কোন সহযোগিতার প্রত্যাশা তিনি করেন না!!!!!!!প্রটোকল না মেনে কোন ইস্যূ নিয়ে একমাত্র কথা বলে আমাদের দেশের মন্ত্রীরা, অন্য দেশের প্রেসিডেন্ট বা মন্ত্রীরা নয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

বিলুনী বলেছেন: এতসব সুক্ষ বুদ্ধি নিয়ে এখনো বসে না থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে এমনসব সুন্দর বক্তব্য দিয়ে সরকারকে সঠিক পথে চলার পরামর্শ দিলে মনে হয় অনেক ভাল হয় । যারা নিরাপদ দেশ চায় তারা বুকে সাহস নিয়ে স্ব পরিচয়ে সন্মুখ সমরে আসুক, জাতির সেবায় নিয়োজিত হোক এ কামনাই করি । আর ইউনুছ সাহেব তার স্বজাতি নোবেল বাহিনী নিয়ে( যাদেরকে সাথে নিয়ে চিঠি লিখেছেন ) নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য আরাকানে গিয়ে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করুন , মুখামুখী হোন মিয়ানমারের আর্মীর সাথে যেমনভাবে মুখামুখী হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীরা । শান্তিতে নোবেল লরেটিরাতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীই বটে , তারা যদি মিয়ানমারের আর্মীর হাতে বাধা পান তাহলে তা আন্তর্জাতিকভাবে আরো ফলাওভাবে প্রচার হবে, তাদেরকে কষ্ট করে আর চিঠি লিখতে হবেনা, দুনিয়ার তাবত মিডিয়া তাদের ছবি সহ সে সংবাদ ছড়িয়ে দিবে বিশ্বের দিকে দিকে , তখন শান্তির পায়রা উড়বে বিশ্বের চারিদিকে !!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.