নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়ে অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে আতংক প্রসঙ্গে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৬


বাংলাদেশী একটি চ্যরিটি অর্গানাইজেশন গত ১০ বছর যাবত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা করছে বলে একটি ওয়েব সাইটে দেখা যায় । প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে ফান্ড রেইজিংএর লক্ষ্যে প্রদত্ত খরচের হিসাবের একটি ফিরিস্তি নীচে দেয়া হল ।
Rohingya Crisis Relief Appeal
https://www.youcaring.com/rohingyarefugeesinbangladeshandburmaborder-945141

Muslim Council of Hong Kong are partnering with Self Reliant Society, a local Bangladeshi charity who have been helping the Rohingya refugees since 2010. We aim to help 15,500 families in the short term emergency support and long term too .

donations will help for the following:

Food = HK$220 (US$27.75) per family = rice, oil, onion, potato, salt, daal, flour and red chilli = 1 bag can feed a family for 1 week

Hand Tube Wells = HK$1,700 (US$220) per family = 110 sqft deep and able to provide water for minimum 2-3 years

Small Shelter Homes = HK$1,400 (US$175) per family = 180 sqft = 7-10 people = Bamboo and Plastics structure. Brick walls will only be built once the Bangladeshi government permits
.

তাদের থেকেও অনেক কম প্রায় অর্ধেক অর্থ দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয়ের পরিমানের একটি মামুলী আনুমানিক হিসাব নীচে তুলে ধরা হল । উল্লেখ্য বাংলাদেশে বর্তমানে ৮ লক্ষের উপরে রোহিঙ্গা অবস্থান করছে তাদের জন্য দেশের অর্থ ও সম্পদ ব্যয় হচ্ছে ।

একজন মানুষের খাদ্যের জন্য দৈনিক গড়ে প্রায় ৩০০ গ্রাম চাল লাগে ( প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তদেরকে হিসাবে ধরে গড় করা হয়েছে) । এখন ইচ্চে করে এই খরচের পরিমানটিকে কম করে ধরে বাংলাদেশের অবদানকে খাটো করে দেখানোর মানসিকতা আশা করি কারো হবেনা ।
বর্তমান ৬০ টাকা কেজি বাজার দরে ৩০০ গ্রাম চালের মুল্য প্রায় ১৮ টাকা
এগুলি পাকানো, সাথে চাল ডাল তেল নুন তরি তরকারী , মাছ মাংস ও রান্না বান্নার খরচ মাথা পিছু গড়ে ১০ টাকা
এর সাথে যুক্ত আছে তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ সেবা যা জনপ্রতি দৈনিক গড়ে কম করে হলেও ২ টাকা,
এর সাথে আছে তাদের পিছনে জড়িত বাংলাদেশ সরকারের লোকজনদের বেতন ভাতা ও জনবলের মজুরী
তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় যা দৈনিক হিসাব করলে মাথাপিছু বেশ একটা বড় অংকই হবে তবে সেটা এখানে না হয় বাদই দিলাম ।এছাড়া আরো বহুবিদ ব্যয় তো আছেই ।

তাই রোহিহাঙ্গাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মাথা পিছু দৈনিক ব্যয় প্রায় ( ১৮ + ১০+ ২ )= ৩০ টাকা ।
এ হিসাবে দেশে থাকা ৮ লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য দেনিক প্রায় ৮ X ৩০ = ২৪০ লক্ষ তথা ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা লাগছে ।
এদের জন্য মাসে প্রয়োজন প্রায় ৭২ কোটি টাকা , বাৎসরিক লাগবে প্রায় ৮৬৪ কোটি টাকা । সত্যিকার হিসাবে এই অর্থের পরিমান আরো বেশীই হতে পারে ।

অপর দিকে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার মত লাগতে পারে তাদের মাথা গুজার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ঘর তৈরী, টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা করা , সাস্থ সেবা অবকাঠামো ও কেম্প হতে কেম্পে যাতয়াতের জন্য রাস্তা তৈরী করা । এই ১০০০ কোটি টাকা এখনই প্রয়োজন বাংলাদেশের জন্য ।

অথচ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস হতে মাত্র ১০ কোটি ডলার বা ৮০০ কোটি টাকার বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রতি পাওয়া গেছে । এ টাকা পাওয়া যাবে কিস্তিতে এবং তা কত কিস্তিতে ও কত দিনে পাওয়া যাবে তা আল্লাই জানেন , কারণ বৈদেশিক অর্থ প্রাপ্তি সে যে কত জক্কি ঝামেলা তা ভুক্ত ভোগীই জানেন ।

সঠীকভাবে ব্যয় না হয়ে প্রতিশ্রত টাকা চোরি চামারীর ফলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশকে যে চোর বলতে পারে সে বিষয়ে ব্লগের একটি পোষ্টে কিছু কথামালা দেখতে পাওয়া যায় । বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির চেয়েও বাংলাদেশ যেখানে বেশী টাকা ব্যয় করবে সেখানে রোহিঙ্গারা বাংলদেশকে চোর হিসাবে বলতে পারার কোন হাতিয়ার তাদের কাছে তুলে দেয়া সত্যিই দু:খ ও লজ্জাজনক ব্যপার হবে ।

সকরকারকে পরামর্শ দেয়ার সময় নীজেদের ভুলে ও অজান্তে দাতাদের মনে সন্দেহের কোন বীজ প্রবেশ করে ত্রান কার্যক্রমের জন্য বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির বিষয়টি যেন ব্যহত না হয় সে বিষয়ের প্রতি সকলের সচেতনতা প্রয়োজন আছে বলে বলে মনে হয় । জাতির এই দুর্যোগময় মহুর্তে কোন অবস্থাতেই নীজ দেশ যেন কোন মতেই হেয় প্রতিপন্য না হয় সেটাই এখন বেশী গুরুত্বপুর্ণ । কোন জায়গায় অনিয়ম কিছু হলে সেটা সরকার খুব শক্তভাবে ধরবে বলে বার বার হুসিয়ারী দিচ্ছে সেটাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করাই ভাল বলে মনে হয় । কোথাও কারো কাছে অনিয়ম কিছু ধরা পড়লে তা নামে কিংবা বেনামে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা দুদকের কাছে জানানোই বেশী ভাল । কিংবা সু নির্দিষ্ট তথ্য প্রমান দিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশ করলে সেটাও ভাল । কতৃপক্ষ সত্য মিথ্যা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে পারবে ।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

blogermassud বলেছেন: ভালো কথাই বলেছেন ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫২

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য ।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তায় সৌদি আরব দেড় কোটি ডলার এবং দক্ষিণ কোরিয়াও ১৫ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেলুনী আপু।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২০

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ , হিসাবের খাতায় যথাসময়ে জমা হলে হয় । কক্সবাজারে এক লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের জন্য ভাল ও উন্নতমানের আশ্রয়কেন্দ্র নির্মানের ব্যায়ভার তুরস্ক বহন করবে বলে জানিয়েছে । এই আশ্রয়কেন্দ্রটি নাকি সরা দুনিয়ার কাছে শরনার্থী শিবিবের জন্য একটি আদর্শ মডেল রূপে গন্য হবে ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: তুরস্ক, সৌদি আরব কতদিন ব্যয়ভার বহন করবে? এটা নিশ্চিত মিয়ানমার কখনই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। তার মানে দাড়াল, রোহিঙ্গারা এখন থেকে বাংলাদেশেই থাকবে? এসব রোহিঙ্গারা কেউই শিক্ষিত না। তারমানে দেশের অর্থনীতিতে এদের কোন ভুমিকা থাকবে না। বাংলাদেশ এমনিতেই ঘনবসতি পূর্ণ দেশ। সাথে এরা যোগ হওয়া মানে বোঝা আর বাড়ল। পেটের দায়ে কাজ না পেলে এরা চুরি, ডাকাতি, খুন করা শুরু করবে। মানবিক দিক বিবেচনা করে কতদিন এদের আমরা পুষব? এদের পোষার সামর্থ্য কি আমাদের আছে? বাস্তবতা বুঝে সামনে তাকানোর সময় এখনই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২

বিলুনী বলেছেন: সমস্যাটা যেমনভাবে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন তেমনি ভাবে সমাধানের গ্রহনযোগ্য পন্থাগুলিও তুলে ধরলে ভাল হয় এতে দেশের অনেক উপকার হবে ।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০২

বারিধারা বলেছেন: আমি নিজে যে চাল খাই, তার কেজি ৫৮ টাকা। আর রোহিঙ্গাদের চাল আপনি ৬০ টাকা ধরলেন কি হিসেবে? ওদের চাল বড়জোর ৪০টাকা কেজি হতে পারে। আর বেঁচে থাকার জন্য দৈনিক তিন বেলা খাবার তো দরকার নেই - দুই বেলা বা এক বেলা পেট ভরার মত খাবার দিলেই চলে। তাছাড়া বান্দরবন ও খাগড়াছড়িতে অনেক অনাবাদী জমি পড়ে আছে। ঐসব জমির মালিকদের সাথে কথা বলে রোহিঙ্গাদেরকে ঐসব জমি চাষে নিয়োগ দিলে তো নিজেদের খাওয়ার ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করে নিতে পারবে।

এই দুনিয়ায় কোন মানুষই কামাই না করে বেশিদিন বসে বসে খেতে পারেনা। সে খাবার তাদের মুখে রুচে না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৩

বিলুনী বলেছেন: উনারা আমাদের আশ্রিত উনাদেরকে আমরা যেমন চাল খাই তেমন চাল দিতে আপত্তিটা কি, চালের দাম যেভাবে বাড়তেছে তাতে ৬০ টাকা দরে দেয়া যাবে কিনা সেটাই সন্দেহ । ঠিক আছে চালের দাম ৫৮ টাকাই ধরলাম । এই বিপদগ্রস্তদের আর একটু দরদ দেখিয়ে তিন বেলা খাবার দেয়ার বিষযটি আবার একটু বিবেচনা করে দেখার জন্য আকুল আবেদন রইল । তাদেরকে এই মহুর্তে চাষে লাগানোর বিষয়ে ব্লগের সকলের বিজ্ঞ মতামত কামনা করছি । তবে তাদেরকে চাষের কাজে লাগালে ফেরত দেয়ার প্রশ্নটি কি দুর্বল হয়ে যাবেনা । আরো একটি বিষয়ে খটকা লাগছে যারা তাদেরকে আরাকান থেকে বেড় করেছে, তাদের স্বার্থটাই কি এতে বেশী হবেনা !!! দুনিয়ার যে কোন প্রান্ত হতেই এ ব্লগে যে কেও লগ ইন করতে পারে !!!! রাখতে পারে তার মতামত ।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর আলোচনা, একেই মনে হয় দেশপ্রেম বলে। আপনার সাথে সহমত রইল।


আমাদের--

সকরকারকে পরামর্শ দেয়ার সময় নীজেদের ভুলে ও অজান্তে দাতাদের মনে সন্দেহের কোন বীজ প্রবেশ করে ত্রান কার্যক্রমের জন্য বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির বিষয়টি যেন ব্যহত না হয় সে বিষয়ের প্রতি সকলের সচেতনতা প্রয়োজন আছে বলে বলে মনে হয় । জাতির এই দুর্যোগময় মহুর্তে কোন অবস্থাতেই নীজ দেশ যেন কোন মতেই হেয় প্রতিপন্য না হয় সেটাই এখন বেশী গুরুত্বপুর্ণ । কোন জায়গায় অনিয়ম কিছু হলে সেটা সরকার খুব শক্তভাবে ধরবে বলে বার বার হুসিয়ারী দিচ্ছে সেটাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করাই ভাল বলে মনে হয় । কোথাও কারো কাছে অনিয়ম কিছু ধরা পড়লে তা নামে কিংবা বেনামে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা দুদকের কাছে জানানোই বেশী ভাল । কিংবা সু নির্দিষ্ট তথ্য প্রমান দিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশ করলে সেটাও ভাল । কতৃপক্ষ সত্য মিথ্যা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে পারবে ।"--- এখানেই থাকা উচিৎ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৫

বিলুনী বলেছেন: সহমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ । উপরের মন্তব্যটি একটু দয়া করে দেখুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.