নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কষ্টের শেষ নেই : জাগ্রত হও বিশ্ব মানবতা

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৩


ক্লান্ত অবসন্ন ও দুর্বল হয়ে আসছে রোহিঙ্গা নারী-শিশুরা। শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি। আশ্রিতদের মধ্যে পুষ্টিহীন শিশুর সংখ্যা প্রচুর । এর মধ্যে অপুষ্টির শিকার হয়ে অনেক শিশুর মায়েরাই এখন কাহিল । তার সাথে যুক্ত হয়েছে ক্ষুধা সে সাথে ত্রাণের অপ্রতুলতা। স্বাস্থ্যকর পুষ্টি গুণসমৃদ্ধ খাদ্যের অভাবের সাথে পরিবেশগত বিষয় তো আছেই। আছে সব হারানোর কষ্ট। স্বজন হারানোর যন্ত্রণা, নির্যাতন আর বীভৎসতা ।

এদিকে জাতিসংঘ শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুর সংখ্যা দুই লাখ ৪০ হাজারের বেশি। অপর দিকে রোহিঙ্গাদের ৬০ ভাগই শিশু। এদের মধ্যে এখন এক লাখ শিশু স্কুলে যাওয়ার উপযোগী। উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশে কাজ করছে দেশী-বিদেশী বেশ কয়েকটি সংস্থা।

বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে পুষ্টিহীন শিশুর সংখ্যা বেশি। যাদের বেশিরভাগের সামাজিক অবস্থান দারিদ্র্যসীমার নিচে। মিয়ানমারের রাখাইনের বাসিন্দা আলিফা খাতুন। 'আলিফা জানান , স্বামীর জন্য বাড়ির পাশে জঙ্গলে অন্তত এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছি। নিরুপায় হয়ে পালিয়ে আসা ছাড়া আমার বিকল্প কিছু ছিল না। তিনি জানান, বাংলাদেশে এসে মেয়ে হওয়ার পর থেকে কষ্ট আরও বেড়েছে। নিজেই তো সাধ্যমতো খাবার সংগ্রহ করতে পারি না। বুকেও দুধ আসে না। তোলা দুধের ব্যবস্থা নেই। খাদ্যাভাবে আমি নিজেও দুর্বল। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করার শক্তি নেই। রাস্তার পাশে বসে ভিক্ষা করি। যাকেই পাই হাত বাড়িয়ে দেই। বড় শিশুগুলোও ভিক্ষা করছে। এভাবে কোন রকম চলছি আমি। তার প্রশ্ন আমি কিভাবে বাঁচাব। সন্তানকেই বা কিভাবে বাঁচাব। যদিও তার এই কঠিন প্রশ্নের কোন জবাব নেই কারো কাছে ।

অনুরূপভাবে স্বামীহারা নাদিরার পরিস্থিতি আরও কঠিন। কোলে তিন মাসের শিশু। সঙ্গে আরও ছয়জন। মোট আটজনের সংসার।টানা প্রতিদিনই তারা অনাহারের সঙ্ঘী । জীবনের চলমান বাস্তবতায় তারা নিঝেদের কান্না চেপে রাখতে পারছেনা । হাউমাউ করে তারা কাঁদছে , প্রতিবেশী কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী তাদের সান্ত¦না দেয়ার চেষ্টা করছে । হৃদয়ে দারুন কষ্ট ধারণ করে নিয়ে কোন মতে তারা জীবনের সাথে সংগ্রাম করে যাচ্ছে ।


রোহিঙ্গা নারী সুলতানা স্বামী ও স্ত্রী সন্তান সহ এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অআসছে । ছেলেমেয়েদের কারও গায়ে কাপড় নেই। একেবারে ছোট দুই শিশুকে নিয়ে তিনি ত্রাণের খোঁজে সকাল থেকে ছটে বেরাচ্ছে । বাচ্চাগুলো দুধ দেখলেই খেতে চায়। কিন্তু কিনে দেয়ার সাধ্য তার নেই। বুকের দুধও তেমন একটা পাচ্ছে না। সে জানেনা এই দুর্দশা থেকে কিভাবে তাদের মুক্তি হবে ।

এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুষ্টিহীন মা ও শিশুদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল নয়। পুষ্টিহীন শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। একটি অপরিপক্ব প্রজন্ম বেড়ে উঠবে। যারা নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকবে আমৃত্যু সে হবে বড়্ই মর্মান্তিত ।
সুত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ

এদেরকে যথাযথভাবে পরিচর্চা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করে যতশীঘ্র সম্ভব তাদের নীজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগে দেশবাসী সহ বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে , এককভাবে কেও সমাধান করতে চাইলে সমস্যাটির সমাধান প্রলম্বিত হবে । এ মহুর্তে এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই । জাতিসংঘের শান্তিবাহিনীর অধীনে এদেরকে নিরাপত্তাদানসহ পুর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে তার নীজ দেশ মিয়ানমারের আরাকানে ।
সংবাদ সুত্র : জনকণ্ঠ

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

বেনামি মানুষ বলেছেন: তাদের জন্য সত্যি ই প্রাণ টা কাঁদে।
পারলে আমার দেশের মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে তাদের তুলে দিতাম! :P

এখানে পড়ুন আমার লেখা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ সহমর্মীতা প্রকাশের জন্য ।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন মা, ও গর্ভবতী মহিলাদের আলাদা করা ও তাদেরকে খাওয়ানোর দায়িত্ব মিলিটারীর হাতে দেয়ার দরকার; সরকারের ম্যাঁও প্যাঁও কর্মচারীরা ওদেরকে সাহায্য করার মত দক্ষ নয়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ সঠিক কথা বলেছেন ।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সহমত ও আমারো দাবী, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে তাদের পৈতৃকভূমিতে সগৌরবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়ার।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

বিলুনী বলেছেন: সহমত ও আমারো দাবী, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে তাদের পৈতৃকভূমিতে সগৌরবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়ার।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.