নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব কিছুই প্রথমে দেখি ভাল লাগার দৃস্টি নিয়ে , অনুভব করি তার গুনাগুণে, সত্যটুকু করি গ্রহণ আর মিথ্যাটুকু বর্জন ।

বিলুনী

বিচরী স্বর্গ মর্ত পাতাল , উড়ি গাছের ডালে ডালে ঘুরী সামুর পাতায় পাতায় , মন খুলে করি অশ্বেশন যা চাই কিছু নিয়ে যাই , কিছু ফিরিয়ে দিয়ে যাই ।

বিলুনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিয়ামারের সেনা কর্মকর্তাদের বিচার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭


রোহিঙ্গা জাতি গুষ্ঠি নিধন ইস্যুতে বর্বর মিয়ানমারের মগ সেনা কর্মকর্তাদেরকে কঠিন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি। গত বৃহস্পতিবার জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে হ্যাঐই এই আহ্বান জানিয়েছেন।

এই প্রথম রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য এই প্রথম দাবি জানালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কীন রাষ্ট্রদুত বলেছেন, ‘বার্মা কর্তৃপক্ষ জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুদের দীর্ঘ মেয়াদে নিধনের প্রচারণা ও নৃশংস যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাতে আমরা ভীত নই।

মিয়ানমারের রাখাইনে লাখ লাখ রোহিঙ্গা দের বাস্তুচ্যুতি ও তাদের জাতিগত নিধনের যে অভিযোগ জাতিপুঞ্জ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো তারই প্রতিধ্বনি করছে বলেও জানান নিক্কি হ্যালি।

মার্কিন দূত বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে সেনা দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে এবং অপরাধের জন্য কঠোর বিচার করতে হবে।’

মর্কিন রাষ্টদুত নিক্কি হ্যালি অআরো বলেন , ‘ যেসব দেশ বর্তমানে বার্মার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র দিচ্ছে, তাদের উচিৎ উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার আগ পর্যন্ত এ ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করা।’
সংবাদ সুত্র : usbanglanews24.com

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে আগত রোহিংগারা ১০০% অশিক্ষিত; কিন্তু বাংলাদেশ বিদেশে অবস্হিত কিছু রোহিংগাকে নিয়ে একটা অর্গেনাইজেশন গঠন করে, তাদেরকে হেইগে বিচার চাওয়ার জন্য পথে দেখাতে পারে!

হেইগ এই ধরণের কেইস নেবে কিনা বলা মুশকিল; তবে, ইউরোপের আইনবিদ নিয়ে চেস্টা করার দরকার আছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল পরামর্শ দিয়েছেন ।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

বিষাদ সময় বলেছেন: এটা হচ্ছে আমাদের জন্য শান্তনা। মূল বিষয় হলো চিন এবং রাশিয়ার বিরধীতার কারণে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের বৈঠক শেষ। দুঃখজনক হলো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাখোশ হয়ে যে ট্রাম্পের কাছ থেকে কিছুই আশা করেননা বললেন। সেই ট্রাম্পের আমেরিকাই মায়ানমারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। কষ্ট হলেও বলতে হচ্ছে কূটনীতিতে আমরা কিছুটা ব্যর্থ হলাম। আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে সহানুভূতি জানানোর মত অনেক দেশকেই পাচ্ছি, কিন্তু পাশে থেকে লড়াই করার মতো কোন দেশ নাই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

বিলুনী বলেছেন: দু:খ তো একটু পাবেনই , যা চেয়েছিলেন তাতে ঘা পড়েছে যে !!
পানি কোন দিকে গড়ায় ক্রমে ক্রমে দেখবেন ।
কুটনীতি শিখার এখনো অনেক বাকী আছে ।
দাবার ঘুটির চাল বুঝবেন যখন নীজের কিস্তি মাত হবে।
লগ ইন টা কোথায় হতে ?

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিষাদ সময় বলেছেন, "দুঃখজনক হলো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাখোশ হয়ে যে ট্রাম্পের কাছ থেকে কিছুই আশা করেননা বললেন। সেই ট্রাম্পের আমেরিকাই মায়ানমারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। "

-এখানে দু:খজনকের কি পেলেন আপনি? চীন ও রাশিয়া বার্মার পক্ষে যাওয়ায়, আমেরিকা বার্মার বিপক্ষে কথা বলছে; এটুকু বুঝতে গিয়ে দু:খ পাচ্ছেন কেন? নাকি ওটা মুদ্রাদোষ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

বিলুনী বলেছেন: তাকে বলা কথায়
এখানে দু:খজনকের কি পেলেন আপনি? চীন ও রাশিয়া বার্মার পক্ষে যাওয়ায়, আমেরিকা বার্মার বিপক্ষে কথা বলছে; এটুকু বুঝতে গিয়ে দু:খ পাচ্ছেন কেন? নাকি ওটা মুদ্রাদোষ?
সহমত প্রকাশ করা হলো

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমেরিকার ইতিবাচক মনোভাব আমাদের মনে আশার সঞ্চার করে।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, "আমেরিকার ইতিবাচক মনোভাব আমাদের মনে আশার সঞ্চার করে। "

-আমেরিকা নিরপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়ার অবস্হানের বিপরিতে থাকবেই; আমেরিকা বাংলাদেশকে সাহায্যও করবে; কিন্তু আমেরিকা জানে যে, বার্মা কারো কথার ধারও ধারে না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ , মুল্যবান কথা বলেছেন ।
ভারত মহাসাগরে চিন রাশিয়ার আধিপত্ত বিস্তারের বিষয় আমিরিকা ও তার মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশ সমুহ কোন মতেই মনে নিবেনা ।
এ এলাকায় গ্লোবাল রাজনীতি ও কুটনীতি নতুন মাত্রা নিবে । আমিরিকা ও তার মিত্ররা পুর্ণ শক্তি নিয়েই ঝাপিয়ে পড়বে সময়মত
চীন ও বার্মা তাদের পাতা ফাদে পা দিবে , ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের এই মানবিক ইস্যুটা নিয়ে আমিরিক্ ও তার ইউরোপিয়ান মিত্ররা মায়ানমার ও তার দোসর চীন রাশিয়ার বিরোদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে অনেকদুর এগিয়ে গেছে । বিশ্বের নেতাদের থেকে একাডেমিক
লেভেলের তথা নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন এই মানবিক ইস্যুটি নিয়ে যে ভাবে বিশ্ব মিডিয়ায় সোরগুল উঠিয়েছে তা দেখে কি মনে হয় । গত তিন দশক ধরে মিয়ানমার নিরবে যে কর্মটি করে এসেছে তা আজ তার গায়ে বিশ্বের চারদিক হতে হুল হয়ে ফুটছে , এতদিন একটি আবরণ ছিল নোবেলের তকমা দেয়া অংসান সুচী , তাও এখন শেষ । পতনের দিন গননা এখন হতেই তার হবে শুরু ।

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ , মুল্যবান কথা বলেছেন ।
ভারত মহাসাগরে চিন রাশিয়ার আধিপত্ত বিস্তারের বিষয় আমিরিকা ও তার মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশ সমুহ কোন মতেই মনে নিবেনা ।
এ এলাকায় গ্লোবাল রাজনীতি ও কুটনীতি নতুন মাত্রা নিবে । আমিরিকা ও তার মিত্ররা পুর্ণ শক্তি নিয়েই ঝাপিয়ে পড়বে সময়মত
চীন ও বার্মা তাদের পাতা ফাদে পা দিবে , ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের এই মানবিক ইস্যুটা নিয়ে আমিরিক্ ও তার ইউরোপিয়ান মিত্ররা মায়ানমার ও তার দোসর চীন রাশিয়ার বিরোদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে অনেকদুর এগিয়ে গেছে । বিশ্বের নেতাদের থেকে একাডেমিক
লেভেলের তথা নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন এই মানবিক ইস্যুটি নিয়ে যে ভাবে বিশ্ব মিডিয়ায় সোরগুল উঠিয়েছে তা দেখে কি মনে হয় । গত তিন দশক ধরে মিয়ানমার নিরবে যে কর্মটি করে এসেছে তা আজ তার গায়ে বিশ্বের চারদিক হতে হুল হয়ে ফুটছে , এতদিন একটি আবরণ ছিল নোবেলের তকমা দেয়া অংসান সুচী , তাও এখন শেষ । পতনের দিন গননা এখন হতেই তার হবে শুরু ।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

বিষাদ সময় বলেছেন: @ চাঁদগাজী ভাই,
আপনি আমেরিকায় থাকেন তাই আপনার পক্ষে যে কোন বিষয় নিয়ে, যে ভাবে ইচ্ছা বলা সম্ভব, কিন্তু আমাদের পক্ষে তা বলা সম্ভব না।
"দুঃখজনক" কথাটি কোন মুদ্রা দোষ না এটি হচ্ছে কোন বক্তব্যকে ভদ্রভাবে উপস্থাপনের কৌশল।

-এখানে দু:খজনকের কি পেলেন আপনি? চীন ও রাশিয়া বার্মার পক্ষে যাওয়ায়, আমেরিকা বার্মার বিপক্ষে কথা বলছে; এটুকু বুঝতে গিয়ে দু:খ পাচ্ছেন কেন? নাকি ওটা মুদ্রাদোষ?

এটা তো আগে থেকেই জানা যে চীন, রাশিয়া তার স্বার্থের কারণে বার্মার পক্ষে থাকবে আর আপনার ইকুয়েশন অনুযায়ী আমেরিকা বার্মার বিপক্ষে থাকবে। তাহলে কি ট্রাম্পের কাছ থেকে কিছু আশা করাটা বা নীরব থাকাটাই আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত ছিলনা?

আপনার অনেক বক্তব্যই ভাল লাগে, কিন্তু সমস্যা হলো আপনি অত্যন্ত "রিগিড" আরেকটু "ফ্লেক্সিবল" হলে মনে হয় আমাদেরকে বুঝাটা আপনার জন্য সহজ হতো। ধন্যবাদ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

বিলুনী বলেছেন: এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চাদ গাজী কি বলবেন তা তিনিই জানেন ।
যদি চাদ গাজী এ দিকে আসেন তাহলে হয়তো দেখতে পারেন এটা ।
যেহেতু আমার পোষ্টের মন্তব্য ঘরে এটা এসেছে আমাকে তো এর প্রাপ্তি স্বীকার করতেই হবে ।
ধন্যবাদ

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পড়ে অনেকটা আশ্বস্ত হওয়াই যায়... একটা কিছু হবে এই সূচনায়.....

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ আশাবাদী হওয়ার জন্য ।

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:





@বিষাদ সময়,

রাশিয়ানরা চেচনিয়ায় মুসলমানদের দমন করেছে, চীনের উইঘরে মুসলমানদের সাথে ভাংগাচুরা গেরিলা যুদ্ধ চলছে; ওরা বার্মায় মুসলিম গেরিলা বা ঐ ধরণের কাউকে সাপোর্ট না দিয়ে বার্মাকে দিবে। রাশিয়া বার্মা থেকে কিছু চাহে না, তারা মুসলিম গেরিলাদের বিপক্ষে গায়ে পড়েই বার্মাকে সাপোর্ট দিচ্ছে, এবং চীনের পাশে থাকছে।

যাক, মুল সমস্যা হলো, বার্মার সেনা বাহিনী ও "মগ জলদস্যুদের ভিক্ষু নামের জল্লাদেরা" মানুষকে টুকরা টুকরা করে ফেলেছে এইবার; এতে রোহিংগাদের আর স্হান ওখানে হবে না; যারা ফিরে যাবে, তাদেরকে একদিন প্রান হারাতে হবে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ এসে ঐ মন্তব্যটি দেখে মতামত রাখার জন্য ।

১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: মিয়ানমারে ভারতের বেসরকারি একটি প্রজেক্ট রয়েছে। যা কলাদান প্রজেক্ট নামে পরিচিত। এ প্রজেক্টে ভারতের ব্যবসায়ীদের ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এ প্রজেক্টের আওতায় মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট তথা সড়ক নির্মাণ করা হবে। যার বেশিরভাগ অংশ রাখাইন স্টেটের উপর দিয়ে যাবে।

এ প্রজেক্ট ধীর গতিতে হওয়ায় ভারতের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাপ দিচ্ছে। বলছে গিয়ে এর সুরাহা করে আসুন।

কিন্তু, রাখাইনের যে এলাকা দিয়ে এ প্রজেক্ট যাবে সেখানে রয়েছে প্রচুর মূল্যবান খনিজ পদার্থ বিশেষ করে ইউরেনিয়াম। ফলে ভারতের ব্যবসায়ীরা মোদীকে পাঠাচ্ছেন শুধু রাস্তার জন্য নয়, এটা ইউরেনিয়ামের বিষয়। যে ইউরেনিয়ামের প্রতি আগে থেকেই চীনের নজর ছিল, ভারতও ইদানিংকালে নজর দিয়েছে। আর ওই দূর থেকে নজরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা হয়তো ফলো করছেন, এরা একটু মারামারি করুক। পরে আমি বলব, এই এত মারামারি কিসের, একটু দেখিতো কী হলো?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান তথ্য পরিবেশনের জন্য ।
ঠিকই বলেছেন
The project includes the construction of the deepwater Sittwe Port at the mouth of the river, dredging of the Kaladan river to enable cargo vessels to navigate the river from Sittwe to Mizoram, the construction of a river port at Paletwa, as well as the widening and upgrade of highways between Paletwa and Myeikwa on the Indo-Myanmar border.The project will open up not only Mizoram but all of India's northeastern states as hinterland for the Sittwe Port.
এর ফলে ভারত আর চীন ভুটানের কাছ দিয়ে যাওয়া ঐ রাস্তার মত মারা মারি করতে লাগল বলে । ঐসময় আমেরিকা একটুখানি নাক গলাতে পারে কিংবা বিভিন্ ইন্টারন্যাশনাল ব্লগে দেখা যায় অনেকেই বলা বলি করছে নিরাপত্তার স্বার্থে চীন কোন এক সময়ে বিভিন্ন অযুহাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে তার এনেক্স করে নিতে পারে । মিয়ানমারের আমও যাবে ছালাও যাবে !!!

১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: মায়ানমার ও চীন পরস্পরকে “সহদোর” হিসাবে সম্বোধন করে যা থেকে তাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা অনুমান করা যায়। আর মায়ানমারের দিক থেকে ঐতিহাসিকভাবেই চীন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী কারণ চীনের সাথে তার ১৩৪৮ মাইলের এক বিশাল সীমান্ত রয়েছে। তবে দেশটিতে সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সম্পর্কের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে।

সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, জাপান ও অন্যান্য বহুমুখী দাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের উন্নয়ন সহযোগিতা প্রত্যাহার করে নেয় এবং এমনকি কয়েকটি পশ্চিমা দেশ অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করে। ফলে মায়ানমার তার টিকে থাকার জন্য চীনমুখী নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।

চীনের সাথে মায়ানমারের দুই স্তরের সম্পর্ক ছিল, দ্বিরাষ্ট্রিক সম্পর্ক এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাথে বার্মিজ কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক। চীনা বিপ্লবের পর কমিউনিস্টদেরকে সহায়তার কারণে চীনের সাথে মায়ানমারের দ্বিরাষ্ট্রিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে, তবে ১৯৮৫ সালে চীন মায়ানমারের কমিউনিস্টদেরকে সহায়তা দেয়ার নীতি ত্যাগ করে এবং ১৯৮৮ সালে মায়ানমারের সেনাবাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার এক বছর পরই এক আভ্যন্তরীণ কোন্দলে বার্মিজ কমিউনিস্ট পার্টিও খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। এই সুযোগে সামরিক সরকার সীমান্তবস্থিত কমিউনিস্ট গোষ্ঠীসমূহের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে সমর্থ্য হয়।

এর পর থেকেই মূলত মায়ানমার পরাশক্তিসমূহের নিকট থেকে অস্ত্র আমদানি না করে নিরপেক্ষ থাকার যে নীতি ছিল তা ত্যাগ করে এবং চীনের অস্ত্র দিয়ে তার সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। একই সাথে চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহায়তার আশ্বাসও আদায় করতে সক্ষম হয়। ফলে অল্পকিছুদিনের মধ্যেই জোটনিরপেক্ষ মায়ানমার চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়।

এমনকি অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বর্তমানের এই কথিত বেসামরিক সরকারও তার টিকে থাকার জন্য সম্পূর্ণতই চীনের উপর নির্ভরশীল। কারণ পর্দার আড়ালে সেনাবাহিনীই সব কলকাঠি নাড়ছে। যে কারণে অনেকে আবার বলে যে মায়ানমার চীনের একটি মক্কেল-রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

চীন মায়ানমারের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে সহায়তা প্রদান করে তার মধ্যে `আইয়াওদ্দা সড়ক প্রকল্প` খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনের ইউনান থেকে মায়ানমারের ইয়াংগুনের থিলওয়া বন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনই এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এর অধীনে ভামো পর্যন্ত নদীপথের ড্রেজিং করা, ভামোতে একটি কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণ করা এবং সেখান থেকে চীনের সীমান্ত বন্দর মুজে বা লিউজেল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে মায়ানমারের মধ্যদিয়ে সরাসরি বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, যার ফলে দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সাথে চীনাদের বাণিজ্যের পরিবহন খরচ ও সময় অনেক বেঁচে যাবে, এবং মালাক্কা প্রণালীর সংঘাত এড়িয়ে চলা যাবে। তাছাড়া বঙ্গোপসাগর হয়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও সহজেই প্রবেশ করা যাবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের সমুদ্র সীমা নিয়ে সমস্যার জন্য চীনের কৌশলগত অবস্থান ও গুরুত্ব বোঝার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রে যে কোনো সংঘাত সৃষ্টি হলে তাকে কেন্দ্র করে ভারত-মার্কিন নৌশক্তি সমাবেশের পাল্টা চীন কি ধরণের তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে পারে এটাও আমরা চীনের এই কৌশলগত সামরিক ভারসাম্য স্থাপন চেষ্টা থেকে অনুমান করতে পারব।

সন্দেহ নেই চীনের অর্থনৈতিক সহায়তা ও বাণিজ্যিক ঋণের সরবরাহ বর্তমান সেনা নিয়ন্ত্রিত ক্ষমতাসীনদেরকেও টিকে থাকতে সহায়তা দিচ্ছে, তথাপি মায়ানমারের সমগ্র অর্থনীতির বিবেচনায় এটা একটা সমস্যারও সৃষ্টি করছে। সে জায়গা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে মায়ানমার সেটা দেখার বিষয়। কিংবা আদৌ তারা সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন হতে পারে।

মোটের উপর চীনের সাথে সুদৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক মায়ানমারের বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞর মধ্যে টিকে থাকার হাতিয়ারই হিসাবেই যতটা সুযোগ করে দিয়েছে তার তুলনায় কিন্তু মায়ানমারের বৃহদায়তন অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য দীর্ঘস্থায়ী ভূমিকা রাখতে পারবে না কিনা সেটাও বিচার্য।

আর সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশেও একটি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে চীন ৭৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এছাড়া সেখানে একটি শিল্প পার্ক এবং একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলারও পরিকল্পনা আছে চীনের। ফলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবিক ইস্যুর চেয়েও এই বিনিয়োগকেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।

এই দিকগুলোর সাথে সাথে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিশ্বরাজনৈতিক গুরুত্ব এবং সামরিক ও কৌশলগত অবস্থানের চাপে শক্তিভারসাম্যেও যে সমীকরণ তৈরি হচ্ছে তাতে মায়ানমার বেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ইতোমধ্যেই দখল করে নিয়েছে। চীন-পাকিস্তান জোট ও ভারত-মার্কিন জোটের আবির্ভাবের ফলেও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এক নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। এই সবগুলো দিক বিবেচনায় রেখে আমাদেরকে সেই নিরিখেই সাবধানতার সঙ্গে মায়ানমারের সঙ্গে পররাষ্ট্রীয় সম্পর্কের নীতি নির্ধারণ করতে হবে।

- Courtesy: Mahbubul Alam Tareq, Daily Bangladesh.

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিতভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ।
কুটনীতি কোন জায়গায় মারপ্যাচ খাচ্চে তা অনেকের
কাছেই পরিস্কার হয়ে যাবে ।

১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

বিষাদ সময় বলেছেন: @ বিলুনী

দু:খ তো একটু পাবেনই , যা চেয়েছিলেন তাতে ঘা পড়েছে যে !!
পানি কোন দিকে গড়ায় ক্রমে ক্রমে দেখবেন ।
কুটনীতি শিখার এখনো অনেক বাকী আছে ।
দাবার ঘুটির চাল বুঝবেন যখন নীজের কিস্তি মাত হবে।
লগ ইন টা কোথায় হতে ?


কি বুঝলেন আর "যা চেয়েছিলেন" বলে কি বুঝাতে চাইলেন বুঝলাম না। যে কোন দলীয় সঙ্কীর্নতার উর্দ্ধে থেকে দেশের মঙ্গল চাই। সে দৃষ্টিকোন থেকে যা ঠিক মনে হয় ঠিক বলি, যা ভুল মনে হয় ভুল বলি। বিষয়টিকে আপনি জটিল করে ফেলায় কিছুটা বিস্মিত হলাম।

তারপরও ভাল থাকুন সেই কামনা করি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ, দুংখ বোধের কারণটা বুঝতে পারছি । দেশের মঙ্গল চাইলে সব কিছুই ভুলে যাওয়া যায় ।
কুটনীতির জগত বড় জটিল, এর সুফল কুফল চট করে বুঝা যায়না । আমিরিকার নিরব সমর্থনে আর বৃটিশ সামরিক সমর প্রযুক্তির ছিটে ফোটা সক্ষমতা হাতে নিয়ে সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখল করার ফলটা কেমন পেয়েছে তা হয়ত জানা আছে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিয়ানমার ফ্রন্টে জাপানীদের হাতে মার খেয়ে খেয়ে সেসময়কার বৃটিশ বাহিণী পিছিয়ে পিছিয়ে আসার সময় সংবাদ মাধ্যমে বলত বৃটিশ বাহিনী সাফল্যজনকভাবে পশ্চাদপরন করতে সক্ষম হয়েছে । কিন্তু আখেরে বিজয়টা কার হয়েছে তা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে । কোন কিছুর সার্বিক কুটনৈতিক সফলতা চট করে তেমন বুঝা যায়না। তবে লক্ষন দেখে এর গতি পথ কিছুটা বুঝা যায় ।

যাহোক আপনিও ভাল থাকুন এ কামনাই করি ।

১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: অান্তর্জাতিক অপরাধ অাদালতে মায়ানমারের সামরিক জান্তাদের তোলা খুব সহজ হবে না। কারণ বড় কোনো পরাশক্তি আদাজল খেয়ে না লাগলে এটা কখনই সম্ভব নয়।

তবে ভবিষ্যতে অনেক কিছুই হতে পারে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ খুবই মুল্যবান কথা বলেছেন ।
তবে এর একটা প্রভাবতো মিয়ানমার ও তার
দোসরদের উপর আন্তর্জাতিকভাবে পড়বে ।

১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমি যতটুকু মনে করি আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।

রোহিঙ্গারা যে পরিমাণই ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে বাংলাদেশে আসতে পেরেছে তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানানো উচিত। কারণ অচিরেই বার্মাতে কুত্তা-কুত্তির (চীনাপক্ষvsআমেরিকাপক্ষ) খেলা শুরু হবে। খুব বেশী মগ জীবিত থাকবে না। ভবিষ্যতবাণী করে ফেললাম , দেখে নিবেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৭

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনি ঠিকই বলেছেন অচিরেই বার্মাতে কুত্তা-কুত্তির (চীনাপক্ষvsআমেরিকাপক্ষ) খেলা শুরু হবে। খুব বেশী মগ জীবিত থাকবে না। এরা নীজেদের সকল জমিতো ইতিমধ্যে চীনা আর ভারতীয় কোম্পানীর কাছে লীজ দিয়াই দিছে । বাংলাদেশ হতেও কিছু বড় বড় বিনিইয়োগকারী জমি লিজ নেয়ার জনন্য মিয়ানমারে দৌড়াদৌড়ি করেছিল , ফলাফল জানা যায় নাই ।গত ২০১২ সালে মিয়ানমারের পার্লামেন্টে যে আইন পাস হয়েছে তাতে বিদেশী বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে ৭০ বছরের জন্য জমি লিজ দানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে সিটওয়ে (সাবেক আকিয়াব) বন্দরটি সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন হয়েছে চীনা বিনিয়োগে। এ বন্দর দিয়ে গ্যাস ও তেল আসবে বিদেশ থেকে এবং সে তেল ও গ্যাস চলে যাবে চীনের কুনমিং শহর এলাকা পর্যন্ত। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে গ্যাস ও তেল সরবরাহের লাইন প্রতিষ্ঠাও করা হয়েছে চীনের অর্থায়নে। এছাড়া সিটওয়ে বন্দরকে ঘিরে বিশাল বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে চীন একটি আধিপত্য বিস্তারেও পরিকল্পনায় রয়েছে। অপরদিকে, এ বন্দর থেকে সমুদ্র তলদেশ দিয়ে ভারতের সঙ্গে রয়েছে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা। ভারতও চায় তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ নির্বিঘ্ন করতে। এছাড়া চীনের একক আধিপত্য রোধে ভারত মিয়ানমারে তাদের নিজেদের অবস্থান সংহত রাখতে খুবই তৎপর। এখানেও ভুটানের পাশদিয়ে তৈরী রাস্তা নিয়ে চিন ভারতের অবস্থা তৈরী হবে , সংঘাত লাগল বলে । অনেকেই বলেতেছে রাখাইন রাজ্যটি শেষ পর্যন্ত চীনের সাথে এনেক্স হয়ে যেতে পারে ।

আরো জানা যায় আরাকান (বর্তমানে রাখাইন) রাজ্যটি একদিকে খনিজ, অপরদিকে বনজ সম্পদেও ভরপুর। এছাড়া নাফ নদের উপকূলে রয়েছে একাধিক গ্যাসক্ষেত্র, যাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের ভা-ার। চীন চায় তাদের ইউনান প্রদেশের শহর কুনমিংকে মিয়ানমারের বন্দর শহর কিয়াউক হিয়াউকে যুক্ত রেখে তেল ও গ্যাস সরবরাহের সুযোগ নিশ্চিতকরণ। আর এ কারণেই মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যকে নিয়ে এ পর্যন্ত যত অপকর্ম চালিয়েছে চীন সে নিয়ে কখনও বিরোধিতা করেনি, উল্টো বরাবরই মিয়ানমারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২৫ আগস্ট রাত থেকে মিয়ানমার সরকারের জান্তা বাহিনী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর যে হিং¯্র ছোবল মেরেছে তাতেও চীন নীরব ভূমিকায় রয়েছে। উল্টো মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এমনকি নিরাপত্তা পরিষদেও চীনের ভূমিকা মিয়ানমারের পক্ষে। চুড়ান্ত ফলাফল হবে আপনার কথামত কুত্তা-কুত্তির (চীনাপক্ষvsআমেরিকাপক্ষ) খেলা ।

বিভিন্ন সংবাদ সুত্র থেকে আরো জানা যায় রাখাইন সমুদ্র বেসিনে বর্তমানে কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের শেল অয়েল, যুক্তরাজ্যের শেভরন, ফ্রান্সের টোটাল অয়েল, অস্ট্রেলিয়ার উড সাইট এনার্জিসহ বিদেশী একাধিক তেল অনুসন্ধানকারী ও উত্তোলন কাজে নিয়োজিত কোম্পানিগুলো। উল্লেখ করা যেতে পারে, রাখাইন সমুদ্র সীমানায় মোট ১০টি গ্যাস ব্লক রয়েছে। যাতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ গ্যাস ভা-ারের অবস্থান রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা প্রকাশ করেছে। মিয়ানমারের নিজস্ব কোন বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিগত খাতে সক্ষমতা নেই। ফলে নিজেদের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত করতে এরা বিদেশী বিশেষজ্ঞ মহলের মুখাপেক্ষী। ইতোমধ্যে রাখাইন সমুদ্র উপকূলে যে গ্যাস পাওয়া গেছে, সে গ্যাস উৎপাদিত হয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে চীনে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বাহিনী তাদের জনগণের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বহু আগে। সে প্রক্রিয়া থেকে সুচির বেরিয়ে আসার কোন সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে সুচিও রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে তার সমর্থন রেখেই চলেছেন। ফলে মিয়ানমারের মগদেরে মানূষ করার জন্য চীন রাশিয়া ছাড়া অন্য যাদের কিছুটা সহানুভুতি ছিল তাও বিনষ্ট হয়েছে ।
এখন মগাদের চুড়ান্ত পতন শুধু সময়ের ব্যপার মাত্র ।

১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: রাশিয়া চীন যদি রোহিংগাদের পাশে থাকতো আমেরিকা তাহলে বার্মার পাশে থাকতো গ্যারান্টি

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ একেবারে খাটি কথা বলছেন ।

১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: "সকাল বেলা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জাগ্রত হওয়ার বিড়ম্বনার চেয়ে রাত্রিতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয়ন করা অনেক বেশী সুবিবেচনার কাজ।"

নিশ্চয় ভাবছেন- ''এটা আবার কি মন্তব্য''?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.