নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝাপসা বালকের পক্ষ থেকে সংগ্রামী লাল সালাম

ঝাপসা বালক

আতাউর রহমান

ঝাপসা বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

উসকানি দেওয়াই লেখকের কাজ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪

একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতি হিসাবে বাংলা একডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জমান খান এক সংবাদ সম্বেলনে বলেন “ আমরা চাই প্রকাশকর এমন কিছু বই প্রকাশ না করুন, যেটা উসকানিমুলুক । আর এ ধরনের কিছু করা হলে অঘটন ঘটে যেতে পারে ।” গত বছর বইমেলা থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ঘটনা ঘতেছিল । এক, রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেওয়া । দুই, অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড । তিন, ৩০ সেপ্টেম্বর দুটি প্রকাশনায় একই সাথে হামলা, যাতে জাগ্রতি প্রকাশনীর ফয়সল আরেফিন দীপন নিহত হন। তাই এবারের বইমেলায় দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা ও বিপুল সংখ্যক পুলিশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । কিন্তু প্রশ্নটা হল

• উসকানি কে নির্ধারণ করবে ?
• কে বা কারা এই মানদণ্ড তৈরি করেছে?
• কারা এই শনাক্তকরনের দায়িত্ব পালন করবে ?

প্রকাশনার ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা আসলে চিন্তার স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রনের রূপ । আজ অনেকে যুক্তি ও তথ্য দিয়ে উসকানিমুলুক লেখা রাষ্ট্রের অনাচারের বিরুধে, সমাজে প্রচলিত পশ্চাৎধারণা ও বিশ্বাসের বিরুধে লিখছে । প্রচলিত চিন্তা ও শক্তির বিরুধে দাঁড়ানোর উস্কানির কেবল তরুণদের বিষয় নয়, যেকোন স্বাধীন চিন্তাশীল লেখক ও বুধিজিবির দায়িত্ব হচ্ছে এই চালাঞ্ছ অব্যাহত রাখা । একজন বুধিজিবি কিসের উসকানি দেবেন ? তার উত্তরে বলতে পারি, কাজী মোতাহার হসেন বিংশ শতাব্দির কুড়ির দশকের শিখা গোষ্ঠীর দ্বিতীয় বার্ষিক প্রতিবেদনে বুধির মুক্তি আন্দোলন কি, তা তিনি ব্যাখ্যা করে লিখেছিলেন------

“আমার চক্ষু বুঝিয়া পরের কথা শুনিতে চাই না
বা শুনিয়া মানিয়া লইতে চাই না
আমার চাই চোখ মেলিয়া দেখিতে
সত্যকে জীবনে প্রকৃতভাবে অনুভব করিতে।”

এক কথায় আমরা বুধিকে মুক্ত রাখিয়া প্রশান্ত জ্ঞান দৃষ্টি দ্বারা বস্তু জগত ও ভাবজগতের বেপারদি প্রত্যক্ষ করিতে ও করাইতে চাই । লেখকের কাজ হচ্ছে সব ধরনের সাবধানবাণীকে অগ্রাহ্য করে যারা ভক্তির মোহ আবরণে সত্যকে চাপিয়ে রাখতে চায়, তাদের বিরুধে উসকানি দেওয়া ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০

ঝাপসা বালক বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা ।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: "সহবাসের সহিহ ও পবিত্র তরিকা" টাইপ বই লিখলে উস্কানি দেয়া হবে না

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

ঝাপসা বালক বলেছেন: স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও ভোটের স্বাধীনতা হারিয়েছি । এখন যদি লেখার স্বাধীনতা হারাই তাহলে লেখকের সার্থকতা কোথায় ? কোন দলের ভয়ে সরকার যদি লেখনীর উপর শর্ত আরোপ করে, তাহলে সেটা দেশের জন্য লজ্জাজনক । কুয়ার ব্যাঙ হয়ে থেকে মক্তমনা হওয়াই হবে কল্যাণকর ।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৩

আবির ০০ বলেছেন: You've wanted to explain that writer can write anything whatever they want. Did you read any book of Taslima Nasrin? Writings should have some limitation for the walefare of society. As a Islamic country, Bangladeshi writers should not write on such a topic that arises antiislamic view. Moreover, if you want more freedom on writings, please leave the country like Taslima and write whatever you want.

৪| ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

জোলিল বলেছেন: ইসলামের বিরুধে উল্টা পাল্টা লিখলে ত এমন হবেই। আর আপনার মত লেখকদের বলছি যারা ব্লগিং এর নাম করে এইসব খবর সবাইকে দিয়ে বেরাছেন । আপনার কি জানের মায়া নাই ? সময় থাকতে এইসব লেখা বন্ধ করেন নাহলে আপানার অবস্থাও আপনার আগের ব্লগারদের মত হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.