নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমার অজস্র ধ্বনিতে আমার নীরবতা হারায়,
তোমার হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তে আমার ক্লান্তি পালায়।
তোমার বোকা তর্কে আমার যুক্তি থেমে যায়,
তোমার আনন্দালাপের অজ্ঞতায় আমার বিজ্ঞতা ক্ষেপে যায়।
তোমার পাথর-মূর্তি প্রতিমায় আমার দুনিয়া তলিয়ে যায় ,
তোমার বুকফাটা নীরবতায় আমার দুনিয়া তুচ্ছ হয়ে যায় !
তোমার নির্বোধ কার্যে আমার কার্য থেমে যায়,
তোমার নিরন্তন চলায় আমি নির্বাক হয়ে দাঁড়াই..!
তুমি এতই বোকা কি আর বলবো তোমায়..,,
তবু তোমার দুঃখে আমার চেতনা ঘুলিয়ে যায় !
দূর থেকে দেখি তোমার অবুঝ প্রতিমূর্তি,
আড়ালে দাঁড়িয়ে আমি, এতেই যেন ফুর্তি !!
কবিতা বিশাল ব্যাখ্যার একটি সংক্ষিপ্ত রূপ হতে পারে, হতে পারে হাজারো অব্যক্ত ভাষার স্পষ্ট ধারণা । কাগজে-কলমে ফুটে ওঠা শব্দগুচ্ছ তে অনুভূতির যে প্রতিফলন ঘটে তাই হয়তো কবিতা। কবিতায় মজার ব্যাপারটি হলো ঠিক কি ভেবে, কোন অনুভূতিতে কবিতাটি লেখা হলো তা পাঠকের নিকট অজানাই থেকে যায় ! অর্থাৎ লেখকের ভাবনার বিষয় এবং পাঠকের উপলব্ধি দুটির মধ্যে একটি পার্থক্য থাকে কিন্তু মনোভাবের প্রতিফলন অদ্বিতীয় ! এই যে পার্থক্য থাকা সত্বেও অদ্বিতীয় প্রতিফলন এটি কবিতার বিশেষত্ব । আমি মনে করি সংক্ষিপ্ত কবিতাতেও অব্যক্ত ভাষার যে প্রতিফলন ঘটে তা বিস্তারিত ভাষায়ও অসম্ভব । তাইতো কবিতায় হাজারো কথা খুব সহজেই প্রকাশ যায়। আর মজার ব্যাপার হলো সেটি পাঠকের নিকট অজানা।
কিভাবে? তাহলে ছোট্ট একটি গল্প বলতে হয়, বেশ কিছুদিন আগের লেখা একটি পুরোনো ডায়েরি থেকে কবিতাটি খুঁজে পাই। প্রফেশনাল কবি না হলেও কবিতা কেমন লিখি তা জানতে বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করলাম। পড়ে বলল , " অসাধারণ লিখেছিস কিন্তু প্রেরণাটি কে !! এত গভীর প্রণয় কার প্রতি ?? " মন্তব্য শুনে হঠাৎ হেসে ফেললাম । ওই যে শুরুতে বললাম লেখক এর অনুভূতি পাঠকের নিকট অজানাই থেকে যায়! কবিতা শুধু গভীর প্রেরণা কিংবা প্রণয় থেকেই আসে না। মাঝে মাঝে তা প্রতিবাদ, অভিযোগ কিংবা গভীর উপলব্ধি থেকেও কাগজে-কলমে উঠে আসে। সহজে বলতে গেলে মনের ভেতর থেকে কথাগুলো কাগজে ছুড়ে ফেলা । যেটি আমার বন্ধুর নিকট গভীর অনুপ্রেরণা এবং প্রণয় মনে হয়েছে সেটা আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি অভিযোগ এবং গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এই অভিযোগ হতে পারে নিজের পরিবার, আত্মীয় কিংবা নিকটতম মানুষের প্রতিও!
কবিতার ভাবার্থ বোধগম্য হলেও উৎসর্গ টা কিন্তু রহস্য হয়েই থাকে , যতক্ষণ না প্রকাশ করা হয় ! তাই প্রতিফলন একই রকম হলেও অনুভূতিটা থাকে এক একজনের নিকট এক একরকম।
- দেয়ালিকা বিপাশা
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২২
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: হা হা হা..।
আপনি একা না শুধু অনেকেই কবিতা বুঝে না, এটা সাধারণ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৭
সোনালি কাবিন বলেছেন: +
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা,
পুরোনো ডায়েরীর পাতা থেকে উপরের কবিতাটি তুলে এনেছেন। স্বভাবতঃই কবিতার হাতেখড়ির সময়কার।
এই লাইনটি কি ঠিক আছে - "তোমার নিরন্তর চলায় আমি নির্বাক হয়ে দাঁড়ায়্" আমির সাথে "দাঁড়ায়" ক্রিয়া পদটি যায় না মনে হয়।
আর কবিতা সম্পর্কে ঠিক কথাই লিখেছেন।
আমি বলি - ব্যাখ্যাতীত এক সন্ধ্যেয় অব্যক্ত কথাগুলোর শ্রুতিময় রূপই হলো কবিতা । বাক্য যখন কাব্য বলে গন্য হতে চায় , তখন তার মধ্যে নিতান্ত শব্দার্থের অতিরিক্ত কোনও অর্থের বা তাৎপর্যের আভাস থাকতে হয় । আপনিও যেমনটা কবিতার পরের কয়েকটি লাইনটিতে বলেছেন।
আসলে কবিতা তো আসে হেমন্তের ঝড়ো হাওয়ার মতো, কুঁড়ি ঝরিয়ে, বীজ ছড়িয়ে, মরা পাতার মতো ভাবনাগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে । ইন্দ্রিয়সমূহের বিপুল ও সচেতন বিস্তারে অদৃশ্যকে দেখে দেখে, অশ্রুতকে শুনে শুনে , সব গরল আত্মসাৎ করে-- তবেই না হৃদয়ের ঝাঁপটি খোলে ।
শুভেচ্ছান্তে।
১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১০
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আহমেদ জী এস সাহেব,
শুরুতে আপনাকে ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য এবং দুঃখপ্রকাশ অনাকাঙ্খিত ভুলের জন্য । যা সংশোধন করা হয়েছে।
কবিতা সম্পর্কে আপনার মনোভাবটিও অসাধারণ । চমৎকার ব্যাখ্যা করেছেন যা আমার কবিতা কেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এতটা অসাধারণ কাগজে-কলমের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে না পারলেও চেষ্টা করি আন্তরিকতার সঙ্গে মনোভাব গুলোকে ফুটিয়ে তুলতে।
আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মূল্যবান বক্তব্যের জন্য।
আশা করি আগামীতেও সাথে থাকবেন ।
-দেয়ালিকা বিপাশা
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ১২ লাইনের কবিতার মাধুর্য অধরা থেকে যেতো যদি না শানেনুজুল লিখতেন।
এতো অল্পকথায় এতো সুন্দর করে অভিব্যাক্তির প্রকাশ- আপনার মুন্সিয়ানার স্বাক্ষর। আপনার আরও লিখা পড়বো শিঘ্রী- আশা রাখি।
১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: কবিতা কথ্য,
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
আপনার সংক্ষিপ্ত উৎসাহ আমার অনুপ্রেরণা হবে আশা করি।
আশা করি সাথেই থাকবেন।
শুভকামনায়
- দেয়ালিকা বিপাশা
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০০
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: পরবর্তী কবিতা কবে পাবো আমরা?
১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:০২
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আজ কালের মধ্যেই পোস্ট করবো ইনশাল্লাহ।
৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধীরে ধীরে কবিতার মুন্সিয়ানা দেখা দিচ্ছে
সুচনার প্রকাশ যাচ্ছে ঠিক গতি পথেই ।
কবিতা সাথে কবিতার ব্যখ্যা বেশ
সুন্দর হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: ডাঃ এম এ আলী,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কবিতাটি পড়ে সুন্দর প্রশংসার জন্য।
আশা করি সাথে থাকবেন ।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
- দেয়ালিকা বিপাশা
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটি গদ্য ১০ বাক্যে যা বলে একটি পদ্য এক বাক্যে তা বলতে পারে। এটাই কবিতার শক্তি। কবির ভাবনার বিষয় পাঠক হুবহু উপলব্ধি করতে না পারলেও কবির অনুভুতি পাঠকের অজানা থাকে না। কবিতা গোলাপ ফুলের সুবাসের মত। গোলাপের সুবাসটাই মুখ্য। গোলাপকে বোঝা তত বেশী জরুরী নয়। কবিতার সুবাস গ্রহণ করতে পারার মধ্যেই আনন্দ।
ব্যক্তের চেয়ে অব্যক্ত ভাব বেশী শক্তিশালী।
আপনার নীচের কথাগুলি খুব ভালো লেগেছে;
কবিতা শুধু গভীর প্রেরণা কিংবা প্রণয় থেকেই আসে না। মাঝে মাঝে তা প্রতিবাদ, অভিযোগ কিংবা গভীর উপলব্ধি থেকেও কাগজে-কলমে উঠে আসে। সহজে বলতে গেলে মনের ভেতর থেকে কথাগুলো কাগজে ছুড়ে ফেলা । যেটি আমার বন্ধুর নিকট গভীর অনুপ্রেরণা এবং প্রণয় মনে হয়েছে সেটা আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি অভিযোগ এবং গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এই অভিযোগ হতে পারে নিজের পরিবার, আত্মীয় কিংবা নিকটতম মানুষের প্রতিও!
তাই প্রতিফলন একই রকম হলেও অনুভূতিটা থাকে এক একজনের নিকট এক একরকম।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
কবিতা নিয়ে আপনার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাটি সুন্দর। কবিতায় এক অনন্য মাধুর্য এবং শৈল্পিকতার ছোঁয়া থাকে। যা মনকে আবদ্ধ করে এক সুন্দর ভাবনাময় অপরূপ জগতে।
কবিতাটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং লেখাটি আপনার খুব ভালো লেগেছে তা জানতে পেরে খুবই আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ জানাচ্ছি,
- দেয়ালিকা বিপাশা
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৩
আমি রানা বলেছেন: আমি কবিতা বুঝি না।