নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখিটা পেশা নয় এক প্রকার ক্ষুদ্র নেশার মতো আমি মনে করি। ভালো লাগা থেকে কাগজে কলমে যে শব্দ আসে তার ব‍্য‍খ‍্যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি সাধারণ মানুষ, তাই লেখালেখির মতো সাধারণ ভালো লাগাটাই আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়।

দেয়ালিকা বিপাশা

দেয়ালিকা বিপাশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসর্জন

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১১


ছবি: নিজের তোলা


" কিছু অনুভূতি পাল্টে দেয় মানুষের জীবন ; বদলে দেয় দৃষ্টিভঙ্গি ; পরিবর্তন করে দেয় মানুষের আচরণ। শুধুমাত্র অভিজ্ঞতাই অনুভূতির জাগরণ ঘটায় না, কিছু অনুভূতি মূল‍্যায়ন হতেও আসে। যা বিশুদ্ধ করে আমাদের আত্নাকে এবং মজবুত করে ঈমান।
তাই এমনি একটি গল্প নিয়ে আবারো চলে এলাম।"


| প্রথম অংশ |

বাবা-মায়ের ছোট সন্তান তিথী। বাবা-মা ও ভাই- বোনের অত্যন্ত আদরের সহজ-সরল ও শান্তিপ্রিয় স্বভাবের একটি মেয়ে। যেমন আল্লাহভীরু ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী তেমনি সাহসী একটি মেয়ে। বিপদে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্য্য রাখতে জানে তিথী। যেকোন সমস্যা মোকাবেলা করা এবং ব‍‍্যর্থতায় শিক্ষা অর্জন করা তিথীর একটি ভালো গুন। সময় পেলেই পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করে তিথী। বাবা-মা, ভাই-বোনের সাথে গল্প-আড্ডা-বেড়াতে যাওয়া এভাবেই ভালো সময়গুলো কাটায় তিথী।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরিক্ষার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে তিথী। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও অক্লান্ত পরিশ্রমের পরও প্রবেশিকা পরীক্ষার অকৃতকার্য হওয়াটা মেনে নিতে পারছিল না তিথী। এই ব‍্যর্থতার ফলে এক ধাপ পিছিয়ে যায় তার স্বপ্ন এবং ছুটে যায় কিছু পুরোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্ত ব‍্যর্থতায় গভীরভাবে বিষণ্নতায় ডুবে যায় তিথী। আগেই বলেছি বিপদে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্য্য ধারণ করতে পারে তিথী। তাই বিষণ্নতার দিনগুলোতে বাবা-মায়ের সাথে বেশি সময় কাটাতে শুরু করে তিথী। কেননা, মন ভালো করতে বাবা-মায়ের চেয়ে ভালো বন্ধু আর কেউ হতে পারে না। কিছু বলার না থাকলেও নিরবে তাদের পাশে বসেও মনের উপশম খুজে পাওয়া যায়। পরিবারের প্রতি এই অকৃত্রিম ভালোবাসাই অকুল -পাথরেও তিথীর শক্ত খুটি।

বিষন্নতার এমন ই এক দিনে তাই মন ভালো করতে বাবা-মায়ের সাথে বেড়াতে যাবার পরিকল্পনা ঠিক হয়ে গেল। রাতে সকল প্রস্তুতি শেষ করেই ঘুমিয়ে পড়ল তিথী। সকালেই বেরুবে তারা। ঘুম থেকে উঠে অন‍্যমনস্কভাবে তৈরী হয়ে গেল তিথী। কোথায় যাবে কিছুই জানে না সে। অবশ্য জানার আগ্রহটাও ছিলো না। যন্ত্রচালিত রোবটের মতো শুধু বাবা-মাকে অনুসরণ করে যাচ্ছে সে।

শহর ছেড়ে খানিকটা দুরে প্রায় দুই ঘন্টার ভ্রমণের পর একটি অপরিচিত স্থানে এসে তিথীদের গাড়ি থামলো। স্থানটি একটি ভগ্নাবশেষ নিদর্শন। তিথীর মন ভালো করতে এর চেয়ে বিশেষ স্থান হতে পারে না তাই বাবা-মা বেশ উৎসুক। বাবার হাত ধরে ভিতরে প্রবেশ করল তিথী। স্থানটির আকর্ষণীয়তার কারণে অনেক দুর-দুরান্ত থেকেও পর্যটকরা ছুটে আসে। কিছুক্ষণ ঘুরে দেখার পর অপরিচিত সমবয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে পরিচয় হয় তিথীর । নতুন কিছু বন্ধুবান্ধব জুটে গেল তার। স্থানটির পরিদর্শনে দুর-দুরান্ত হতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে অনেক রকম সুব‍্যবস্থাও রয়েছে।
মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নানারকম শিল্পকর্মের প্রদর্শনীসহ প্রায় জমজমাট উৎসবমুখর একটি পরিবেশ। শুধু তাই নয় ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনও করা হল সেখানে। আল্লহভীরু তিথী মনের প্রশান্তির জন্য বাবা-মায়ের সাথে সেই মাহফিলে যোগদান করে। অনেক ধর্ম প্রাণ মানুষের ভীড়েও হঠাৎ কিছু আত্মীয়কে পেয়ে গেল তিথী। নানু, খালা, খালাতো ভাইবোন এবং মামা-মামী। হঠাৎ করেই এমন পরম আত্মীয়দের সাথে দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় খানিকটা স্বতি বোধ করল তিথী। ক‍্যারিয়ার গঠনের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ আপনজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। তাই অনেক দিন পর তাদের দেখতে পেয়ে এক অজানা আনন্দ কাজ করল তার মনে।

মাহফিল শেষে খালাতো ভাইবোনদের সাথে অস্থায়ী মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল তিথী। গল্প-আড্ডায় অনেকটাই হালকা লাগছিল মন। সকল বিষন্নতা যেন মুহুর্তেই কেটে গেল। কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ ছোটবেলার কিছু পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। অনেক বছর পর দেখা! প্রায় অবিশ্বাস্য ব‍্যপার! ছোট বেলার সেই কাছের বন্ধু-বান্ধবদের সাথেও দীর্ঘদিন যোগাযোগ হয়নি, তাই আজ এমন অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতে আনন্দে মনটা ভরে গেল।

একমুহূর্তে তিথীর মনে হল এ বিষন্নতায় ভালোই হল একপ্রকার। কেননা, বিষন্নতায় না ভুগলে এখানে আসা হত না এবং অপ্রত্যাশিতভাবে এতগুলো মানুষের সাথেও দেখা হতো না। অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছিল। মনে হচ্ছিল যেন আজকের দিনটি বিশেষ।
এ এক অদ্ভুত ভ্রমণ! এখানে কিছু মানুষ সদ‍্য পরিচিত, কিছু চিরপরিচিত, কিছু মানুষের সাথে জুড়ে আছে সুখময় শৈশবের স্মৃতি, তো কিছু মানুষের সাথে অতীত-বর্তমান এবং সুখ-দুঃখের সকল দিন। একদিনেই এতসব মানুষের সঙ্গে দেখা এবং এতসব অনুভূতির জাগরণ অবাক লাগলেও সত্যি ছিল, এক অজানা আনন্দময় সত্যি! বিষণ্নতার ভাবনা গুলো ভুলে যেন চির-পরিচিত মানুষ গুলোর ভীড়েই আনন্দে হারিয়ে গেল তিথী।

সাফল্যে ভরা একাকিত্বের জীবনের চেয়ে আপনজনদের নিয়ে সাধারণ জীবনযাপনটাও এক বিশাল অর্জন। আরও সহজ করে বললে, ব‍্যক্তিকেন্দ্রিক সফলতাই প্রকৃত সফলতা নয় বরং আপনজনদের সাথে সন্তুষ্টিপূর্ণ সাধারণ জীবনটাই প্রকৃত সাফল্য অর্জন। সেই দুর্লভ সাফল্যতাই যেন তিথী অনুভব করতে লাগল।


.........................................
......................................
......................

ধন্যবাদ।

[ বিঃ দ্রঃ পরবর্তী অংশ শীঘ্রই পোস্ট করা হবে। ]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবাইকেই যে উচ্চশিক্ষিত হতে হবে এমন না। লেখাপড়ায় ব্যর্থ হলেই জীবন নিরানন্দ হয়ে যাবে এমনটাও ভাবা যাবে না। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলেই জীবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। পৃথিবীতে সবার সাথে মিলে মিশে আনন্দের সাথে থাকাটাই মূল বিষয়। এই পৃথিবীতে সবাই ধনী হবে না, সবাই
মেধাবী হবে না, সবাই প্রভাবশালী হবে না তাই বলে তো এই সংক্ষিপ্ত জীবন থেমে থাকবে না। দুঃখ শেয়ার করলে কমে যায় আর আনন্দ শেয়ার করলে বেড়ে যায়। জীবনের পথে যে কোন পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার মনোবল থাকতে হবে। জীবনে সব কিছু নিজের অনুকূলে থাকে না। অনেক সময় নতুন করে জীবন শুরু করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়াই সহজ সমাধান।

গল্পের প্রথম পর্ব ভালো লেগেছে তবে একই ভ্রমনে এত এত পরিচিত বন্ধু, আত্মীয়ের সাথে দেখা হওয়াটা একটু কাকতালীয় মনে হচ্ছে।

আশা করি পরের পর্বে তিথীর জীবনে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির আবির্ভাব হবে যে তিথীর এই সাময়িক হতাশাকে দূর করে দেবে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কথাগুলো যেন আমার মনের কথা লিখে দিলেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন সবার সাথে একসঙ্গে হাসিখুশি থাকাটাই জীবনের মূল সাফল্য। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলে জীবনের নতুন দিক উন্মোচিত হয়।

গল্পের প্রথম পর্ব আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগছে। তিথির অস্বাভাবিক এবং দীর্ঘদিনের হতাশা থেকে সে দুনিয়া থেকে বেখেয়াল হয়ে পড়েছে। এমনও তো হতে পারে তার এই বেখেয়ালিপনার ফলে যে ভ্রমণটিতে সে গিয়েছে সে ভ্রমণটিতে সকল আত্মীয়-স্বজন মিলে যাবার একটি পূর্ব পরিকল্পনা ছিল আর যা থেকে তিথি বেখেয়াল ছিল। তবে ভাগ্যক্রমে কিছু কাকতালীয় ঘটনা আমাদের জীবনেও ঘটে। আর এ সকল কাকতালীয় ঘটনাই প্রত্যেকটি ক্ষতের উপশম হয়ে দাঁড়ায়। তিথির জীবনেও ঠিক এমনটি হয়েছে।

পরবর্তী পর্বের জন্য আপনাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হলো।

শুভেচ্ছান্তে ,
- দেয়ালিকা বিপাশা

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিষন্নতা কাটোনোর উপায় হলো, পরিবেশ পরিবর্তন করা, বিভিন্ন মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা, নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা অর্জন করা। কেউ একজন বলেছিল- যে যত বেশী সফল সে তত বেশী একা।
আপনার লেখার হাত ভালো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে সুস্বাগতম। প্রথমবারে আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। চিন্তাভাবনার জগৎটাকে সংকীর্ণ থেকে বিস্তৃত আকারে প্রকাশ করে কাগজে-কলমে ছুড়ে দেই যা মন থেকে লিখি। মনের ব্যাপারটা অদ্ভুত, একদম নিখাদ শোনার মত। তাই হয়তো লেখনি ভাল হয়।

আপনাকে বলতে চাই আপনার মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। যে যত বেশি সফল সে তত বেশি একা। সত্যিই বলেছেন সফল মানুষেরা দিন শেষে একাই হয়। সাফল্যের পিছনে অবিরাম ছুটতে ছুটতে কখন যে পিছনে মূল্যবান বস্তু হারিয়ে রেখে আসে তার টেরও পায়না। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। আশা করি সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

- দেয়ালিকা বিপাশা

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য সাফল্যটাই সব কিছু কারণ প্রিয়জন প্রয়োজন মেটাতে না পারলে আর প্রিয়জন থাকে না । আর সাফল্য না থাকলে প্রিয়জনদের কাছেও মানুষ ব্রাত্য হয়ে যায় !

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: বাস্তবিক অর্থে আপনি ঠিকই বলেছেন সফলতা জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সফলতা ছাড়া একটা সময় মানুষ নিজের আপন জনদের কাছে মূল্যহীন হয়ে যায়। তবুও জীবনের শেষ ঠিকানাটা সফলতা নয়। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনই জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা। এই সত্যিটাকে যেদিন আমরা স্বীকার করে নিতে পারব সেদিন জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতার শিখরে পৌঁছে যাব।

আশা করি আপনি ভালো আছেন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

- দেয়ালিকা বিপাশা

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ভাল হয়েছে। ভাল লিখেছেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: বিসর্জন পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দিত হলাম।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামটা সুন্দর! ছবিটাও।
কিছু বলার না থাকলেও নীরবে তাদের পাশে বসেও মনের উপশম খুঁজে পাওয়া যায় - চমৎকার একটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরকে এ কথাটা বেশি বেশি করে বলতে হবে, কারণ তারা আজকাল প্রয়োজন ছাড়া মোটেও মা বাবার পাশে ঘেঁষতে চায় না।
শেষের অনুচ্ছেদটার সাথে পুরোপুরি একমত।
পোস্টে প্লাস। + +

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সম্মানিত ব্লগার,

আপনাকে আমার পোস্টে লাইক দেয়ার জন্য এবং এত সুন্দর একটি মন্তব্য করতে দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে! গল্পের শিরোনাম এবং ছবিটি নিয়ে একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলাম কিন্তু আপনার মন্তব্যটি পড়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ একেবারে কেটে গেল!!! সত্যি বলতে বাবা-মায়ের চেয়ে শান্তির জায়গা পৃথিবীর কোথাও নেই। পরম শান্তি একমাত্র আল্লাহর কাছে এবং বাবা মায়ের কাছে পাওয়া যায়।
আমি মনে করি এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ সকল উপলব্ধি থেকে অজানা কারণটা তাদের বাবা-মায়েরা নিজেরাই। এখনকার ঘরে ঘরে যা দেখা যায় প্রতিটি বাবা-মায়েরাই ছোটবেলা থেকেই তাদের সন্তানদেরকে সফলতা এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য যে সকল প্রতিযোগিতামূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন এতে করে আস্তে আস্তে সন্তানেরা বাবা-মায়ের থেকে দূরে চলে যায়। তারা তাদের যান্ত্রিকতা পূর্ণ ব্যস্ততাময় জীবন নিয়ে অবিরাম গতিতে অজানার দিকে ছুটতে থাকে। যদি ছোটবেলা থেকেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইলম শিক্ষা দেয়া হয় তাহলে সন্তানেরা জীবনে সফলতা অর্জনের পাশাপাশি আল্লাহ এবং বাবা-মায়ের সন্তুষ্টির গুরুত্বপূর্ণতা উপলব্ধি করতে পারত। প্রতিযোগিতামূলক ব্যস্ততা মানুষের গতিকে বৃদ্ধি করেছে কিন্তু আবেগকে কেড়ে নিয়েছে। আর এই আবেগের মধ্যে নিহিত রয়েছে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি এবং জীবনের আসল খোরাক!


অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য আল্লাহ আপনাকে হেফাজতে রাখুক।

- দেয়ালিকা বিপাশা

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে। +

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: জি আমি আপনার সাথে একমত। সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যটা সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আমার লেখনীর চেয়ে ওনার মন্তব্যটাই আমার ভালো লাগে সবচেয়ে বেশি।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ৫ নং প্রতিমন্তব্যটা চমৎকার এবং যথার্থ। এরকমভাবে ভাবার লোকজন বোধহয় সমাজে এখন অনেক কমে যাচ্ছে।
সুচিন্তিত, সুবিবেচিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ব্লগার,


পুনরায় প্রতি মন্তব্যে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দোয়া করবেন আমার জন্য।

- দেয়ালিকা বিপাশা

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনই জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা। এই সত্যিটাকে যেদিন আমরা স্বীকার করে নিতে পারব সেদিন জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতার শিখরে পৌঁছে যাব।

এই চিন্তাটা ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আসে না যতক্ষণ না আমরা সব পেয়ে যাচ্ছি না হয় তো কিছুই পাচ্ছি না তখন বাদবাকী সময়ে আমরা এসব ভুলে যাই আর তাই আমরা হয়ে যাই আহবের দাস !!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আমি একমত কিন্তু আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাটা নিখাদ হতে হবে যা কঠিন।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তিথীর বয়সটা এ সময়ের বিষন্নতার একটি মস্ত বড় কারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা মানে যথেষ্ট ম্যাচিউর হয়েছে কিন্তু তার ব্যর্থতা তাকে নিঃসঙ্গতা এনে দিয়েছে। এমন সাময়িক বিষন্নতা যে কাউকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলতেই পারে। সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের তাকে সঙ্গ দেওয়া ভীষণ দরকার হয়ে পড়ে।তিথীর পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত সদর্থকভাবে তার পাশে দাঁড়িয়ে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে খুবই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। যেখানে সে একদিকে আত্মীয় স্বজন পাশাপাশি শৈশবের বন্ধুদের দেখা পেয়ে এক ভালো লাগার অনুভূতিতে আবিষ্ট হয়ে পড়ে। এইসব ক্ষেত্রে এমন গেট টুগেদারে খুবই উপকারে আসে।
যাই এখন পরের পর্বে।

২১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:৩২

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,


ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। দেরি হলেও অনেক দিন পরে আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে।আশা করি পরের অংশগুলোও আপনার ভালো লাগবে। আপনার মতামতের অপেক্ষায় থাকবো। আর ভুলত্রুটি সংশোধন করে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।


- দেয়ালিকা বিপাশা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.