নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখিটা পেশা নয় এক প্রকার ক্ষুদ্র নেশার মতো আমি মনে করি। ভালো লাগা থেকে কাগজে কলমে যে শব্দ আসে তার ব‍্য‍খ‍্যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি সাধারণ মানুষ, তাই লেখালেখির মতো সাধারণ ভালো লাগাটাই আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়।

দেয়ালিকা বিপাশা

দেয়ালিকা বিপাশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসর্জন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৫



ছবি : নিজের তোলা

"ফিরে এলাম বিসর্জন গল্পের অসমাপ্ত অংশ নিয়ে । আশাকরি প্রথম অংশটির মতো এই অংশটিও পাঠকদের ভালো লাগবে।- ধন্যবাদ ।"

| দ্বিতীয় অংশ |

আনন্দ উল্লাসে কাটছে দিনটি । তিথীর বাবা-মায়ের সঙ্গে অপরিচিত একটি মেয়ের পরিচয় হল সেখানে । মেয়েটির নাম রুপা। তিথীর ছোট খালার বয়সী এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী - আত্মনির্ভরশীল একটি মেয়ে । সহজেই অন্যের সঙ্গে মিশে যেতে পারে । তিথীর সঙ্গে অনেকটা বন্ধুর মতোই মিশে গেল রুপা । ফলে রুপার সঙ্গে খানিকটা সময় একা ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে ।

কিছু সময় অতিক্রম হবার পর তিথি লক্ষ্য করলো হঠাৎ করেই কেমন যেন থমকে গেল চারপাশের জমজমাট পরিবেশ । সবার মধ্যে কেমন যেন এক অজানা প্রশ্ন ! সে কিছুই বুঝতে পারলো না । কিন্তু বয়সে বড় এবং বুদ্ধিমতী রুপা যেন কিছু বুঝতে পারল। তিথির হাত ধরে বলল,

- তুমি আমার সঙ্গেই থাকবে , বুঝেছ ?

হঠাৎ করে সদ্য পরিচিত মেয়েটির এরূপ সর্তকতা সহজভাবে মেনে নেয় তিথী । কেননা , সহজ-সরল স্বভাবের বলে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন সকলেই তার খুব খেয়াল রাখতো তাই সদ্য পরিচিত মেয়েটির এরূপ আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়নি তিথীর কাছে । কারণ এত মানুষের ভিড়ে একা ঘুরে বেড়ালে হয়তো কোন বিপদও হতে পারে ।

এমনই সময় তিথীর ফোন বেজে উঠল । বাবার ফোন। বাবা বলল ,

- তোমরা কোথায় আছো ? তুমি কি রুপার
সঙ্গে আছো ?

সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলো তিথী ,

- জ্বি ।

বাবা। - কোথায় আছো এই মুহূর্তে ?

তিথী - এইতো হাঁটতে হাঁটতে প্রায় মেইন গেটের
কাছাকাছি চলে এলাম ।

বাবা - আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো, তোমার দাদু হঠাৎ করে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আমাদেরকে শীঘ্রই রওনা দিতে হবে ।তোমার মাকে নিয়ে আমি রওনা দিয়েছি এবং তুমি রুপার সঙ্গে দ্রুতই দাদুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দাও , এক মুহূর্তও দেরি করবে না ।

বলেই উত্তরের অপেক্ষা না করে ফোন কেটে দিল বাবা। তিথী বুঝতে পারল তাকে এক্ষুনি রওনা হতে হবে । আর এক মুহূর্ত দেরি নয় এবং বাবা-মা তার পূর্বেই দাদুর বাড়ি পৌঁছে যাবে ।
বাইরে যাবার পথে এসে সে খানিকটা অবাক হল । ছোট বাহির পথটি দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে হুড়মুড়িয়ে বের হতে চাইছে মানুষ । অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে মনে অজানা প্রশ্ন নিয়ে ! দুর্ঘটনা এড়াতে ছোট বাহির পথটি দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে তাড়াহুড়ো করে বের হচ্ছে সবাই ।

কি হচ্ছে তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তিথীর । তাকে বাবার আদেশ পালনে তাড়াতাড়ি রওনা দিতে হবে । গেটের কাছে থাকায় দ্রুত বের হয়ে আসার সুযোগ পেয়ে যায় তিথী ও রুপা। বের হয়ে আসার সময় ভিতরে লাইনে দাঁড়ানো অপেক্ষমান মানুষদের স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে । ঠিক এমনই সময়ে তিথীর চোখে পড়ল লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমান মানুষদের মধ্যে বাবা- মা! খানিকটা উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে তাদের এবং খানিকটা পিছনেই আছে তারা দুজন । কিছুটা অবাক হল সে । রুপার হাত ছেড়ে দিয়ে বাবা-মার কাছে যেতে চাইল কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে একবার বের হয়ে গেলে ভিতরে প্রবেশ করা অসম্ভব । দূর থেকেই চোখাচোখি হল বাবা-মার সাথে । একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও তিথীকে বের হতে দেখে কিছুটা আশ্বস্ত হলো তারা । রুপা তাড়াহুড়ো করে বলল,

- তুমি আমার সঙ্গে চলো ।

তিথী - একটু অপেক্ষা করে বাবা-মার সঙ্গে একসাথেই
রওনা দেই।

রুপা - এখানে অপেক্ষা করা যাবে না , সবাইকে বের
হয়ে যেতে বলা হচ্ছে । তোমার বাবা-মা খুব
শীঘ্রই বের হয়ে আসবেন, চলো এবার ।

তিথী - সবাই কেন বের হচ্ছে ?

রুপা - জানিনা । তুমি চলো আমার সঙ্গে।

দ্রুত প্রস্থানের কারণটা বুঝতে না পারলেও তিথী জানত দাদুর অসুস্থতার কথা শুনে বাবা-মাও খুব দ্রুতই বের হয়ে এসে রওনা হবে এবং তাকেও এই মুহূর্তেই অপেক্ষা না করে চলে যেতে হবে । তাই রুপার সঙ্গে প্রস্থান করল তিথী ।

....................................................
…….........................................................
.............................................................. ।

- ধন্যবাদ ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রথম অংশের লিংকটি দিয়েন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: বিসর্জন

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঘটনা কিছুটা রহস্যময় মনে হচ্ছে। গেটের কাছে এত ভীর কেন বুঝতে পাড়ছি না। তাড়াহুড়া করে সবাই বের হচ্ছে কেন বুঝতে পারলাম না। একটা সাসপেন্স আছে গল্পতে। পরের পর্বে জানা যাবে মনে হয়।

রুপা তো অপরিচিত বা সদ্য পরিচিত। সে তিথির দাদুর বাসায় যেতে চাইবে কি?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩০

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে শুরুতেই মন্তব্য করার জন্য। জি ঘটনাটা কিছুটা রহস্যময় এবং এই রহস্যের বাঁধন খুলবে শেষ অংশে। শেষ অংশ পাঠে পাঠককে বেশি অপেক্ষা করতে হবে না শীঘ্রই পোস্ট করব ইনশাল্লাহ।



অনুগ্রহ করে কি আমাকে আপনি জানাবেন কিভাবে গল্পের প্রথম অংশের লিংকটা দেয়া যায়? তাহলে বড় উপকার হবে। অনেকবার চেষ্টা করেও পারছিনা।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রথমে আপনার প্রথম পর্বে ঢুকবেন। তারপরে পোস্টের উপরে আপনার প্রথম পর্বের লিঙ্কটা (ইউ আর এল) সিলেক্ট করে কপি (Click This Link) করবেন মাউজের সাহায্যে বা কন্ট্রোল সি প্রেস করে। এরপর আপনার দ্বিতীয় পর্বের পোস্টে ঢুকবেন এবং নীচের অংশের এডিট বাটনে ক্লিক করবেন। ২য় পর্বের শুরুতে লিঙ্ক দিতে চাইলে শুরুতে কোন এক জায়গায় কারসার রাখবেন বা ক্লিক করবেন। ২য় পোস্টের প্রথম লাইনের উপরে দেখবেন বাম থেকে আছে প্রথমে B তারপর I তারপর U তারপর একটা ক্যামেরার ছবি তারপরের সাইনটা হল লিঙ্ক দেয়ার জন্য। এই সাইনটা ক্লিক করবেন। একটা বক্স আসবে। নীচে ইউ আর এল ঘরের ভিতরে ক্লিক করে কন্ট্রোল ভি চাপবেন বা মাউজের সাহায্যে আগের পেস্ট করবেন (আগের কপি করা)। তারপরে বক্সের উপরের টাইটেল ঘরে লিঙ্কের যে কোন একটা নাম দিবেন। তারপর বক্সের নীচে নীল রঙের 'লিঙ্ক যুক্ত করুন' বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার পোস্টের (২ নং পর্ব) নীচে 'আপডেট করুন এবং প্রি ভিউ দেখুন' বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর পোস্টের উপরে 'পোস্ট করুন' বাটনে ক্লিক করবেন। দেখবেন যে আপনার পোস্টের শুরুতে প্রথম পর্বের লিঙ্ক চলে এসেছে।

আপনার প্রথম পর্বের লিঙ্কটা হল আপনার গল্পের প্রথম পর্বের লিঙ্ক :)

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪২

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: শুরুতেই প্রতিমন্তব্যের বিলম্বের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আর অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি পোস্টের লিংক শেয়ার দেয়ার নিয়মটি জানিয়ে দেয়ার জন্য। আপনার তড়িৎ প্রতি মন্তব্য এবং আন্তরিকতার জন্য আপনাকে মন থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কেন যেন মনে হচ্ছে এটা সত্য ঘটনা অথবা এর অধিকাংশ সত্য । কোন দুঃখে কে জানে !

আপনার বর্ণনাভঙ্গি এবার অনেকটাই খাপছাড়া লাগলো ! এইদিকে খেয়াল রাখবেন !

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: অনেক দেরিতে প্রতি মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। সর্বদা সাথে থাকার জন্য এবং খোঁজখবর রাখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব।
লিখতে থাকুন। পড়তে থাকি।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: দেরিতে প্রতি মন্তব্যের জন্য দুঃখিত। আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা কোথায় গেল? বিসর্জনের পরের পর্ব কবে পাওয়া যাবে? :)

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আমি অনেক দুঃখিত। আপনাকে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। আসলে কোন না কোন একটা ঝামেলা লেগেই যায় যার ফলে আর ব্লগে আসা হয় না কিছু লেখালেখি করা হয় না। ইনশাল্লাহ আজই পরের পর্বটি পোস্ট করব বলে এসেছি। আশা করছি প্রিয় ব্লগার আমার সাথে আছেন।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাবা মায়ের নানুর অসুস্থতার এমন জলদি তলব করলেও বিষয়টি বেশ ঘোলাটে মনে হচ্ছে। আর রূপাকে ঠিক সুবিধার বলে মনে হলোনা।দেখি পরের পর্বে কি আছে...

১৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:২৫

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: পরের পর্বের জন্য আমন্ত্রণ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.