নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখিটা পেশা নয় এক প্রকার ক্ষুদ্র নেশার মতো আমি মনে করি। ভালো লাগা থেকে কাগজে কলমে যে শব্দ আসে তার ব‍্য‍খ‍্যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি সাধারণ মানুষ, তাই লেখালেখির মতো সাধারণ ভালো লাগাটাই আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়।

দেয়ালিকা বিপাশা

দেয়ালিকা বিপাশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেয়ালিকার হঠাৎ ভ্রমণে...

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮



ছবি : নিজের তোলা

যাত্রা শুরুর গল্প:

আজ এক ভিন্ন রকম এক ভ্রমণের গল্প নিয়ে এই লেখা। গত ১০ ই অক্টোবর আমাদের ফাইনাল ইয়ার এর ফার্স্ট টার্ম এক্সাম চলছিল ঠিক সেই সময়েই থার্ড ইয়ার এর রেজাল্ট দিল যেটার জন্য অনেক আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম। যাই হোক আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং সবার দোয়ায় যেমন আশা করেছিলাম তেমন ভালো রেজাল্ট হলো এমনকি আশার চেয়েও ভালো পেয়েছি! ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট আলহামদুলিল্লাহ! যার পেছনের গল্পটা এবং প্রাপ্তিটা ছিল ভাষায় প্রকাশ করার মতো না! প্রাপ্তির পেছনের নিরলস পরিশ্রম টা ছিল যেমন কষ্টকর তেমনি প্রাপ্তির আনন্দটা ছিল তেমনি তৃপ্তিময়! সে যাই হোক সেটা অন্য কথা ভেবেছিলাম এই নিয়ে একটা ব্লগ লিখব কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আর লেখা হয়ে ওঠেনি। রেজাল্ট পাওয়ার পর আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, টিচাররা এবং আমি নিজেও আনন্দিত হয়েছি কিন্তু তারপর আবার আমার সেই দৈনন্দিন বোরিং জীবন!!

এরমধ্যে হঠাৎ করে একদিন আমার ছোট চাচার বাসায় গিয়ে ভাই বোনদের নিয়ে বাবার সাথে গল্প করছি।(আমরা সবগুলো ভাইবোনই আমাদের চাচাদেরকে বাবা বলে ডাকি) হঠাৎ করেই ছোট বোন আর আমি বাবাকে বলে উঠি বাবা আমাদের দুইবোনকে নিয়ে চল নানু বাড়িতে একদিনের ট্যুরে যাই! বাবা বলে উঠলেন এখন না, তোমাদের দুজনকে একা নিয়ে যাওয়া যাবে না যেতে হলে সবাইকে নিয়ে একসাথে যেতে হবে, এই সময় আমার ছোট চাচার মামা শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন (যিনি আমাদের সম্পর্কে নানা হলেও আমরা তাকে বাচ্চু ভাই বলেই ডাকি আর আমার নানুকে আমরা ভাবি বলে ডাকি। আমি এইরূপ সম্বোধনে আমি হতচকিত হয়ে গিয়েছিলাম যদিওবা কিন্তু এখন আমার কাছে এই ডাকটাই খুব ভালো লাগে)। বাচ্চু ভাই হঠাৎ করে বলে উঠলেন আমাদের সবাইকে নিয়ে তাদের বাড়িতে একটা ট্যুর যেন হয়ে যায় কিন্তু তখন আমি জানতাম সবার যাওয়া হলেও আমার কখনো যাওয়া হবে না। কারণ আমি কখনোই তেমন একটা ঘুরতে যেতে পারি না। এর আগেও প্রায় দশ বছর আগে ছোট চাচার শ্বশুরবাড়িতে আমার বড় বোন এবং আমি ছোট চাচার পরিবারের সাথে একটা ট্যুর হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাবা মা ছাড়া আমাদেরকে কোথাও যেতে দেওয়া হয় না বলে অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেখানে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি ! যদিও আমার বড় বোনের সেই আফসোস এখনো আছে।

সে যাই হোক, আমি তো জানতাম বাবারা যদি কখনো সময় করে যায়ও তাহলে আমি তো আর যাচ্ছি না। আমার যখন মাঝেমধ্যে খুব খারাপ লাগে তখন আমি ছোট চাচাদের বাসায় আসি এবং আমার ছোট চাচা এবং আমার চাচির সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে মন ফ্রেশ করে বাসায় ফিরে আসি। সেদিনও বাবা-ছোটমা, ভাই-বোন, বাচ্চু ভাই আর ভাবির সাথে বসে গল্প করছিলাম। গল্পে গল্পে বাচ্চু ভাই হঠাৎ করে জানতে পারলেন আমি ঢাকা এবং সিলেট ছাড়াও অন্য কোথাও কখনো যাইনি। আর এই দুইটা জায়গায় যে আমি খুব বেশি ঘোরাফেরা করেছি তাও নয় খুব বেশি আমার ঘুরতে বেড়ানো হয় না। তাই বাচ্চু ভাই বাবাকে বললেন যখনই যাওয়া হবে যেন অবশ্যই আমাকে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইদিন তো আমি গল্প করে বাসায় ফিরে আসি খুশিমনে কোন একদিন তাদের ওখানে বেড়াতে যাবার খুশিতে নয় বাচ্চু ভাই এবং ভাবি বেশ মজার মানুষ তাই তাদের সাথে গল্প করে আমার বেশ ভালো লাগছিল!

এ ঘটনার দুইদিন পরে বাচ্চু ভাই গ্রামে ফিরে গেলেন এবং ঠিক এক সপ্তাহ পরে হঠাৎ একদিন বাবা আমাদের বাসায় আসলেন। আমি তখন বাসায় ছিলাম না, কোন একটা কাজে আমি বাইরে ছিলাম। তখন বাবা আব্বুর কাছে এসে বললেন আমরা সবাই শরীয়তপুর যাব বলে চিন্তা করেছি। আমি চাচ্ছি সুইটিকে ( আমার আপনজনেরা আমাকে ওই নামে ডাকেন) সাথে নিয়ে যেতে। আপনি কি বলেন ভাই? আমার আব্বা আমার ছোট চাচাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন! তখন আমার বাবা বললেন তোর মেয়েকে তুই নিয়ে যাবি। যা, কিন্তু দেখ ও যেতে চায় কিনা। আমি বাসায় আসতেই আব্বা আমাকে খুশি মনে বলতেছে তোর বাবা তোকে শরীয়তপুর নিয়ে যেতে চায়। যা বাবার সাথে ঘুরে আয়, মনটা বেশ ভালো লাগবে!! আব্বার বলার ধরনেই আমি বুঝতে পারি আমাকে সাথে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাতে তারা দুজনেই অনেক আনন্দিত। আব্বার কাছে খবরটা পেয়ে আমারও বেশ খুশি লাগছিল। কারণ আমি জানি আমার ছোট বাবার সাথে যাওয়া মানে আব্বু আম্মু আমাকে বাধা দিবেন না বরং খুশি মনেই যেতে দিবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল আমি আমার আব্বা আম্মা ছাড়া উনাদের সাথে যেতে পারব কিনা? কারণ আমি কখনোই আমার আব্বু আম্মুকে ছাড়া দুরে কোথাও যাই নি। তারপর অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম যে নাহ! এইভাবে যাওয়াটা ঠিক হবে না! যদিও আমি জানতাম খুব দারুন একটা ট্রিপ মিস করতে যাচ্ছি কিন্তু তারপরও আমি যাব না। কারণটা খুব সহজ। আমি এখন আর সেই ছোট্টটি নেই। যতই ভালোবাসুক বাবা মা ছাড়া এইভাবে হুট হাট অন্য কারো সাথে তাও আবার এতদিনের জন্য অসম্ভব!!আব্বু আম্মু যেতে বললেও না!


ওইদিকে আমার বাবা( আমার ছোট চাচা) আমাকে নিয়ে যাবে বলে আশা নিয়ে আছেন আর এইদিকে আমি ভাবছি কিভাবে বাবাকে না বলা যায়। এর মধ্যে আমার আব্বা আবার আল্লাদে গদোগদো হয়ে বলছেন, "তুমি না গেলে বাবার মনটা খারাপ হয়ে যেতে পারে। বাবা অনেক আদর করেই তোমাকে নিয়ে যেতে চাইছেন "( যদিও এতে সন্দেহ নেই। আমার এই চাচা সবাইকেই এমন ভালোবাসেন তাই সকলেই তার এক কথায় জান হাজির, আলহামদুলিল্লাহ্ ) পরে সব চিন্তা বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ( যেদিন রাতে শরীয়তপুরের জন্য রওনা হব ) আমি আমার এক্সট্রা ক্লাসে জয়েন করলাম। কারণ আমি জানি আমি যাচ্ছি না, মানে যাচ্ছি না!!!


যার কাছে পড়তে গেলাম তিনি আমাদের ই একজন বড় ভাই। মানে আমাদের পারিবারিক লোক। সেই ছোট থেকেই ভাইয়ের সামনেই বড় হয়েছি, ভাইয়ের কাছে পড়েছি। আত্মীয়স্বজন সকলেরই উনি চেনা। আমাদের সব ভাইবোনেরাই কমবেশি উনার কাছেই পড়েছি। এখনো পড়ছি। ভাই আমাকে দেখে বলতেসেন কিরে পাঙ্গাস!! তুই এমন ডাউন কেন আজ? ( এখানে বলে রাখা ভালো ভাই আমাকে এই জাতীয় নামে ডাকেন। এমনকি এই নিয়ে উনি গল্পও বানিয়েছেন! উনার সব স্টুডেন্টরাই অনার্স-মার্স্টারসের। আমার মনে হয় না এমন কেউ নাই যারা আমার এই নাম আর এই নামের ঘটনাটা জানে না। এমনকি কয়েকজন তো আমার ফোন নাম্বার পাঙ্গাস নামে সেভ করেছেন!! কেউ হুট করে আমাকে দেখে না চিনলে এই নাম বললেই তাশ করে চিনে ফেলে!! কি অদ্ভুত!! সেই ঘটনাটা বেশ মজাদার। একদিন এই নিয়ে একটা লেখা পোস্ট করবো ইনশাআল্লাহ ) ভাইকে বললাম ভাই আজ মজার একটা ট্রিপ মিস করে ফেলবো।

- কিসের?
- আজ ছোট বাবারা শরীয়তপুর জাবেন এক সপ্তাহের জন্য। আমাকে নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন যদিও আমার অনেক ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু এতদিন থাকাটা আমার জন্য অসম্ভব। যদি ২-৪ দিন হতো তাহলে না হয় আমি যেতাম। কিন্তু এইভাবে এতদিন তো আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না, তাই আর যাবো না। ভাই বলতেসেন গেলে কি সমস্যা? যাও, চাচাতো ছোট ভাইবোনেরা তো সাথেই থাকবে ভালো লাগবে।
- কিন্তু ভাই ওরা তো আর আমার সমবয়সী না। আমি একটা অচেনা জায়গায় গিয়ে তো আর ওদের মতো ঝাপাঝাপি করতে পারব না ( আমার এই স্বভাব গুলার কারণেই বড়রা আমাকে আদর করেন আর ছোট গুলা তেক্ত হয়ে যায়। বলে, "তোমার জন্য আমরা লিমিট ক্রস করতে পারি না। করলেই বকা খাই যদিও আমি কিন্তু কারো কোন বিষয়েই কথা বলি না। কিন্তু আমার জন্য ওদের ভদ্র হয়ে থাকতে হয়। অবশ্য আমিও অনেক এঞ্জয় করি কিন্তু পরিবারের সাথেই আমার ভালো লাগে। ) পড়ে ভাই বলেন বুঝেছি তোর চাচাতো বোনটা তোর বা তোর বড় আপার স্বভাব পায়নি। ভাই যদিও এটা বোঝেন, আমিও কিন্তু কি আর করা....



(পারিবারিক ভ্রমণের একটি বিস্তারিত অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হবে। আশা করি পাঠকদের ভালো লাগবে! সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বগুলো শীঘ্রই পোস্ট করা হবে। সাথেই থাকুন)


জানিনা পোস্টটি নির্বহনের মারদাঙ্গা মার্কা হচ্ছে কিনা কিন্তু আমার জন্য এটি মারদাঙ্গা অভিজ্ঞতা ছিল! মিনিটে মিনিটে টুইস্ট :) পরবর্তী পোস্টের টুইস্টের অপেক্ষায় থাকুন



মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শায়মা বলেছেন: গুড গুড গুড গার্ল পারিবারিক ভ্রমন!

আমিও আমার কালকের ভ্রমনের ব্লগ নিয়ে আসছি! :)

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: তাড়াতাড়ি আসো আপু। আমি অপেক্ষায় আছি। আর আমার গল্প মাত্র শুরু হল এখনো অনেক ড্রামা বাকি!!

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০১

মিরোরডডল বলেছেন:




অভিনন্দন শিশু!

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১০

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: হাহাহাহাহাহা... শিশু???

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: তারমানে শেষমেশ গিয়েছিলেন সেই ভ্রমণে :)
সেজন্যই আনন্দের আতিশয্যে লেখায় তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন- না স্যরি ঠিক তালগোল নয়, বেশ অস্থিরতা প্রকাশ পেয়েছে।

লেখার শেষ দিকে যে পরিমান উত্তেজনা দেখলাম তাতে একটু পরামর্শ দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না;
লেখার শুরুতে একটা ব্যাপার স্মরণে রাখবেন আপনার কাছে যতই উত্তেজনাময় বা ব্যতিক্রমী মনে হোক না কেন অন্যের কাছে সেটা খুবই সাদামাটা কিংবা সাধারন মনে হতে পারে- সেজন্য আপনি যেভাবে আপনার পোস্টের রিয়্যাক্ট পাবেন বলে আশা রাখবেন সেরকম না পেয়ে হতাশ হতে পারেন।
আশা করি চমৎকার এক ভ্রমন শেষে সুস্থ দেহে ফিরে এসেছেন। ভাল থাকুন-পরের পর্বের অপেক্ষায়...

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৭

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আপনার স্পষ্ট অভিব্যক্তি এবং পরামর্শ আমার ভালো লেগেছে সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

লেখার শেষ দিকে যে পরিমান উত্তেজনা দেখলাম তাতে একটু পরামর্শ দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না;
লেখার শুরুতে একটা ব্যাপার স্মরণে রাখবেন আপনার কাছে যতই উত্তেজনাময় বা ব্যতিক্রমী মনে হোক না কেন অন্যের কাছে সেটা খুবই সাদামাটা কিংবা সাধারন মনে হতে পারে- সেজন্য আপনি যেভাবে আপনার পোস্টের রিয়্যাক্ট পাবেন বলে আশা রাখবেন সেরকম না পেয়ে হতাশ হতে পারেন।
- হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন, এই ব্যাপারটা আমি নিজেও চিন্তা করে লেখাটা শুরু করেছি। শুধুমাত্র একটা স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই এইরকম লেখা।

সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: না টিকটিকি ,

এটা মারদাঙ্গা হয়নি !

পরবর্তী পর্বের আশায় আছি ।

মনে হচ্ছে পুরো ঘটনা এখানে উঠে আসেনি !!

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১২

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: মনে হচ্ছে পুরো ঘটনা এখানে উঠে আসেনি !!

হ্যাঁ পুরো ঘটনাটা দেয়া হয়নি তাহলে পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যেত এবং পড়ার আগ্রহ নাও থাকতে পারতো! শীঘ্রই পুরো ঘটনা ব্যাখ্যা করব

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই আদমির সাথে আমার সেই লেভেলের মিল আছে বড় ভাই !!

পছন্দ হৈছে এই আদমিরে !

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: হাহাহা!! এই আদমি টা একপ্রকার বিশেষ ধরনের কার্টুন এবং দুর্দান্ত ট্যালেন্টেড একজন পারসন!! তবে এনার সাথে আপনার একটা বিশেষ মিল রয়েছে ইনিও আপনার মত চিরকুমার থাকতে চান!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কী ব্যাপার একটার মন্তব্য আরেক জায়গায় যাচ্ছে কেন ?

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: ও আচ্ছা এই ব্যাপার?? আমি ভেবেছি, আমি যার কাছে পড়তাম তার কথা বলছেন আপনি!!

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ওনাকেও কিন্তু আমার পছন্দ হয়েছে !!

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: হবেই তো, সমজাতীয় বলে কথা

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি নিবর্হণের ফাঁদে কেন পা দিচ্ছেন। নিবর্হণ হল মেটাল শোনা গায়ক। যারা মেটাল শোনে ওদের মাথার এক পাশে একটু হাল্কা সমস্যা থাকে। তাই সব কিছুর মধ্যে মারদাঙ্গা খোঁজে। আপনি কেন ফরমায়েশি লেখা লিখতে যাবেন। বিভূতিভূষণের উপন্যাসের প্রত্যেকটা শব্দ মানুষ কেন পড়ে? সেটা কি মারদাঙ্গা লেখা হওয়ার জন্য। দুর্গা সর্বকালের সেরা চরিত্র কি হয়েছে মারদাঙ্গা হওয়ার কারণে। নিবর্হণের বয়স আপনার চেয়েও কম, বুদ্ধি আরও কম। তাই ওর বুদ্ধিতে কিছু কখনও লিখবেন না। ও আপনাকে গাছে তুলে মই কেড়ে নিবে। :)

আপনার লেখা খুব ভালো হয়েছে। সূচনা খুব সুন্দর হয়েছে। এগুলি সবাই বুঝবে না। শেরজা ভাইও আপনাকে অকারণে ভয় দেখাচ্ছে। ভয়ের কোন কারণ নাই। আপনার যা মনে আসে সেটাই লিখুন আপনার যেভাবে ভালো লাগে। মনে করবেন নিজের জন্য লিখছেন। নিবর্হণ পড়লো কি প্রশংসা করলো সেটা দেখার দরকার নাই। নিজের লেখার স্বাধীনতার মধ্যে কাউকে ঢুকতে দিবেন। কারও নির্দেশনায় কিছু লিখবেন না। লেখা ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান। মারদাঙ্গা হওয়ার দরকার নাই। :)

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: নিবর্হণ হল মেটাল শোনা গায়ক। যারা মেটাল শোনে ওদের মাথার এক পাশে একটু হাল্কা সমস্যা থাকে। . - যেদিন প্রথম শুনেছিলাম এই মেটাল শুনেন সেদিন আমিও হালকা অবাক হয়েছিলাম, কেউ শোনে এরকম চিৎকার চেঁচামেচি???? আমার কিন্তু মাথা ধরে গিয়েছিল!! :|


আপনি কেন ফরমায়েশি লেখা লিখতে যাবেন। - সো সুইট সাচু !! না আমি কারো ফরমায়েশি লেখা লিখছি না, এই লেখাটা শুরু করেছিলাম ঢাকা ফেরত আসার দিন থেকে কিন্তু বিভিন্ন কারণে লেখাটা কমপ্লিট করা হয়নি। পরে ওনার মারদাঙ্গা কথাটি শুনে হঠাৎ মনে পড়ল একটা অসমাপ্ত লেখা তো টাইপ হতে হতেও হচ্ছে না :)


ও আপনাকে গাছে তুলে মই কেড়ে নিবে। :)
- হাহাহাহাহা!!! সাচু ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত হরর মুভি দেখার সাহস কোনদিন হয়নি, মাঝে মাঝে মনে হয় তুলনামূলক ভাবে মানুষের তুলনায় ভূত ভালো বিনা কারণে ভয় দেখায় না! নির্বহন অবশ্যই ভালো মানুষ কোনো কথায় মাইন্ড করেন না :) কিন্তু একবার ভাঙ্গা রেডিও শুরু করলে আর থামতে চায় না :)



শেরজা ভাইও আপনাকে অকারণে ভয় দেখাচ্ছে। - হতে পারে শেরজা ভাই অত্যন্ত চিন্তাশীল মানুষ অথবা নির্বহনের পরম মিত্র :) কিন্তু শেরজা ভাইয়ের মন্তব্যটি ভালো লেগেছে!

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এহ্ এসে গেছেন সাচু কন্যাসম পিচ্চিকে উদ্ধার করতে !!

আর কী না কী কুৎসা আমার নামে চালিয়ে যাচ্ছেন ।

ভালো ভালো চলতে থাক এই পিতৃস্নেহ !!

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: এহ্ এসে গেছেন সাচু কন্যাসম পিচ্চিকে উদ্ধার করতে !!

- Are you jealous নিবর্হণ?? :)

আর কী না কী কুৎসা আমার নামে চালিয়ে যাচ্ছেন ।

- সোজা সোজা কেন বলছেন না আপনি আমার আর সাচুর মুখ থেকে প্রশংসা শুনতে মরে যাচ্ছেন!! একটু কি আপনাকে ভালো মানুষ বললাম বলে :-B


ভালো ভালো চলতে থাক এই পিতৃস্নেহ !!

- আলহামদুলিল্লাহ্ ওটা সাচু আর আপনার উদার মনের পরিচয় সেই জন্যেই আপনারা দুজন ব্লগে অনেকের প্রিয়!!!

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভ্রমণে নিশ্চয়ই বেশ উপভোগ করেছেন। পরিবারের সবার সাথে ভ্রমণে গেলে সেটা স্মরণীয় হয়ে থাকে।

পাঙ্গাস নামটি মজার, ছোট্ট করে এই নামের শানেনজুল শেয়ার করতে পারতেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: ভ্রমণে নিশ্চয়ই বেশ উপভোগ করেছেন। পরিবারের সবার সাথে ভ্রমণে গেলে সেটা স্মরণীয় হয়ে থাকে। হ্যাঁ। ঠিক বলেছেন কিন্তু আমি এমন ভ্রমণ সহজে পাই না।

পাঙ্গাস নামটি মজার, ছোট্ট করে এই নামের শানেনজুল শেয়ার করতে পারতেন। - করবো ইনশাআল্লাহ। শুধু তাই নয় ছোট ছোট এমন অনেক গল্প জানবেন। সাথেই থাকুন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মোটেই না বিপাশা ,

ব্লগে সব আছে । প্রেম আছে , বিরহ আছে, হিংসে আছে, জিঘাংসা আছে !!

তার সাথে আপনার আর সাচুর ব্যাপারটা সত্যিই একটা অন্যরকম অনুভূতি আনে । এটা আমার খুব ভালো লাগে !!

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২২

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন:

ব্লগে সব আছে । প্রেম আছে , বিরহ আছে, হিংসে আছে, জিঘাংসা আছে !!

তার সাথে আপনার আর সাচুর ব্যাপারটা সত্যিই একটা অন্যরকম অনুভূতি আনে । এটা আমার খুব ভালো লাগে !!

- বাকি সব তো আর জানিনা কিন্তু সাচুর ব্যাপারটা সত্যিই আমার খুব ভালো লাগে! বাস্তব জীবনে আমি শুধুমাত্র আমার পরিবার ছাড়া এমন স্নেহ খুবই কম পেয়েছি! কিন্তু যাদের কাছ থেকে সাচুর মতো স্নেহ পেয়েছি তারা আমাকে এখনো মনে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ!

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: সাচু নির্বো ছোট দেখে ওর উপরে পুরোটা চালিয়ে দিয়েছে। আমাকে মনে মনে গালি দিয়েছে কিন্তু উপরে একটু ভদ্রতা দেখাল মাত্র! আমি নিজেও কারো কথা শুনি না আর অন্য কারো ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছায় হস্তক্ষেপ করি না- বিশেষ করে লেখালেখির ব্যাপারে তো বটেই। আমি শুধুমাত্র বিপাশা বা পাঙ্গাসের(স্যরি) উত্তেজনাটা একটু কমাতে চেয়েছি। ব্লগে তো কম দেখলাম না নিজের অভিজ্ঞতাটা ছোটদের সাথে শেয়ার করা তো খারাপ কিছু না তাই না? ধন্যবাদ দেয়ালিকা আমার সাথে থাকবার জন্য।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সাচু নির্বো ছোট দেখে ওর উপরে পুরোটা চালিয়ে দিয়েছে। আমাকে মনে মনে গালি দিয়েছে কিন্তু উপরে একটু ভদ্রতা দেখাল মাত্র!

- হাহাহা!! বললেন তা কি ভাই!!!! =p~ সাচু ভালো মানুষ, প্রকাশে তো দূরে থাক মনে মনেও তিনি কাউকে গালি দেন না :)

আমি শুধুমাত্র বিপাশা বা পাঙ্গাসের(স্যরি) উত্তেজনাটা একটু কমাতে চেয়েছি। ব্লগে তো কম দেখলাম না নিজের অভিজ্ঞতাটা ছোটদের সাথে শেয়ার করা তো খারাপ কিছু না তাই না? ধন্যবাদ দেয়ালিকা আমার সাথে থাকবার জন্য।

- আইচ্ছা ভাই, আপনি আমারে পাঙ্গাস ডাইক্কেন না, পাঙ্গাসটা খালি আমারে জাবেদ ভাই ডাকতে পারে, অন্য কেউ ডাইকলে মনে হয় তার উপরে জাবেদ ভাইয়ের আত্মা ভর কইচ্চে :-B তোয় একদিন অবশ্যই গটনাটা আফানারার সাথে শেয়ার করাম B-)

আমি আফনার ছোড হিসাবে আফনি অবশ্যই আমার উত্তেজনা কমাইতে এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার ফারেন. . . I Don'tUU mind bro :D


আপনাকেও সাথে থাকবার জন্য ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা জানবেন।

- দেয়ালিকা

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেরজা ভাই ভুল বুঝেছেন আমাকে। উনি আপনাকে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ওনার উপদেশ আমার কাছে নেগেটিভ মনে হয়েছে। আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম যে নতুন কাউকে প্রথমেই নেগেটিভ কথা বললে তার উৎসাহে ভাটা পড়তে পারে। আপনার আদর্শ হতে পারতো শায়মা আপু। যদিও ওনার মত সাহসী সবাই হতে পারে না।

ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে ভুলে গিয়েছিলাম। অনেক অনেক অভিনন্দন। :)

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২২

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: পুনরায় আপনার মন্তব্যে বেশ ভালো লাগছে সাচু! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা ,



হঠাৎ ভ্রমনের কথা শুনলেই প্রানটা কেমন যেন ছটফট... ছটফট করে! মনে হয়, এক্ষুনি দৌঁড়ে বেরিয়ে পড়ি।
আপনার সেরকমটা অনুভূত না হলেও , সেই ভ্রমনের কাহিনী লিখতে গিয়ে যে ছটফট করেছেন তা বেশ বোঝা গেলো! :)
ভ্রমনে যাবার আগেই লেখায় যে এতো যোগাড়যন্ত্র, ভ্রমনের মূল ঘটনাটা সেই ফাঁকে আবার ফুড়ুৎ করে ফুরিয়ে যেন না যায়!

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সম্মানিত ব্লগার আহমেদ জী এস,

অনেক দিন পরে আপনার আগমন আর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে! লেখালেখিটা আগের মতো এত বেশি হয় না এখন আর কিন্তু যখনই লিখেছি চেষ্টা করেছি বুদ্ধি দিয়ে, মনের সঠিক আবেগটাকে ফুটিয়ে তুলতে। যেন সেটা পাঠকের কাছে কৃত্রিমতার রূপ না নেয়। এই ভ্রমণে আমার মনের অবস্থা দারুন উত্তেজনাময় ছিল যেমনটি একটি ছোট বাচ্চার মধ্যে থাকে! ভবিষ্যতে আবারো কোথায় গেলে এতটা আনন্দ কাজ করবে কিনা জানি না। তাই আমার লেখাতেও সেটা ফুটে উঠেছে!

আজ পরবর্তী পর্ব পোস্ট করবো। আশা করছি সাথে থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। উপরওয়ালা আপনাকে উনার নিয়ামত এবং বরকতে পরিপূর্ণ করুক!

- দেয়ালিকা

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৭

জটিল ভাই বলেছেন:
আমি শুধু নির্বণের কমেন্ট পড়তে এসেছি :P

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: হ্যাঁ ভাই কমেন্ট ই পড়েন খালি। এত কষ্ট করে লেখা পোস্ট পড়ার দরকার নাই। :) =p~ ভালো থাকবেন জটিল ভাই

১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে যথাযথ মনোনিবেশ সহকারে শ্রম দেয়ার জন্য এবং সেই শ্রমের বিনিময়ে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা! আশা ও দোয়া করি, চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাকি পথটুকুও এভাবে অবিচল থেকে এগিয়ে যাবেন।

একটি পারিবারিক ভ্রমণ বিষয়ক রচনার সূচনা হিসেবে এ পোস্টটা ভালো হয়েছে, অস্বাভাবিক উত্তেজনার অস্থিরতা সত্ত্বেও। পরের পর্বটাও পড়বো। আপাততঃ এ পোস্টে প্লাস। + +

পুকুরের পাঙ্গাস এর নদীযাত্রা আশাকরি সবদিক দিয়ে শুভ হয়েছিল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ব্লগার ,


আমি আজ অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো কিন্তু অনেক দেরিতে প্রতি মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

সত্যিই আপনার কথাগুলো বেশ অমায়িক! আপনার দোয়া এবং শুভকামনার জন্য আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুক। অনেক অনেক দোয়া করি আপনার জন্য।

- দেয়ালিকা বিপাশা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.