নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার ব্লগারের ভীড়ে আমি এক নগন্য ব্লগার।আমি ভালোবাসি কিছু লিখতে তাই বলে আমি লেখক নই।যখন যা দেখি,যা মনে দাগ কাটে তাই লেখার চেস্টা করি।

Subdeb ghosh

আমি খুব কল্পনাবিলাসী। কল্পনা নামের আলাদা একটা পৃথিবী আছে আমার। আমার এ পৃথিবীটা বাস্তবের পৃথিবী থেকে আলাদা। এখানে আমি যা খুশি কল্পনা করি। বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই। কোন কষ্ট নেই, দুঃখ নেই এখানে। বই আর গান এ দুইটা আমার বন্ধু। বই আমার একাকীত্বের সাথী আর গান আমার সুখ দুঃখের সাথী। কোন কথা কে কি বলল??? তার চেয়েও কিভাবে বলল সেটাকেই বেশী গুরুত্ব দিই। সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয় যখন কেউ ভুল বোঝে। সবকিছুতেই ভালোটা খোঁজার চেষ্টা করি। প্রিয় ফুল কৃষ্ণচূড়া। প্রিয় সময় গোধূলিবেলা। প্রিয় ঋতু বসন্ত।

Subdeb ghosh › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াজের নামে হচ্ছেটা কি?

০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৬

মাহফিলের এক সপ্তাহ আগে ছোট ছোট বাচ্চা ছেলারা গাড়ি থামিয়ে টাকা উঠালো।
আয়োজক কমিটি,
বড় বড় দূর্নীতিবাজ,
ঘুসখোর,সুদখোরদের থেকে
ডোনেশন নিলেন।
অতঃপর মাহফিলের দিন
তিনি হেলিকপ্টারে
উড়িয়ে থামিলেন,
দেখলাম হুজুর হেলিকপ্টার
হইতে অবতারন করিলেন।
অতঃপর কিছুক্ষন বিশ্রাম শেষে
উন্নতমানের নাস্তা গলদ করন
করিয়া হুজুর স্টেজে উঠিলেন।
তারপর চোখের পানি ছেড়ে দিয়া কান্দিয়া কান্দিয়া,
নবীজি কিভাবে খেঁজুরের পাটিতে শুইতেন?
কিভাবে পায়ে হেঁটে হেঁটে শতমাইল ভ্রমন করিয়া ইসলামের দাওয়াত দিতেন?
কিভাবে প্রায়শই অর্ধাহারে থাকিতেন?
অতঃপর বয়ান শেষে গলা পযন্ত
উদর পুর্তি করিয়া তৃপ্তির ঢেকুর তুলিয়া পঞ্চাশ হাজারের
দুইটা বান্ডিল পকেটে পুরিয়া,
আবার হেলিকপ্টার যোগে প্রস্থান করিলেন।
আমরা মাশাআল্লাহ্,
আলহামদুলিল্লাহ্ বলিতে বলিতে বাড়ির পথে রওয়ানা হইলাম।
অতঃপর সকাল বারোটায়
ঘুম থেকে উঠিয়া দুজাহানের অশেষ নেকী হাসিল করিলাম।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হুজুর সর্বশেষে এই কথাটি বলিতে ভুলিয়া গেলেন যে,আমি যা বলি তোমরা তা করিবে আমি যা করি তোমা তা করিও না।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪৪

Subdeb ghosh বলেছেন: মানুষ আজগুবি গল্প শুনে যতটা তৃপ্তি পায়,তার তুলনায় একজন বিজ্ঞান কথকের একজন সমাজ সংস্কারকের কথা কেউ কি শুনে?
মানুষ মঙ্গল গ্রহে যাবার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে,
জাপান নক্ষত্র থেকে মাটি পাথর নিয়ে এসেছে মাত্র তিন মাসের পরিকল্পনায়।
আর আমরা সাত ফ্যাক্টরির কাপড় একজনে পড়ে বসে থাকার পায়তারা করি।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সুদেব'দা
যখন পুরোহিত মশাই
সামান্য টাকা ও শ্রাদ্ধ করার
পরামর্শ দিয়ে পাপ মোচনের
দ্বায়িত্ব নেন তখন সেই পুরোহিত ও
হেলিক্পাটার হুজুর একই বিন্দুতে
অবস্থান করেন।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৮

Subdeb ghosh বলেছেন: ধর্মের নামে চরম অধর্ম।
ধর্ম এখন পন্যের বিজ্ঞাপনের মতো হয়ে গেছে।
পুরোহিতকে টাকা কম দিলে পূজা সংক্ষিপ্ত করেন!
যেমন দান তেমন দক্ষিণা!
হুজুর পুরোহিত একই শ্রেণির,এদের আলাদা করে দেখার কোন কারন নেই।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০১

নীল আকাশ বলেছেন: দেশের মন্ত্রী, মিনিস্টার, রাজনৈতিক নেতারা যখন লুটপাট করে জনগনের টাকা হাপিস করে দেয়, সরকারের উচ্চপদস্ত নেতারা যখন কানাডার বেগম পাড়ায় বেশুমার অবৈধ টাকা পাঠায় তখন কি কোন পোস্ট দিয়েছিলেন এইসব নিয়ে?

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৮

Subdeb ghosh বলেছেন: সরকার এবার ধর্ম খাতে বরাদ্দ রেখেছে।
শিক্ষার সমমান ! মানে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধর্মীয় খাতে।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াজ মানেই বিনোদন।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৮

Subdeb ghosh বলেছেন: শ্রোতারা বিনোদন,
আয়োজকদের বাড়তি কিছু আশা।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিজের চরকায় তেল দেয়া উত্তম।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩২

Subdeb ghosh বলেছেন: সমাজের কল্যানে কি ওয়াজের কোনো ভূমিকা দেখা যায়?

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: হুজুর কান্দিয়া কান্দিয়া বলিলেন কিভাবে নবী পায়ে হেঁটে হেঁটে শতমাইল ভ্রমন করিয়া ইসলামের দাওয়াত দিতেন।

অথচ উনি ইসলামের দাওয়াত দিতে আসলেন দামি গাড়িতে অথবা হেলিকপ্টারে সাথে টাকাও নিয়ে গেলেন।

আসলে ইসলাম প্রচার করতে এসে টাকা নেয়াটা আমার পছন্দ না।

১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৪

Subdeb ghosh বলেছেন: ধর্ম কি মানুষের দয়ায় বাঁচে?
যত ভাঙ্গতি পয়সা দান বাক্সে কেন?
কেউ কি কারো ধর্ম পালন করে দিতে পারে?
কিম্বা পাপ-পূণ্য আপনি কি ভাগ-বাটোয়ারা করে দিতে পারবেন?
তো দেখা যাচ্ছে ধর্ম হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক একটা ব্যাপার।আপনি আর সৃষ্টিকর্তা।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন - মন্তব্য লেখার ভাষা নেই - সত্যি কথা লিখলেই বলে নাস্তিক - ব্লগার-

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৩

Subdeb ghosh বলেছেন: কিছু বানিজ্য আছে পুঁজি ছাড়া।
সবচেয়ে বড় পুঁজি ছাড়া ব্যবসা হলো ধর্ম এবং পীরালি ।
ঘুস,তদবির,বাটপারি এগুলোতে
ঝুঁকি আছে,
ধরা খেলে শ্রীঘরে যেতে হয়।
কিন্তু, ধর্ম এবং পীরের বানিজ্যের
কোন ভয়ভীতি নেই ।
বরং আপনাকে আরও ভয় করে
চলতে হয় তাদের কে ।
এখন মগজ ধোলাইয়ের
পদ্ধতি আরও আধুনিক হয়েছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.