নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব কল্পনাবিলাসী। কল্পনা নামের আলাদা একটা পৃথিবী আছে আমার। আমার এ পৃথিবীটা বাস্তবের পৃথিবী থেকে আলাদা। এখানে আমি যা খুশি কল্পনা করি। বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই। কোন কষ্ট নেই, দুঃখ নেই এখানে। বই আর গান এ দুইটা আমার বন্ধু। বই আমার একাকীত্বের সাথী আর গান আমার সুখ দুঃখের সাথী। কোন কথা কে কি বলল??? তার চেয়েও কিভাবে বলল সেটাকেই বেশী গুরুত্ব দিই। সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয় যখন কেউ ভুল বোঝে। সবকিছুতেই ভালোটা খোঁজার চেষ্টা করি। প্রিয় ফুল কৃষ্ণচূড়া। প্রিয় সময় গোধূলিবেলা। প্রিয় ঋতু বসন্ত।
চার পাশে থেমে নেই মানুষের ছুটে চলা। জীবন-জীবিকা ও প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ হন্য হয়ে ছুটছে।
না ছুটেই বা করবে কি? কারো কারো যে একদিন কাজে যেতে না পারলে দু'মুঠো অন্নও জোটেনা।
নগরীর পথে পথে, হাটে-বাজারে মানুষের ঢল। হোটেল-রেস্তোরা কিংবা চায়ের দোকানে খাওয়া কিংবা আড্ডা থেমে নেই। তবে থমকে গেছে মানুষের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা। বাতাসে যেন বিষাদের সুর, বুক জুড়ে দীর্ঘশ্বাস। করোনার বিধ্বংসী ছোবল জনজীবনকে তছনছ করে দিয়েছে, কেড়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ। কর্মহীন হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মানেবতর জীবনযাপন করছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন তাদের দিন কাটছে শঙ্কায়। কখন চাকুরীচ্যুত হন কিংবা বেতন বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে অসৎ লোকেরা রীতিমতো তাদের অসৎ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঘুষ, দুর্নীতি, মুনাফাখোরি, চাঁদবাজি, ধোঁকাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন কোনটিই বন্ধ নেই। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয়ই তাদের শিক্ষা দিতে পারেনা। তারা যেন তাদের অসৎ কাজের মাঝে সুখ খুঁজে পায়। মনুষ্যত্ব, নীতি-নৈতিকতা কোনটাই তাদের নেই।
শিক্ষার ক্ষেত্রে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা বিমুখ হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আর এ ক্ষতি অপূরণীয় এবং শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশে প্রতিবন্ধকও বটে। অভিভাবকেরাও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তায় আছেন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো টিউশন ফি আদায় করতে পারছেনা। আবার অনেক অভিভাবক কর্মহীন হয়ে পড়ায় টিউশন ফি মওকুফের জন্য প্রতিনিয়ত ধর্না দিচ্ছেন। এতেকরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছেনা।
ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ছাটাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
আবার অনেকের চালচলনে মনে হয় তাদের মধ্যে যেন মোটেই করোনাভীতি নেই। নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধিও তারা মেনে চলেনা। নিজের ভয় না থাকতে পারে কিন্তু অন্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলার অধিকার যে কারও নেই।
তাই রাস্তায় বের হলে সবাইকে সাস্থ্যবিধি মেনে বের হতে হবে। আর না মানাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫১
Subdeb ghosh বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মানুষ অনেক পাপ করেছে। পাপের সাজা পেতেই হবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
Subdeb ghosh বলেছেন: এটাই চির সত্য,মানুষ অনেক পাপ করেছে।
যার ভোগান্তি আমরা সবাই ভোগ করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষ হতাশ হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। সরকারের কোনো কোনো পরিকল্পনা নেই নিজের জনগণকে হতাশা থেকে আশার সঞ্চার করতে।