![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম আকাশ আসে মোর পাশ তারা দীপালি জ্বালি বলে পরবাসী কোথা কাদঁ আসি হেথা শুধু চোরাবালি।।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অহংকার। এদেশের গর্ব। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যাসহ বিভিন্ন সংকটাপন্ন মুহূর্তে দুর্গত মানুষের পাশে দাড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে সেনাবাহিনী। সবাই যেখানে ব্যর্থ, সেনাবাহিনী সেখানে শক্ত হাতে হাল ধরে সফলতা দেখিয়ে দেশের মানুষের অকুণ্ঠ ভালবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তেমনিভাবে আন্তজার্তিক শান্তি রক্ষী মিশনে বিভিন্ন দেশে কাজ করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনী। দেশের মানুষের আশা আকাঙক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। তাই যে কোন মূল্যে অটুট ও অক্ষণ্ন রাখতে হবে সেনাবাহিনীর মর্যাদা।
আমার মনে পড়ে, শৈশবে আমাদের বাড়ির পাশে জঙ্গলে শীত কালীন প্রশিক্ষণে এসেছিল সেনাবাহিনীর একটি দল। সামরিক সাজসজ্জার প্রশিক্ষণ মহরার প্রতি কী অদম্য কৌতূহল আমার- যেন একটি যুদ্ধক্ষেত্র প্রত্যক্ষ করছি। আমি সময়-সুযোগ পেলে তাদের কাছে ঘেষাঁর চেষ্টা করতাম। ওরাও স্নেহ ভালোবাসায় মাঝে মাঝে বুকে তুলে নিতো। সেনাবাহিনীর অদ্ভুদ রঙের মোটা কাপড়ের স্পর্শ আমাকে রোমাঞ্চিত করেতো। এপর কত বছর অপেক্ষায় থেকেছি-আবারও আমাদের বাড়ির পাশের জঙ্গলে ট্রেনিং-এ আসবে আর্মিরা। বড় হবার পরও যখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তাম তখনও শীতকাল এলে আমার কৌতূহলী চোখ যেন তাদেরই খুঁজে ফিরতো। দূরের কোন মাঠে আর্মি এসেছে শুনলে সেখানেই ছুটে যেতাম। কী দারুণ প্রশিণের কলা কৌশল! ভাবতাম, আমিও যদি ওদের একজন হতে পারতাম! সেসময় সৈনিক হবার স্বপ্নও দেখতাম।
কিন্তু বড় হয়ে সেনাবাহিনীর সংস্পর্শে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমার সে রঙিন স্বপ্নগুলো ধূসর হয়ে গেলো। গৌরবময় রোমাঞ্চকর জীবনের অধিকারী সেনাবাহিনীর প্রতি আমার ব্যক্তিগত আস্থা ও ভালোবাসায় চিঁড় ধরলো।
২০০৭ সালের ১/১১ প্রোপটে সে বছরের জুন- জুলাই থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনীর পরিচালনায় শুরু হয় জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার কাজ। আমি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এ প্রকল্পে কিছু দিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেসময় খুব কাছ থেকে দেখা সৈনিকদের কিছু কাজ,কর্ম,আচরণের বহিঃপ্রকাশ আমাকে হতাশ করে।
জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবিসহ ভোটার তালিকার প্রকল্পে নিয়োজিত প্রুফ রিডার, টিম লিডার ও কম্পিউটার অপারেটরদের নিয়ে ২০০৭ সালের জুলাই মাসে প্রশিক্ষণ শুরু হলো। কিছু সেনা অফিসারের আচরণে মনে হলো, তারা ছাড়া এদেশের সাধারণ উচ্চ শিতি সবাই তাদের চেয়ে নিচু শ্রেণীর। আমাদের চেয়ে সৈনিকরা বেশি বোঝে এটাই যেন তাদের আচরণে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করতো । আমাদের মধ্যে অনেকে ছিল উচ্চ শিক্ষিত-সদ্য মাস্টার্স পাশ করে বেড়িয়েছে এমন। অথচ সামষ্টিকভাবে নির্দেশনা দেবার সময় কিছু সেনা অফিসার আমাদেরকে তুমি বলে সম্বোধন করতো। কেউ কোন অনিয়ম করলে তার ব্যাপার কঠোর ব্যবস্থার হুমকি দেয়া হতো। এমনকি ভোটারের তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ শিক্ষা অফিসার, কৃষি অফিসারসহ সব সরকারী কর্মকর্তারা ভয়ে আতঙ্কে তটস্থ থাকতো- কখন কোন ভুলের জন্য হেনস্থা হতে হয়। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করতো প্রাইমারী ও হাইস্কুলের শিক্ষকরা । গ্রামের মানুষদের কাছে এরা অনেক সম্মানিত। এরকম অনেক শিক্ষককে ঠুনকো ভুলের জন্য নাজেহাল হতে দেখেছি। ঝিনাইদহ সদরের চণ্ডিপুর হাইস্কুলের কেন্দ্রে এক তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষককে ১৫ মিনিট দেরিতে আসার জন্য নর্দমার পানিতে নামিয়ে দাড় করিয়ে রাখা হয়। একই কেন্দ্রে কয়েকজন ভোটারের আসতে দেরি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে ছবি তুলতে পারে নি- এজন্য তাদের সূর্য্যরে দিকে তাক করে দাড় করিয়ে রাখা হয়। আমার গ্রামের এক ভোটারকে সন্দেহ করা যে, তার ১৮ বছর বয়স পূর্ন হয় নি। এজন্য তাকে আটকে রাখা হয়। বলা হয়, তার অভিভাবকদের ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য পুলিশে দেওয়া হবে। গ্রামের সবাই জানতো সে আঠারোর্ধ কিন্তু ভয়ে কেই কথা বলতে সাহস পেল না। আমি সেনা অফিসারকে গিয়ে বললাম, আমি তাকে চিনি,সে আমার গ্রামের ছেলে,সে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত । আমার কথা শুনে আশ্বস্থ হয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং আমার অনুরোধে পরের দিন তাকে ভোটার করা হয়। ঝিনাইদহ সদরের বংকিরা প্রাইমারী স্কুলের কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত এক সার্জেন্ট ছবি তোলার প্রথম দিনে তথ্য সংগ্রহকারী সব শিক্ষকের সামনে লাঠি ও দড়ি রেখে বললেন, ভালো ভাবে কাজ করবেন যদি কোন ভুল ধরা পড়ে তাহলে এই দড়ি দিয়ে বেধে লাঠি দিয়ে পেটানো হবে। এসব সৈনিকদের অধিকাংশ ছিল এসএসসি পাশ অথচ ডিগ্রি পাশ/এমএ পাশ শিকরা ভয়ে তাদের স্যার বলে সম্বোধন করতো। আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে তথ্য সংগ্রকারী শিক্ষকদের বলতাম কেন আপনারা সৈনিকদের স্যার বলে সম্বোধন করেন? জবাবে তারা বলতো, ‘আমাদের উপর দিয়ে কেয়ামত বয়ে যাচ্ছে, আমাদের নাওয়া, খাওয়া, ঘুম সব হারাম হয়ে গেছে- আমরা এথেকে রক্ষা পেলে বেঁচে যাই।’ ১৬ ডিসেম্বর’০৭ সৈনিকদের একটি গাড়ি ঝিনাইদহ সদরের কূঠিদুর্ঘাপুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো এসময় একটি গ্রাম্য যান নসিমনের কারণে রাস্তা পার হতে দেরী হওয়ায় সৈনিকরা নসিমনের চালককে মারধর করে, এসময় যারাই প্রতিবাদ করেছে তাদের উপর চড়াও হয়েছে সৈনিকরা। এর কয়েক দিন আগে কূঠিদুর্ঘাপুরের পাশের একটি কেন্দ্রে একজন ভোটার ছবি তোলার সময় বলে ফেলে, আমি অন্য এক জায়গায় যেখানে কর্মরত আছি, সেখানে তথ্য পূরণ করেছি কিন্তু ছবি তোলা হয় নি।- এখানে ভোটারা হলে কোন সমস্যা আছে কিনা?
একথা শোনার পরে তাকে ধরে সৈনিকরা শুরু করে চর থাপর কিল ঘুষি । তার বৃদ্ধ মা তাকে বাচাঁতে আকূতি মিনতি করলে তাকেও নাজেহতাল হতে হয়।
ঝিনাইদহে এরকম অনেক ঘটনা আছে-যা লিখে শেষ করা যাবে না। মজার বিষয় হলো,সেনা অফিসাররা আমাদেরকে ভোটারদের সঙ্গে ভালো আচরণের নির্দেশনা দিতো অথচ তারাই করতো অসদাচরণ। মাঝে মধ্যেই বিকেলে আমাদেরকে মাঠে লাইনে দাড় করিয়ে রেখে সেনা অফিসাররা নির্দেশনা দিতো । কখনো কখনো মাগরিবের নামাজের সময় পার হয়ে যেত,বার বার হাত তুলে দৃষ্টি আকষর্ণ করার পরও সেদিকে তারা ভ্রুক্ষেপই করতো না । একবার নামাজের জন্য আমরা কয়েকজন সময় চেয়ে বের হয়ে এক মেজরের সঙ্গে দেখা, তিনি বললেন, কোথায় যাচ্ছ তোমরা? আমারা জানালাম , ‘মাগরিবের নামাজে যাচ্ছি ।’ তিনি আমাদের কথায় কর্নপাত না করে আমাদেরকে সভাস্থলে ফিরে আসতে নির্দেশ দিলেন। সেনা অফিসারের এহেন আচরণে আমি বিশ্মিত হলাম। ভাবতাম, এদেশের মানুষের সেনাবাহিনীর প্রতি যে বিশ্বাস,আস্থা ও ভালোবাসা তা যদি এভাবে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এদেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বলে আর কী থাকবে? সে দিনের ঘটনার পর আমি ভোটার তালিকা ও ন্যাশনাল আইডি প্রজেক্টে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
কেউ হয়তো মন্তব্য করতে পারেন,আমি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিশেষ কোন রাগ-বা ক্ষোভের কারণে বিষোদগার করছি। কিন্তু আমি যা বলছি- বাস্তবতার উপলব্ধি থেকে বলছি।
২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর । তখন আমি একটি জাতীয় দৈনিকের কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসেবে কাজ করি। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষক কাসে ছাত্রীদের নিকাব পড়ার বিষয়ে অশালীন মন্তব্য করেন ও তার ক্লাসে নিকাব পড়ে আসতে নিষেধ করেন। স্বাভাবিকভাবেই ঔ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রছাত্রী মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং তারা ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ বিষয়ে আমি পত্রিকায় একটি রিপোর্ট করি। পত্রিকায় প্রকাশিত এ নিউজের বিষয়ে আমাকে কুষ্টিয়া সেনা ক্যাম্প থেকে তলব করা হয়। মোবাইলে আমাকে বলা হয়, ‘আপনি যে নিউজটি পত্রিকায় করেছেন এটি কি সঠিক? আপনি কি তখন ক্যাম্পাসে ছিলেন? ইত্যাতি ইত্যাদি.. মেজর রিফাত স্যার আপনাকে কল করেছেন, আজ আপনি তার সঙ্গে দেখা করেন।’ আমি বললাম, আমি ব্যস্ত আছি পরে দেখা করবো। আমাকে বলা হলো, ‘আপনাকে আজই আসতে হবে।’ আমি বেশ অবাক হলাম ,উদ্বিগ্নও। পত্রিকার প্রকাশিত নিউজটি ভালোভাবে দেখলাম, সব তথ্য ঠিক আছে কিনা? কোথাও কোন অসঙ্গতি আছে কিনা? প্রকৃত অর্থেই সংবাদটি বস্তুনিষ্ঠ ছিল। এতে অতিরঞ্জিত কিছু ছিল না। তাহলে একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সেনা ক্যাম্প থেকে কেন তলব করা হলো?
আমি তখন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা বলল, বিষয়টি রহস্যজনক এর পেছনে কোন ষঢ়যন্ত্র থাকতে পারে। কেউ কেউ বলল, ঔ শিক্ষক হয়তো আপনার বিরুদ্ধে সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছে। দীর্ঘ পরামর্শ শেষে সিদ্ধান্ত হলো সাংবাদিক সমিতির সবাই যাবো সেনা ক্যাম্পে। আমার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আমাকে বললেন, ‘সারা দেশে আমাদের বেশ কয়েকজন রিপোর্টারকে আর্মিরা হেনস্থা করেছে। আমাদের সঙ্গে সার্বণিক যোগাযোগ রাখবেন,এবিষয়ে কখন কী হচ্ছে জানাবেন।’ সন্ধ্যায় আমরা মেজর রিফাতে সঙ্গে দেখা করতে কুষ্টিয়া শহরে গেলাম। সেনা ক্যাম্পে মেজর রিফাতের কক্ষে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো। মেজর রিফাত বললেন, ‘নিউজটি আপনি কেন করলেন? ধর্মীয় এমন একটি বিষয় নিয়ে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে । বিষয়টি আমাদের কেন জানালেন না । এনিয়ে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে এর দায়িত্ব কে নেবে.’. ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আমি বললাম, নিউজ করা আমার পেশাগত দায়িত্ব । আপনাকে জানানোর দায়িত্ব আমার নয়। এজন্য ডিবি, এনএসআই, ডিএসবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক রয়েছে। আর এনিয়ে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে এর দায়িত্ব ঔ শিক্ষকের যে বোরকা ও নেকাবের ব্যাপারে বাজে মন্তব্য করে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে।’ অনেক কথার পর তিনি বললেন, ‘আমি পারছোনাল ইন্টারেস্টে আপনাকে ডেকেছি।’ এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করলেন।
আমরা বুঝলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে তার তেমন কোন ধারণাই নেই। আর আমাকে কল করে তার ক্ষমতার অযাচিত বাড়াবাড়িই তিনি করেছেন। সেময় এরকম ক্ষমতার বাড়াবাড়ির শিকার দেশের কত মানুষ কতভাবে যে হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। তখন এদের আচরণে মনে হতো দেশে বুঝি সামরিক শাসন চলছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর দুর্নীতি,অনিয়ম,সন্ত্রাস,দারিদ্র,পানি- গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান নিয়ে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে বলতে শুনতাম, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র অচল, এদেশে দরকার সামরিক শাসন, আর্মিরাই পারবে এদেশের মানুষকে সাইজ করতে’...
২০০৭ সালের জানুয়ারী মাসের পূর্ব পর্যন্ত আমরা মানুষের মুখে মুখে এসব কথা শুনতাম। কিন্তু ২ বছরের জরুরি অবস্থার জাতাকলে পীষ্ঠ হয়ে এদেশের মানুষ বুঝে গেছে সামরিক শাসন কী জিনিস!
বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অনেক হতাশাব্যঞ্জক হলেও এখন আর কাউকে সামরিক শাসনের কথা বলতে শুনি না।
২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৪৩
বীরবল007 বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৫৭
ইভা লুসি সেন বলেছেন: সোলজারদের কোন বেইল নাই আমার কাছে ।
অফিসার রা ভাব ধরতেই পারে ।
তবে ওরা নিজেদের কে অনেক বড় মনে করে ।
৩| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৫৯
বীরবল007 বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৪| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০০
গুরু ভাই বলেছেন: ব্লাডি আর্মি!
১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০২
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০০
ধুম্রজ্বাল বলেছেন: জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার কাজ কি সেনাবাহিনী ঠিকমত শেষ করেছে?
১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০৪
বীরবল007 বলেছেন: হ্যাঁ ভাই তা মোটামুটিভাবে শেষ হয়েছে।
৬| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০৩
আইজউদদীন বলেছেন: আপনের লগে সহমত ভালা কথা কইছেন।ওরা আসলেই মানুষরে মানুষ মনে করে না মনে করে গরু ছাগল।ওগো লইগা রইলো আমার এক বস্তা গদাম।
১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০৫
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:১৫
সংগ্রামী পথিক বলেছেন: বীর সে তো চালিয়ে যায় প্রতিবাদের ভাষা ।সুন্দর হইছে । ধরনী মাতা, তুমি দ্বীধা হও , আমি তন্মধ্যে প্রবেশ করি (“ইঞ্জিনিয়ার্স ডে” আমার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা)
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:১০
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তেব্যের জন্য।
৮| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩২
রহমত বলেছেন: আমি আপনার সমস্ত লেখাটি পড়েছি তাতে কিছু লেখা সঠিক আর কিছু ভুল আছে আমি নিন্মে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
১। প্রথমে আমার একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করছি। আমি একদিন বিকালে আমাদের ¯কুল মাঠে ক্রিকেট খেলা করছিলাম এমন সময় একটি বাচ্চা আমার কাছে এসে বললেন বড়ো ভাই আমার কথায় আপনী কিছু মনে করেন না আপনার ব্যাড আর বল আমাকে নিয়ে যেতে বলেছে আমি বললাম কে তখন সে আমাকে আর্মির গাড়িটি দেখিয়ে বললেন ওখান থেকে বলেছে (এখানে বলা দরকার আমার গ্রামের সবাই আমাকে অনেক সন্মান করে বিশেষ করে আমার জুনিয়র রা)। অনেক পরে আমি তাদের কাছে ব্যাড চাইতে গেলে আমাকে অনেক খারাপ কথা বলেছিলো এবং সেই ব্যাড নিয়ে তারা অনেক্ষন খেলা করেছিলো।
২। সত্যি কথা বলতে আমাদের দেশে কোন ভাল বুদ্ধি সম্পূর্ন মানুষ নেই আর থাকলে এই বাংলার বুকে অতো পুকুর চুরি এতো অনিয়ম মেনে নিতো না (বিস্তারিত লিখতে পারলাম না)
৩। তাদের কোন দোষ নেই সব দোষ সরকারের। সরকার তাদের সুবিধার জন্য এদের কে পুষে রাখছে এবং এতো ওয়েলফিয়ার দিচ্ছে।
৪। এবার আপনার কথা বলি আপনি একজন সাংবাদিক আপনাদের অনেক খারাপ স¦াভাব আছে আপনারা সত্যকে মিথ্যা বানান আর মিথ্যাকে সত্য বনান এবং অনেক ভাল মানুষের জীবন নষ্ট করেন এক মূহর্তে আর অনেক খারপ মানুষের জীবন ভাল করেন এক লেখার মাধ্যমে।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:১৮
বীরবল007 বলেছেন: আপনার প্রসঙ্গে কথা হচ্ছে, বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যনিষ্ঠতা নিয়ে। সাংবাদিকদের অনেক খারাপ স্বভাব আছে সেটা আমি জানি।কিন্তু সবার চারিত্রিক/নৈতিক মূলায়নটা এককভাবে করা কতটা শ্রেয় ?
আমাকে আমার লেখার মাধ্যমে মূলায়ন করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
অনেক ধন্যবাদ বিশ্লেষণমুলক মন্তব্যের জন্য।
৯| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
রহমত বলেছেন: ইভা লুসি সেন
সোলজারদের কোন বেইল নাই আমার কাছে ।
অফিসার রা ভাব ধরতেই পারে ।
অফিসার আপনার কিছু লাগে নাকি।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:২১
বীরবল007 বলেছেন: সমস্যা আর সংকটে যখন পড়ি তখন তো বেইল না দিয়ে উপায় থাকে না ভাই।
অফিসার শুধু আমার কেন আপনারও লাগতে পারে।
ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩৭
রমিত বলেছেন: আমাদের দেশে সবাই নিজেকে বড় মনে করে।আর্মি অফিসাররা যেমন, সিভিল অফিসাররও কম যায়না। সচিবালয়ে একটা কাজে গেলে ঘুষ ছাড়া কিছুই হয়না। অনেক সময় ঘুষ দিয়েও হয়না। সিভিল অফিসারদেরকেও দেখেছি অসম্মান করে সবার সাথে কথা বলে। কোর্টে গেলে উকিলের পাল্লায় পরে কত হেনস্থা হতে হয় আমারা সবাই জানি। ডাক্তাররা চিকিৎসার নামে কত অমানবিক কাজ করে। ইন্জিনিয়াররা কি পরিমান থবিল তসরুপ করে সে তো সবারই জানা। এমনকি শিক্ষকরাও দূর্নিতীতে পিছিয়ে নেই। এই দেশে সবাই যার যার ক্ষমতার অপব্যভার করে।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:২৪
বীরবল007 বলেছেন: হ্যাঁ ভাই ক্ষমতার অপব্যবহারই সবচেয়ে বড় সমস্যা।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১১| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:০৩
কাকপাখি ২ বলেছেন: একবার নামাজের জন্য আমরা কয়েকজন সময় চেয়ে বের হয়ে এক মেজরের সঙ্গে দেখা, তিনি বললেন, কোথায় যাচ্ছ তোমরা? আমারা জানালাম , ‘মাগরিবের নামাজে যাচ্ছি ।’ তিনি আমাদের কথায় কর্নপাত না করে আমাদেরকে সভাস্থলে ফিরে আসতে নির্দেশ দিলেন। সেনা অফিসারের এহেন আচরণে আমি বিশ্মিত হলাম।
পিলখানা ঘটনার পরে সাধারন মানুষের সহানুভূতি কম হওয়ার কারন ২ বছরের সামরিক শাসনের সময় মানুষের সাথে আর্মির খারাপ আচরন। এই ব্যাপারটা সামরিক নীতিনির্ধারকদের জন্য খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা দরকার বলে মনে করি।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:২৫
বীরবল007 বলেছেন: এই ব্যাপারটা সামরিক নীতিনির্ধারকদের জন্য খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা দরকার বলে আমিও মনে করি।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১২| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১৮
অলস ছেলে বলেছেন: ভালো লিখেছেন। পিলখানায় >>>>>>>>>>> খেয়ে ..................কা আওলাদদের শিক্ষা যখন হয়নাই, আর হবেও না। অমানুষগুলাকে মানুষ বানানোর জন্য উত্তম ব্যাবস্থা নেয়া দরকার।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:২৬
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:২৩
যোগী বলেছেন: আমি কোনদিনও এই সেনাবাহিনিকে ভাল মনে করিনি। তারা সুজগ পাইলে তাদের ক্ষমতার চরম অপব্যাবহার করে যা অত্যন্ত বর্বর।
১৪| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:২৬
qazi1414 বলেছেন: ভাই আপনার পোষ্ট পইড়া বহুত মজা খাইলাম । তয় সাবধান হেরা অইল সরকারি টেকায় পোষা মস্তান।
অরা যুদ্ধের লাইগা বিশেষ ভাবে তৈরী। আমগো লগে তুলনা কইরেন না। অফিসার গিলিরে ট্রেনিং অমনে দেয় ,সবাই রে ছোঠ মনে করতে অইব।ওগো কাছে order মানে order , অবশ্য পালনীয়। মনে করেন সিনিয়র কইল মরতে তো মরতেই অইব। আপনারে কইলে আপনি করবেন ?
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:২৭
বীরবল007 বলেছেন: হাসালেন ভাই!
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৫| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৪
চোথাবাবা বলেছেন: তুই কি ভারতীয় দালাল নাকি?
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৩৪
বীরবল007 বলেছেন: সত্য বড়ই রুঢ়। আপনার মতের পক্ষে গেলে বাহবা দিবেন আর বিপক্ষে গেলে খামছে দিবেন -একে সত্যনিষ্ঠতা বলে না।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি ভারতের আগ্রাসনের বিপক্ষে সদা সোচ্ছার।
কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্ধভাবে এই মতের সব কিছুকে সমর্থন দিয়ে যাবো।
আমার লেখাটা কতোটা বস্তুনিষ্ঠ সেভাবে মূল্যায়ন করুন। মূর্খামিরও একটা সীমা থাকা উচিত।
১৬| ১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৩৪
suparnova1331 বলেছেন: ভাই,,,,আপনার সব কথার সাথেই আমি একমত....।কিন্তু ভাইয়া,ক্ষমতার অপব্যহার সবাই করে..।ওদের কে বানানোই হয় এমন করে.....।আর এখনতো রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে দেশের prime minister পরযন্ত ক্ষমতা দেখায়......................
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৩৫
বীরবল007 বলেছেন: হ্যাঁ ভাই ক্ষমতার অপব্যবহারই সবচেয়ে বড় সমস্যা।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৭| ১৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:১৫
নাযীর আহমদ বলেছেন: হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান না তেমনি সেনাবাহিনর সব সদস্য কিন্তু এরকমনা ।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৩৮
বীরবল007 বলেছেন: হ্যাঁ ভাই আমি এবিষয়ে আপনার সঙ্গে একমত। তবে আমি কিন্তু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লেখিনি। আমি লেখিছি কতিপয় সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৮| ১৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
রাজীব বলেছেন: রমিত ভাইয়ের সাথে কঠিনভাবে একমত।
কথায় আছে "যে যায় লংকা সেই হয় রাবন" ঠিক তেমনি যে যখন ক্ষমতা পায় সে সেটি দেখায়।
অন্যকে অপমানিত করে ও নিজেকে জাহির করে আমরা আনন্দ পাই, এটি আমাদের জাতিগত দোষ।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৩৮
বীরবল007 বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ১৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: দেখুন সেনা বাহিনী দিয়ে কখনোই সিভিল এর কাজ করানো উচিত নয়। তাদের ট্রেনিং আর সিভিল ট্রেনিং আলাদা। আমাকে একটা বন্দুক দিয়ে কোন মানুষ দেখিয়ে যদি বলা হয় একে গুলি কর, আমি পারবো না। কারন আমার চিন্তা করার ক্ষমতা আছে। তাদের এই মানবিক গুন গুলি থেকে বঞ্ছিত করে রাখা হয় এবং সেটা রাষ্ট্রের স্বার্থেই। কল্পনা করুন তারা দেশের সীমানা পাহারা দিচ্ছে আর শত্রু এসে আক্রমন করার পর তারা সিভিল বিহ্যাভ করছে তাহলে ফলাফল কি হবে?
তাদের যেমন দরকার আছে, আমাদের সিভিল দের প্রয়োজন আছে। যেহেতু তারা যে কাজের জন্য প্রস্তুত সেই কাজেই তাদের নিয়োজিত থাকা ভালো।
এই ধরনের মানবিক গুন বঞ্ছিত অবস্থায় তারা থাকে শুধু আমাদের নিরাপত্তার জন্য। একারনে তারা এরকম। ওরা যখন ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে তখন আসলেই কিছু বলার থাকে না। কারন তারা নিজেরা জানে আমাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের অমানুষ হয়ে থাকতে হচ্ছে।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৪১
বীরবল007 বলেছেন: বিশ্লেষণমূলক দারুণ মন্তব্য!।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:০২
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ১৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
পারভেজ আলম বলেছেন: সেনাবাহিনীর হাতে শারীরীক অথবা মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত হওয়া কিংবা কমপক্ষে তাদের দুর্ব্যাবহার অথবা আলগা মাতব্যরির সামনে পরার ঘটনা কম বেশী সবার জীবনেই আছে বাংলাদেশে। এরা মানুষকে মানুষ মনে করেনা, আর তাই আমরা মানুষরাও এখন এদের মানুষ মনে করিনা, শ্রেফ আর্মি মনে করি।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৪২
বীরবল007 বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ।
২১| ১৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭
গোধূলী বেলায়.. বলেছেন: সবখানে সবাই আছে ..................
সহমত।
আসলেই তাদের কে আমানুষ করা হয়েছে মানুষ দের জন্য।
২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৫১
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ১৮ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: যার যে কাজ সেই কাজের বাইরে গেলেই বিপত্তি।
বার বার সিভিল সমাজের বিপর্যয়ের জন্যই সামরিক শাসন ফিরে ফিরে আসে.....কেন ? আপনার নিজের ভুলের জন্যই এরা এদের ব্যারাক ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে.....অসাবধানে পথ চলতে গিয়ে যদি ম্যানহোলে পড়েন.....সেটা ম্যানহোলের দোষ নয়.......দো্ষ আপনার আর যে চোর ঐ ঢাকনি চুরি করেছে তার...
সেনাবাহিনী আই ডি কার্ড এর কাজ গায়ে পড়ে নিজের কাধে তুলে নেয়নি....এটা তাদেরকে সিভিল সরকারের কাছ থেকেই দেয়া হয়েছিলো.....শুধু এটাই না....আরও অনেক কাজেই সেনাবাহিনীকে লাগানো হয় যেটা না না করলেও ওরা ওদের বেতন ভাতা পাবে.....
এখন প্রশ্ন হলো কেন এইভাবে সেনাবাহিনীকে বার বার ব্যরাক থেকে বের করা হচ্ছে ? বের করার পরে কি হয় আপনি আমি সবাই জানি.......কিন্তু বের করছে যারা....তাদের ১ টা পশমও কি টেনে তুলতে পারবেন ????
সামরিক ট্রেনিং সবার জন্য নয়....এই ট্রেনিং করানো হয় যুদ্ধের ময়দানে মানুষ মারার জন্য....চশমা পরে কলেজে লেকচার দেয়ার জন্য নয়....বটি বা ছুরির সাথে খেলতে গেলে বটি বা ছুরির কিছুই কিন্তু হয়না.....ক্ষতি কিন্তু হাতেরই হয়..........
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আমাদের সবার সেনাসংক্রান্ত কিছু তিক্ত অভিগ্গতা রয়েছে....সেটা তার চেয়েও বেশি আমার রয়েছে সিভিল বিসি এস অফিসারদের কাছ থেকে.....যাদের টিকির নাগাল পাওয়াও আমাদের মত আমজনতার কাছে আকাশের চাঁদ পাওয়া.....আপনি গিয়ে দেখুন তো কোন মন্ত্রনালয়ে....অফিসারদের গরম টের পাবেন........
আর্মি অফিসাররা যেমন অন্য উচ্চ শিক্ষিত লোকেদের হেয় করে বলে আপনি মনে করেন, আমি এরকম অনেক সেনা অফিসারকে চিনি যারা সিভিল অফিসারদের কাছেও একই ব্যবহার পেয়েছেন.....ভাইরে...নিজের গায়ের গন্ধ কিন্তু পাওয়া যায়না.........
আর দেরী করার জন্য রোদের দিকে মুখ করিয়ে যদি দাঁড় করিয়ে রাখা অবশ্যই অন্যায়....হয়তো লঘু পাপে গুরু দন্ড হয়েছে.....কিন্তু বি আর টি এ, ওয়াসা, ডেসা ডেসকো এসমস্স্ত সেবা প্রতিষ্ঠান গুলির বিল জমার লাইনে যখন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়... বিসি এস এর ফর্ম জমা দেবার জন্য খোলা মাঠে ঘন্টার পর ঘন্টা যখন দাড়ানো লাগে....তখন কত জোহর আর মাগরিবের নামাজ কাজা হয় সেই হিসাব আমরা রাখি না......
শুধু ওদের খারাপগুলি দেখলেই আমাদের গায়ের রক্ত গরম হয়ে যায়, রোম দাঁড়িয়ে যায়....ভালো কাজগুলা দেখি না কেন ??
আমাদের স্বভাব আসলে পা চাটার.....রক্তের মধ্যে রয়েছে অন্যের ডান্ডা খাওয়ার আর তা খেয়ে চুপ থাকার........নইলে চারদিকে এত অনাচার আর শোষনের মাঝেও সেনাবাহিনী নিয়ে বিষোদগার করে লিখতে আমাদের কলম চলে.....আর সেই সময়ে আমাদের ফুলের মত পবিত্র সিভিল রাজনৈতিক নেতাদের কাজকর্ম আমাদের কাছে অনেক গ্রহনযোগ্য মনে হয়............তাদের নি্য়ে কিছু লিখতে আমাদের কিবোর্ড আর চলে না.....
তবে এখানেও দেখলাম এক ব্লগার কমেন্টে ব্লাডি আর্মি বল্লেন......বেশ ভালো...তার মানে আমরাও এখন এই কথা রপ্ত করে ফেললাম.....
যে যাই বলুক আর বলুন ভাই.........দেশ চালাতে না পারলে আর্মি ক্ষমতায় আসবেই......আগুন জ্বালানোর আগে সেই আগুন নিভানোর কায়দাটাও জেনে রাখা উচিত.........একই আগুন ব্যবহার করতে জানলে বন্ধু.....আর না জেনে শিশু সুলভ ভাবে খেলতে গেলে তা কিন্তু শুধু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখারই করে দেবে.......
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:০১
বীরবল007 বলেছেন: ভাই আমি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগারে লিপ্ত হয়নি।
আমি কিছু বাস্তবতা তুলে ধরেছি।এটি সেনাবাহিনীর নীতি নির্ধারণ ও সংশোধনের একটি উপলক্ষও হতে পারে।
তবে সময় করে আপনি যে যৌক্তিক মূল্যায়ন করেছেন এজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:০২
বীরবল007 বলেছেন: ভাই আমি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগারে লিপ্ত হয়নি।
আমি কিছু বাস্তবতা তুলে ধরেছি।এটি সেনাবাহিনীর নীতি নির্ধারণ ও সংশোধনের একটি উপলক্ষও হতে পারে।
তবে সময় করে আপনি যে যৌক্তিক মূল্যায়ন করেছেন এজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২৩| ১৯ শে মে, ২০১১ রাত ২:৩৪
ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: আর আপনার লেখাটির শিরোনাম দয়া করে বদলে দেবেন....."সেনাবাহিনীতে আমার" কথাটি দেখে আমার মনে হয়েছিলো প্রাক্তন কোন সেনা সদস্যের বিবৃতি/জীবনী মূলক কোন পোস্ট...
সঠিক হবে "সেনা সদস্যদের সংগে" .....
আপনি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ছিলেন, অবশ্যই আপনি আমার ধরিয়ে দেয়া ভূলটি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন
২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:০৮
বীরবল007 বলেছেন: আসলে শিরোনাম শিরোনামই।শিরোনাম বিষয় বস্তুর মূল কথা নয়। তবে যে শিরোনাম পাঠকের মনে বিষয়বস্তুর পড়ার বিষয়ে কৌতূহল জাগাতে পারে সে শিরোনামটিই সফল। তবে এক্ষেত্রে পাঠককে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই-আমি নিশ্চয় এমন কিছু করি নি।আপনি যেটি বলেছেন সেটি হলো,শিরোনামে শব্দের ব্যবহার নিয়ে।এটি আসলে শব্দ ব্যবহারের এক প্রকার কারিশমা। এটি নিশ্চয় খুব আপত্তিজনক কিছু নয়।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পরামর্শের জন্য।আশা করি আমার অন্য লেখাতেও আপনাকে পাবো।
২৪| ২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮
বীরবল007 বলেছেন: আমার এ লেখার মন্তব্যে অনেকে সেনাবাহিনীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কেউ বলেছেন ব্লাডি সেনাবাহিনী, কেউ বলেছেন, অমানুষ, বর্বর-যা অনাকাঙ্খিত। আমি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য এটি লেখিনি। আমি মূলত কতিপয সেনা সদস্যের আচরণের বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছি-যারা সেনাবাহিণীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনী। দেশের মানুষের আশা আকাঙক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। তাই যে কোন মূল্যে অটুট ও অক্ষণ্ন রাখতে হবে সেনাবাহিনীর মর্যাদা।দয়া করে কেউ ঢলাওভাবে সেনাবাহিনী বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করবেন না।
২৫| ২০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫০
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:
সেনাবাহিনীর সদস্যদের সে জন্য মাঠে ময়দানে, বনেজঙ্গলে অমানবিক প্রশিক্ষণে না পাঠিয়ে চার্চে ফাদারের কাছে পাঠানো উচিত যাতে সুন্দর সুন্দর কথা বলতে পারে এবং সুন্দর ব্যবহার শিখতে পারে। তাতে আমজনতা খুব খুশি হত, তাই না?
২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৮
বীরবল007 বলেছেন: সেনা সদস্যরাও তো মানুষ তাই না। সঠিক নির্দেশনায় তারাও নিশ্চয় আচরণের বিষয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।
অনেক ধন্যবাদ।
২৬| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
অনিক আহসান বলেছেন: একটা জিনিস বুঝতে হবে সেনা সদস্যদের ট্রেনিং দেয়া হয় যুদ্ধ করার জন্য...দিনের পর দিন ট্রেনিং এর মাধ্যমে সাধারন মানুষ হিসাবে এদের মধ্যেকার অনেক কিছু চিররতরে বদলে ফেলা হয়...কাজেই তাদের কাছে রোমান্টিক আচরন আপনি আশা করতে পারেন না...।
শুধু এইটুকু দাবী করতে পারেন যে তাদের ট্রেনিং একটা বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে যে তারা প্রজাতন্ত্রের জনগনের সেবক এবং জনগনের ট্যাক্সের টাকায় যেহেতু তাদের পালন করা হয় সেহেতু তাদের কাছ থেকে জনগন নুন্যতম সদব্যাবহার আশা করতে পারে ...।
২৭| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০
বীরবল007 বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আমরা নিশ্চয় এতটুকু আশা করতে পারি যে, তাদের ট্রেনিং একটা বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে যে তারা প্রজাতন্ত্রের জনগনের সেবক এবং জনগনের ট্যাক্সের টাকায় যেহেতু তাদের পালন করা হয় সেহেতু তাদের কাছ থেকে জনগন নুন্যতম সদব্যাবহার আশা করতে পারে ...।
২৮| ২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
বীরবল007 বলেছেন:
২৯| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:০৬
অবস্িকউর বলেছেন: ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: যার যে কাজ সেই কাজের বাইরে গেলেই বিপত্তি।
বার বার সিভিল সমাজের বিপর্যয়ের জন্যই সামরিক শাসন ফিরে ফিরে আসে.....কেন ? আপনার নিজের ভুলের জন্যই এরা এদের ব্যারাক ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে.....অসাবধানে পথ চলতে গিয়ে যদি ম্যানহোলে পড়েন.....সেটা ম্যানহোলের দোষ নয়.......দো্ষ আপনার আর যে চোর ঐ ঢাকনি চুরি করেছে তার...
সেনাবাহিনী আই ডি কার্ড এর কাজ গায়ে পড়ে নিজের কাধে তুলে নেয়নি....এটা তাদেরকে সিভিল সরকারের কাছ থেকেই দেয়া হয়েছিলো.....শুধু এটাই না....আরও অনেক কাজেই সেনাবাহিনীকে লাগানো হয় যেটা না না করলেও ওরা ওদের বেতন ভাতা পাবে.....
এখন প্রশ্ন হলো কেন এইভাবে সেনাবাহিনীকে বার বার ব্যরাক থেকে বের করা হচ্ছে ? বের করার পরে কি হয় আপনি আমি সবাই জানি.......কিন্তু বের করছে যারা....তাদের ১ টা পশমও কি টেনে তুলতে পারবেন ????
সামরিক ট্রেনিং সবার জন্য নয়....এই ট্রেনিং করানো হয় যুদ্ধের ময়দানে মানুষ মারার জন্য....চশমা পরে কলেজে লেকচার দেয়ার জন্য নয়....বটি বা ছুরির সাথে খেলতে গেলে বটি বা ছুরির কিছুই কিন্তু হয়না.....ক্ষতি কিন্তু হাতেরই হয়..........
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আমাদের সবার সেনাসংক্রান্ত কিছু তিক্ত অভিগ্গতা রয়েছে....সেটা তার চেয়েও বেশি আমার রয়েছে সিভিল বিসি এস অফিসারদের কাছ থেকে.....যাদের টিকির নাগাল পাওয়াও আমাদের মত আমজনতার কাছে আকাশের চাঁদ পাওয়া.....আপনি গিয়ে দেখুন তো কোন মন্ত্রনালয়ে....অফিসারদের গরম টের পাবেন........
আর্মি অফিসাররা যেমন অন্য উচ্চ শিক্ষিত লোকেদের হেয় করে বলে আপনি মনে করেন, আমি এরকম অনেক সেনা অফিসারকে চিনি যারা সিভিল অফিসারদের কাছেও একই ব্যবহার পেয়েছেন.....ভাইরে...নিজের গায়ের গন্ধ কিন্তু পাওয়া যায়না.........
আর দেরী করার জন্য রোদের দিকে মুখ করিয়ে যদি দাঁড় করিয়ে রাখা অবশ্যই অন্যায়....হয়তো লঘু পাপে গুরু দন্ড হয়েছে.....কিন্তু বি আর টি এ, ওয়াসা, ডেসা ডেসকো এসমস্স্ত সেবা প্রতিষ্ঠান গুলির বিল জমার লাইনে যখন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়... বিসি এস এর ফর্ম জমা দেবার জন্য খোলা মাঠে ঘন্টার পর ঘন্টা যখন দাড়ানো লাগে....তখন কত জোহর আর মাগরিবের নামাজ কাজা হয় সেই হিসাব আমরা রাখি না......
শুধু ওদের খারাপগুলি দেখলেই আমাদের গায়ের রক্ত গরম হয়ে যায়, রোম দাঁড়িয়ে যায়....ভালো কাজগুলা দেখি না কেন ??
আমাদের স্বভাব আসলে পা চাটার.....রক্তের মধ্যে রয়েছে অন্যের ডান্ডা খাওয়ার আর তা খেয়ে চুপ থাকার........নইলে চারদিকে এত অনাচার আর শোষনের মাঝেও সেনাবাহিনী নিয়ে বিষোদগার করে লিখতে আমাদের কলম চলে.....আর সেই সময়ে আমাদের ফুলের মত পবিত্র সিভিল রাজনৈতিক নেতাদের কাজকর্ম আমাদের কাছে অনেক গ্রহনযোগ্য মনে হয়............তাদের নি্য়ে কিছু লিখতে আমাদের কিবোর্ড আর চলে না.....
তবে এখানেও দেখলাম এক ব্লগার কমেন্টে ব্লাডি আর্মি বল্লেন......বেশ ভালো...তার মানে আমরাও এখন এই কথা রপ্ত করে ফেললাম.....
যে যাই বলুক আর বলুন ভাই.........দেশ চালাতে না পারলে আর্মি ক্ষমতায় আসবেই......আগুন জ্বালানোর আগে সেই আগুন নিভানোর কায়দাটাও জেনে রাখা উচিত.........একই আগুন ব্যবহার করতে জানলে বন্ধু.....আর না জেনে শিশু সুলভ ভাবে খেলতে গেলে তা কিন্তু শুধু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখারই করে দেবে.......
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকু
২১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১৫
বীরবল007 বলেছেন: দেখুন লেখালেখি যে কোন বিষয় নিয়েই হতে পারে। কেন? আপনি যে সব বিষয়ে বললেন সেসব বিষয়ে কি প্রতিদিন কম লেখালেখি হচ্ছে? সেনাবাহিনীর কিছু অসঙ্গতি নিয়ে লেখা কি মহাভারত অশুদ্ধতার শামিল?
মতামত প্রকাশের ব্যাপারে আমরা স্বাধীন । যে কোন অসঙ্গতি নিয়েই আমরা লিখতে পারি, তাই না?
৩০| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৩৮
বীরবল007 বলেছেন:
৩১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৮
স্বপ্নরাজ বলেছেন:
সেনাবাহিনী নিয়ে লেখার প্রথমে যে প্রশংসা করলেন সেটাও কি একটু ভয় থেকে না? লেখার পরের অংশটাকে ব্যলেন্স করার জন্য?
সেনাবাহিনীতে একটা মানুষ তার কৈশোর পেরুনের পরই ঢোকে। তাদের ট্রেনিংটাই হয় সারাজীবন ধরে যুদ্ধের। সেনাবাহিনী কোথায় লাগে? যখন শান্তি আলোচনা বন্ধ, হয় মারো নয় মর পরিস্থিতি তখন।
কাজেই সেনাদের এই রকম আচরন অস্বাভাবিক না।
অস্বাভাবিক হচ্ছে সাধারন আইন কানুন রক্ষায় দেশের ভেতরে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার। বিশ্বের সব দেশের সেনাবাহিনীই অন্য শত্রু দেশের বিরুদ্ধে অস্র ধরে, আর আমাদের দেশের সেনাবাহিনী অস্রটা ধরছে কার বিরুদ্ধে?
সমস্যাটা সেনাবাহিনীকে ব্যবহারে।
৩২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
দার্শনিক ফিনিক্স বলেছেন: যার যা কাজ,তার সেটাই করা উচিৎ.এর ব্যত্যয় ঘটলে এমনই হয়.
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৪৮
নীলতারা বলেছেন: আমাদের সেনা অফিসারেদের নাক উঁচু, নিজেদের উন্নত প্রজাতির ভাবটাই ওদের সব কাজই সাধারন মানুষ এখন আর ভালো চোখে দেখেনা।