![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে সময় তো ছিল শকুনের আমল । প্রকৃতির ঝাড়ুদার হচ্ছে শকুন । খুব দুর-অতীত তো নয় ।নব্বই দশকের কথা সিরাজগঞ্জ খোলা আকাশের দিকে তাঁকালে দেখা মিলতো দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো শকুন।
এক সময় সিরাজগঞ্জ সহ উওরাঞ্চলে সব জায়গাতে দেখা মিলতো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী শকুনের। শ্যেন দৃষ্টির নিভৃতবিলাসী এ প্রাণীটি এখন আর দেখা যায় না প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনো টিকে আছে বাংলা ও সরুঠোঁট প্রজাতির কিছু শকুন। জানা গেছে, নব্বই দশকে সিরাজগঞ্জের যমুনা ও করতোয়া নদীর উপরে আকাশ কালো করে দলবেঁধে আসতো শকুনের ঝাঁক।নদীতে ভেসে যাওয়া মরা গরু -ভেড়ার ওপর ভেসে চলতো ধূসর শকুন। আকাশে চক্কর দিতো শকুন-শকুনিরা। শকুক ৫-৭ কিলোমিটার পর্যন্ত উপরে উঠেও অত্যান্ত নিখুঁত ভাবে খাবারের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে । মানুষের শকুনের প্রতি নাক সিঁটকানো মনোভাব রয়েছে কিন্তু পচা-গলা মাংস খাওয়াসহ ভয়াবহ অনেক জীবাণু হজম করে ফেলে শকুন। শকুনের গলা, ঘাড় ও মাথায় কোনো পালক থাকে না। প্রশস্ত ডানায় ভর করে আকাশে ওড়ে। লোকচক্ষুর আড়ালে বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, ডুমুর ইত্যাদি বড় গাছে সাধারণত শকুন বাসা বাঁধে।
সুএে জানাযায়, বাংলাদেশে এর সংখ্যা তিন শর বেশি হবে না। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তান মিলে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। গত তিন দশকে উপমহাদেশে ৭৫ শতাংশ শকুন মারা গেছে। বিশ্বে ২৩ প্রজাতির শকুন রয়েছে। এর মধ্যে চার ধরনের পরিযায়ী শকুন বাংলাদেশে আসে। এগুলো হচ্ছে হিমালয় গৃধিনী, ইউরেশীয়, ধলা ও কালা শকুন। হিমালয় গৃধিনী ও ইউরেশীয় শকুন প্রায়ই আসে, আবার চলে যায়। গবেষকরা জানান, এ প্রাণী মৃত পশু-পাখি খেয়ে পরিবেশ দূষণ কমায়। একই সঙ্গে অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়ানোর হাত থেকেও পরিবেশকে রক্ষা করে। এ কারণে একে বলা হয় প্রকৃতির ঝাড়ুদার। দি র্বাড সেফটি হাউজের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা মামুন বিশ্বাস জানান,পাখিকুলের মধ্যে শকুন দীর্ঘজীবি। শকুনের গড় আয়ু একশ” বছর।বাংলা শকুনের ইংরেজি নাম হচ্ছে যিরঃব-ৎঁসঢ়বফ ঠঁষঃঁৎব ,বৈঞ্জানিক নাম এুঢ়ং ইবহমধষবহংরং ।গবাদি পশু ও কৃষি জমিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কিডনি নষ্ট হয়ে মারাও যাচ্ছে এসব শকুন। শুধু শকুন নয় কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে শকুনসহ অনেক প্রজাতির পাখিই হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।তিনি আরো বলেন ২০১০ সালে গবাদিপশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধের ব্যবহার সরকার নিষিদ্ধ করলেও প্রায় ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। শকুনের জন্য ক্ষতিকর কিটোপ্রোপিন ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানান ।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক সময়ে এ অঞ্চলে কয়েক প্রজাতির শকুন বসবাস করতো। কিন্তু ভারসাম্যহীন প্রকৃতিতে বর্তমানে শকুনের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। গবাদি পশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইকোফেনাক জাতীয় ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় শকুনের কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে এর বিলুপ্তি তরান্বিত হচ্ছে। শকুন, চিল, বাজ, ঈগল, পেঁচাসহ বৃহদাকার শিকারী ও মাংশাসী প্রজাতির পাখির খাদ্যাভাব, বাসা তৈরি, বসবাস ও প্রজননের জন্য প্রয়োজীনয় উঁচু ও পুরাতন বৃক্ষ নিধন, বন উজাড়, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টও পরিবেশবান্ধব শকুনের বিলুপ্তির প্রধান কারণ। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে , আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই দীর্ঘজীবি প্রাণিটিকে আর হয়তো বা চোখেই দেখবে না ।
মো:মামুন বিশ্বাস,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ
email:[email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
সৈয়দ সাইকোপ্যাথ তাহসিন বলেছেন: প্রায় ৭/৮ বছরের মধ্যে শকুন দেখি না ।