নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাখি প্রেমিকরা ঢু মারেন, ভাল না লাগলে মানি ব্যাক ....

পাখিদের দু’ভাগে ভাগ করা হয়। ওয়াইল্ড বার্ড (বন্য পাখি, যেমন- ময়না, টিয়া, দোয়েল ইত্যাদি); অন্যটি কেসবার্ড (খাঁচার পাখি, যেমন- ককাটেল, বাজরিগার, লাভবার্ড ইত্যাদি)। জ্ঞাতব্য, ওয়াইল্ড বার্ড বা বন্য পাখি ধরা/পালা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

Birds Lover

পাখি পালন বাল্যকাল থেকেই আমার শখ। এবং শখের বশেই শুরু। যদিও তা বর্তমানে পেশায় রুপায়িত হয়েছে। পাখি পালন সম্পর্কিত কোন বিষয়ে পরামর্শ চাইলে আমাকে মেইল করুন - [email protected]

Birds Lover › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের জাতীয় পাখি "দোয়েল" বিলুপ্তির পথে

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫০

পাখি ঢাকা আমাদের এই বাংলাদেশ। একদিকে যেমন বনজঙ্গল, আর গাছ পালায় ভরা। প্রত্যুষে পাখি ডাকে যেমন এদেশের মানুষের ঘুম ভাঙ্গে, তেমনি সন্ধ্যায় পাখির কলরব স্তব্ধ হবার আগেই মানুষ ঘরে ফিরে আসে। এদেশে বিলে-ঝিলে , ঝোপে-ঝাড়ে, গাছের ডালে নানা রকমের অসংখ্য পাখি বাস করে। প্রত্যুষে যে পাখির একটানা ডাকে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায় সে পাখিটি হচ্ছে জাতীয় পাখি দোয়েল। কালো আর সাদা রঙ্গের ছোট পাখিটি আমাদের ঘরের পাশের ঝোপেই দেখতে পাওয়া যায়। যে পাখির সাথে আমাদের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য স্মৃতি জড়িত রয়েছে। পাখিটি সন্ধ্যায় মুয়াজ্জিনের আযানের সাথে সুর মিলিয়ে আযানের সুমধুর ধ্বনির প্রতিদ্বনী সৃষ্টি করে। মুরুব্বীরা বলতেন, গাছের ডালে বসে নামাজে রত হয়। ছোট বেলায় বাবা-মা আমাদের প্রথম পড়া বইয়ে বারবার পড়িয়ে মুখস্ত করে দিয়েছিল। আমাদের জাতীয় পাখির নাম দোয়েল। কিন্তু র্দূভাগ্যের বিষয় এ হাজার বছরের পরিচিত পাখি দোয়েল কালের পরিক্রমায় আজ বিলুপ্তির পথে। এ পাখির চি চি শব্দ এখন আর কানে শোনা যায় না বললেই চলে। বাঁশ গাছে, নারিকেল গাছে, সজিনা গাছে, বাড়ির ছাদে যে পাখি সবসময় দেখা যেত, সে পাখি আগের মত চোখে পড়ে না। আমাদের দেশে পরিচিত পাখির মধ্যে ময়না, টিয়ে, ঘুঘু, গোলাপী ঘুঘু, বক, শালিক চড়ই, কোকিল, কবুতর, মাছরাঙ্গা ইত্যাদি পাখি শহর, গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে দেখা মেললেও আমাদের দেশের জাতীয় পাখি দোয়েল তেমন একটা চোখে পড়ে না। এর কারন হিসেবে জানা গেছে, জলবায়ুর পরিবর্তন, ক্রমান্বয়ে অপরিকল্পিত আবাসস্থল সৃষ্টি, বে-আইনী শিকার, শিকারোত্তর চোরাচালান, যত্রতত্র কীট নাশক প্রয়োগ, বিদেশী আগ্রাসনসহ বিভিন্ন কারনে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পাখি দোয়েল। সচেতন ও অভিজ্ঞ মহল জানায়, শিকারীরা অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করে বন্যপ্রাণী ও পক্ষিকুল হত্যা করছে। সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সরকার ১৯৬১ সালে গঠিত বন্যপ্রাণী তহবিল সমতল ভূমির বনের অবলুপ্ত রক্ষার্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়নি বলে অনেকাংশে এর জন্য দায়ী। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে বন্য প্রাণী সংরক্ষনে বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবন করে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইন, নির্ধারিত বনাঞ্চল সৃষ্টি, উদ্যান প্রতিষ্টা, শিকার সংরক্ষিত এলাকা সৃষ্টি, বন্যপ্রাণী নিবাস এবং বিনোদন পার্ক স্থাপন। সচেতন মহলের অভিমত, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকারের উচিৎ আইন প্রণয়ন করে পাখি শিকারের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ জোরদার করা, সরকারী-বেসরকারীভাবে পক্ষীকুল সংরক্ষনের উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। তা না হলে এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে এদেশের বন্যপ্রাণী ও ইতিহাস ঐতিহ্য স্মৃতি জড়িত দোয়েলের মত পাখি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: দোয়েল পাখি খুব প্রিয় একটা পাখি। হারিয়ে গেলে খুব খুব খুব কষ্ট পাবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.