![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথে পথে কুড়িয়ে নেই অভিজ্ঞতা
নাটক-চলচ্চিত্রের প্রতি আমার একটু বেশি দূর্বলতা আছে । জীবনে অনেক নটক, চলচ্চিত্র দেখেছি । যখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি । তখন রোযার ঈদে প্রথম চলচ্চিত্র দেখি ফেনী'র দুলাল সিনেমাহলে গিয়ে । বানিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র । তখন প্রয়াত নায়ক মান্নার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী । ছবির নাম হলো রুস্তম । সেই থেকে এখনও পর্যন্ত সিনেমা হলে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখি । তবে আগের মতোন বানিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র দেখিনা । আমার কাছে শৈল্পিকছোঁয়া চলচ্চিত্রগুলো ভীষণ প্রিয় । জীবন গনিষ্ঠ, সমাজ-রাষ্ট্র, ভিন্ন ধারার, ভিন্ন স্বাদের গল্প হলে সিনেমাহলে গিয়ে সিনেমা দেখি । মনে পড়ে একদিনে দুইটা চলচ্চিত্রও দেখেছি ফেনীর সিনেমাহল গুলোতে । কলেজে থাকতে প্রতি সপ্তাহে চলে যেতাম সিনেমা দেখতে, বন্ধুদের নিয়ে । যদি রাত হতো তাহলে হোষ্টেলে প্রবেশ করতে যে কি কষ্ট হতো তা বলাই বাহুল্য । তাঁরকাটার ফাঁক দিয়ে অথবা টপকিয়ে তারপর হোষ্টেলে প্রবেশ করতে হতো । ঢাকায় আসার পরতো সিনেমাহলগুলোর সাথে আমার এক ধরনের গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে । অভিসার, বলাকাতেই সবচেয়ে বেশি সিনেমা দেখা হয়েছে । মধুমিতা, স্টার সিনেকমপ্লেক্সও দেখা হয়েছে । ঢাকায় সর্বপ্রথম সিনেমা দেখি সালাহউদ্দিন লাভলু পরিচালিত "মোল্লাবাড়ীর বৌউ", মধুমিতা সিনেমাহলে । আর নবমশ্রেণিতে থাকাকালীন চট্টগ্রামের আকাশ সিনেমাহলে দেখি "মনের মাঝে তুমি"
তো সিনেমার নায়িকাদের সাথে কতো দিন-রাত যে কাটিয়েছি স্বপ্নে, ঘর বেঁধেছি, ঘর ভেঙ্গেছি আরো কতো কি । যাহোক, তারপর থেকে যতো সিনেমা দেখেছি তার বেশিরভাগই আমার ফুফাতো ভাই মামুনের সাথে দেখা । আর বলতে গেলে, নাটকতো প্রায় প্রতিদিনই দেখি ।এভাবে নাটক-চলচ্চিত্র দেখতে দেখতে নাটক-চলচ্চিত্র নিমার্ণের প্রতি আমার খুব প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে গেছে, বলা যায় তীব্র ঝোঁক। ইচ্ছা আছে, ভবিষ্যতে নাটক-সিনেমাপাড়ায় নাম লেখানোর । সেই মোতাবেক সত্যজিৎরায়, ঋত্বিক ঘটক, উত্তম-সুচিত্রা, রাজ্জাক-কবরীসহ বেদিশী সিনেমাগুলো দেখা হচ্ছে ।ভাবছি, নাটক-চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কিত কিছু বই কিনবো.......
৫/৩/১৫, ঢাকা ।
©somewhere in net ltd.