![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথে পথে কুড়িয়ে নেই অভিজ্ঞতা
চুপ করে আর থাকতে পারছিনা । যখন বিষয়টা আমার প্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান সম্পর্কিত । টেলিভিশন নাটকগুলোতে যখন গৎবাধা হাসির মাল-মশলা দিয়ে বানানো নাটক নিয়ে হৈ চৈ ঠিক এর বিপরীত মেরুতে হেটেঁছিলেন জয়া আহসান । ভিন্নমাত্রার নাটক-সিনেমাতে নিজেকে শতভাগ তুলে ধরেছেন জয়া আহসান । মাটি আর জয়া আহসান মিশে একাকার । মাটির মতোনই কারিগর যেভাবে চেয়েছিলেন জয়া আহসানকে ঠিক সেভাবেই নিজেকে শৈল্পিকরুপে মেলে ধরেন জয়া আহসান । ”রাজকাহিনী “ চলচ্চিত্রের যে দৃশ্যে নিয়ে আপত্তি তুলে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে তা কোন সমালোচনার মধ্যেই পরেনা । গল্পের প্রয়োজনে একজন অভিনেত্রী তার সেরা শিল্পকর্ম উপহার দিবেন তাইতো স্বাভাবিক । যেইসব ব্যক্তি সমালোচনা করছেন তারা অরুচি-কুরুচি বস্তাপচা বা চৌধুরীমার্কা সিনমা দেখতে অভ্যস্ত । আমাদের দেশের টপ হিরো শাকিব খানও জয়া আহসানের সমালোচনা করেছেন দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন পোর্টালে মারফত জানতে পারলাম অথচ তার নিজের কর্মের দিকে একবারও কি ফিরে তাকিয়েছিলেন শাকিব ! । আমি হলফ করে বলতে পারি যখন সিনেমা হলগুলোতে রমরমা শরীর গরমকরা সিনেমা চলতো সেই সিনেমাগুলোর নায়কও তিনি ছিলেন আর অশ্লীল চলচ্চিত্রগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কাটপিস দিয়ে দর্শকদের শিষ দিয়ে সিনেমাহল গরম হতো সেই ধরনের চলচ্চিত্রওতো করতো তিনি । যদি তুলনা করি প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি বিষয়ে । তাহলে বলবো শাকিব খান, জয়া আহসানের প্রাপ্তির ধারে কাছেও ঘেষতে পারেন নাই । যে দৃশ্য নিয়ে এত কথা, শাকিব খানের অন্ধকার জামানার সিনেমাগুলো ঘেটে দেখলে তা ভুরি ভুরি পাওয়া যাবে । একজন শিল্পীর কাজ কি ! সে সম্পর্কে ঐসব চৌধুরীমার্কা টাইপের দর্শক-নায়কেরা কি কখনো অনুধাবন করতে পেরেছে !
যদি সত্যি সত্যি অনুধাবন করতে পারে যে শিল্প ও শিল্পী কি ! তা যদি সামান্যও বুঝতে পারেন তাহলে নিশ্চয় এমন রুচিশীল অভিনেত্রীর সম্পর্কে বাজে জগাখিচুড়ি মার্কা সমালোচনা করতে পারতো না । কাহিনীর চরিত্রায়নের প্রয়োজনে বিদ্যবালান, পাওলি দাম, স্বস্তিকা, পার্নোমিত্র, ঋ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ইত্যাদি আরও অনেকের নাম বলা যাবে যারা নষ্টমানুষ ও তাদের চিন্তাচেতনার বিপরীতে সকল নষ্ট সমাজের বাধা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে এখনো নিজেদের শিল্পকর্ম করে যাচ্ছেন । জয়া আহসান গেরিলা, ডুবসাঁতার সিনেমা এবং অসংখ্য শিল্পমানসম্মত নাটকের মধ্য দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন । প্রিয় জয়া আহসান, আপনার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি । ভবিষ্যতে আরও সৃজনশীল কাজ দেখতে চাই......
১২/১১/১৫, ঢাকা ।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
আজিজার বলেছেন: সৃজনশীল কাজ বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন ?
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
টি এম মাজাহর বলেছেন: ভাই, উপমহাদেশ তথা কলকাতার ছবি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এখনও সবচেয়ে প্রিয় সেটা বুদ্ধিজীবি লেভেলই হোক কি নিন্মবিত্ত লেভেলেই হোক। তার চেয়ে বড় কথা সম্ভবত উপমহাদেশের চলচ্চিত্র চর্চার নাটাই টা এখন কলকাতার হাতে। হালের সবচেয়ে ভালো গান অথবা ভালো মুভিটি (সেটা বানিজ্যিক ই হোক কি আর্ট ফিল্ম ই হোক) কলকাতা থেকেই আসছে।
"গল্পের প্রয়োজনে একজন অভিনেত্রী তার সেরা শিল্পকর্ম উপহার দিবেন" তাতে কোন সন্দেহ নাই কিন্তু আর্ট ফিল্মের নামে পর্ণোগ্রাফি কিন্তু গ্রহনযোগ্য না। বারবণিতার কাজকর্ম বোঝানোর জন্য যে নির্দিষ্ট অঙ্গ পুরোপুরি দেখাতে হয়, এবং নির্দিষ্ট জায়গায় হাত নিতে হয়- এদিব্যি কোথায় পাওয়া গেছে? পর্ণোগ্রাফি ছাড়া এ জাতীয় দৃশ্য চিত্রায়ন কিন্তু শিল্পের কথা বলে না। কলকাতার ছবিতে এর চেয়েও গভীর প্রেমের কিংবা মিলন দৃশ্য চিত্রায়ন হয়েছে ( উদাহরণ- চোখের বালি, অন্তরমহল), কিন্তু দৃশ্যায়ন ছিলো শৈল্পিক , প্রাসঙ্গিক এবং কাহিনীর প্রয়োজনের সাথে মানানসই। অতিমাত্রায় বিকৃত রুচির না হলে জয়ার এই রকম দৃশ্যায়ন প্রশংসা করার কোন কারণ নাই (অবশ্য কেউ যদি পর্ণোগ্রাফির সাথে তুলনা করেন, তাহলে দৃশ্যটি মার্জিত বলেই মানতে হবে !) যা হোক, কি শিল্প কি কাহিনী কোনভাবেই এই অভিনয় মোটেও প্রাসঙ্গিক ছিলো না।
জয়া আমাদের গর্ব বলেই আমাদের মনের খারাপ লাগা থেকেই কথাগুলো বলা। জয়া কে পচানোর জন্যেও কেউ বলে না, নিজের দেশের বদনাম হোক এটা কেউ ই চায় না রে ভা্ই।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
সুমন কর বলেছেন: জয়া আহসান গেরিলা, ডুবসাঁতার সিনেমা এবং অসংখ্য শিল্পমানসম্মত নাটকের মধ্য দিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন । প্রিয় জয়া আহসান, আপনার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি । ভবিষ্যতে আরও সৃজনশীল কাজ দেখতে চাই......
সহমত।
ভিন্নধারার চরিত্রের প্রয়োজন হলে সবাই, জয়ার কাছেই ছুটে যেত এবং সেটা অন্য কেউ এতো সুন্দরভাবে করতে পারতো না।