নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা: বেসরকারি কর্মকর্তা, সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। জন্ম: কুমিল্লা, চৌদ্দগ্রাম, বাংলাদেশ ।

বিষাদ আব্দুল্লাহ

পথে পথে কুড়িয়ে নেই অভিজ্ঞতা

বিষাদ আব্দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়কে সড়কে ফুল (পর্ব ১)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০০


রাস্তা দিয়ে যখন হেঁটে যাই যখন মুখে শ্লোগান হাতে পোস্টার নিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের রাজপথে হাঁটতে দেখি তখন মনে হচ্ছিল শুধু এককানে শুনছি সুকান্ত আর অন্যকানে নজরুলের কবিতা। কি ভাস্বর ! কি উজ্জ্বল ! কি দীপ্ত আর সতেজ দেখায় নিষ্পাপ মুখগুলো। সমগ্র দেশের কিশোর কিশোরী শিক্ষার্থীরা সড়কে খুনিদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠছে, হয়েছে সোচ্চার। তাদের কাণ্ডারি কে! কেউ নয়, কোন রাজনৈতিক নেতা নয়, নয় কোন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তারা এ দেশের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমার ছোট ভাই-বোন। যাদের দেখে মনেহয়, পথ হারায়নি এ দেশ, হারাবে না কোনদিন। কারণ আমাদের আছে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, নবারুণ, মাস্টার দা সূর্যসেন, প্রীতিলতা, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, বঙ্গবন্ধু ফলে এদেশ কোনদিন মাথা নোয়াবার নয়। এটা নিশ্চিত বুঝে গেছি। আমাদের নতুন প্রজন্ম সঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করতে জানে। তারা জানে কিভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়, অসংগঠিত হয়েও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে আন্দেলন গড়ে তুলতে হয়। কিভাবে ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে হয়, কিভাবে একটি রুগ্ন রাষ্ট্রকে ভেঙেচুরে নতুন রুপে জন্ম দিতে হয়। গত ২৯ জুলাই দিয়া আর করিমকে সড়ক দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে খুন করার পর এদেশের মানুষের বিবেকের দ্বার প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু কেন ? লাশের বিনিময়ে কেন আমাদের বিবেকের দ্বার উন্মুক্ত হতে হবে ? এর আগে কেন নয় ? দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কি আমাদের জ্বলে ওঠতে হবে ? আগে কেন নয়! এ প্রশ্নগুলোকে এড়িয়ে চলে যেতে চাই রাজপথে যেখানে আমার ভাইবোনরা রাষ্ট্র বির্নিমাণের কাজে নিজেদের সতেজ প্রস্ফুটিত প্রাণের দাবি নিয়ে সড়কে সড়কে ফুল বিলিয়ে দিচ্ছে। তথাকথিত পেটি বুর্জোয়া বামরা যখন নিজেদের কমরেড বলে সম্ববোধন করে তখন আমার এসব ছাত্র-ছাত্রীদের কমরেড বলে সম্ববোধন করতে ইচ্ছে করে ! হাজার-হাজার বিপ্লবীগণ তোমাদের লাল সেলাম। মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানাই তোমাদের। গত ২৯ জুলাই থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও একমাত্র দৃষ্টন্ত-প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তারা রাস্তা নেমে অভূতপূর্ব দৃষ্টিনন্দন রাজধানীর টিজার দেখিয়ে দিলো। দেশের রাজনীতিবিদসহ আইন-শ্ঙ্খৃলা বাহিনীর তথা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলতে দেখেছি, এসব কোমলবতি শিক্ষার্থীরা তাদের চোখ খুলে দিয়েছে, বিবেকের দ্বার উন্মোচিত করেছে। যখন রাষ্ট্রের এসব কর্তাব্যাক্তিদের মুখে বিস্ময়কর কথা শুনছি তখন স্বভাবতই একটা প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি হালের রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিবেক ঘুমিয়ে ছিল এতদিন ? কিভাবে এই দেশকে রাঙাতে হয়, সাজাতে হয়, ভালোবাসতে হয়, এই দেশ কিভাবে চলছিল আর এখন কিভাবে চলছে তার একটা বিস্মিত সৌন্দর্যমাখা ভূআলোড়ন করা চিত্র দেখিয়ে দিয়েছে রাজপথ ছড়ানো বেদনা বয়ে বেড়ানো বীর শিক্ষার্থীরা। যে কাজটি আমাদের স্বাধীনতা পরবতী( বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণের পর) রাজনৈতিক নেতারা করতে পারে নি, পারে নি কোন সরকার সেসব কাজ করে দেখিয়েছে আমাদের উত্তর প্রজন্ম, আমাদের ছোট ভাই বোনরা। তারা শুধু রাজধানীর রাস্তঘাট কার্যত অচলই করেন নি সচলও করেছে। রাষ্ট্রের ভিত নাড়া দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে দেশ এভাবে চলে না, এভাবে চলতে পারে না। একটি স্বাধীন দেশ চলবে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে।

বিষাদ আব্দুল্লাহ
১৮.০৮.২০১৮

বিষাদ আব্দুল্লাহ’র অন্যান্য লেখা পড়তে এ লিংকে ক্লিক করুন

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: যদি তুমি ভয় পাও , তবে তুমি শেষ
যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ।

এরাই বাংলাদেশ। সময়ের সাথে সাথে একদিন সবাইকেই চলে যেতে হয়। কিন্তু রয়ে যায় মানুষের কর্ম। এই ছাত্রদের আজীবন ঠাই হবে মানুষের হ্রদয়ে এবং কুৎসিত মনুষ্যদর্শন রাজনীতিবিদদের নাম স্মরণ করা হবে সর্বোচ্চ ঘৃন্য গালি দিয়ে।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা হলো - যে জিজ্ঞাসা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলে, জেগে উঠেছ কোন উত্তর নিয়ে?

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পড়লুম। আন্দোলনটা বোধহয় শীতনিদ্রাতেই চলে গেল।

লেখাটা কয়েকটা প্যারায় দিলে ভালো হয়। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.