![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথে পথে কুড়িয়ে নেই অভিজ্ঞতা
বৃষ্টির হামলার শিকার হয়ে কিছুক্ষণ আগে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরলাম । সাতরাস্তা মোড়ে ট্রাফিক জ্যামের ছোবল থেকে বাঁচার জন্য যখন পায়ে হেটেঁ রাওয়ানা দিলাম ক্ষণিকালয়ে উদ্দেশ্যে, রেললাইন হয়ে । তখন বৃষ্টির হিসাববিহীন সৈন্য সামন্ত নিয়ে আমাকে হামলা করার জন্য তেড়ে আসছেন । বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিলাম একটা চায়ের দোকানে সেখান থেকে আবার আরেক চায়ের দোকানে সর্বশেষ হামলার শিকার হয়ে ফের অন্য একটি চায়ের দোকানে ঠাঁয় নিলাম । আর শরীরের ভিতরে ক্ষুধা তীব্রভাবে নাড়া চাড়া দিয়ে ওঠলো । মহাখালী থেকেই বন্ধু লিটন-মিন্টুর সাথে পুরি খেয়ে আমার দৌড় শুরু, কখনো বাসে আবার পায়ে হেঁটে । যাহোক দুই নাম্বার চায়ের দোকানে যখন আশ্রয় নিলাম আমার পাশে একজন বয়্স্ক লোক দাঁড়িয়ে আছে । দোকান থেকে বাহিরে দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই দেখি এক তরুণী বৃষ্টির হামলা সহ্য করে সাইকেল চালিয়ে তাঁর নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছেন । আমার পাশে থাকা বয়স্ক লোকটি তখন বলে ওঠলোঃ
‘আগে দেখেছি মটর সাইকেলে (সম্ভবত স্কুটারের কথা বুঝাতে চেয়েছিলেন ) আর এখন সাইকেল । দেশটা ইহুদী-নাসারা হয়ে যাইতেছে আস্তে-আস্তে’................
বয়স্ক লোকটির মন্তব্যটি পুরোপুরি উল্লেখ করতে না পারলেও‘দেশটা ইহুদী-নাসারা হয়ে যাইতেছে আস্তে-আস্তে’ এইকথাটি বুঝতে মোটেও অসুবিধা হয়নি । এই বয়স্ক লোকটির মন্তব্য শোনে মনে হলো, এই দেশ নারীদের জন্য উপযু্ক্ত নয় । তাহলে কি এই দেশে নারী হয়ে জন্ম নেয়াই অভিশাপ !
০৯.০৯.২০১৫, ঢাকা।
২.
গতকাল শনিবার বিকালের দিকে চায়ের দোকানের বসে চা-নাস্তা করতেছিলাম। সিগারেট প্রসঙ্গে এক ভ্যান চালক ভাই অবাক বিস্ময়ে দোকানে বসা সবার উদ্দেশ্যে বলছে, মেয়েরা সিগারেট পান করে, তাদের কারণে নাকি বেনসন সিগারেটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উপস্থিত সকলে বিভিন্ন মতামত দিচ্ছে। আমি বসে শুনছিলাম তাদের বিভিন্ন মতামত। দেখলাম, ভ্যান চালক ভাইটার হাতে সিগারেট। তিনি সিগারেট পান করছে আর মেয়েরা কেন সিগারেট পান করে এ নিয়ে নেতিবাচক চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে । এবং তার সাথে ঘটে যাওয়া একটা গল্পও সবাইকে শোনালেন যে কি পরিমাণ সিগারেট পান করে মেয়েরা। সিগারেট পান করা স্বাস্থের পক্ষে ভয়ানক ক্ষতিকর । তবুও মানুষ জেনেশুনে বিষপান করেই চলেছে। কিন্তু এমন কোথাও কি বিধান আছে শুধু পুরুষ ধূমপান করবে, নারী নয়। ভ্যান চালক ভাইটার দৃষ্টিভঙ্গি এমন, সিগারেট পুরুষমানুষ পান করলে দোষের কিছু না, কিন্তু নারী পান করলে দোষের। পুরুষ সিগারেট পান করলে ক্ষতি আর নারী পান করলে ক্ষতি না ? এ মন-মানসিকতার বদল আমাদের কবে ঘটবে ? সিগারেট অবশ্যই ক্ষতিকর, নারী-পুরুষ সকলেই ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত। কিন্তু পুরুষ সিগারেট পান করলে সমস্যা না, নারী সিগারেট পান করলে সমস্যা এমন ধরনের মানসিকতা কি লিঙ্গ বৈষম্যের স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ নয় কি ! এ ধরনের পশ্চাপদ মানসিকতা থেকে আমাদের অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে। যা কিছু মানুষের জন্য ক্ষতি তার বিপক্ষে আওয়াজ তুলতে হবে। নারী বা পুরুষ বলে নয়। যা কিছু নেতিবাচক তার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্ছার হতে হবে। নারী-পুরুষ নয় আমরা মানুষ এমন চিন্তাই বদলে দিতে পুরো দেশ।
০৯.০৯.২০১৮, রবিবার, ঢাকা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫
বিষাদ আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মতামত প্রকাশের জন্য।
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভ্যান চালক আপনার থেকে বেশী জ্ঞানী মানুষ; সে বলেনি যে, ধুমপান ভালো; সে মেয়েদের ধুমপানের বিপক্ষে অবস্হান নিয়েছে; সে ধুমপায়ী হয়েও, কমপক্ষে নারীরা ভালো থাকুক সেটা চাচ্ছে; আপনি ভ্যান চালনা শুরু করুন।
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার বাংলার অবস্থাতো ভয়াবহ
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫
বিষাদ আব্দুল্লাহ বলেছেন: কি বুঝাতে চেয়েছেন, পরিস্কার করে বলুন...
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
আখেনাটেন বলেছেন: লিঙ্গ বৈষম্য এ দেশে এখনও ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে।
তবে সময়ের সাথে সাথে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এটা মানতে হবে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৬
বিষাদ আব্দুল্লাহ বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: পোস্ট পড়লাম সাথে কমেন্টগুলোও, কিছু নৈতিকতার ব্যপারে জানতে পারলাম।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৬
বিষাদ আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ...
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুইডেনে একটা মেয়েকে কটুকথা বা ফেসবুকে নিজের ইয়ে ছবি দিলেও সেটা ধর্ষন সংক্রান্ত কেস হয়ে যায় আর বর্বর মুসলমানদের দেশে ধর্ষন হবার পর ধর্ষিতাকে ৪ জন সাক্ষ্মী যোগাড় করে আনতে বর্বর ইসলামী শরীয়াহর মধ্যযুগীয় হুদুদ আইনে নিলে উল্টো সে ব্যাভিচারের দায়ে দোররা খাবে।
এটা অবশ্য বর্বর জঙ্গি মুসলমানরা বলে না। তারা শুধু আ সরকারী হিসাবটাই দেখে। জঙ্গি মুসলমানদের চিন্তা ভাবনা বড়ই হাস্যকর
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বুইড়া বলে - "দ্যাসটা ইহুদি-নাসারাদের দ্যাস হইতে আর বাকি নাই"
বুইড়া এত কতা কয়!
হুনছিলাম দেশে নাকি বাক স্বাধীনতা নেই।
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: একান্ত আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায় একটা মন্তব্য।
প্রথমে আসি বুড়ার কথায়, "দ্যাসটা ইহুদি-নাসারাদের দ্যাস হইতে আর বাকি নাই" ইহাকে আমাদের মুসলমান সমাজের একটি মুদ্রাদোষ বলা চলে। তাহারা ইহুদি- নাসারাদের সকল জিনিস ক্রয়-বিক্রয়-ব্যবহার করতে রাজি কিন্তু তাহাদের গালি দেয়া ছাড়তে নারাজ। আধুনিক বিজ্ঞানে কতটুকু ইহুদি নাসারাদের অবদান আর কতটুকু আমাদের বাঙ্গালী জাতির অবদান তাহা বিবেচনা করবার শক্তি তাহাদের নাই। তাহাদের আবার বিজ্ঞানে চুলকানী। তাহারা বিজ্ঞানের সুবিধা ভোগ করবে কিন্তু কৃতজ্ঞতা দেখাবে না
নারীদের স্বাধিনতা না দিয়ে নারিদের ন্যায্য সুযোগ প্রদানে মনযোগ প্রদান করা উচিত। কথায় একথায় এদেশ নিয়ে প্রশ্ন না তুলে একটু পশ্চিমে তাকাবেন। নারীদের স্বাধিনতা দিয়ে একদিকে যেমন তাহারা শীর্ষে তেমনি নারীদের মর্যাদা হ্রাস/ধর্ষণেও তাহারা শীর্ষে। প্রকৃতির কিছু সুষ্ঠ নিয়ম আছে। আর এই প্রকৃতির কোন কিছুর বৈশিষ্ট্যই সমান নয়। নারী-পুরুষের শারিরীক গঠনেও যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনি মানসিক গঠনেও পার্থক্য রয়েছে। তাই পুরুষ মানুষ যা যা করবে তাই তাই নারীদের করাটাও বোকামি আবার নারীরা যা যা করতে পারে তা পুরুষের করতে যাওটাও বোকামি।
আর কথায় কথায় নারীদের স্বাধিনতা দেবার কথা বলে নারীদের পন্য বানানো বন্ধ করুন। মধ্যযুগে নারীদের খ্যাঁত স্টাইলে পন্য বানানো হয়েছে আর বর্তমানে স্মার্টলি স্বাধিনতা দেবার নামে পন্য বানানো হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, সিনেমাতে কোন মডেল খোলামেলা ভাবে নাচ গানে লিপ্ত থাকলে আধুনিক মিডিয়াতে বলা হয় সাহসী নারী। কিন্তু সিনেমা হলে টকা ঢেলে কিন্তু সেই খোলামেলা দৃশ্যে যৌন সুড়সুড়ি সূচক বিনোদন নেয়াটা কি নারীদের পন্য বানানো নয়? একই কথা রাস্তা ঘাটেও খাটে।
নারীরা অনেক সম্মানিত একটা জাতি, তাদের ৫০% ভেবে স্বাধিনতা দিয়ে খোলামেলা ভাবে রাস্তায় না নামিয়ে মা হিসাবে স্মমান দিতে শিখুন। তাদের ন্যায্য সুযোগ কিভাবে শতভাগ প্রদান করা যায় সেইটা নিয়ে মাতামাতি করুন।
আর শেষে বলি ওই বুড় মানুষটার মত মানসিকতা (যদিও ইহুদি-নাসারা বলে উদাহরণ টানা তাকে অন্যায় মনে করি) এখনো আমাদের দেশে টিকে আছে বলে আজ বাংলাদেশ ধর্ষণে শীর্ষে উঠেনি।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫১
রিফাত হোসেন বলেছেন: সংস্কৃতি বলে একটা কথা রয়েছে। তবে আমার কোন সমস্যা নাই। সাইকেল নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে চালিয়ে যাওয়া বোকামি তা ছেলে হলেও। মেয়ে হলে পোষাকের কথা চিন্তা করে হলেও কোথাও থেমে আশ্রয় নেওয়া উচিত ছিল, বৃষ্টি থামা পর্যন্ত।
ইহুদি নাসারার কথা ধরে লাভ নাই। তারা ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের থেকে ভাল আছে। ঐ মানুষ পৃথিবী দেখে নাই। ১৯৭১ সালে পাকি মুসলিমরা যে একটা আদর করে দিল!
আপনার প্রতিবাদ করা বা কমপক্ষে কিছু বলা দরকার ছিল তখন। জানিনা করেছেন কিনা। তবে চাদগাজী সাহেব যথার্থ বলেছেন।
১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বেশির ভাগ বাঙ্গালীদের মন মনাসিকতা নোংরা।
১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: উদাসী স্বপ্নের কমেন্ট থাকে, আর আমার টা ডিলেট হয় । আমি কি কাউকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করেছি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯
শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: বস, কথায় কথায় এদেশের ভুল না ধরলেই কি নয়? যে সব দেশে মেয়েরা নিজেদের স্বাধীন মনে করে, সে সব দেশেও কিন্তু মেয়েরা আজেবাজে কথার স্বীকার হয়। এমন নয় যে সে দেশে মাত্রা কম; সে দেশ গুলিতে বরং মাত্রা বেশী! কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে কেউ গায়ে লাগায় না।

আমারই এক বান্ধবী সুইডেনে গিয়ে বেশ হম্ভিতম্ভি যে এখানে মেয়েরা কত স্বাধীন ভাবে ঘুরে, কত সুবিধা, কত নিরাপত্তা। কিন্তু তাদের দেশের রিপোর্টেই বলছে তারা পৃথীবিতে ধর্ষণে ৩য় স্থানে। আমার বান্ধবীটি ততদিন বিষয়টা মানতে নারাজ ছিলো, যতদিন সে নিজে বিপদে না পড়েছে। এ দেশে তো তাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে মানুষ ফেসবুকে দু-চার কথা বলতে জায়গা পায়, ও দেশে কিন্তু মানুষ পুলিশে রিপোর্টও করতে যায় না তেমন!
সিগারেটের স্বাধ কেমন কখনও চেখে দেখা দূরে থাক, সিগারেট খায় এমন কারও সাথে তেমন ভালো বন্ধুত্বও করি নাই কখনও। আমি উভয় নারী ও পুরুষের সিগারেট খাওয়াকে চরম খারাপ দৃষ্টিতে দেখি। তবে রাস্তায় যখন একটা ছেলেকে এবং একটা মেয়েকে সিগারেট খেতে দেখি, আমার কাছে মেয়ের খাওয়াটা দৃষ্টি কটু কেন লাগে জানেন? আপনি জানেন না; কারণ আপনি নারীদের সেই চোখে দেখেন না।
আমার চোখে নারীরা মা, বোন, নানী, দাদী, মামী, চাচী, ভাবী ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনাদের চোখে নারীরা শুধুই নারী; সমাজের ৫০%। আর আমার চোখে নারীরা হচ্ছে পরবর্তি প্রজন্মের এই পৃথীবিতে আসবার একটা সাকো। কোন এক বিশাল ব্যক্তি যেন বলেছিলেন যে তাকে একটি শিক্ষিত মা দিলে তিনি একটি শিক্ষিত জাতি দিতে পারবেন। উনি কোন বাবার কথা বলেন নি।
এ কারণেই একটা ছেলেকে যখন ধূমপান করতে দেখি, আমি একটা ছেলেকেই ধুমপান করতে দেখি; আর একটা মেয়েকে ধূমপান করতে দেখলে আমি একটা জাতিকে ধূমপান করতে দেখি। ঐ ভ্যান ড্রাইভার হয়ত তার অন্য দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে দেখে; আমার মত করেই দেখবে এমন কোন যুক্তি নাই। তেমনি ভাবে আপনিও আমার মত করে ভাববেন বা আমি আপনার মত করে ভাববো এমনও কোন যুক্তি নাই।
=================
পোষ্টের বাইরে একটা কথা বলি। আপনার নামটা দেখে একটু বিপাকেই পড়লাম। 'বিষাদ আব্দুল্লাহ' একটা আর একটার সাথে যায় না মনে হয়। প্রথমটুকু বাদ দিয়ে দ্বিতীয়টুকু হয়ে যান না