নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বাসরা

বিষফোঁড়া

বিশ্বাসরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাফিসকে নিয়ে আমাদের মিডিয়ার নির্লজ্জতা

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

নাফিসকে নিয়ে মার্কিন প্রশাসন যেটা করলো তাকে সোজা বাংলায় বলা যায়,'চুদুরবুদুরগিরি'। একটা ছেলে একটা অত্যাচারী প্রশাসনের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে এটা নিশ্চিত জেনে তাকে ফাঁদে ফেলে ৩০ বছর জেল দেওয়া হল।অপরাধী শনাক্তকরণের এই চুলছেঁড়া পদ্ধতি প্রয়োগ করলে পৃথিবীতে প্রত্যেকটা ব্যক্তিই নাফিসের মত ধরা পড়বে।একজন মার্কিন তরুন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপান,জার্মানী,ইতালীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো।একজন কাশ্মিরী অথবা উলফা সদস্য ভারতবিরোধী মনোভাব নিয়ে চলে,একইভাবে একজন আইরিশ রেড আর্মি তীব্র ব্রিটেনবিরোধী মনোভাব পোষণ করে।মধ্যপ্রাচ্যে একজন আরব পারস্যের প্রতি বিদ্বেষ রাখে।প্রত্যেক মুসলমান ইহুদীদের দখলদারিত্ব ঘৃণা করে।আমেরিকার খ্রিস্টানদের ওপর যদি ইরান আক্রমণ চালায় তবে মার্কিন অথবা অমার্কিন খ্রিস্টানরা প্রথমত ইরানীদের দ্বিতীয়ত মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে।এই বিদ্বেষ ও বিরোধীতা সচেতন ও অসচেতন উভয় শ্রেণীর জনগণের মধ্যেই দেখা যায়।তবে এই বিদ্বেষ কখনোই বিস্ফোরিত হয়না,কারণ এগুলো একজনের একদমই মনস্তাত্বিক ব্যাপার।

তাহলে দেখা যাচ্ছে,নাফিসকে যে কারণে অভিযুক্ত করা হচ্ছে এই একই কারণে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষকে দোষী করা যায়।কিন্তু এটা জেনেও মার্কিনিরা এই অন্যায় করেছে নাফিসের ওপর আর তাবত্‍ আবালেরা এতে বাহবা দিয়েছে।

এবারে বাংলাদেশের মিডিয়া কাভারেজের কথা।নাফিসের দন্ডের কথা বাংলাদেশের সব প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় নাফিস বিশাল জায়গাজুড়ে স্থান পেয়েছে।তবে এই সব সংবাদজুড়েই নাফিসকে অপরাধী হিসেবেই দেখানো হয়েছে।এমনই ছাগলজাতীয় প্রাণীবর্গের দখলে এদেশের মিডিয়া।

মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারীরা একটিবারের জন্য একটা সিন্ডিকেট এনে একযোগে পজেটিভভাবে নাফিসকে প্রেজন্ট করেনি।মানবতার সঙ্গে এটা উপহাস!সব শালা চুলছেঁড়া সাংবাদিক গোষ্ঠীকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে,তোরা কী কারো প্রতি সে ব্যক্তি,গোষ্ঠী ও রাষ্ট্র যাই হোকনা কেন বিদ্বেষ ও ঘৃণা পোষণ করিসনা?সুযোগ পেলে তোরাও কী ছেড়ে দিতে?কে এমন আছিস যে মার্কিন আধিপত্যবাদ বা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেকে জ্ঞানী হিসেবে জাহির করতে চেষ্টা করিসনি?

যত্তসব ভন্ড,আবর্জনা ও নীতিহীন ।

বাংলানিউজ২৪,প্রথম আলো এই দুইটা গণমাধ্যম আবার নাফিসের প্রেমে ব্যর্থতা এবং ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে গুলিয়ে একটি জঘন্য হযবরল মার্কা প্রপাগান্ডা নিউজের জন্ম দিয়েছে।এদের প্রধান কাজ এটা প্রচার করা,আমেরিকা মুসলমানদের মারবে,তেল নিয়ে যাবে,৫০ লক্ষ মানুষ খুন করবে,কোটি কোটি মানুষকে ইয়াতিম,বিধবা,ঘরছাড়া ও অনাহারে রাখবে এবং এটা বৈধ । এর বিরুদ্ধ মনোভাব পোষণ করা যাবেনা,আমেরিকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা যাবেনা,তার মানসিকতাও রাখা যাবেনা।আমেরিকার আগ্রাসনকে স্বাগত জানানোটাই মানবতা।

প্রথম আলো নামের আনন্দ বাজার পত্রিকার বাংলাদেশী সংস্করণের পাশাপাশি অন্যান্য পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলও দখলদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত যোদ্ধাদের ' সন্ত্রাসী 'হিসেবে প্রচার করে।অদূরভবিষ্যতে নাফিসকেও আশা করি সন্ত্রাসী নাফিস বলা হবে যদিও শব্দগুলো রয়টার্স,বিবিসি,সিএনএন নামের মার্কিন মুখপাত্র থেকে নেওয়া।

কি করেছে পশ্চিমা আইন খুনী ব্রেইভেককে ? কী বিচার হয়েছে আফগানিস্তানে নিরীহ ১৭ গ্রামবাসীকে খুন করা সেই খুনী,বর্বর মার্কিন সেনার?ইরাকে ১০ লক্ষ মানুষ মারার বিচার কে করবে? কে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি বোমা মেরে প্রায় দুই লক্ষ মানুষ মেরেছে ? কে বর্তমান পৃথিবীতে সব চলমান যুদ্ধের মূল?কে করবে এই মার্কিন সাম্রাজ্যের বিচার । চোরের মার বড় গলা বলেই কী নাফিসকে সহজে ফাঁসানো যায়?



নাফিসের ঘটনার পরে আমাদের উচিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কথা বলার অপরাধে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে গ্রেফতার করা।অথবা আওয়ামী লীগ বিএনপি সঙ্ঘাত সৃষ্টিতে সহায়তাকারী হিসেবে ধরা অথবা স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের সমর্থন করায় গ্রেফতার করা অথবা বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমান উভয়ের খুনের পিছে সিআইএ এর মদদ প্রমাণ করে বিচার করা ও কমপক্ষে একশ বছর কারাদন্ড দেওয়া। কিন্তু এমন টা হবেনা।

এ দেশের মিডিয়া যতদিন আত্মমর্যাদাহীন ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধহীন মুনাফালোভী পুঁজিবাদী অসভ্যগুলোর হাতে থাকবে ততদিন হবেনা কিছুই।রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদেরও দেশের স্বার্থ বুঝতে হবে,নৈতিকভাবে সবধরনের অন্যায় আধিপত্যবাদকে প্রতিহত করার মানসিকতা রাখতে হবে । তবেইনা আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারবে ।

আর তখন চাইলেই নাফিসকে ৩০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া যাবেনা । তখন ঘরে ঘরে শত শত নাফিসের বিস্ফোরিত হওয়ার ভয়ে থাকবে পুঁজিবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো ।

বিশ্বাসবাড়ি,ভোর ৪ টা ৫০ মিনিট

১১ আগস্ট ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

নিজাম বলেছেন: আপনার বক্তব্য অতি সুগঠিত, চুলচেরা ও সঠিক। কিন্তু এ কথা বলার লোক কই?

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

নিজাম বলেছেন: আপনার বক্তব্য অতি সুগঠিত, চুলচেরা ও সঠিক। কিন্তু এ কথা বলার লোক কই?

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

নীলতিমি বলেছেন: সে তো জানেই আমেরিকা বদ । সিংহের খাঁচায় ঢুকে সিংহের বিরুদ্ধে অস্ত্রছাড়া যুদ্ধের ফল কি তা সবাই জানে - একমাত্র পাগল ছাড়া

আর পাগলদের জন্য পাগলাগারদই (জেল) ভালো জায়গা ! /:) /:)

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৩

বিশ্বাসরা বলেছেন: নীলতিমি, আপনার নাম নীলছাগল হলে ভালো হতো!আনার ছাগলামীর জবাব আমার লেখাটিতেই আছে

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: নাফিসের ব্যাপারটা ঠিক এরকম ভাই-

একটা বীজ ছিলো। সেই বীজকে খুব ভালোভাবে রুপন করা হলো। জল, বাতাস, সার, আলো সবকিছু খুব ভালোভাবে সরবরাহ করে ধীরে ধীরে বীজ থেকে গাছটি বড় করা হলো। এরপর সেই গাছে ফুল ফটুানো হলো। এখন ফুল ফুটাবার পর মালি ফুলকে বলে- তুই এখানে ফুটেছিস কেন?

গোবর মস্তিষ্ক সব টাউট বাটপাররাই আমাদের সব মিডিয়া, অফিস আদালত দখল করে বসে আছে। কি করবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.