![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[আমেরিকার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ দমন চুক্তি বাতিল করতেই হবে]
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের মুহূর্তে মঙ্গলবার এই বাংলাদেশের জন্য অদূর ভবিষ্যতের সবচেয়ে ক্ষতিকর চুক্তিটি করেছে এই সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । চুক্তির নাম 'সন্ত্রাসবাদ দমন'। চুক্তির অপর পক্ষ কে জানেন?
পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদের ধারক,মহাসন্ত্রাসী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির সময় উপস্থিত ছিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর,স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ মোশতাক আহমেদ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা।সবাই যখন ২৫ অক্টোবর,চিঠি ও ফোনালাপ এবং অন্তবর্তী বা নির্দলীয় তত্ববধায়ক নিয়ে ব্যস্ত তখন সুযোগ বুঝে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিটি করে ফেলেছে।হায়,একটি মানুষ এর বিপক্ষে কথা বলার নেই?কি আছে সেই চুক্তিতে?সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে অন্যদেশে আগ্রাসন চালিয়ে সেদেশের সম্পদ লুন্ঠনের মার্কিন কূটকৌশল কে না জানে?তারপরেও কোন স্বার্থে এই চুক্তি জাতি কি তা জানতে চায়না?
চুক্তি শেষে মখা বলেছেন,...সীমান্ত ও বন্দর রক্ষায় উভয় দেশ সহযোগিতা করবে ।'[প্রাইমনিউজ ডটকম]
হায় রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!এই শব্দগুচ্ছ যে কত ব্যাপক অর্থ বহন করে তা যদি আপনি ভাল করে জানতেন তবে আপনি এই চুক্তি স্বাক্ষরের পক্ষে সাফাই গাইতেননা।মার্কিনিদের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত আছে?তবে কেন সীমান্তের সন্ত্রাস দমনে তাদের সঙ্গে চুক্তি?বন্দর রক্ষায় কেন মার্কিনিদের আনা হচ্ছে?এদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ও সমুদ্রের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের লোলুপ দৃষ্টির কথা কে না জানে?তবে কার স্বার্থে কি উদ্দেশ্যে এদেশে মার্কিনি বদমাশদের আনার পাঁয়তারা চলছে? এটা কি বাঙালি জাতির বা বাংলাদেশীদের ওপর স্বেচ্ছায় ভয়ঙ্কর এক নৃশংস প্রজাতির অবিবেচক খুনী সেনাবাহিনীর ভবিষ্যত্ আগ্রাসনের পথকে সুগম করে দিলনা?প্রশ্ন রইলো চুক্তির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে।
মজিনা এ ব্যাপারে বলেছে,...দুদেশের চিহ্ণিত সন্ত্রাসীদের দমনে এ চুক্তি সহযোগিতা করবে।[তথ্য:প্রাইমনিউজ]এ কী ভয়ঙ্কর কথা মুখে?তবে কী এর থেকে আরো ভয়ঙ্কর কথা চুক্তির ফাইলে লুকিয়ে আছেনা?
নাক টিপলে যে বাচ্চার দুধ পড়ে সেও এই কথা বলবে যে যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারতো দূরে থাক যুক্তরাষ্ট্রের সামান্য ব্যাপারেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ডাকবেনা।তবে কার স্বার্থে এ চুক্তি? এর স্বার্থ যুক্তরাষ্ট্রের।আর এই রাষ্ট্রের কাছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মানে যদি রসু খাঁ,এরশাদ শিকদার,পিচ্চি হানান,সুব্রত বাইন ভাবেন তবে আপনি মিস্টার বিন বা চার্লি চ্যাপলিনের চেয়ে হাস্যকর!যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্ত্রাসী মানে হচ্ছে 'প্রবল জাতীয়তাবোধ সম্পন্ন গোষ্ঠী' এবং 'ইসলামপ্রিয় যেকোন ব্যক্তি,গোষ্ঠী বা সমর্থক '। এখন এদেশে যদি যুক্তরাষ্ট্রের পন্য যেমন ইউনিলিভারের সবকিছু বর্জন করার একটি আন্দোলন করা হয় দেশী পন্য ব্যবহারে উত্সাহ জোগানোর জন্য।তখন যদি ক্ষমতাসীন সরকার একে সরকারবিরোধী ভেবে পুলিশ নামায়,যুক্তরাষ্ট্র এদের সাধারণ সন্ত্রাসী আখ্যা দিবে।আর এই চুক্তি অনুযায়ি বাংলাদেশ জাতীয়তাবোধসম্পন্ন এই আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে বাধ্য থাকবে।অথবা এই চুক্তি অনুযায়ী হাটহাজারি মাদরাসায় অভিযান চালাবে মার্কিন বেহায়া সেনাবাহিনী।এই চুক্তি মার্কিনীদের সঙ্গে পৃথিবীর যত রাষ্ট্র করেছে সে রাষ্ট্র মার্কিন সেনাঘাঁটি রয়েছে।
এই চুক্তির ফলেই পাকিস্তান তার অভ্যন্তরে মার্কিন ড্রোন হামলার প্রতিবাদ জোরালো গলায় করতে পারেনা ,যদিও পৃথিবীর অন্যতম দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনী রয়েছে পাকিস্তানের।এই চুক্তির ফলে ইয়েমেন,আফগানিস্তান,দক্ষিণ কোরিয়া,তুরস্ক,ইরাক,সোমালিয়া,জাপান,জর্জিয়া,কাতার প্রভৃতি রাষ্ট্র স্থায়ি ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে সাম্রাজ্যবাদি নোংরারাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র।
সুতরাং এই চুক্তি বাতিলের জন্য এখনি সময় । আর দুইটা দিন । আমি বিশ্বাস করি আমরা একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানালে এই চুক্তির ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে যেকোন সরকার একে বাতিল করতে পারবে ।
অতএব প্রতিরোধ শুরু করুন । বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতেই হবে ।
পুনশ্চ:শুনলাম ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তি করেছে এই সরকার ?
আজ্ঞে নিজেরা পরাজিত হওয়ার কথা ভেবে এভাবে সম্পূর্ণ দেশটিকে পরাজয়ের শৃঙ্খলে বেঁধে রাখছেন বুঝি।আজ ভারত গতকাল যুক্তরাষ্ট্র!আহা,বন্ধু রাষ্ট্রের শ্রী!
বাংলাদেশটা প্রদেশ হতে কত দেরি আর,দেশদ্রোহী?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
তানজিব বলেছেন: বাতিল করবে কে??