নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

WELCOME to My WORLD.

MD Habibur Rahman

হাই, আমি হাবিব। আমি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। আপনাকে আমার ব্লগ এ স্বাগতম।

MD Habibur Rahman › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভালবাসার জন্য অপেক্ষা" (পর্ব ৩)

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০০

"ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা" (পর্ব ৩)

নূরে আলম শাওন কে সব কিছু বিস্তারিত খুলে বললো। শামীম তার মায়াবতীর বর্ননাও দিলো। শাওন ভাবছে...

শাওন- আচ্ছা বুঝলাম। আজ অনুষ্ঠানে প্রায় সবাই আসবে। আশা করি সেও আসবে। আমরা ভিতরে যাবো। তুমি তাকে খুঁজবা। আমাকে দেখিয়ে দিবা। তারপর দেখি কি করা যায়।

নূরে আলম- ওকে। কিন্তু ভিতরে কোন প্রব্লেম হবে না তো?

শাওন- আমি ম্যানেজ করে নিবো।

শামীম- ওকে। চলো তাহলে।

ভিতরে ঢুকলো তারা সবাই। ঘুরছে। স্কুলের প্রতিটা ভবন ঘুরা শেষ তাদের। কিন্তু কোথায়ও শামীম তার মায়াবতী কে খুঁজে পেল না। অবশেষে তারা এসে স্টেজ এর সামনে বসলো।
সবার ডানে নূর আলম, তার পাশে শাওন, তার পাশে শামীম, বাকিরা তার পাশে। স্টেজ এ অনুষ্ঠান চলছে। কিন্তু শামীম আসে পাশে তার মায়াবতী কে খুঁজছে। কোথাও সে তাকে দেখতে পারছে না। কিছুক্ষন পর কিছু মেয়ে দলীয় গান গাওয়ার জন্য স্টেজে আসলো। শামীম তাদের দেখে দাঁড়িয়ে গেলো। অপলক দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে আছে সেদিকে।

শামীম- শাওন, শাওন। দেখো, ওই যে ওই মেয়েটা।

শাওন- কোনটা? ওই যে হলুদ শাড়ী পড়া?

শামীম- নাহ। লাল শাড়ী পড়া। লাল পরী টা। যার তুলনায় স্বর্গীয় আপ্সরী ও কিছু না।

শাওন- ফারজানা? কি বলো এসব। আর কোন মেয়ে পেলা না? ওরে বাদ দিয়ে অন্য যে কারো কথা বলো। আমি ম্যানেজ করে দিবো। কিন্তু ফারজানা না।

শামীম- নাম কি? ফারজানা? ওহ নাম টাও কতো সুন্দর।

নূরে আলম- কেন? এই মেয়ের কি প্রব্লেম?

শাওন- আছে। অনেক প্রব্লেম আছে। বাদ দেও। চলো। এখান থেকে বের হয়ে যাই।

শামীম- নাহ। যার জন্য এতোদিন ওয়েট করেছি। যাকে দেখার জন্য দিন রাত এক করে দিছি। যার চিন্তায় এতোদিন বিভোর ছিলাম। যার খোঁজে এতদূর আসলাম। তাকে এতো কাছ থেকে দেখেও কথা না বলে চলে যাবো?

শাওন- তোমরা বুঝতেছো না কেন? প্রব্লেম আছে।

নূরে আলম- তুই বুঝাইয়া বলিস না কেন? বুঝাইয়া বল। কি প্রব্লেম?

শাওন- ফারজানার বাবা এলাকার চেয়ারম্যান। খুব খারাপ মানুষ। সবাই খুব ভয় পায়। যদি উনি জানতে পারে, তাহলে তোদের আর বাড়ী যাওয়া লাগবে না। আর যদি শুনে আমি তোদের সাহায্য করছি। তাহলে আমাকে জবাই করে দিবে।

নূরে আলম- ওহহহহ। তাহলে এখন উপায়?

শাওন- প্লিজ তোরা বাড়ি ফিরে যা। ফারজানার বেপারে আমি তোদের কোন সাহায্য করতে পারবো না।।

শামীম- আচ্ছা। ফারজানা কেমন?

শাওন- হ্যা। মেয়েটা খুব ভালো। কারো সাথে তেমন কথা বলে না। হয়তো বাবার ভয়ে। খুব নম্র, ভদ্র।

শামীম- আচ্ছা। তুমি শুধু একবার ওর সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেও। আর কিছু লাগবে না। প্লিজ।

শাওন- নাহ। তাও পারবো না আমি।

নূরে আলম- প্লিজ বন্ধু। এইটুকু কর। প্লিজ। আর কিছু করা লাগবে না।

শাওন- ধ্যাত। তোরা তো বিপদে ফালাইয়া দিলি। ওকে। দেখি কি করা যায়।

নূরে আলম- আচ্ছা বন্ধু দেখ।

ইতিমধ্যে স্টেজ এ ফারজানাদের পারফরমেন্স শেষ হয়ে গেছে। শাওন ও উঠে গেছে। সে হয়তো ফারজানার সাথে কথা বলতে গেছে। খানিক বাদে শাওন ফিরে এলো। তাকে খুব ভীত লাগছে।

নূরে আলম- হ্যা বন্ধু বল। কি হলো?

শাওন- ৫ মিন এর মধ্যে কথা শেষ করবা। আমার পিছে আসো।

এইটুকু বলে শাওন হাটতে লাগলো। ওরা শাওন কে ফলো করলো ওরা সবাই। শাওন ওদের নিয়ে স্কুলের মেইন ভবন এর একটি রুমের সামনে নিয়ে গেলো।

শাওন- শামিম তুমি ভিতরে যাও। আমি ফারজানা কে তোমার কথা বলেছি। সে ভিতরে আছে। তোমার কাছে ৫ মিন সময় আছে। যা বলার ৫ মিন এর মধ্যে বলে শেষ করবা। আমরা বাহিরে আছি।

শামীম- ওকে। নূরে আলম। তোরা দাড়া। আমি আসছি।

নূরে আলম- ওকে। সাবধানে। বন্ধু তোমার মায়াবতী কে আমার ও পছন্দ হইছে।

শামীম- কি?

নূরে আলম- আরে পাগল। ভাবী হিসেবে পছন্দ হইসে।

শাওন- আরে তাড়াতাড়ি যাও। কেউ চলে আসতে পারে।

শামীম- ওকে। কিন্তু ভয় করছে।

দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে শামীম ভিতরে ঢুকে গেলো।

চলবে.........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.