নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন: সমঝোতা নাকি শুভঙ্করের ফাঁকি?

১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:১১



"তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের গুঞ্জন—সমঝোতার আলো, না কি নতুন প্রতারণার জাল? জানুন বাংলাদেশের রাজনীতির অজানা দিক, বিভক্তির বাস্তবতা ও নির্বাচন ঘিরে নতুন নাট্যপট।"

বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে নতুন একটি দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত বৈঠকের পর থেকেই রাজনীতিতে যেন হালকা শোরগোল। বলা হচ্ছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিএনপি বলছে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার অবসান হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—এই ঘোষণা কি বাস্তবতার পথে এক বড় পদক্ষেপ, নাকি আরেকটি শুভঙ্করের ফাঁকি?

যদিও লন্ডনের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি এসেছে, সেখানে ফেব্রুয়ারির বিষয়টি সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, যদি “সংস্কার ও বিচারিক অগ্রগতি” হয় এবং “নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন” হয়, তাহলেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব।

এই ‘যদি’ এবং ‘তাহলে’ শব্দদ্বয়ের মাঝেই লুকিয়ে আছে বাস্তবতার জটিলতা। বিএনপি যেখানে আগেই বলেছিল—ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই, সেখানে এখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন মেনে নিয়েছে। কিন্তু সমর্থক ও সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে এই সিদ্ধান্তে কতটা বোঝাপড়া হয়েছে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

বিএনপি এতদিন তার দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের সঙ্গী সহ বিভিন্ন দল নিয়ে একটা বড় জোট গঠন করে সরকারকে চাপে রেখেছিল। এখন তারা এককভাবে ফেব্রুয়ারির প্রস্তাব দিয়ে সমঝোতা করল। এই একক সিদ্ধান্তের খেসারত কাকে দিতে হবে?

যদি কোনো কারণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হয়, তাহলে বিএনপি কি আবারো রাজপথে আন্দোলনে নামতে পারবে? নাকি সমর্থন হারাবে? এ প্রশ্ন রাজনীতির চায়ের কাপে ঝড় তুলছে।

অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই বিতর্কে। প্রশাসনিক দুর্বলতা, চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যু, মিয়ানমার করিডোর, সব মিলিয়ে সরকারের ওপর চাপ ছিলই। লন্ডন বৈঠক সেই চাপ থেকে 'এক্সিট প্ল্যান' এর একটা সম্ভাব্য পথ খুলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার বুঝে গেছে—সহজে সরে না গেলে আরও বড় সংকটে পড়বে।

এই সমঝোতার বার্তা এখন প্রশাসনের ভিতরেও পৌঁছে গেছে। মাঠ প্রশাসন মনে করছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসছে—এ ধারণা তাদের আচরণ ও সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ফলে জামায়াত বা এনসিপি প্রশাসনের দরজায় টোকা মারলেও তাদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে।

সবচেয়ে অবাক করা প্রতিক্রিয়া এসেছে জামায়াত ও এনসিপি থেকে। তারা বলছে, বিদেশের মাটিতে একটি দলের নেতার সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচন নির্ধারণ করা অন্য দলগুলোর প্রতি অবমূল্যায়ন।

বিশেষ করে, এনসিপি দাবি করেছে যে এটি গণ-আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এতদিন যে সুবিধা পেয়ে আসছিল, এখন সেই সুবিধা কমে যাওয়ার শঙ্কায় কি তারা সরকারকে বিব্রত করার পথে নামবে?

নির্বাচনের এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক আবহাওয়া কিছুটা শান্ত হলেও ঝড় পুরোপুরি থামেনি। যদি শর্ত পূরণ না হয়, যদি সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়ার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না ঘটে—তাহলে সরকার কি সত্যিই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেবে?

অন্যদিকে, বিএনপি নির্বাচনের জন্য আপাতত প্রস্তুত হলেও, তাদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে ফিরবে কি? আবার, জামায়াত-এনসিপির মতো ক্ষুব্ধ দলগুলো কি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আরও আগ্রাসী পথে হাঁটবে?

লন্ডন বৈঠক একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু তার পরিণতি এখনো অস্পষ্ট। বর্তমান পরিস্থিতিকে বলা যায়—সংকটের মাঝে সম্ভাবনার আলো।

নির্বাচনের পথ রচিত হচ্ছে, কিন্তু তা এখনো কাঁটার বিছানা। যদি রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতি আস্থা রাখে, দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, তাহলেই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ হতে পারে।
নইলে আমরা আবার সেই পুরনো অস্থিরতায়, সেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবো।

পা্ঠক আপনার মতে, এই সমঝোতা কি টিকবে? নাকি ফেব্রুয়ারির আগেই রাজপথে উত্তপ্ত হবে রাজনীতি? কমেন্টে লিখুন!

শেষ কথা: রাজনীতি এখন অনেকটা দাবার খেলার মতো—চাল একটাই, কিন্তু প্রতিপক্ষের প্রত্যুত্তরই বলে দেবে, গেমটা কোন দিকে গড়াবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:২০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই ব্লগটি অডিও ফরম্যাটে শুনতে চান তাহলে Please visit my You Tube Channel Click This Link

২| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৩

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ডক্টর ইউনুসের উচিত দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বিদায় নেয়া। প্রসাষন, আদালত , নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিএনপি দখল করেছে তাতে ইন্টারিম সরকারের পক্ষে কোণভাবেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। ডক্টর ইউনুসের উচিত হবে জনগনের সামনে এই সরকারের সকল দুর্বলতা তুলে ধরে দ্বায়িত্ব থেকে বিদায় নেয়া। জুলাই বিপ্লবে এত ছাত্র এক লূটেরার বদলে আরেক লূটেরা গোষ্ঠিকে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় বসাতে রক্ত দেয় নাই।

১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৯

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: জ্বী ভাই খুব ভালো কথা বলেছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে জুলাই গন অভ্যুত্থানের চেতনা নারী এনসিপি এর নেতা কর্মীরা নিজেরাই এখন বিভিন্ন দূর্নীতি এবং টাকা কামানোর ধান্দায় ব্যাস্ত সময় পার করছে। তাদের প্রধান অস্ত্র মববাজী। এদের কাছ থেকে ভালো কিছু কি আশা করতে পারেন?

৩| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ৫৩ বছরতো দুই মাফিয়া পরিবারের সুশাষন =p~ অনেক দেখলাম। এনসিপির নামে এত যখন বদনাম , তাহলে নির্বাচনেতো বিএনপিরই জেতার কথা। কিন্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিএনপি এত ভয় পায় কেন? কেন প্রসাষন। আদালত, নির্বাচন কমিশন দখল করেছে?

১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি অনাগ্রহ দেখিয়েছে বলেতো জানা নেই। আওয়ামীলীগকে সরকার নিষিদ্ধ করেছে। তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত। ভোটের হিসেবে আওয়ামী লীগ ৪০% ভোট, বিএনপি ৪০% ভোট, জামায়াত ১০% ভোট বাকিরা সবাই মিলে ১০% ভোট পেয়ে আসছে। আর এনসিপি এই দলটিরতো এখনো নিবন্ধনই হয়নি। প্রফেসর ইউনূসের নিজের দল বলে তারা যে সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছে তার কারনে নিজেদের তারা বিশাল কিছু মনে করছে। ভোটের মাঠে নেমে দেখুক অধিকাংশ ব্যক্তি জামানত হারাবে।

৪| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাহ! আপনি কি ইউটিউবার হয়ে যাচ্ছেন? বিএনপি কিন্তু এই অন্তর্বর্তী (জামায়াত-এনসিপি ঘরানার) সরকারের আলোচনা করছে। করিডোর, বন্দর—সব কিছু নিয়েই কথাবার্তা হয়েছে।

IMF ডলার দেওয়ার আগেই তারেক রহমান ও ইউনুসের বৈঠকটা কেন হলো? এই সব আলোচনা তো দেশে বসেই বিএনপি-অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে হতে পারত। তাহলে লন্ডনে যাওয়ার দরকারটা কী ছিল?

১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমার ইউটিউব চ্যানেলটি বহু পুরনো। দুই বছরের বেশি সময় এটাতে কোনো ভিডিও আপলোড করা হয়না। এখন ভাবলাম কিছু পোস্ট দেই।

এই রাজনৈতিক ব্যাপারগুলোতে আপনি এবং গাজী সাহেব দুজনেই যথেষ্ট অভিজ্ঞ। আমি শুধু যা দেখছি চারপাশে এবং সেগুলো যতটুকু বুঝি তাই বলার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:১০

কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুসকে না তাড়ানো পর্যন্ত কোন নির্বাচন হবে না।

১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ইউনূস সাহেব চলে গেলে নির্বাচনও অনিশ্চিত হয়ে পরবে। উনি যাওয়ার আগে তার যাওয়ার রাস্তাটা নিরাপদ করে যেতে হবে। একটা কথা আছে না বাঘের পিঠে বসা কঠিন কিন্তু পিঠ থেকে নামাটা আরো কঠিন।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: জনগনের মঙ্গলে কাজ করলে কোনই কঠিন না। সারা দুনিয়ায় হাজার হাজার শাসক চড়ছে আর নামছে।যারা জনগনের টাকা নয় ছয় করে তাদের জন্য সত্যি কঠিন।ইউনুসের জন্য আরো কঠিন।সে দুষ্টের শিরোমনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.